a
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল ইসলাম, ঢাকা: শিক্ষকরা দেশ গড়ার কারিগর, আর তাই তাদেরকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি পরিষদের সভায় সম্মানিত অতিথিবৃন্দ শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবী বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ খ্রি. রোজ বুধবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাব (জহুর হোসেন চৌধুরী হল) ঢাকায় বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি পরিষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এটি সংগঠনের সভাপতি জনাব মোঃ নূরুজ্জামান আনসারীর সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান (মনির) এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এর জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট ওবায়দুল হক নাসির। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উপদেষ্টা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জনাব কাজী আ কা ফজলুল হক, সংগঠনের নীতিনির্ধারনী পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুল্যাহ সরকার।
আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষক নেতা জনাব মোঃ মাসুদুর রহমান, কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক আবদুস সবুর মিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি গাজী শহিদুল ইসলাম, সাহিদ হাসান শামীম, আব্দুর রহমান বাচ্চু, এনামুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ, হোসনে আরা খাতুন, সিরাজুল হক সজল, এ কে এম নাজমুল ইসলাম, মাজহারুল ইসলাম, ইকবাল আহমদ, এইচ এম সিরাজুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, ফাতেমা মায়া, বেদেনা, রোকেয়া বেগম প্রমুখ।
শিক্ষক নেতৃবৃন্দ সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও ০৯/০৩/২০১৪খ্রি. তারিখ হতে প্রধান শিক্ষকদের মামলার রায় দ্রুত বাস্তবায়নসহ ৭ দফা দাবী বাস্তবায়নের জোর দাবী জানান। আগামী নির্বাচনে জনগণ যদি বিএনপিকে দেশ সেবার সুযোগ দেয় তাহলে শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবী বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে বিএনপি নেতৃবৃন্দ আশ্বাস দেন।
ছবি সংগৃহীত
বুলডোজার সাধারণত ধ্বংসযজ্ঞের কাজে ব্যবহৃত হয় এবং সাম্প্রতিক সময়ে আমরা এটি ৩২ নম্বরে প্রকাশ্যে ব্যবহৃত হতে দেখেছি। হাজার হাজার মানুষ সেখানে জড়ো হয়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ির ঐতিহাসিক ধ্বংসযজ্ঞে অংশগ্রহণ করেছে। অনেকেই এই ধ্বংসযজ্ঞ উপভোগ করেছে আনন্দের সঙ্গে। এটি স্মরণ করিয়ে দেয় বেগম খালেদা জিয়াকে জোরপূর্বক তার বাসভবন থেকে উচ্ছেদ এবং তার বাড়ি ভেঙে ফেলার ঘটনাকে।
একটি যুগ আগে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, এই বাড়ির সকল বাসিন্দাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। সেই সময়ে কেউ সাহস করেনি রাস্তায় নেমে এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে। অনেকেই এই ঘটনাকে "আগস্ট বিপ্লবের" অংশ হিসেবে দেখেছে। তবে ইতিহাসই নির্ধারণ করবে এর প্রকৃত অবস্থান এবং মূল্যায়ন।
তবে প্রতিটি কর্মেরই একটি প্রতিক্রিয়া থাকে—এটি শুধু সময়ের ব্যাপার। ইতিহাস বারবার নিজেকে পুনরাবৃত্ত করে। সাম্প্রতিক ঘটনাবলী দেখিয়ে দিয়েছে যে, মানুষ ৩২ নম্বর বাড়িকে ধ্বংস করতে বদ্ধপরিকর। বাড়িটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং শেখ মুজিবের ম্যুরাল সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়েছে। ভবনের বেসমেন্টে স্কুলছাত্রীদের ইউনিফর্ম পাওয়া গেছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে সেখানে সম্ভাব্য নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। অনেকেই মনে করেন, ৩২ নম্বর বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু ছিল।
