a পুলিশের সঙ্গে নারী চিকিৎসকের তুলকালাম কান্ড ও পরে মন্ত্রীকে ফোন
ঢাকা বুধবার, ৩ পৌষ ১৪৩২, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

পুলিশের সঙ্গে নারী চিকিৎসকের তুলকালাম কান্ড ও পরে মন্ত্রীকে ফোন


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ১০:২০
পুলিশের সঙ্গে নারী চিকিৎসকের তুলকালাম কান্ড ও পরে মন্ত্রীকে ফোন

ফাইল ছবি

সর্বাত্মক লকডাউন চলাকালে রাজধানীতে পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়ায় পুলিশ সদস্য ও ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে রীতিমতো এক নারী চিকিৎসক তুলকালাম কাণ্ড করেছেন। পুলিশ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট বার বার অনুরোধ করেও মুভমেন্ট পাস বা কোন মেডিকেলের চিকিৎসক পরিচয়পত্র বের করতে পারেননি তার কাছ থেকে।

রবিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইবা শওকত জিমি এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালে  ভ্রাম্যমাণ আদালতের চেকে পড়েন। ঢাকা জেলা প্রশাসন অফিসের সহকারী কমিশনার শেখ মো. মামুনুর রশিদ সেখানে আদালত পরিচালনা করছিলেন। নিউ মার্কেট থানার একজন পরিদর্শকের নেতৃত্বে  সেখানে দায়িত্বরত ছিলেন একাধিক পুলিশ সদস্য।

চেক পোস্টে চিকিৎসকের কাছে তার আইডি কার্ড দেখতে চান পুলিশ সদস্যরা। চিকিৎসক জিমি  সঙ্গে আইডি কার্ড আনেননি বলে জানান। এরপর মুভমেন্ট পাস দেখতে চাওয়া হয়  তার কাছে। এ সময় জিমি কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। ডাক্তারের মুভমেন্ট পাস লাগে? এ কথা জিজ্ঞাসা করেন তিনি।

এলিফ্যান্ড রোডে পুলিশ চেকপোস্টে পরিচয়পত্র দেখতে চায় পুলিশ ওই নারীর কাছে । এতে তিনি উত্তেজিত হয়ে উঠেন। পুলিশের কাছে তিনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আমি বীর বিক্রমের মেয়ে। তোমরা পুলিশ হয়েছ আমার বাবা যুদ্ধ করেছিল বলেই।’ পাল্টা জবাব, ‘আমরাও ভেসে আসিনি। আমিও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আপনার বাবা একা যুদ্ধ করে নাই।’

এক পর্যায়ে  তিনি গালিগালাজ করতে থাকেন পুলিশ সদস্যদের। চাকরি হারানোর হুমকি দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমনি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। বার বার নমনীয়ভাবে কথা বলতে দেখা যায় পুলিশ সদস্য ও ম্যাজিস্ট্রেটকে। কিন্তু তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে থাকেন ওই নারী ।

৫ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নারী পুলিশকে বলেছেন, ‘করোনায় কয়জন ডাক্তারের জীবন গেছে, আর কতজন মরছেন আপনারা। আমার কাছে চান মুভমেন্ট পাস আবার।’

এরপরই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ওই নারীকে  পুলিশের এক সদস্য বলেন, ‘আপনি ধমক দিচ্ছেন কেনো আমাদের?’ জবাবে নারী বলেন, ‘আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলীর মেয়ে।’ পুলিশও বলে, ‘আমিও মুক্তিযোদ্ধার ছেলে। মুক্তিযোদ্ধার কথা শোনাচ্ছেন আপনি আমাকে।’

এসময় নিজেকে চিকিৎসক দাবি করা ওই নারী পুলিশকে বলেন, ‘ বন্ধ করতে হবে ডাক্তার হয়রানি। আমি বিএসএমএমইউ প্রফেসর, বীর বিক্রমের মেয়ে। আপনারা আমাকে  হয়রানি করতে পারেন না।’ পরে পুলিশের আরেক সদস্য বলেন, ‘আপা আপনাকে তো হয়রানি করা হচ্ছে না। আপনার কাছে পরিচয়পত্র চাওয়া হচ্ছে।’

