a নবীনে মুখর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

নবীনে মুখর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়


জবি প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ০৯ মার্চ, ২০২২, ১২:২৯
নবীনে মুখর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

ফাইল ছবি

এসো হে নবীন, বাজিয়ে সুর-লহরী উল্লাসিত নব বীণ। আজ সুর মিলিয়ে গাইব জয়যাত্রার গান, আনন্দে আহ্লাদিত নবীন প্রাণ। দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর শেষে নবীনদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। নবীনদের আগমনে ক্যাম্পাসে সৃষ্টি হয়েছে এক উৎসবমুখর পরিবেশ।

এবারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ৩৬ টি বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন ২ হাজার ৭৬৫ জন শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) নবীন শিক্ষার্থীদের পৃথকভাবে বরণ করে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ব স্ব  বিভাগ। নবীন শিক্ষার্থীদের পরিচয় পর্ব, শিক্ষার্থীদের অনুভূতি, শিক্ষকদের দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য, নবীনদের ফুল, বইসহ অন্যান্য উপহার সামগ্রী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নবীনদের বরন করে নিয়েছে।

সকাল ১১টায় বিভিন্ন বিভাগে উদ্বোধনী ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে ক্যাম্পাসে আসতে থাকেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনের নিজস্ব বাসগুলোয় ছিল নবীনদের উপচে পড়া ভিড়।

ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই ক্যাম্পাসে আসতে থাকেন নবীন শিক্ষার্থীরা। সবুজ ছায়ায় আচ্ছন্ন বিভিন্ন আড্ডা স্থান যেমন শান্ত চত্বর, শহীদ মিনার, কাঁঠাল তলা, টিএসসিসি, পোগোজ মাঠ ও বিভিন্ন ভবনের প্রাঙ্গণসহ পুরো ক্যাম্পাস নবীন-প্রবীণদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে ব্যস্ত সবাই। চলছে বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তোলার ধুম।

এদিকে নারী দিবস উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য সংগ্রহের কার্যক্রম শুরূ করেছে।

প্রথম দিনের ক্লাসের অনুভূতি জানতে চাইলে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ফুয়াদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর সবচেয়ে বড় স্বপ্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ক্লাস করতে পেরে অনকে ধন্য মনে করছি।”বিশ্ববিদ্যালয় যে জ্ঞান-ভান্ডার ও প্রেরণার বাতিঘর তা প্রথম দিনেই উপলদ্ধি করলাম।”

এ বিষয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হওয়া নবীন শিক্ষার্থী তন্ময় মৃধা বলেন- স্কুল-কলেজের গন্ডি পেরিয়ে প্রায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীরই স্বপ্ন থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার। আমিও তার ব্যাতিক্রম নই। করোনা পরিস্থিতির কারনে কম  বেশি সবারই স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছিল। তার উপর ভর্তিযুদ্ধের বাড়তি চাপ ছিল ভর্তিচ্ছুদের। সব মিলিয়ে নাজেহাল অবস্থায় পড়তে হয়েছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের।

যেহেতু অটোপাশের তকমা লেগে গিয়েছে তাই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাই ছিল মেধার স্বাক্ষর রাখার উপযুক্ত মঞ্চ। তাই মহামারির মধ্যেও নিয়মিত পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছি। গুচ্ছ অধিভুক্ত ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি এবং আশানুরূপ ফলাফল অর্জন করি। বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছিল আমার প্রথম পছন্দ। সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপা ও মা-বাবার আশীর্বাদে আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ অর্জন করি। দেশের অন্যতম সেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়ায় আমি এবং আমার পরিবারের সবাই ভীষণ আনন্দিত।

করোনা পরবর্তী সময়ের পর সশরীরে  ক্লাস, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন পরিবেশ, আমার সহপাঠী, শ্রদ্ধেয় শিক্ষক-শিক্ষিকা সবকিছু  মিলিয়ে এক অন্যরকম অনুভুতি।

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

GST এর বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত


অমৃতরায়,জবি প্রতিনিধি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২১, ০৯:৪২
GST এর বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

ফাইল ছবি

১৭ই অক্টোবর (রবিবার) গুচ্ছভুক্ত ২০টি  বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষাবর্ষ  ২০২০-২১এর ভর্তি পরীক্ষা একযোগে সারাদেশে ২৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।  

১৭ অক্টোবর (রবিবার) সকাল থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে  নির্ধারিত সময়ের আগে আসতে শুরু করে পরীক্ষা কেন্দ্রে। ঢাকা সহ আশেপাশের জেলার শিক্ষার্থীদের পছন্দের কেন্দ্র ছিলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।

আজ সরজমিনে দেখা যায় সকাল থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইট সহ আশেপাশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেয়।  সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ ক্যাম্পাসের গেইট গুলো খুলে দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের সার্বিক সহযোগিতায় শিক্ষার্থীরা একে একে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেন। বিভিন্ন জেলার ছাত্র কল্যাণ পরিষদ গুলো তাদের নিজ নিজ জেলার নামে ব্যানার নিয়ে দুরথেকে আগত পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে টেবিল নিয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক ও জবি গেটের আশেপাশে অবস্থান করে।

ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সকল অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়ালবডির সদস্যগণ  সকাল থেকে ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেন।

পরীক্ষা শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে প্রশ্ন তুলে দেয় শিক্ষকেরা। শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন পেয়ে সাথে সাথে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিতে শুরু করে প্রত্যেকটা কেন্দ্রে। ক্যাম্পাসে প্রশ্ন ফাঁস রোধে ভ্রাম্যমান ম্যাজিস্ট্রেট টহলরত অবস্থায় ছিলো সার্বক্ষণিক। এই সময় পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক। সাথে ছিলেন কোষাধক্ষ ড. কামাল উদ্দিন আহমদ, রেজিস্টার ওয়াহিদুজ্জামান ও বিভিন্ন বিভাগের ডিন, প্রক্টোরিয়ালবডির সদস্যগণ।

পরিদর্শন শেষে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, " পরীক্ষার্থীদের যাতে কোন ডিস্টার্ব না হয় সেজন্য আমরা সবগুলো হলের ভিতরে প্রবেশ করিনি। তাদের জন্য পরীক্ষাগুলো গুরুত্বপূর্ণ। এক নম্বরের জন্য সিরিয়াল অনেক পেছনে চলে যেতে পারে।"

পরীক্ষা শেষে ভর্তিচ্ছু একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা একসাথে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে পেরে খুশি। এই নতুন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এভাবে পরীক্ষা নিলে আমাদের জন্য সুবিধা হতো।

বেশিরভাগ পরীক্ষার্থীরা ও অভিভাবকগণ বলেন, প্রশ্ন কিছুটা কঠিন হলেও  সার্বিকভাবে আমরা সন্তুষ্ট সুন্দর ভাবে পরীক্ষা দিতে পেরে। আমাদের আর্থিক ও মানসিকভাবে অনেক উপকার হয়েছে।

 এই বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শুরু থেকেই সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার সাথে ছিলাম। শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা দিচ্ছে এটাই আমাদের পরিশ্রমের সফলতা। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা তৈরি হয়নি ক্যাম্পাসে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

একজন দেশপ্রেমিক চৌধুরী ডা. জাফরুল্লাহ একটা ইতিহাস


আরাফাত আলম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫, ০৯:২২
একজন দেশপ্রেমিক চৌধুরী ডা. জাফরুল্লাহ একটা ইতিহাস

ছবি সংগৃহীত

কয়েক বছর ধরে পরেন একটা শার্ট, ওপরের বোতাম তার ছেঁড়া। কেউ একজন জিজ্ঞাসা করতে বলেছিলেন, "নষ্ট না হলে আমি কি করব, ফেলে তো দিতে পারি না !"

অথচ বাবা তার রাউজানের জমিদার। লন্ডনে পড়তে গিয়ে তার যে গাড়ি ছিল, দেশ থেকে  বড়ো কেউ গেলে সে গাড়িই ধার দেয়া হতো তাদের। তিনি যে দর্জির কাছে কাপড় সেলাই করতেন, সে দর্জি ছিলেন ব্রিটিশ রাজপুত্র প্রিন্স চার্লসের ব্যক্তিগত দর্জি৷ দেশে ফিরে দেশের মানুষের জীবদ্দশা দেখে সেই বিলাসী জীবন ত্যাগের প্রতিজ্ঞা করেছিলেন জাফরুল্লাহ, আমৃত্যু তাই পালন করেছেন। 

লন্ডনের প্রকাশ্য রাস্তায় নিজেদের পাসপোর্টে আ'গুন ধরিয়ে দিলো কয়েকজন বন্ধু। এরা সবাই এবারের এফআরসিএস পরীক্ষার্থী৷ পরীক্ষা আর দেয়া হলো না, রাষ্ট্রহীন নাগরিক হিসেবে লন্ডন থেকে ফেরত পাঠানো হলো ভারতে৷ দেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন দিয়ে পাকিস্তানের পাসপোর্ট পোড়ানো সে বন্ধুদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী। 

ভারতে এসে আগরতলা ক্যাম্পের একপাশে চট-বেড়া দিয়ে গড়ে তুললেন ৪৮০ শয্যার ফিল্ড হাসপাতাল। দিনরাত এক করে হাজার হাজার মানুষের জীবন বাঁচানোর কাজ চলল তাতে। যুদ্ধ শেষ হলে এ হাসপাতালই হয়ে উঠল গরিবের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র৷ 

 আজ ৫০ বছর পরেও, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নর্মাল ডেলিভারি বা ডায়ালাইসিস খরচ ২৫০০ টাকা৷ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ভদ্রলোকের জন্য ভিআইপি কেবিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, আনা হচ্ছিল দামী ওষুধ৷ দুটোকেই 'না' করে জাফরুল্লাহ বললেন, ' নিজের হাসপাতালের ওপর নিজে ভরসা না রাখলে মানুষ কি করে রাখবে? যে ওষুধ গরীবে কিনে খেতে পারবে না, সে ওষুধ আমি নেব না।'

১৯৮২ সালে জাতীয় ওষুধ নীতির নেতৃত্ব দিয়েছেন জাফরুল্লাহ। স্বপ্নবাজ এ লোকটির হাত ধরেই ৯০ শতাংশ ওষুধ আজ দেশেই তৈরি হয়। বিনামূল্যে বিলি হয় গণস্বাস্থ্যের ওষুধ। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রই আবিষ্কার করেছিল বাংলাদেশের করোনা টিকা বঙ্গভ্যাক্স, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েছিল যে টিকা, পায়নি কেবল বাংলাদেশে। 

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চাকরির কয়েকটা বাঁধাধরা নিয়ম তিনি করেছিলেন। কর্মরতদের ধূ'মপান নিষিদ্ধ । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিঞার চাকরির ব্যাপারে ১৯৯৬ সালে নেত্রী নিজেই ফোন করেন জাফরুল্লাহকে। তিনি  শেখ হাসিনাকে তখনই সাফ জানিয়েছিলেন, ' ধূ'মপান ছাড়তে না পারলে চাকরি হবে না। ' বাধ্য হয়ে একমাসেই ধূ'মপান ছাড়েন ডা. ওয়াজেদ। 

দোর্দণ্ড প্রতাপে যখন ক্ষমতায় এসেছেন জিয়াউর রহমান, জাফরুল্লাহকে মেজর জিয়া হাতে একটা ফাঁকা চেক ধরিয়ে আদেশ দিলেন, মন্ত্রী হও৷ সেদিন গরিবের ডাক্তার ৪ পৃষ্ঠার চিঠি লিখে জবাব দিয়েছিলেন, একজনও স্বাধীনতাবিরোধী থাকলে সে মন্ত্রীসভায় তিনি যাবেন না৷ ৮-১৮'র তরুণরা যখন নির্লিপ্ত, তখন ৮০ বছর বয়সেও হুইল চেয়ারে রাজপথ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন এই মানুষটি৷ দাঁড়িয়েছেন বিচারের কাঠগড়ায়,পেয়েছেন অর্থদন্ডও। 

নিজ প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্যের সম্পদ আছে কয়েক হাজার কোটি টাকার।পেয়েছেন ম্যাগসেসে পদকের মতো অসংখ্য আন্তর্জাতিক সম্মাননা। অথচ সমস্ত জীবন দেশের জন্য উৎসর্গ করে কপর্দকহীন হয়ে চলে গেলেন একগুঁয়ে মানুষটি। একেকটা হাসপাতাল যখন হয়ে উঠছে মানুষ মারার কল, তখন গরিব যাতে কম খরচে ক্যানসার চিকিৎসা পায়, ওষুধ পায়,  তার বন্দোবস্ত করে গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল গড়েছেন মানুষটি।  

জীবন-মরণের মাঝখানে দাঁড়িয়ে শেষবার জাফরুল্লাহ বলেছিলেন, কিছু হলে দেশেই হোক, বিদেশে চিকিৎসা তিনি কিছুতেই নেবেন না।
সারাজীবনের মতো একবারই এই মৃত্যু সাজ,
এতদিন প্রাণ ছিলো, অমরত্ব শুরু হলো আজ.. 

এই জেদ, এই উদ্যম,এই দেশপ্রেমকে কুর্নিশ। আপনি জিতে গেছেন ১৬ কোটি হৃদয়৷ অভিবাদন, মহামানব জাফরুল্লাহ চৌধুরী!

  -ফেসবুক থেকে সংগ্রহীত

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আমার ক্যাম্পাস