a
ফাইল ছবি
আজ রবিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মোট ৭ ঘণ্টা যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিদিন খোলা থাকবে দোকানপাট ও শপিংমল। শুক্রবার দুপুরে উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বাজার অথবা সংস্থার ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সর্বাত্মক বিধি-নিষেধের মাঝেই দোকানপাট ও শপিংমল খোলার এই অনুমতি দিলো সরকার। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে দ্বিতীয় দফায় বৃহস্পতিবার থেকে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। যা চলমান থাকবে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত।
করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার জনসমাগম কমাতে প্রথমে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নানা বিধিনিষেধ প্রদান করে। পরবর্তীতে এ নিষেধাজ্ঞা আরও দু’দিন বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। তবে সে নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্পকারখানা ও গণপরিবহন চালু রাখা ছিলো।
এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সব ধরনের অফিস ও পরিবহন বন্ধের পাশাপাশি বাজার-মার্কেট, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এক্ষেত্রে উৎপাদনমুখী শিল্প কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করার অনুমতি প্রদান করা হয়।
ফাইল ছবি
আজ ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। ১৯৯০ সালের ১১ জুলাই প্রথম বারের মতো ৯০টি দেশে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ বছর বাংলাদেশও বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন করছে।
এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘৮০০ কোটির পৃথিবী: সকলের সুযোগ, পছন্দ ও অধিকার নিশ্চিত করে প্রাণবন্ত ভবিষ্যৎ গড়ি।’
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও প্রাইভেট চ্যানেলগুলো বিশেষ কর্মসূচি সম্প্রচার করছে।
১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির গভর্নিং কাউন্সিল জনসংখ্যা ইস্যুতে গুরুত্ব প্রদান ও জরুরী মনোযোগ আকর্ষণের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সূত্র: ইত্তেফাক
ছবি সংগৃহীত
বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) জনবহুল এই শহরের একিউআই স্কোর ছিল ৩৬৭ যাকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়।
এদিকে একিউআই স্কোর ৩৫৮ নিয়ে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি দ্বিতীয় এবং পাকিস্তানের লাহোর শহর ২১৫ নিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ৩০১ থেকে ৫০০ বা তারও বেশি হলে বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়। এ সময় স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ প্রত্যেক নগরবাসীর জন্য জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়া একিউআই সূচক ৫০ এর নিচে স্কোর থাকার অর্থ হলো বাতাসের মান ভালো।
সূচক ৫১ থেকে ১০০ স্কোরের মধ্যে থাকলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলে ধরে নেওয়া হয়। একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সাধারণ নগরবাসী বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ রোগীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে নগরবাসীর প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন। একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়। বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে—বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
শীতের শুষ্ক মৌসুমে প্রতি বছরই ঢাকার বাতাস গুরুতর হয়ে উঠে। তবে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে চলাচল সীমিত এবং সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মনে করা হয়েছিল বাতাসের মানে উন্নতি হবে। যদিও লকডাউনে বিশ্বের ৮৪ শতাংশ দেশে বায়ুর মান বৃদ্ধি পায় কিন্তু নির্মাণ কাজের আধিক্যের কারণে বাংলাদেশে বাতাস অস্বাস্থ্যকরই থেকে গেছে। সূত্র: ইত্তেফাক