a
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা প্রতিনিধি: দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও ফ্যাসিবাদমুক্ত রাষ্ট্র গঠনে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনে জাতীয় ঐকমত্য শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেন্টার ফর পলিসি স্টাডিজ (সিপিএস) এবং ইউনিভার্সিটি স্টাডি ফোরাম (ইউএসএফ)- এর যৌথ উদ্যোগে ২৮ মে ২০২৫, বুধবার, বিকালে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
অধ্যাপক ড. এম আবদুল আজিজ এর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সুজন’র সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নুরুল আমিন ব্যাপারী, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি’র সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. ফজলে ইলাহি।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গনকে দুর্বৃত্ত মুক্ত করতে কাজ করতে হবে। স্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী না করলে টাকার খেলায় দুরুহ সমস্যা তৈরি হয়। ব্যবসা রাজনীতিতে পরিণত হলে আর রাজনীতি ব্যবসায় পরিণত হলে দেশ-জাতি এগিবে না। পদ্ধতিগত ও প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কারণে একজনই দলীয় প্রধান ও আইনসভার প্রধান থাকায় সে দানব হয়ে ওঠে।
এছাড়া আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সচিব (অবসরপ্রাপ্ত) মো. সফি উল্লাহ, রাওয়া ক্লাবের চেয়ারম্যান কর্নেল আব্দুল হক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের প্রাক্তন গবেষণা পরিচালক কর্নেল (অব.) জেড আর এম আশরাফ উদ্দিন, ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি)-এর যুগ্ম সদস্য সচিব মো. মিরাজ মিয়া এবং সিটিজেন ইনিশিয়েটিভের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মো. তালহা।
আলোচকরা বলেন, কেন সচিবালয়কে এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত করা যায়নি? কেন জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য একটি সমন্বিত ও কার্যকর রোডম্যাপ দেয়া হয়নি? সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্তদের প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল গঠন করে দ্রুত বিচার করতে হবে। ফ্যাসিবাদ আমলে ঘটে যাওয়া গুম, খুন ও গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান করতে হবে।
দেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর অবদানকে স্বীকার করতে হবে। রাজনীতিবীদদের সৎ ও যোগ্য প্রার্থী দিতে হবে। সংবিধান সংস্কার এমনভাবে হতে হবে যাতে দুইবারের বেশি মেয়াদে একজন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারে এবং আত্মীয়রা ক্ষমতায় আসতে না পারে। নির্বাচনী বিধি সংস্কার করতে হবে। যাচাই-বাছাই করে নিষ্ক্রিয় দলগুলোর নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। যারা অঞ্চল ভিত্তিক রাজনৈতিক দল গঠন করতে চায় তাদের সুযোগ করে দিতে হবে। রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশের বাধ্যবাধকতা থাকতে হবে।
এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন দেশের খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, গবেষক, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ।
ফাইল ছবি
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপির ১০৭ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীকে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে দলটি।
আজ বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এতটাই জনবিচ্ছিন্ন, দুর্বল এবং ভীত যে তৃণমূলে বিএনপি কর্মসূচি দেওয়া মাত্রই তাদের হৃদকম্পন বেড়ে যায়। চলমান গণআন্দোলনে তারা নার্ভাসনেস-এ ভূগছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ১০ দফা এবং জনগণের জীবিকার বিভিন্ন সমস্যা ও সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট, জনদুর্ভোগের বিরুদ্ধে গড়ে উঠা গণআন্দোলন নসাৎ করতে সরকার দমন-নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে। নেতাকর্মীদের গ্রেফতার হয়রাণি করে আন্দোলন কর্মসূচি বানচালের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় রাজধানীতে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি স্থগিতের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা এবং ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর উত্তরের পদযাত্রা কর্মসূচি অপরিবর্তিত থাকবে। তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করে গতকাল বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
শুক্রবার আব্রাহাম অ্যাকর্ড চুক্তির স্মরণে আয়োজিত সভায় এ তথ্য জানানো হয়। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের।
খবরে বলা হয়, আরও আরব দেশকে বর্বর ইহুদীবাদি ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে উৎসাহিত করবে বাইডেন প্রশাসন।
আব্রাহাম অ্যাকর্ড হচ্ছে ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) কর্তৃক ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট সই করা একটি সম্মতিপ্রাপ্ত চুক্তি। ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতায় এ চুক্তি সই হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মরক্কোকে অনুসরণ করার জন্য আমরা আরও দেশকে উৎসাহিত করবো।
ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ বলেন, যে কোনো দেশ আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে পারবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত গত বছরের সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প প্রশাসনের শেষ মাসে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্মত হয়। এরপর বাহরাইন, সুদান এবং মরক্কো আরব আমিরাতের পথ অনুসরণ করে বর্বর ইহুদি রাষ্ট্রটির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে।
বিনিময়ে ট্রাম্প প্রশাসন পশ্চিম সাহারার ওপর মরক্কোর কর্তৃত্বের স্বীকৃতি দেয়, সুদানকে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের তালিকা থেকে বাদ দেয় এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই করে।
এদিকে ব্লিঙ্কেন ফিলিস্তিনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে ইচ্ছের কথা জানান, যা ট্রাম্পের প্রশাসনের সময় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং গাজার নিয়ন্ত্রক গোষ্ঠী হামাস কেউই ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টিকে সেসময় ভালোভাবে নেয়নি। তারা ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টিকে ‘পিঠে ছুরি মারার’ সঙ্গে তুলনা করেছে। সূত্র: যুগান্তর