a
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো নির্বাচনে আসছে না। ফলে সেই ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সম্প্রতি ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমনই মন্তব্য করেন। সিইসি বলেন, নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা অসাংবিধানিক ও আইনের পরিপন্থী। সংবিধানে সভা-সমাবেশ করার যে অধিকারের কথা বলে হয়েছে তা শর্তসাপেক্ষে।
এবারের নির্বাচন একটু ভিন্ন ধরনের। কারণ ২০১৪ সাল বাদে নির্বাচনের আগে সংঘাত ও সহিংসতার ঝুঁকি তৈরি হয়নি। কারণ নির্বাচনগুলো ছিল সর্বজনীন। তিনি বলেন, যারা সভা-সমাবেশ করছে নির্বাচনের পক্ষে তাদেরও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। নির্বাচনের পক্ষে ও বিপক্ষে তারা মুখোমুখি হলে সংঘাতের ঝুঁকি থাকে। আমরা চাই, এ ধরনের যে কোনো ঘটনা যাতে না ঘটুক। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করলে কোনো সমস্যা নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি জানান, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা থেকেই নির্বাচন করতে হবে কমিশনকে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সচেতন হতে হবে, ভোটকেন্দ্রে কোন কারচুপি হচ্ছে কিনা? যে কোনো উপায়ে জেতার মানসিকতা থেকে প্রার্থীদের বেরিয়ে আসতে হবে জানান সিইসি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি নিয়ে নির্বাচন কমিশন মাথা ঘামাচ্ছে না। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার সক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের আছে। ভোট করতে প্রয়োজন ১২ লাখ জনবল, কিন্তু কমিশনের আছে মাত্র ১ হাজার ৫০০ লোকবল। ফলে বিভিন্ন দপ্তর থেকে জনবল নিতে হয় কমিশনকে। সিইসি মন্তব্য করেন, এককভাবে কমিশনের পক্ষে নির্বাচন সফল করা সম্ভব হবে না, সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই নির্বাচন সফল হবে।
৭ জানুয়ারির নির্বাচন দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য না হলে পদত্যাগ করবেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি সরাসরি কোনো উত্তর দেননি। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে এককভাবে কমিশনকে দায়বদ্ধ করা যাবে না, এর দায় সরকারের ওপরেও বর্তাবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল মনে করেন, এটি একটি রাজনৈতিক বিতর্কিত প্রশ্ন। এই বিতর্ক সমাধান করতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকেই। এ সময় তিনি বলেন, তবে আওয়ামী লীগ, স্বতন্ত্রসহ ২৭টি দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। কোন কোন দল নির্বাচন বয়কট করতে কোনো বাধা নেই বলেও জানান তিনি। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি। বেগম খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর জন্য মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়া সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর সাজা স্থগিতের মেয়াদ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। ইতোমধ্যে তার স্থায়ী মুক্তির জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে শনিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, তার (খালেদা জিয়া) সাজা আরও ছয় মাসের জন্য স্থগিত করার পক্ষে আইন মন্ত্রণালয় থেকে মত দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য আমাদের মতসহ প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে যে আবেদন করা হয় সেটিতে স্থায়ীভাবে তার মুক্তি চাওয়া হয়েছিল।
কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় সেটি বিবেচনা করেনি। বিদেশে যেতে পারবেন না এবং বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে- পূর্বের দেয়া এ দুটি শর্ত বহাল রাখা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বর্তমানে রাষ্ট্রীয় সফরে দেশের বাইরে রয়েছেন। কয়েক দিনের মধ্যে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তিনি ফিরলে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মুক্তি পাওয়ার পর খালেদা জিয়া গুলশানে তার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় রয়েছেন। তিনি আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন।
এর মধ্যে ১১ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। শারীরিক দুর্বলতার কারণে ২৭ এপ্রিল তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৫৩ দিন চিকিৎসা শেষে বাসায় ফেরেন তিনি। ইতোমধ্যে করোনার দুই ডোজ টিকাও নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
ফাইল ছবি: ডোনাল্ড ট্রাম্প
বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত ১১ টা এবং মার্কিন সময় দুপুর ১২টায় যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দেশটির ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করছেন।
বিবিসির প্রতিবেদন বলা হয়েছে, সাধারণত মার্কিন কংগ্রেস ক্যাপিটল হিলের সামনে শপথ অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। তবে আজ ওয়াশিংটনে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে (মাইনাস ১৩ ডিগ্রি) ইনডোরে অনুষ্ঠিত হবে তার শপথ অনুষ্ঠান। শপথের পরই জাতির উদেশে ভাষণ দেবেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের এ অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যান ঝেং, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিসহ অনেত অতিথি।
ট্রাম্পকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার তিনি ট্রাম্পকে শপথ পড়াবেন। অনুষ্ঠানে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও শপথ গ্রহণ করবেন।
শনিবার ওয়াশিংটন যাওয়ার পথে এনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প প্রথম দিনই রেকর্ডসংখ্যক নির্বাহী আদেশে সই করবেন বলে জানান। তিনি যেসব নির্বাহী আদেশে সই করবেন, তার অনেকগুলোই বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের গৃহীত নীতি বাতিল করা হবে। ট্রাম্প তার নতুন মেয়াদের প্রথম দিন থেকে যেসব কর্মসূচি গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তার মধ্যে গণবিতাড়ন কর্মসূচি অন্যতম। সূত্র: যুগান্তর