a
ফাইল ছবি
রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায় দেওয়া ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা: কামরুন্নাহারকে আজ রবিবার সাড়ে ৯টা থেকে এজলাসে না বসার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। বিচারক কামরুন্নাহারের ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে স্থগিতও করা হয়েছে।
বিচারক কামরুন্নাহারকে আদালত থেকে প্রত্যাহার করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারকদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রধান বিচারপতি এ নির্দেশ দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ১১ নভেম্বর দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক বেগম মোছা: কামরুন্নাহার। রায়ে সব আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। খালাস পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার হোসেনের ছেলে শাফাত আহমেদ, শাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ, শাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, মামলার দুই ভিকটিম আগে থেকেই সেক্সুয়াল কাজে অভ্যস্ত। তারা স্বেচ্ছায় হোটেলে গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে সুইমিং করেছেন। ঘটনার ৩৮ দিন পর তারা বললেন, ‘আমরা ধর্ষণের শিকার হয়েছি’। অহেতুক তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন। এতে আদালতের ৯৪ কার্যদিবস নষ্ট হয়েছে। এরপর থেকে পুলিশকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি। এ ছাড়া এরপর থেকে ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর যদি কেউ মামলা করতে যায়- তা না নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।
বিচারকের পর্যবেক্ষণের প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘আমি রায়ের বিষয়বস্তু নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। অবজারভেশনে (৭২ ঘণ্টা পরে পুলিশ যেন কোনো ধর্ষণ মামলার এজাহার না নেয়) বিচারক যে বক্তব্য দিয়েছেন এ সম্পর্কে আমি বলতে পারি, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অসাংবিধানিক।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ছবি সংগৃহীত
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ব্যালট ছিনতাই ও হট্টগোলের ঘটনায় শতাধিক আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে সমিতির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বিএনপিপন্থী আইনজীবী প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ১শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান সজল, অ্যাডভোকেট মাহফুজ-বিন-ইউসুফ, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মাহদিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট গোলাম আক্তার জাকির, অ্যাডভোকেট মো. মনজুরুল আলম সুজন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মোক্তার কবির খান, অ্যাডভোকেট আশরাফ-উজ-জামান খান, অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরও ১০০ আইনজীবীকে। সূত্র: আমাদের সময়
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিবিরোধী বিক্ষোভ, সমাবেশ ও সংঘর্ষে নিহতের ঘটনার জেরে রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলাম। হরতালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি মাঠে আছে বিজিবি সদস্যরা। যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।
এই হরতালকে কেন্দ্র করে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে মাঠপর্যায়ে নিয়োজিত সদস্যদের কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও পুলিশ সদর দপ্তরের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
নির্দেশনায় চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের ওপর হামলার আশঙ্কায় ডিএমপিসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের সতর্ক অবস্থানেও থাকতে বলা হয়।
সূত্রমতে, হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিতের লক্ষে পুলিশ ও র্যাবের সদর দপ্তরে পৃথক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে মাঠপর্যায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও সদস্যদের নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি দেশের জানমাল, রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় কঠোর অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, যারা এই হরতালের নামে বিক্ষোভ, মিছিল সমাবেশের নামে নাশকতার চেষ্টা করবে, জ্বালাও-পোড়াও করবে তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে। কেউ যদি যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে, জানমালের ক্ষয়-ক্ষতির চেষ্টা করে, থানায় হামলা বা আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।