এর পরে ওই নারী চিকিৎসক নিজ গাড়িতে ওঠে যান। তখন পুলিশের এক সদস্য বারবার ওই নারীকে বলেন, ‘আমাকে আপনি তুই তুই করে কেন বলছেন?’ এক পর্যায়ে ‌‍‍হয়রানি করলে তিনি পুলিশকে আন্দোলনের হুমকি দেন। পুলিশ জবাবে বলছে, ‘আমাদের আন্দোলনের ভয় দেখাচ্ছেন।’

‘আর আমি কে, এখন সেটা তোদের দেখাচ্ছি হারামজাদা।’ এই কথা বলে তিনি এক ‘মন্ত্রীকে’ ফোন করেন । ফোনে তাকে হয়রানি করার কথা বলেই তার ফোন তুলে দেন পুলিশ সদস্যের হাতে  কথা বলার জন্য। তারপরও তিনি পুলিশকে পরিচয়পত্র দেখাননি ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

চাকুরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহাল ও পুলিশ বাহিনীর গৌরব ফিরিয়ে আনা হোক


সাইফুল আলম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১১ ফেরুয়ারী, ২০২৫, ১০:৫১
চাকুরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহাল ও পুলিশ বাহিনীর গৌরব ফিরিয়ে আনা হোক

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা: ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৬ বছরের স্বৈরশাসনের পতন ঘটেছে। এই দীর্ঘ সময়ে স্বৈরশাসক দেশের সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। অন্যায়ভাবে প্রায় ২২০০ পুলিশ সদস্যকে চাকুরিচ্যুত করা। যার ফলশ্রুতিতে ভিকটিম পুলিশ সদস্যরা এবং তার পরিবাররা আজ জাতীয় প্রেসক্লাব ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন।

এত বৃহৎ সংখ্যক পুলিশ সদস্য কিভাবে চাকুরিচ্যুত হলেন সেই বিষয়ে অনুষ্ঠানের মুখপাত্র তৌহিদ মন্ডল বলেন, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে অন্যায়ভাবে প্রায় ২২০০ পুলিশ সদস্যকে চাকুরিচ্যুত করার মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীর নিম্নপদস্থ কর্মচারীদের মনে চাকুরি হারানোর আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এরই ফলস্বরূপ জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবে পুলিশ বাহিনীর কিছু সিনিয়র দানবদের অবৈধ আদেশ পালন করে চাকুরি বাচাতে অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও গণহত্যার মতো অপরাধ করতে বাধ্য হয়।

স্বৈরাচারী সরকারের আমলে পুলিশ বাহিনীর বেশিরভাগ সিনিয়র কর্মকর্তা পুলিশ বাহিনীকে ভয়ঙ্কর দানবে পরিণত করতে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে চাকুরিচ্যুত করেছে।

বিভাগীয় মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে ন্যায় সঙ্গত কোনপ্রকার প্রসিডিউর অনুসরণ করেনি। তদন্তকারী কর্মকর্তা, তদন্ত, মিথ্যা স্বাক্ষ্য গ্রহন সহ সকল কিছুতেই তাদের পক্ষের একতরফা নীতি অনুসরন করেছে। তারা এমনভাবে মামলা সৃজন করেছে যেন, আদালত থেকেও কোনভাবে বিবাদী নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে না পারে।

বিজ্ঞ আদালত হতে ০১ রায়, ০২ রায়, ০৩ রায় পাওয়ার পরেও আমাদেরকে চাকুরিতে পূণর্বহাল করেনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না থাকা স্বত্ত্বেও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল ও অন্যান্য অনুমোদনহীন হাসপাতাল থেকে ডোপ টেষ্টের মাধ্যমে নিরীহ পুলিশ সদস্যদেরকে চাকুরিচ্যুত করেছে। বেশিরভাগ চাকুরিচ্যুত পুলিশ সদস্য ঐদিনই ঢাকা মেডিকেল ও পিজি হাসপাতাল থেকে ডোপ টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট জমা দিলেও তা গ্রহ করেনি।

