a পুলিশের সঙ্গে নারী চিকিৎসকের তুলকালাম কান্ড ও পরে মন্ত্রীকে ফোন
ঢাকা বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

পুলিশের সঙ্গে নারী চিকিৎসকের তুলকালাম কান্ড ও পরে মন্ত্রীকে ফোন


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ১০:২০
পুলিশের সঙ্গে নারী চিকিৎসকের তুলকালাম কান্ড ও পরে মন্ত্রীকে ফোন

ফাইল ছবি

সর্বাত্মক লকডাউন চলাকালে রাজধানীতে পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়ায় পুলিশ সদস্য ও ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে রীতিমতো এক নারী চিকিৎসক তুলকালাম কাণ্ড করেছেন। পুলিশ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট বার বার অনুরোধ করেও মুভমেন্ট পাস বা কোন মেডিকেলের চিকিৎসক পরিচয়পত্র বের করতে পারেননি তার কাছ থেকে।

রবিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইবা শওকত জিমি এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালে  ভ্রাম্যমাণ আদালতের চেকে পড়েন। ঢাকা জেলা প্রশাসন অফিসের সহকারী কমিশনার শেখ মো. মামুনুর রশিদ সেখানে আদালত পরিচালনা করছিলেন। নিউ মার্কেট থানার একজন পরিদর্শকের নেতৃত্বে  সেখানে দায়িত্বরত ছিলেন একাধিক পুলিশ সদস্য।

চেক পোস্টে চিকিৎসকের কাছে তার আইডি কার্ড দেখতে চান পুলিশ সদস্যরা। চিকিৎসক জিমি  সঙ্গে আইডি কার্ড আনেননি বলে জানান। এরপর মুভমেন্ট পাস দেখতে চাওয়া হয়  তার কাছে। এ সময় জিমি কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। ডাক্তারের মুভমেন্ট পাস লাগে? এ কথা জিজ্ঞাসা করেন তিনি।

এলিফ্যান্ড রোডে পুলিশ চেকপোস্টে পরিচয়পত্র দেখতে চায় পুলিশ ওই নারীর কাছে । এতে তিনি উত্তেজিত হয়ে উঠেন। পুলিশের কাছে তিনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আমি বীর বিক্রমের মেয়ে। তোমরা পুলিশ হয়েছ আমার বাবা যুদ্ধ করেছিল বলেই।’ পাল্টা জবাব, ‘আমরাও ভেসে আসিনি। আমিও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আপনার বাবা একা যুদ্ধ করে নাই।’

এক পর্যায়ে  তিনি গালিগালাজ করতে থাকেন পুলিশ সদস্যদের। চাকরি হারানোর হুমকি দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমনি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। বার বার নমনীয়ভাবে কথা বলতে দেখা যায় পুলিশ সদস্য ও ম্যাজিস্ট্রেটকে। কিন্তু তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে থাকেন ওই নারী ।

৫ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নারী পুলিশকে বলেছেন, ‘করোনায় কয়জন ডাক্তারের জীবন গেছে, আর কতজন মরছেন আপনারা। আমার কাছে চান মুভমেন্ট পাস আবার।’

এরপরই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ওই নারীকে  পুলিশের এক সদস্য বলেন, ‘আপনি ধমক দিচ্ছেন কেনো আমাদের?’ জবাবে নারী বলেন, ‘আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলীর মেয়ে।’ পুলিশও বলে, ‘আমিও মুক্তিযোদ্ধার ছেলে। মুক্তিযোদ্ধার কথা শোনাচ্ছেন আপনি আমাকে।’

এসময় নিজেকে চিকিৎসক দাবি করা ওই নারী পুলিশকে বলেন, ‘ বন্ধ করতে হবে ডাক্তার হয়রানি। আমি বিএসএমএমইউ প্রফেসর, বীর বিক্রমের মেয়ে। আপনারা আমাকে  হয়রানি করতে পারেন না।’ পরে পুলিশের আরেক সদস্য বলেন, ‘আপা আপনাকে তো হয়রানি করা হচ্ছে না। আপনার কাছে পরিচয়পত্র চাওয়া হচ্ছে।’

