a
ফাইল ছবি
আজ রবিবার (৬ জুন) স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে আবারও নীলক্ষেতে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টার দিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ৩ দফা দাবিতে তারা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
আন্দোলনকারীরা জানায়, গত বৃহস্পতিবার নীলক্ষেতের অবস্থান কর্মসূচি থেকে যে ৩ দফা দাবি জানানো হয়েছিল সেগুলো প্রশাসন মেনে নেয়নি। তাই আজকে আমরা এখানে আবারও অবস্থান নিয়েছি, প্রতিবাদ সমাবেশ করার জন্য।
আন্দোলনরত অন্য আরেক শিক্ষার্থী বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের দাবি ছিল সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রমের পরিকল্পনা নিয়ে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আজ অবধি একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেননি।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ৩দফা দাবিগুলো হলো-
১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবিলম্বে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ারও রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।
২. সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকার্যক্রম (ক্লাস, পরীক্ষা, ফলাফল প্রকাশ) এর পরিকল্পনা নিয়ে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।
৩. প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় দিয়ে পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ এবং হল খুলে সব পরীক্ষা নিতে হবে।
অবিলম্বে তাদের দাবি মেনে না নেওয়া হলে আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে তারা জানান।
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় একজন শিক্ষার্থীর প্রক্সি পরীক্ষা দিতে এসে আটক হয়েছেন আবির নামের একজন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা গেছে।
আটককৃত শিক্ষার্থীর মোবাইল ঘেটে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির সত্যতা পেয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তার মোবাইল এর মেসেঞ্জার ঘেটে বিভিন্ন তথ্য পায় প্রক্টর অফিস।
ভর্তি পরীক্ষা অংশ নেয়া প্রবেশপত্রে শিক্ষার্থীর নাম দেখা যায় সেজান মাহফুজ (রোল ৩০৯৯৭৬) বাবা মোঃ আবদুল বারী, মাতা: মোসাম্মদ মাহফুজা বেগম।
শনিবার (১৩ আগস্ট) ভর্তি পরীক্ষা দায়িত্বরত শিক্ষক প্রবেশপত্র ছবির সাথে আটককৃত শিক্ষার্থীর চেহারা মিল না পাওয়ায় তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়ে পরে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয় প্রশাসন। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সন্দেহজনকভাবে আবিরকে আটক করে।
প্রক্টর অফিসে জেরা করার মাঝে একটি ফোন কল আসলে সবার উপস্থিতি জোরপূর্বক কথা বলতে হয় তাকে মোবাইলফোনে লাউড স্পিকারে শোনা যায় আরেক ভাইবা পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা। বড় কোন চক্রের সাথে জড়িত আছে এই শিক্ষার্থী বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এসময় আবিরের কাছ থেকে একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের কার্ড উদ্ধার করা হয়। ব্যাংক কার্ডে ২৬ লক্ষ টাকা পাওয়া যায়। যা গত দুইদিনে অস্বাভাবিকভাবে লেনদেন করা হয়েছে।পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে প্রক্টরিয়াল বডি। ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির একটি বড় চক্রের অংশ হিসেবে সে কাজ করছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় একজনের প্রক্সি দিয়েছে বলেও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন,আমাদের পর্যবেক্ষন অনুযায়ী সে অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছে, এটা সে স্বীকার ও করেছে। এ জন্য যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তাকে প্রশাসনের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
ফাইল ছবি: আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন
ইসরায়েল-আমেরিকার যৌথ সেনাবাহিনী গাজাসহ বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরগুলোতে বোমা মেরে শত শত ফিলিস্তিনি নারী-শিশুকে হত্যা করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোও যখন আমেরিকা থেকে তাদের মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, তখন আমেরিকার কিছুটা বোধোদয় হয়েছে।