ডোপ টেষ্টে যারা মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিয়েছে বা যারা স্বৈরাচারী সরকারের লোক ছিলেন তাদেরকে চাকুরিতে বহাল রেখেছেন। আর যারা টাকা দিতে পারেনি তাদেরকে চাকুরিচ্যুত করেছেন।

যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকে কমেন্ট করেছেন তাদেরকে অন্যায়ভাবে চাকুরিচ্যুত করেছেন। বিগত স্বৈরাচারী দোসরদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে কিছু পুলিশ সদস্য কে চাকুরিচ্যুত করতে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে মাদক ও অস্ত্র দিয়ে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দিয়েছেন।
পুলিশ বাহিনীর কিছু অসাধু কর্মকর্তা নিজেদের পরিচিত লোকের মাধ্যমে মিথ্যা, ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে অসংখ্য পুলিশ সদস্যকে চাকুরিচ্যুত করেছেন।

২০০৭ সালে সাবেক আইজিপি জনাব নূর মোহাম্মদ স্যার বিভাগীয় মামলার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন শাস্তি প্রদানের প্রজ্ঞাপন জারী করেন কিন্তু স্বৈরাচারী সরকারের দোসরার আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ছোট-খাটো অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি চাকুরিচ্যুত করেছেন।

অন্তবর্তীকালীন সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার অব. এম সাখাওয়াত হোসেন স্যার মানবিক বিবেচনায় সকল পুলিশ সদস্যকে পূনর্বহালের আদেশ প্রদান করার পরেও স্বৈরাচারী সরকারের নিয়োজিত দোসররা তা বাস্তবায়নে বাধা প্রদান করছেন।

অনেক পুলিশ সদস্যকে চাকুরিচ্যুত করার পর যদি বিজ্ঞ আদালতে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে চায়। তা হলে গুম খুনের হুমকি দিয়েছেন। এসবের ভয়ে অনেক পুলিশ সদস্য আদালতে মামলা দায়ের করতে পারেনি। অনেক পুলিশ সদস্যকে জোর পূর্বক অথবা স্বাক্ষর জাল করে চাকরি হতে স্বেচ্ছায় অবসর বা বাধ্যতামূলক গ্রহন করতে বাধ্য করেছে।

পুলিশ প্রধান পি আর বি ৮৮৪ প্রবিধান মতে সকল চাকুরিচ্যুত পুলিশ সদস্যকে পুনর্বহালের ব্যবস্থা গ্রহন করার ক্ষমতা থাকিলেও বিগত স্বৈরাচারী দোসরদের বাধার কারনে তাহা প্রয়োগ হচ্ছে না।

আজকে যখন গণ-অভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরশাসক পালিয়ে গেছে তখন পুলিশ বাহিনীও কিন্তু তার দোসর আমাদেরকে চাকুরিতে পুনর্বহাল করার কথা নিয়েও তালবাহানা করছে। আমরা বর্তমান সরকারের বিনীত আবেদন জানাচ্ছি | আমাদেরকে সকল সুযোগ-সুবিধা সহ চাকুরিতে পুনর্বহাল করা হোক এবং বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী থেকে স্বৈরাচারী দোসরদের অপসারণ করা হোক।

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর গৌরব ফিরিয়ে আনুন এবং আমাদেরকে পরিবার-পরিজন নিয়ে দেশের সেবা করার সুযোগ দিন - এই হল ভিকটিম পুলিশ সদস্যদের আকল আবেদন।

তারা আরো বলেন, সরকার যদি ১৫২২ জনকে চাকরিতে পুনর্বহাল করে থাকে তাহলে এর আদেশ লিখিত এবং প্রজ্ঞাপন আকারে আমরা চাই। ভিকটিম পুলিশ সদস্যরা এবং তার পরিবারের সদস্যরা গত দুদিন ধরে জাতীয় প্রেসক্লাব ঢাকার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ভারতের আকাশপথ এড়াতে পারে অনেক দেশ, বড় লোকসানের শঙ্কা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ১৯ আগষ্ট, ২০২১, ১০:৩১
ভারতের আকাশপথ এড়াতে পারে অনেক দেশ, বড় লোকসানের শঙ্কা