এর পরে ওই নারী চিকিৎসক নিজ গাড়িতে ওঠে যান। তখন পুলিশের এক সদস্য বারবার ওই নারীকে বলেন, ‘আমাকে আপনি তুই তুই করে কেন বলছেন?’ এক পর্যায়ে ‌‍‍হয়রানি করলে তিনি পুলিশকে আন্দোলনের হুমকি দেন। পুলিশ জবাবে বলছে, ‘আমাদের আন্দোলনের ভয় দেখাচ্ছেন।’

‘আর আমি কে, এখন সেটা তোদের দেখাচ্ছি হারামজাদা।’ এই কথা বলে তিনি এক ‘মন্ত্রীকে’ ফোন করেন । ফোনে তাকে হয়রানি করার কথা বলেই তার ফোন তুলে দেন পুলিশ সদস্যের হাতে  কথা বলার জন্য। তারপরও তিনি পুলিশকে পরিচয়পত্র দেখাননি ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সুপার ১০ টিমের সাথে ৭ডিসিসির এক বছর পূর্তি উদযাপন


আবু হানিফ, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ০৯ জুলাই, ২০২২, ১১:৪৫
সুপার ১০ টিমের সাথে ৭ডিসিসির এক বছর পূর্তি উদযাপন

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

গণিতের প্রতি যেন গ্রামের ছেলেমেয়েরা ভয় ভীতি না পায়, সেজন্য সহজ বোদগম্যভাবে করতে অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন শরীয়তপুরের ছেলে সবুজ। শিক্ষার্থীদের মনোযোগ যেন গণিতের প্রতি বাড়ে, সেজন্য কুইজ, আইকিউ টেস্ট এবং লজিক পাজলের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা শেখান। রীতিমতো এক অন্যরকম আনন্দদায়ক ক্লাস করান তরুন সবুজ। গনিতকে জনপ্রিয় করতেই ২০২১ সালের ৮ জুলাই প্রতিষ্ঠা করেন ৭ ডিসিসি। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সুপার ১০ সদস্যের নিয়ে কাশেমপুর কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্টে গতকাল ৮ জুলাই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।

৭ডিসিসি এর প্রতিষ্ঠাতা সবুজ আহমেদ বলেন, আজ থেকে ঠিক এক বছর আগে ১০ জন সুপার লেভেলের বাচ্চা নিয়ে শুরু করেছিলাম আমার এই সুপার ১০ অলিম্পিয়াড টিম এবং ৭ডিসিসি এডুকেশনাল প্লাটফর্ম।

এই টিমের ১০ জন সদস্যকে তখন  কয়েক ধাপে বাছাই করে নেওয়া হয়েছিল। এদের আইকিউ লেভেল এনাফ গুড। সেই শুরু থেকেই এখন অব্দি এদেরকে আমি গাইড করে আসছি।প্রবলেম সলভিং, ছোট খাটো আইকিউ টেস্ট এগুলা প্রায় সময়ই টিমের সদস্যরা প্রাকটিস করে। টিমের ১০ জনের মধ্যে ৫ জন কলেজ স্টুডেন্ট, ৩ জন এস এস সি ক্যান্ডিডেট, ১ জন ক্লাস ১০ এবং ১ জন ক্লাস ৯ এর শিক্ষার্থী।

সুপার ১০ এর বৈশিষ্ট্যঃ
১.এরা সিনিয়র জুনিকয়র সবাই একসাথে একই ধাপের প্রব্লেম সলভ করে।
২.একজনের প্রব্লেম সলভিং ক্যাপাবিলিটি  দেখে অন্যজন মোটিভেট হয়।
৩.টিম আকারে প্রব্লেম সলভ করে।
৪.একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে, ছুটিকালীন সময়গুলাতে সবাই গণিত বিজ্ঞান প্রাকটিস করে।

এই যে এত এত কিছু করা হয়, এতে কিন্তু কারো কখনো মন খারাপ হয় না, কারো কখনো ক্লান্তিভাব আসে না, ইভেন কারো একাডেমিক এডুকেশনেও প্রভাব পড়ে না। যার শিক্ষক যত ভালো সে তত বেশি এগিয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক।

