ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ, ২০২৪
https://www.msprotidin.com website logo

আজিজুল্লাহ আফগান ক্রিকেট বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান


ক্রীড়া ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন 
মঙ্গলবার, ১৭ আগষ্ট, ২০২১, ১২:৫৮
আজিজুল্লাহ আফগান ক্রিকেট বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান

তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করার পর সেখানে ইসলামিক স্টেট করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সকলের মনে উদ্বেগ ছিল ক্রিকেট বিশ্বের আশাজাগানিয়া দল হিসেবে আত্নপ্রকাশ করা আফগানিস্তান কি তাহলে ক্রিকেট থেকে হারিয়ে যাবে? কিন্তু না বরং সে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ফরম্যাটে বেশ কিছু রদবদল করা হয়েছে। দেশটির ক্রিকেট বোর্ডে ফারহান ইউসেফ জাইকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আজিজুল্লাহ ফাযলিকে।

এর আগেও এক দফা আফগান বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন আজিজুল্লাহ। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও চেয়ারম্যান হলেন বোর্ডের প্রধান। সমস্ত ব্যবহারিক কাজের ক্ষমতা থাকে সিইও এর হাতে। তিনি ক্রিকেটের সমস্ত কার্যক্রম দেখাশোনা করেন। এই পদে বর্তমানে আছেন ডক্টর হামিদ শিনওয়ারি। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির ক্রিকেট উন্নয়নে দারুণ আশাবাদী এসিবির নতুন বোর্ড প্রধান।

১ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান। প্রথমে আরব আমিরাতে হবার কথা থাকলেও এখন শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটায় এই সিরিজ আয়োজন করতে চায় আফগান বোর্ড।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ধোনির বাবা-মা করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি


ক্রীড়া ডেস্ক:
বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১, ০৯:৪৫
ধোনির বাবা-মা করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি

ফাইল ছবি

বিশ্বকাপজয়ী ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির বাবা-মা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রাঁচির পালস সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ধোনির বাবা পান সিং এবং মা দেবকী দেবীকে।

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বুধবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মাঠে যাচ্ছেন চেন্নাই অধিনায়ক ধোনি। কিন্তু ঠিক তার আগ মূহুর্তে এলো এই দুঃসংবাদ।

হাসপাতালে আপাতত নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ধোনির বাবা-মাকে। তাদের বয়স বেশি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে ধোনির পরিবার।

এদিকে আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, টুর্নামেন্টের মাঝেখানে বায়ো-বাবল ছেড়ে বের হওয়ার উপায় নেই ধোনির। তাই মা-বাবার সঙ্গে আপাতত দেখা হচ্ছে না ধোনির।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

অপরাধ করেননি—এই আত্মবিশ্বাস থাকলে বিবৃতি ভিক্ষা করতেন না: ড. ইউনূস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
মঙ্গলবার, ২৯ আগষ্ট, ২০২৩, ১০:২২
অপরাধ করেননি—এই আত্মবিশ্বাস থাকলে বিবৃতি ভিক্ষা করতেন না: ড. ইউনূস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী

গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অপরাধ করেননি, আত্মবিশ্বাস থাকলে ড. ইউনূস আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিবৃতি ভিক্ষা করে বেড়াতেন না। চলমান মামলার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারি না। বিদেশিরা ড. ইউনূসের পক্ষে এত এত বিবৃতি না দিয়ে আইনজীবী ও বিশেষজ্ঞ পাঠান।’

আজ মঙ্গলবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। শুরুতে প্রধানমন্ত্রী লিখিত বক্তব্য পড়েন। এরপর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব।

 এই পর্বে এটিএন নিউজের সাংবাদিক আরাফাত সিদ্দিকী প্রশ্ন করেন, নোবেলজয়ীসহ ১৬০ জন বিশিষ্ট নাগরিক ড. ইউনূসের বিচার স্থগিত করার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে কি না, সেটি তাঁরা নজরে রাখবেন। তাঁরা বিগত নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। সরকারপ্রধান হিসেবে ড. ইউনূসের বিচার স্থগিত করার এখতিয়ার আপনার আছে কি না বা এই বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেবেন কি না। এই চিঠির বিষয়টি আপনি আমলে নিচ্ছেন কি না।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভদ্রলোকের যদি এতই আত্মবিশ্বাস থাকত যে তিনি অপরাধ করেননি, তাহলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিবৃতি ভিক্ষা করে বেড়াতেন না। আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ স্বাধীন। সবকিছু আইনমতো চলে। কেউ যদি ট্যাক্স না দেয় আর শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করে, শ্রমিকের পক্ষ থেকে লেবার আদালতে মামলা হয়। আমাদের কী এমন হাত আছে যে একটা মামলা বন্ধ করে দেব? একটা চলমান মামলা প্রত্যাহার করার আমি কে? আমার তো অধিকার নেই। আমি তো হস্তক্ষেপ করতে পারি না। আমাদের সাফ কথা, দেশের আইন-আদালত, লেবার আদালত আছে। ল উইল টেক ইটস ওন কোর্স।’

ড. ইউনূসের পক্ষে বিবৃতিদাতাদের বিশেষজ্ঞ পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘একজনের জন্য এত এত বিবৃতি না দিয়ে এক্সপার্ট পাঠাক। এত দরদ থাকলে আইনজীবী ও বিশেষজ্ঞ পাঠাক। যার বিরুদ্ধে মামলা, তার সব দলিল-দস্তাবেজ তারা খতিয়ে দেখুক। সেখানে কোনো অন্যায় আছে কি, তারা নিজেরাই দেখুক। তাদের এসে দেখা দরকার, কী কী অসামঞ্জস্য আছে।’