ফাইল ছবি

তালেবানের কবলে পড়া কাবুলের আকাশপথে ঢুকতে পারছে না অনেক দেশ। যার জেরে ভারতের আকাশপথ থেকেও বিমান ঘুরিয়ে নিচ্ছে সংস্থাগুলি। সেটা হলে অচিরেই বড়সড় আর্থিক লোকসানের মুখে পড়তে পারে ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

এশিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার অন্যতম রাস্তা ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের আকাশপথ ধরে ইউরোপের সীমান্তে প্রবেশ করা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বহু বিমান সংস্থাই আফগানিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করতে চাইছে না। কোনো কোনো দেশ ইতোমধ্যেই দেশের বিমান সংস্থাগুলিকে যাত্রাপথ বদলের নির্দেশ দিয়েছে। অসুবিধা হলো, যাত্রাপথ বদলালে বহু বিমান ভারতের আকাশপথও ব্যবহার করতে পারবে না। তাদের পথ পরিবর্তন করতে হবে। ফলে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে।

বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ''এতদিন বহু বিদেশি বিমান দিল্লি হয়ে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের উপর দিয়ে ইউরোপে ঢুকে যেত। ভারতের আকাশ সীমা ব্যবহারের জন্য তারা বিপুল অঙ্কের মাশুল দিত। কিন্তু রুট পরিবর্তন হলে তারা ভারতের এয়ারস্পেসে ঢুকবে না।'' 

বস্তুত, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বহু বিমান কলকাতার উপর দিয়েও যাতায়াত করে। সেই বিমানগুলিও রুট বদলাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
 
বিমানবন্দরের আরেক কর্মকর্তার বক্তব্য, ইতোমধ্যেই বহু বিমান রুট বদলেছে। আফগানিস্তানের আকাশপথ দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো তারা দিল্লি এবং এবং পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করছে। কিন্তু তাতে তাদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। অতিরিক্ত পথ অতিক্রম করতে হচ্ছে। ফলে অনেকেই পুরোওয়া রুট বদলে নের পরিকল্পনা করছে।

এর আগে বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর বেশ কিছুদিন পাকিস্তানের এয়ারস্পেস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সে সময়েও দিল্লির উপর দিয়ে যাওয়া বিমান যাত্রাপথ পরিবর্তন করেছিল। ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল। তবে সে ঘটনা ছিল সাময়িক। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি অনেক জটিল। আদৌ সেখানকার আকাশপথ অদূর ভবিষ্যতে ব্যবহার করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে। এবং সে কারণেই বহু বিমান সংস্থা নতুন রুট তৈরির পরিকল্পনা করছে।

এমনিতেই করোনার কারণে ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। বিমানবন্দর সূত্র জানাচ্ছে, ভারত হয়ে পাকিস্তানে ঢোকা বিমানের সংখ্যা অন্তত ৬০ শতাংশ কমে গেছে। 

শুধু তাই নয়, কোনো কোনো বিমান সংস্থা এই রুটের বিমান বন্ধ করে দেওয়ার কথাও ভাবছে। কারণ করোনায় বিমান সংস্থাগুলিরও বিপুল ক্ষতি হয়েছে। ফলে সাময়িক রুট বদলে তারা ক্ষতির পরিমাণ বাড়াতে চাইছে না।

কোনো বিমান যখন অন্য দেশের আকাশসীমায় ঢোকে তখন সেই দেশ তাকে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) পরিষেবা প্রদান করে। তার বিনিময়ে বিমানসংস্থা ওই দেশের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বিপুল পরিমাণ টাকা দেয়। এর থেকে লাভবান হয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ভারতের ভয়, তালেবানের ভয়ে তাদের সেই রোজগার অনেকটাই কমে যেতে পারে।

সূত্র: আনন্দবাজার ও ডয়েচে ভেলে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - অন্যান্য

সর্বোচ্চ পঠিত - অন্যান্য

অন্যান্য এর সব খবর