a
ফাইল ছবি: ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী
নিউজ ডেস্ক: ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ঢাকার যে কোন থানায় মামলা না নিলে সাথে সাথেই ঐ থানার ওসিকে সাসপেন্ড করা হবে। আজ ২৫ নভেম্বর, সোমবার ডিএমপি সদর দপ্তরে অটোরিকশা, অটো ভ্যান ও ইজিবাইক চালকদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
বৈঠকে একজন রিকশাচালকের নালিশ করেন, তাকে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় গতকাল রবিবার ও এর আগেও একদিন মারপিট করা হয়েছিল। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনি মামলা করেননি কেন? মামলাযোগ্য বিষয় হলে অবশ্যই প্রতিটি থানার ওসিদের মামলা নিতে হবে। যদি মামলা নিতে কোন থানার ওসি গড়িমসি করে তাকে ১ মিনিটে সাসপেন্ড করা হবে জানান।
চাঁদাবাজির বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কোন চাঁদাবাজির সাথে কোন পুলিশ জড়িত থাকে, তাদের রক্ষা নেই। বিশেষ করে গরীব মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ
চাঁদাবাজির বিষয়ে শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলন, কোনো চাঁদাবাজি চলবে না। গরিবদের কষ্টার্জিত অর্থ কেউ নিতে পারবে না। স্থানীয় মাস্তানরা চাঁদাবাজির টাকা ভাগ করে খায়। যদি পুলিশের কোনো লোক চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তার আর রক্ষা নেই। গরিবের কষ্টার্জিত টাকা কেউ নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সকাল ১১টায় দিকে অটো রিকশাচালকদের একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপি কমিশনারের সাথে দেখা করেন এবং রিকশাচালকরা তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।
আইজিপি বেনজীর আহমেদ
হরতালে নাশকতা ও হামলার মামলায় হেফাজতে ইসলামের ঊর্ধ্বতন নেতারা জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ।
আজ বুধবার ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।
মামলায় হেফাজতের ঊর্ধ্বতন নেতাদের নাম কেন আসেনি, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নাম না থাকলে যে তদন্তে তাদের নাম আসবে না, এমন কোনো কথা নেই। আমরা কোনো কিছুকে প্রভাবিত করতে চাই না। আমাদের দেশে একটি কাজ করলে দশ রকমের সমালোচনা শুরু হয়। আমরা মনে করি, যারা হামলা করেছে, তাদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কেউ নির্দেশদাতা থাকে, নিশ্চয় তাদের নামও আসবে। কাউকে বাদ দিচ্ছি, এমন কোনো কথা বলছি না। আমরা বলছি, যারা অনস্পট ছিল, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তদন্তের সময় যারা নির্দেশ দিয়েছেন, তারাও আসবেন আমরা মনে করি। তারা স্বাধীনতাকে কলুষিত করার চেষ্টা করেছেন।’
ফাইল ছবি
চীনের মহড়ার জবাব দিতে এবার হাউইটজার কামান নিয়ে সামরিক মহড়া শুরু করেছে তাইওয়ানের সেনাবাহিনী। যুদ্ধের পরিস্থিতিতে কীভাবে চীনের সেনা বাহিনীকে মোকাবেলা করা যায় তা নিয়েই মঙ্গলবার থেকে তাইওয়ান মহড়া শুরু করেছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া সামরিক মহড়ায় ‘লাইভ ফায়ার ড্রিল’ অর্থাৎ আসল গোলা ছুঁড়ে লড়াইয়ের কৌশল ঝালিয়ে নিচ্ছে স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটির গোলন্দাজ বাহিনী।
এ ব্যাপারে তাইওয়ানের সেনার অষ্টম আর্মি কোরের মুখপাত্র লউ ওয়েই জাই জানিয়েছেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পিংটাং প্রদেশে সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার এই দু’দিন চীনের বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল ঝালিয়ে নেওয়া হবে।
তাইওয়ানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে প্রায় ৪০টি হাউইটজার কামান ও এক হাজারেরও বেশি সেনা।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি গত মঙ্গলবার তাইওয়ান সফরে আসার পর তাইওয়ানকে ঘিরে ছয়টি স্থানে সামরিক প্রশিক্ষণ চালাচ্ছে চীন।
সাবমেরিন দিয়ে কিভাবে হামলা করা হবে এবং সমুদ্রে কিভাবে হামলা করা হবে সোমবার এ বিষয়ে মহড়া দিচ্ছে চীনের সেনারা। পিপলস লিবারেশন আর্মি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
অন্যদিকে ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানে আসায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনা পর্যায়ে সব ধরনের আলোচনা স্থগিত করে দিয়েছে চীন। এ বিষয়টির কড়া সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র: যুগান্তর