ড. ইউনূসের মামলার প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিক অধিকার নিয়ে অনেক কথা শুনতে হয়। আমাদের বিরুদ্ধে আইএলওতে নালিশ আর নালিশ। কিন্তু দেশে কোম্পানি আইনে আছে, প্রফিটের ৫ শতাংশ লেবার ওয়েলফেয়ারে দিতে হবে। সেটা না দেওয়ায় লেবাররা মামলা করায় তাদের স্যাক (চাকরিচ্যুত) করা হয়। স্যাক করায় আবার তারা মামলা করে। সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের না। এই মামলা যাতে না হয়, সেটার জন্য ঘুষ দেওয়া। ঘুষের টাকা ব্যাংকে ফ্রিজ করা। মামলা তো আমরা করিনি।’

ড. ইউনূসকে ট্যাক্সের টাকা ফেরত দিতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ট্যাক্স ফাঁকিতে কেউ ধরা পড়লে তাঁকে তো ট্যাক্স ফেরত দিতে হবে। কিছু ফেরত দিচ্ছেনও।

বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি, অর্থনৈতিক চাপ যেখানে সরকারের পাওনা, সেখান থেকে তো আদায় করতে হবেই। আমেরিকা, ইউরোপে ট্যাক্স ফাঁকি দিলে কি ছাড় দেয় তাদের সরকার? ফিলিপাইনের নোবেল বিজয়ীর বিরুদ্ধে ট্যাক্স ফাঁকির মামলা চলছে। বহু নোবেল বিজয়ী আছেন, যাঁরা কারাগারে বন্দীও আছেন।’

বিদেশে ড. ইউনূসের বিনিয়োগ করা অর্থের উৎস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকারি বেতন তুলতেন গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি। সরকারি বেতনভুক্ত একজন এমডি বিদেশে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করেন ও ব্যবসা করেন। যাঁরা বিবৃতি দিলেন, তাঁরা কি এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন? একটি ব্যাংকে চাকরি করে এত টাকা বিদেশে বিনিয়োগ কীভাবে করলেন। কীভাবে উপার্জন করলেন। রাজনীতিবিদ কেউ করলে তো লিখতে লিখতে কলম শেষ হয়ে যেত। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে বলেন। দুর্নীতিবাজ ধরা পড়লে পছন্দের হলে তার কোনো দোষ নাই।’

প্রশ্নোত্তর পর্বে একাত্তর টিভির সাংবাদিক ফারজানা রূপা প্রশ্ন করেন, নোবেলজয়ী ১৬০ জন বিশিষ্ট নাগরিকের চিঠিতে শ্রমিকেরা উদ্বিগ্ন। আদালত কোনোভাবে প্রভাবিত হবেন কি না। যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশন দেয়, ভিসা বন্ধ করে দিতে পারে। ক্ষতিপূরণ পেতে শুরু করেছে। আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন কি না, সেটি নিয়ে উদ্বেগ আছে।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করবেন। কে বিবৃতি দিল না দিল, সেটা আদালতের দেখার দরকার কী? আদালত প্রভাবিত হবেন কেন? আদালত ন্যায়বিচার করবেন। আদালত ভয় পেলে চলবে না।

আওয়ামী লীগ সব সময় শ্রমিকদের স্বার্থ দেখেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বড় বড় কথা বলবে আর মাঝখান থেকে শ্রমিকের টাকা আত্মসাৎ করবে। চমৎকার বাংলাদেশের লোক। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও একেবারে লাফ দিয়ে পড়ল। প্রতিদিন আমাদের লেবার নিয়ে প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে জর্জরিত করে দেয়। শ্রমিকদের যেটা পাওনা, সেটা দিতে হবে। অল্প কিছু দিয়ে বাকিটা ঘুষ দিয়ে বন্ধ করা, এটা কি ন্যায়বিচারের কথা? এটা সততার কাজ?’
তাদের নীতিকথা কোথায় ছিল?

দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখন মিলিটারি ডিকটেটররা নির্বাচন করত, তখন এই সুর কোথায় ছিল? আমাদের দেশের আতেলরা যারা এখন স্টেটমেন্ট দেয়, তখন তারা কোথায় ছিল। জিয়াউর রহমান ভোট চুরি শুরু করল, এরশাদ করল, খালেদা জিয়া করল। তখন তাদের নীতিকথা কোথায় ছিল। আমরা স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ জাতীয় পরিচয়পত্র, নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া—এই দেশকে, নির্বাচনকে স্বচ্ছ করতে আন্দোলন, সংগ্রাম, রক্ত দেওয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভোট চুরির মাধ্যমে যাদের উত্থান, তাদের কাছ থেকে এখন ভোটের স্বচ্ছতার দাবি শুনতে হচ্ছে। যাদের আমলে একটা কথা ছিল, “১০টা হুন্ডা, ২০টা গুন্ডা, নির্বাচন ঠান্ডা”। যতই ভালো করি, আরও ভালো চাই, আরও ভালো চাই, এই তো। বেশি ভালো চেয়ে যখন কপাল পুড়বে, তখন বুঝবে কেমন লাগে।’ সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook