a
ফাইল ছবি
আজ বৃহস্পতিবার থেকে দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় স্থায়ী দু’টিসহ মোট ২০টি হাটে পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। পশুর হাটগুলোতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কোরবানির পশু নিয়ে আসছেন খামারিরা।
দুই সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় গাবতলীর স্থায়ী হাটসহ নয়টি হাট এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় সারুলিয়া স্থায়ী পশুর হাটসহ ১১টি হাট বসেছে। তবে, এ বছর আদালতের নির্দেশনার কারণে আফতাবনগরে হাট বসবে না।
উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা পিয়াল হাসান বলেন, রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় স্থায়ী একটি ও অস্থায়ী আটটি হাট বসবে। আজ থেকে ঈদের দিন সোমবার সকাল পর্যন্ত পাঁচ দিন হাট বসবে। কোরবানির পশু কেনাবেচা নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে যাতে করা যায়, সেজন্য ঢাকা উত্তরের হাটগুলোতে সব ব্যবস্থাই নেয়া হয়েছে।
বাজারে ক্রেতারা কোনো নগদ অর্থ না নিয়ে এসেও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পশু ক্রয় করতে পারবে জানিয়ে পিয়াল হাসান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ইনস্ট্যান্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে যে কেউ টাকার লেনদেন করতে পারবে। এজন্য হাট এলাকায় অসংখ্য ব্যাংক বুথ থাকবে।
এ ছাড়া হাটে আসা মুসলিম ক্রেতাদের ওজু ও নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাটের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবার হাট ইজারাদারদের সতর্ক করা হয়েছে। কোনো বিক্রেতা যদি রাস্তায় হাট বসায়, তবে ইজাদারের জামানতের অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হবে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে বলেও জানান জনসংযোগ কর্মকর্তা। সূত্র: নয়াদিগন্ত
দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে তৃতীয়-বর্ষ পূর্ণ হ’ল! তিন বছর আগে দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ পাঠ করেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। মাননীয় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী তাঁকে ২০১৮সালের ২৪ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবন দরবার হলে এ শপথ পাঠ করান। রাষ্ট্রপতি হিসেবে সাফল্য ও সম্মানের তিন বছর।তবে প্রথম মেয়াদ সহ আট বছর হ’ল। এদেশে রাষ্ট্রপতি হিসেবে আর কেউ এই হিরন্ময় গৌরব অর্জন করতে পারেননি। বিশ্বেও এমন সৌভাগ্যসুন্দর রাষ্ট্রপতি বিরল। এ আমাদের গর্বিত অহংকার।
মো.আবদুল হামিদ। কিংবদন্তীতুল্য রাজনীতিক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ-সন্তান।গণমানুষের অকৃত্রিম বন্ধু। সতত সংগ্রাম ও সাধনায় অর্জন করেছেন বর্ণাঢ্য খ্যাতিদীর্ঘ জীবন। জন্মেছেন কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলায় কামালপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে। তাঁর পিতার নাম হাজী তায়েব উদ্দিন আর মায়ের নাম তমিজা খাতুন। তাঁরা পাঁচ ভাই ও এক বোন।বোন ও ভাইয়েরা সবাই সমাজ-সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। মা-বাবা ও দুই ভাই পরলোকগত।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি তিন ছেলে ও এক মেয়ের জনক। তাঁর স্ত্রী শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সংস্কারক। সন্তানেরা সবাই বিবাহিত ও স্ব-স্ব ক্ষেত্রে লদ্ধপ্রতিষ্ঠ সম্মানিত ব্যক্তিত্ব।বর্ণাঢ্য শিক্ষাজীবন শেষে তিনি আইন পেশায় আত্মনিয়োগ করেন। শিক্ষাজীবনেই তিনি রাজনীতিতে নিজেকে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ফেলেন।
আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে তাঁকে কারাবরণ করতে হয়। জেলা ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছাত্রলীগ নীতিনির্ধারক নেতা, গুরুদয়াল কলেজ ছাত্রসংসদ জিএস ও ভিপি, জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও নীতিনির্ধারক, এমএনএ, এমপি, বিরোধীদলীয় উপনেতা, ডেপুটি স্পিকার, স্পিকার, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে সুনাম খ্যাতি ও যশস্বী হয়ে আজ তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে সামগ্রিক গ্রহণযোগ্যতায় দায়িত্বপালন করছেন।
বাংলাদেশে তিনি তৃণমূল রাজনীতির প্রধান পুরুধা মহান ব্যক্তিত্ব।কিশোরগঞ্জ জেলায় আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী মতাদর্শী বিভিন্ন সংগঠনের যে সকল নেতৃবৃন্দ সুনামের সাথে দায়িত্বপালন করছেন,সবাই তাঁর অনুসারী ও তিনি সকলের রাজনীতিক শিক্ষাগুরু।সবাইকেই তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মহান আদর্শের দীক্ষা দিয়েছেন। গড়ে তুলেছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সৈনিক হিসেবে।তিনি এমন রাজনীতিক, যাঁকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক জননেতা মরহুম সৈয়দ আশরাফুল ইসলামও 'আমার নেতা' সম্বোধন করতেন সগর্বে। এতটুকুন দ্বিধা করতেন না! সবার কাছেই তিনি আদর্শ ব্যক্তিত্ব।
ভাটিবাংলাকে তিনি সামগ্রিক সম্ভাবনায় শান্তি ও উন্নয়নের মানদণ্ডে ঈর্ষনীয় সফলতায় বিন্যস্ত করেছেন। আগামী দিনেও এর ধারাবাহিতা অক্ষুণ্ণ অটুট ও গতিশীল করতে তাঁর জ্যেষ্ঠ সন্তান জননেতা রেজওয়ান আহাম্মদ এমপি'কে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করেছেন। তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে কিশোরগঞ্জের মানুষ তাঁর সন্তানকে অকাতরে আপন ক'রে নিয়েছে।বাবার যথার্থ উত্তরসূরি হিসেবে সবার কাছে তাঁর সন্তান নিজেকে একাত্ম ক'রে নিয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগের কাণ্ডারি হিসেবে সবাই আজ তাঁর জ্যেষ্ঠ সন্তানকে অলিখিতভাবে গ্রহণ ক'রে নিয়েছেন। সেই একই সুর একই স্বর, একই কণ্ঠ একই একাত্মতা গণমানুষের প্রতি! এ যেন এক অন্য হামিদ!
কিশোরগঞ্জের কৃতিসন্তান বিদগ্ধ রাজনীতিক মরহুম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান মৃত্যুবরণ করলে নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে স্থলাভিষিক্ত হতে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সামগ্রিক গ্রহণযোগ্যতা নীরিখে অ্যাভোকেট আবদুল হামিদকেই নির্বাচন করেন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়। তখন তিনি স্পিকার হিসেবে জাতীয় সংসদকে সকল সাংসদ ও দেশবাসীর কাছে প্রানবন্ত করে তুলেছেন এক ঈর্ষণীয় এক স্বতন্ত্র মাত্রায়।
শুধু আওয়ামী লীগই নয় সব রাজনীতি দলই দ্বীধাহীনতায় তাঁকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে গ্রহণ ক'রে। ভাটিবাংলার অভিভাবক থেকে তিনি আজ বাংলাদেশ অভিভাবক হিসেবে দেশ-আদর্শ মহান ব্যক্তিত্ব।মহিয়ান মহিরুহ!
‘মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। 'সতত সততা সাধনা নিষ্ঠা একাগ্রতার ভেতর দিয়ে সক্ষমতা অর্জন ক'রে একজন মানুষ অনায়াসেই সূর্যদীঘল দীগন্তে পৌঁছে যেতে পারে। বড় হতে পারে স্বপ্নের সমান। মহাকালের মহানায়কদের জীবনেতিহাস তা-ই প্রমাণ করে। আমাদের মহানায়ক কিংবদন্তী রাজনীতিক মুক্তিযুদ্ধের অগ্রনায়ক আধুনিক ভাটিবাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা বাংলাদেশ অভিভাবক ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ তেমনি এক মহান প্রতীভূ। ঘুরে দাঁড়ানো এক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।
আমরা তাঁর আলোয় আলোকিত হতে বদ্ধপরিকর। আমাদের সহজাত আকুলতা যে, সময়ের এই সাহসী সন্তান তাঁর সুস্বাস্থ্য ও খ্যাতিদীর্ঘ মর্যাদাবান উন্নত উচ্চকিত সুফলা সফল জীবনের আজীবন ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখুন তিনি। মানুষের প্রার্থনার আলো নিয়ে তিনি বেঁচে থাকুন মহাকালের মহানায়ক হয়ে, ঐকান্তিক কামনা।
লেখক: জীবন তাপস তন্ময়
ফাইল ছবি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ৪ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার সকাল ১০টা তিনি রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি ফ্লাইটে রওনা হন।
ব্যবসা-বাণিজ্য, জ্বালানি, অভিন্ন নদনদীর পানি বণ্টন ও রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে সহযোগিতা আলোচ্যসূচিতে গুরুত্ব পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সফরকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং উপ-রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করবেন।
কোভিড ১৯ মহামারি প্রাদুর্ভাবের আগে ২০১৯ সালে তার সর্বশেষ সফরের পর এবারের সফরে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট সকাল ১০টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে।
ফ্লাইটটি দুপুর ১২টায় (বাংলাদেশ সময়) নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান অভ্যর্থনা জানাবেন। সূত্র: যুগান্তর