a ইমরান খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল হয়ে গেল
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ইমরান খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল হয়ে গেল


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ২৯ আগষ্ট, ২০২৩, ১১:২৮
ইমরান খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল হয়ে গেল

ইমরান খান

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশটির রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) এর চেয়ারম্যান ইমরান খানের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা বাতিল করে দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।

গত মার্চ মাসে দেওয়া ইমরান খানের একটি বক্তৃতাকে রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে তুলে ধরে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলাটি বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটার একটি আদালতে দায়ের করা হয়েছিল।

এ মামলা প্রসঙ্গে ইমরান খানের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বেলুচিস্তানের হাইকোর্ট বলেছে, মামলার আইনজীবীরা প্রাদেশিক সরকারের কাছ থেকে রাষ্ট্রদ্রোহের এই মামলা দায়ের করার অনুমতি নিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।

ফলে আইনগত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এ ধরনের মামলা দায়ের করা যায় না এবং এর কোনও আইনগত ভিত্তি নেই। আদালত এই মামলা বাতিল করে দেন। ইমরান খানের আইনজীবী নাঈম পাঞ্জুথাও আদালতের এই আদেশের কথা টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছেন।

এর আগে সোমবার একটি হত্যা মামলা থেকেও অব্যাহতি পান ইমরান খান।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের প্রথম দিকে দুর্নীতির অভিযোগে পাকিস্তানের নিম্ন আদালত ৭০ বছর বয়সী ইমরান খানকে তিন বছরের সাজা দেন। সূত্র: রয়টার্স

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

মিথ্যা দলিল করলে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদন্ড


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
সোমবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১০:১৮
মিথ্যা দলিল করলে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদন্ড

ফাইল ছবি

জমির মিথ্যা দলিল করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রেখে নতুন আইন করতে যাচ্ছে সরকার। এ–সংক্রান্ত বিলে বলা হয়েছে, বৈধ দলিল বা আদালতের আদেশের মাধ্যমে মালিকানা বা দখলের অধিকারপ্রাপ্ত না হলে কোনো ব্যক্তি কোনো ভূমি দখলে রাখতে পারবেন না।

আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল-২০২৩’ উত্থাপন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। পরে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলে বলা হয়েছে, কোনো দলিল সম্পাদিত হওয়ার পর আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া প্রতারণামূলকভাবে দলিলের কোনো অংশ কাটা বা পরিবর্তন করলে তার সাজা হবে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে কোনো মিথ্যা দলিল প্রস্তুত করা, প্রতারণামূলকভাবে কোনো ব্যক্তিকে কোনো দলিলে সই বা পরিবর্তনে বাধ্য করার ক্ষেত্রেও একই সাজা খাটতে হবে। ভূমি হস্তান্তর, জরিপ ও রেকর্ড হালনাগাদে অন্যের জমি নিজের নামে প্রচার, তথ্য গোপন করে কোনো ভূমির সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ কারও কাছে হস্তান্তর, ব্যক্তির পরিচয় গোপন করে জমি হস্তান্তর ও মিথ্যা বিবরণসংবলিত কোনো দলিলে স্বাক্ষর করলে তার সাজা হবে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা মাদকে সয়লাভ


সাইফুল, বিশেষ প্রতিনিধি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২২, ০৫:৪৯
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা মাদকে সয়লাভ

ছবি :মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুরো জেলা মাদকে সয়লাভ হয়ে উঠছে। দেশের মানুষ এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে চেনে মাদকের আখড়া হিসেবে। আর মাদকের মাতৃভূমি হিসেবে ইতিমধ্যে আখ্যা পেয়েছে এই জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন। 

