a
ফাইল ছবি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা প্রায় নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছিলাম, কিন্ত গোটা বিশ্বেই এর প্রভাব বেড়েই চলেছে। তাই দেশেও করোনার প্রাদুর্ভাব হঠাৎ বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় জনস্বাস্থ্য বিবেচনা করে করোনার প্রথমবারের মতো সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে অধিবেশন চলাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিকা নেওয়ার পর মানুষের উদাসীনতা দেখা গেছে। টিকা নেয়া পরবর্তী সময়ে বিয়ে-পর্যটনসহ নানা কারণে যারা বেশি বেশি ঘুরে বেড়িয়েছেন তারাই করোনা বেশি আক্রান্ত হয়েছেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাস্ক পরাসহ, যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার কোনো বিকল্প নেই।
এ সময় জনগণের সহায়তা দরকার বলেও উল্লেখ করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
ফাইল ছবি: ইসি আলমগীর
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে ভোটারদের ভোট দিতে নিষেধ করছে, এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। এটা তারা বলতেই পারেন। কেউ ভোটে সমর্থন যেমন দিতে পারেন, কারও কাছ থেকে সমর্থন প্রত্যাহারও করতে পারেন।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নির্বাচনে যেহেতু অংশগ্রহণ করছে না, এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তার লিফলেট বিলিয়ে বলতে পারেন, ভোটে যাবেন না। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। তবে হ্যাঁ, সেটা যেন সহিংসভাবে কাউকে না বলে। জোর করে যেন কাউকে বাধা না দেয়। সেটা করার অধিকার আবার তাদের নেই।’
আজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি আলমগীর বলেন, ‘আইনগতভাবে আপনি কাউকে জোর করে বলতে পারবেন না, আপনি ভোট দিতে যাবেন না। আপনাকে দেখ নেবো বা ভয়-ভীতি দেখাবো। শান্তিপূর্ণভাবে যদি তারা আহ্বান করে যে, এই ভোট আমরা বয়কট করেছি, আপনারাও বয়কট করুন। এটা তারা বলতে পারেন।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার বিরুদ্ধে আমেরিকা ও ইউরোপ জোটবদ্ধ হয়ে রুশদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞা দিলেও এখন সামরিক ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে কি ধরনের আচরণ করা হবে তা নিয়ে খোদ ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যেই বড় ধরনের বিভেদ ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, রাশিয়ার সঙ্গে কঠোর আচরণ না করার ব্যাপারে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন বক্তব্য দেওয়ার পর ইউক্রেন তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে এর কঠোর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।
ম্যাকরন গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, “আমাদের কারো উচিত হবে না রাশিয়াকে অবমাননা করে কথা বলা, যাতে যুদ্ধ থেমে যাওয়ার পর কূটনৈতিক উপায়ে বিরাজমান সমস্যা সমাধানের পথ খোলা থাকে।”
তার এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা এক টুইটবার্তায় বলেছেন, “রাশিয়াকে অবমাননা করা থেকে বিরত থাকার জন্য ফ্রান্সসহ ইউরোপের যে কোনও দেশের আহ্বান বরং ওই দেশগুলোর জন্যই অবমাননাকর এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট রাশিয়াকে অবমাননা না করার কথা বলে প্রকৃতপক্ষে তিনি নিজেই নিজেকে অবমাননা করেছে।”
পর্যবেক্ষকরা মতে, ফ্রান্স ও ইউক্রেনের মুখোমুখি অবস্থান ও তীব্র বিতর্ক থেকে রাশিয়াকে নিয়ে ইউরোপীয়দের মধ্যে গভীর মতপার্থক্য ও বড় ধরনের বিভেদ লক্ষ্য করা যায়। ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির মতো ইউরোপের বৃহৎ দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার দীর্ঘদিন ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় আছে।
বিশেষ করে অর্থনৈতিক, জ্বালানি ও ইউরোপে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা অনেক পুরাতন। এ অবস্থায় ওই দেশগুলো রাশিয়াকে অবমাননা না করা, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান গ্রহণ না করা এবং সর্বোপরি যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধ বন্ধ করে ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে কথা বলছে।
অন্যদিকে ব্রিটেন, পোল্যান্ড ও পূর্ব ইউরোপের বাল্টিক অঞ্চলের দেশগুলো চাইছে রাশিয়াকে সামরিক উপায়ে পরাজিত করার জন্য সবাই যেন ইউক্রেনকে সহযোগিতা করে। এই দেশগুলো মনে করে মস্কোকে পরাজিত করা ছাড়া বিশ্বে বিশেষ করে ইউরোপে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
প্রকৃতপক্ষে, ইউরোপে মার্কিন মিত্ররা যুদ্ধংদেহী মনোভাব দেখালেও ইউরোপের বৃহৎ ও প্রভাবশালী দেশগুলো ভালো করেই জানে পরমাণু অস্ত্রধর রাশিয়া সামরিক দিক দিয়ে অনেক শক্তিশালী একটি দেশ। এ রকম একটি দেশকে উস্কানি দেওয়া হলে ইউরোপের জন্য অনেক বড় বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। এ অবস্থায় ইউরোপের যেসব দেশ রাশিয়াকে এক হাত দেখে নিতে চায় তারা আসলে অনেক বড় ঝুঁকি নিচ্ছে এবং গোটা ইউরোপের নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে। অথচ আটলান্টিকের ওপারে যে আমেরিকার উস্কানিতে ইউরোপের এ দেশগুলো নিজেদেরকে ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে সেই আমেরিকার জন্য কোনও ধরনের নিরাপত্তা সংকট তৈরি হয়নি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যে ইউরোপ শান্তিতে ছিল সেই ইউরোপ মার্কিন উস্কানিতে নজিরবিহীন বিপর্যয়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়াকে নিয়ে কি সত্যিই নিজেরা ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছে ইউরোপীয় দেশগুলো? আর ওদিকে আটলান্টিকের ওপারে আমেরিকা নিজেদের নিরাপদ রেখে অস্ত্র ব্যবসা চালাতে যা করনীয় তাই করে যাবে কৌশলে। সূত্র: আল-জাজিরা/বিডি প্রতিদিন