ইসরায়েলের যুদ্ধবাজমন্ত্রী বেনিগন্টিজ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে বিরোধের জেরে গত পরশু পদত্যাগ করেন। এরপরই গাজা ডিভিশনের প্রধান কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আভি রোজনফিল্ডও নেতানিয়াহুর উপর অসন্তোষ হয়ে পদত্যাগ করেন। এরপর হামাসের ফাঁদে আরও ৪ ইসরায়েলী সেনা নিহত হওয়ার পর ইসরায়েল সেনাদের মধ্যে দারুণ আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে, জাতিসংঘ কালো তালিকায় ইসরায়েলী সেনাবাহিনীকে অন্তর্ভূক্ত করায় আমেরিকাও এক প্রকার বোবা হয়ে গেছে। ঘনিষ্ট বন্ধু রাষ্ট্রগুলো যখন আমেরিকার দু'মুখো নীতিকে উপেক্ষা করছে, তখন উপয়ান্তর না পেয়ে ইসরায়েলের অনুরোধেই হয়তোবা আমেরিকার প্রস্তাবে সর্বশেষ চতুর্থবারে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস করা হয়।
গাজায় জাতিসংঘ কর্তৃক পরিচালিত সেইবাত শরণার্থী শিবিরে শত শত ফিলিস্তিনী শিশুকে ইসরায়েলী সেনারা হত্যা ও আহত করায় জাতিসংঘ সর্বশেষ ক্ষোভের বর্হিপ্রকাশ ঘটায় ইসরায়েল সেনাবাহিনীকে কালো তালিকাভূক্ত করার মাধ্যমে।
রাশিয়াসহ অন্যান্য আরব দেশগুলো বিগত তিনবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করা হয়েছিল, প্রতিবারই যুক্তরাষ্ট্রের ছত্রছায়ায় ইসরায়েল প্রত্যাক্ষান করেছে।
অবশেষে ইসরায়েল সেনাবাহিনী ৮ মাস যুদ্ধ করে কোন সুবিধা করতে না পারায় এবং নিজেদের আভ্যন্তরীন বেসামাল পড়ায় শেষটায় যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারস্থ হলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন পক্ষগুলোর মোড়লদের সাথে বৈঠকের জন্য ছুটাছুটি করছেন।
এখন মুখ রাখার চেষ্টায় আমেরিকা বলছে, যুদ্ধবিরতি কেমন হবে সে বিষয়ে পরিকল্পনার জন্য ইসরাইলে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি নাকি ইসরাইলের বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথেও আলোচনা করবেন। আসলে ইসরায়েলের ভেতরে বহুমুখী সমস্যা মিটাতে অর্থাৎ তীরে যেন তরী না ডুবে, সেই কাজটিই করার চেষ্টা করছেন। কারণ ইসরায়েলের অসম্মানজনক পরাজয় অর্থ আমেরিকারই পরাজয় এবং ভবিষ্যতে মধ্যপ্রাচ্যে যে আমেরিকার একচ্ছত্র অধিকার ছিল তা নিমেষেই নি:শেষ হয়ে যাবে, যেমন হয়েছিল আফগানিস্তানে।
রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধেও আমেরিকার নতজানু পরাজয় প্রায় দ্বারপ্রান্তে! এমতাবস্থায় বলা হচ্ছে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে ৮ মাস ধরে চলা যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতেই তার নাকি এই সফর! মঙ্গলবার আরবভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
সর্বশেষ, ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনাকে সমর্থন করে একটি মার্কিন খসড়া করা হয়েছে, যার অধীনে ইসরাইল গাজার ক্যাম্পগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে এবং হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামলার সময় জিম্মি করাদের মুক্ত করে দেবে।
ব্লিঙ্কেন মঙ্গলবার তেল আবিবে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার থেকে পদত্যাগ করা সাবেক সেনাপ্রধান বেনি গ্যান্টজ এবং বিরোধী নেতা ইয়ার ল্যাপিডের সঙ্গে দেখা করবেন।
এদিকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদ ‘শান্তির পক্ষে ভোট দিয়েছে’। সোমবার এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে হামাস। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জাতিসংঘের ভোটকে ‘সঠিক পথে একটি পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
হামাস ইসরাইল যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই অঞ্চলে অষ্টম বারের মতো সফর করতে যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন। এ সফরে তিনি জর্ডান এবং কাতারেও যাবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় আক্রমণ শুরুর পর থেকে ৮ মাসে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৭ হাজার ১২৪ জন নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।