শেখ হাসিনা সীমা অতিক্রম করেছেন। যখন জনগণের ক্ষোভ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল, তখন তিনি তার দলের নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, এবং এটি কোথায় গিয়ে শেষ হবে তা কেউ জানে না। কিন্তু এটা নিশ্চিত যে, ভবিষ্যতের পরিণতি বিবেচনা না করেই শেখ হাসিনা নিজেই আগুনে ঘি ঢেলেছেন।
ভারতের আশীর্বাদ নিয়ে শেখ হাসিনা যদি আরও পদক্ষেপ নেন, তবে তার অনুসারীদের জানমাল হুমকির মুখে পড়বে। বিপ্লবের সময় এবং বিজয়ের পরও "বিপ্লববিরোধী" শক্তির বিরুদ্ধে তেমন হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়নি। অথচ ওবায়দুল কাদের নিজেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে সরকার পরিবর্তনের পর প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ নিহত হতে পারে।
শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক পদক্ষেপ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা, যা দেশকে আরও সংকটে ফেলতে পারে। জনগণ এবং শিক্ষার্থীরা যে কোনো সময় রাস্তায় নেমে বিপ্লববিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে। যারা দেশের শান্তি বিনষ্ট ও বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠছে।
জনগণ এখনও ভুলে যায়নি কিভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল এবং কিভাবে তার বাড়ি গুঁড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। পরবর্তীতে সেই জায়গায় উচ্চ ভবন নির্মাণ করে কর্মকর্তাদের আবাসন ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এখন জনগণের দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবে শহীদ হওয়া পরিবারগুলোর জন্য ৩২ নম্বরে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হোক। যারা অতীতে বাড়ি ধ্বংস ও নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিল, তারা এর দায় এড়াতে পারবে না। ইতিহাসের পরিহাস—যারা একসময় অন্যের বাড়ি ধ্বংস করেছিল, আজ তাদেরই বাড়ি একই পরিণতির শিকার হয়েছে।
আমাদের জানতে হবে, যেসব জেনারেল ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে উচ্ছেদ করেছিল এবং জাতীয় স্বার্থ উপেক্ষা করেছিল, তারা প্রতারক ও বিশ্বাসঘাতক। জনগণ কখনোই এই ষড়যন্ত্রকারীদের ক্ষমা করবে না।
২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব এখনো শেষ হয়নি। এটি পরিপূর্ণ রূপ নিতে আরও কয়েক বছর সময় লাগতে পারে।* আজ নেওয়া প্রতিটি পদক্ষেপই বিপ্লবের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে যতক্ষণ না বিপ্লবের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয় এবং রাষ্ট্র কাঠামোতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও সংস্কার সম্পন্ন হয়।
কলাম লেখক: প্রফেসর ড. এস কে আকরাম আলী
ছবি সংগৃহীত
রাত পোহালেই পহেলা বৈশাখ। নতুন বছরকে বরণের আয়োজন করতে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। নববর্ষের অনুষ্ঠান ঘিরে কোনো জঙ্গি হামলা বা নাশকতার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে রমনা বটমূলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান ঘিরে পুলিশ, র্যাবসহ গোয়েন্দা বাহিনী সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। দেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। টিএসসি, শাহবাগ, রমনা, হাতিরঝিলসহ যেসব জায়গায় জনসমাগম হবে, সেখানে র্যাবের পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন থাকবে।’
বৈশাখের অনুষ্ঠানে নারীদের হেনস্তা ঠেকানো প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে হয়রানি, নারীদের উত্ত্যক্তের বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে র্যাব। কারণ, প্রতিবারই জনসমাগমস্থলে নারীদের হেনস্তার ঘটনা ঘটে। এ জন্য ইভটিজিং রোধে র্যাবের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।’
র্যাবের মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘বৈশাখের অনুষ্ঠান ঘিরে জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা নেই। তারপরও জঙ্গিদের যে কোনো তৎপরতা নস্যাৎ করে দিতে র্যাব প্রস্তুত রয়েছে।’ সূত্র: ইত্তেফাক