গত ১২ই এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখে সিঙ্গারবিল ইউনিয়নে মাদক বিরোধী অভিযানে প্রায় ৫০৩ বোতল নিষিদ্ধ ভারতীয় এসকাপ সিরাপ, ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয় এবং কুখ্যাত ও চিহ্নিত ১২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করা হয়। জেলার বিজয়নগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং ২৫ বিজিবি সিঙ্গারবিল বিওপি'র সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স টীম বিজয়নগরে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানে ১২ কুখ্যাত ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মাদকদ্রব্য আইন, ২০১৮ অনুযায়ী মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে। 

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিদিন বিকেলে ও সন্ধ্যার সময় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মোটর সাইকেল যোগে অনেক যুবক শ্রেণীর মানুষ নলগড়িয়া গ্রামে আসে। তারা ফেন্সিডিল, নিষিদ্ধ ভারতীয় এসকাপ সিরাপ ও গাঁজা সেবন ও ক্রয় করতে আসে। এলাকার রাস্তার পাশের বাগান এবং পবিত্র কবরস্থানে খাবার পর খালি বোতল ফেলে রেখে চলে যায়। এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে বহিরাগত মাদক সেবীদের কারনে। কিন্তু প্রশাসন একদম নিরব ভুমিকা পালন করছেন। অনেকেই মনে করছেন প্রশাসনের নাকের ডগায় চড়ে কিভাবে মাদকসেবীরা দিনের পর দিন এই কাজ করতে পারে? 

এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে কোন পোস্টার বা ব্যানার লাগানো যায় না। রাতের আঁধারে ছিঁড়ে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। বিজয়নগর থানা এবং চম্পকনগর পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এলাকার জন্য পুলিশ বা প্রশাসনকেন্দ্র অনেক দূরে। তাই এলাকাবাসী মনে করছেন সিঙ্গারবিল, কাশিনগর, নোয়াবাদি বা মেরাসানির আশেপাশে পুলিশ ফাঁড়ি হওয়া প্রয়োজন। 

এর আগে বহুল প্রচারিত দৈনিক মানবজমিন এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর প্রতিনিধি আমিরজাদা চৌধুরীর বরাত দিয়ে জানা যায় আরও ভয়ংকর চিত্র। মানবজমিনে প্রকাশিত হয় মাদক নিয়ে এই এলাকার ভয়ংকর তথ্য চিত্র। 

জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সীমান্ত দিয়ে দিন দিন বাড়ছে মাদক চোরাচালান। এ অঞ্চলের ৩১ কিলোমিটার সীমান্তের ১৫টি স্পট দিয়ে নিয়মিত মাদক পাচার চলছে। অন্তত ৬ শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী সক্রিয় রয়েছে। অথচ মাদক মামলায় আসামি হয় মাত্র ৩-৪ জন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর তাদের নামে মামলা দিয়েই দায়িত্ব খালাস করছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ভারতের ত্রিপুরার মধুপুর পাহাড়ে উপজাতিরা গাঁজা চাষ করে। সেখান থেকে আগরতলার বামুটিয়া ও বিমানবন্দর থানার বগাদী নারায়ণপুরের ভাগলপুর নরসিংগর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সিংগারবিল ইউনিয়নের নলগুড়ীয়া, কাশিনগর, নোয়াবাদী, মেরাশানী, বিষনপুরের কালাছড়া, কাশীমপুর, পাহাড়পুর ইউনিয়নের বামুটিয়া, চানপুর, ধোড়ানাল, শিয়ালউড়ী, ছড়ারপাড়, শানিপুর মকন্দপুর কামাল মুড়া, লেজামুড়া দিয়ে মাদক চালান আসে। প্রতি রাতে অন্তত ৫-৭ হাজার কেজি গাঁজা প্রতিকেজি কেনার পর বাংলাদেশি টাকায় ৫০০০ টাকা কেজি।

এসব কর্মকাণ্ড থেকে এলাকাবাসী কবে মুক্তি পাবে সেই প্রশ্নের উত্তরে নীরব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রশাসন। এলাকাবাসী এর আসু প্রতিকার চান।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আইন