a
ফাইল ছবি
চীনের সিনোফার্মের ২০ লাখ ডোজ টিকার চালান ঢাকায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশ এ নিয়ে সিনোফার্মের মোট এক কোটি ৪৫ লাখ ডোজ টিকা পেল। বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টিকা গ্রহণ করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মাওলা বখশ আজ মঙ্গলবার সকালে বলেন, ‘রাতে এসব টিকা পৌঁছেছে। টিকাগুলো বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউজে সংরক্ষণ করা হয়েছে।’
সিনোফার্মের তিন কোটি ডোজ টিকা কিনতে চুক্তি করেছে সরকার। এছাড়াও কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায়ও সিনোফার্মের টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, চীন সরকারের উপহার হিসেবে ১২ মে পাঁচ লাখ ডোজ টিকা আসে বাংলাদেশে। সিনোফার্মের টিকার ওটাই ছিল প্রথম চালান। পরে ১৩ জুন উপহার হিসেবে আরও ছয় লাখ ডোজ টিকা আসে। এরপর ৩ জুলাই রাতে সিনোফার্মের ১০ লাখ এবং ৪ জুলাই সকালে ১০ লাখ ডোজ টিকা আসে।
ছবি সংগৃহীত: প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিএনপির ৩ নেতার বৈঠক
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বৈঠক করেছেন বিএনপির তিন নেতা। বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।
আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়।
রাষ্ট্রপতির অপসারণের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশে যাতে নতুন করে সাংবিধানিক সংকট না সৃষ্টি হয় সে ব্যাপারে আমরা খেয়াল রাখতে বলেছি।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, পতিত স্বৈরাচারের দোসররা যদি দেশে আবার নতুন করে সংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরির পাঁয়তারা করে তাহলে অন্তর্বর্তী সরকারকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন লড়াই করে বহু সাথীর রক্তের বিনিময়ে আমরা যে পরিবর্তন অর্জন করেছি, এই পরিবর্তন সুরক্ষায় ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের জাতীয় ঐক্য আরও সুদৃঢ় রাখা দরকার।
অপরদিকে, বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের অংশ হিসেবেই বিএনপির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। রাষ্ট্রপতির অপসারণের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও তিনি জানান। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
চার দশক পর বাংলাদেশে আবারও দূতাবাস খুলতে যাচ্ছে লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টাইন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো এ ঘোষণা দিয়েছেন।
ক্যাফিয়েরো জানান, ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পর তিনি বিস্তারিত চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশ সফর করবেন।
কাতারে চলমান বিশ্বকাপ ফুটবলে মেসির দলের প্রতি বাংলাদেশিদের সমর্থনের বিষয়টি এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অন্যরকম ভূমিকা রাখছে বলে জানা যায়।
বাংলাদেশে বরাবরই আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের একনিষ্ঠ ভক্ত-সমর্থক ছিল। তবে কাতার বিশ্বকাপে দলটির প্রতি বাংলাদেশিদের অপরিসীম আবেগ-অনুরাগ বিশ্ববাসীর মনোযোগ কেড়েছে।
কাতার বিশ্বকাপে মেক্সিকোর বিপক্ষে মেসির গোলের পর উল্লাসরত বাংলাদেশি সমর্থকদের একটি ভিডিও ফিফার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করার পর তা বিশ্ববাসীর নজর কাড়ে।
ভিডিওটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আর্জেন্টিনার বিভিন্ন গণমাধ্যমেও ঘটনাটি ফলাও করে প্রচার করা হয়।
পরে আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল দলের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে টুইট করে বলা হয়, 'আমাদের দলকে সমর্থন করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ! ওরা (বাংলাদেশিরা) আমাদের মতোই পাগল!'
এর পরিপ্রেক্ষিতে আর্জেন্টিনার সাধারণ নাগরিকরাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের প্রতি বাংলাদেশিদের অকুণ্ঠ ভালোবাসার প্রতিদান হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের জন্য একটি আর্জেন্টাইন ফ্যান গ্রুপও তৈরি করা হয়।
পরে গত শনিবার এক টুইটবার্তায় আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো বাংলাদেশে পুনরায় দূতাবাস চালু করার পরিকল্পনার কথা জানান। সূত্র: যুগান্তর