তরুন শিক্ষার্থী সবুজ বলেন, সুপার ১০ টিম এবং ০৭ডিসিসি এর ১ বছর সেলিব্রেশন করলাম আমরা। সবাই যাতে ফ্রেশ মন নিয়ে পুরো উদ্যমে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে, সেকারনে সুপার ১০ অলিম্পিয়াড টিমকে  অনেকেই সাপোর্ট করতে  এগিয়ে আসছেন।

সবুজ আরো বলেন, আমাদের সুপার ১০ এর জন্য আমেরিকা থেকে গিফট মেহেদী হাবিব এর পক্ষ থেকে উপহার এসেছে। তিনি ভবিষ্যতে আমাদের সব রকম সাহায্য করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

সবুজ  বলেন, মেহেদী ভাই আরো একটা মহৎ  কাজের আইডিয়া দিয়েছেন সুপার ১০ এর মতো সুবিধাবঞ্চিত এবং একটু পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে এইবার কাজ শুরু করতে বললেন।

যাদের দিকে সমাজ কিংবা কোনো সংগঠন তাকায় না, এমন ২০ জন বাচ্চা নিয়ে, অতি শীগ্রই আমি আরেকটা টিম করতে যাচ্ছি, যার নাম  হবে, ‘ডিটারমাইন্ড ২০’।
আশা করি, সমাজের সুধীমহল, স্কলার এবং শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা বরাবরের মতো আমার এই টিম গুলাকে সাপোর্ট করবেন।

গণিতপ্রেমী সবুজ বলেন, গত বছর ০৭ডিসিসি গণিত অলিম্পিয়াড  এ লোকাল গভঃ এবং প্রয়াস সংগঠন আমাকে সাপোর্ট  করেছেন।

এইবার সুপার ১০ অলিম্পিয়াড টিমকে সাপোর্ট করতেছেন আমেরিকা থেকে মেহেদী হাবিব। আশা করি, মেহেদী ভাইকে সামনের সকল কাজে পাশে পাব। উনি একজন বাস্তববাদী শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি। এলাকার শিক্ষার্থীদের নিয়ে সারাজীবন চিন্তা ভাবনা করেন।বিদেশে থেকেও যে, আমাদের এই ছোট্ট কাজকে সাপোর্ট করতেছেন, এটা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।

পরিশেষে সবাইকে গণিতপ্রেমে এগিয়ে আসার আহবান জানালেন তরুন এই সবুজ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

তামিম-শান্ত নৈপূণ্যে প্রথম দিন বাংলাদেশের


ক্রীড়া ডেস্ক:
বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১, ০৯:০৩
তামিম-শান্ত নৈপূণ্যে প্রথম দিন বাংলাদেশের

ফাইল ছবি

নাজমুল হাসান শান্তর প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি সাথে তামিম ইকবাল ও অধিনায়ক মুমিনুল হকের দায়িত্বশীল ব্যাটিং প্রথম টেস্টের প্রথম দিনটি নিজেদের করে নিল টিম টাইগার দিন শেষে মাঠে অপরাজিত ছিল নাজমুল শান্ত ১২৬* রানে এবং অধিনায়ক মুমিনুল হক ৬৪* রানে। 

সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়েও উইকেট বিলিয়ে ৯০ রানে থামেন তামিম। এ নিয়ে ২য় বারের মত ৯০ এর ঘরে আউট হলে বাংলাদেশের এই ড্যাশিং ওপেনার। এমন চার টেস্টের মধ্যে তিনটিতে যারা আগে ব্যাট করেছে তারাই জয়ী হয়েছে। সে বিবেচনায় টসটা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একের পর এক ব্যর্থতার বৃত্তে থাকা বাংলাদেশ অধিনায়ক টসে জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্তকে কার্যকর করেন ব্যাটসম্যানরা। এদিকে ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে অভিষেক হওয়া প্রতিভাবান বা বাঁহাতির ব্যাটসম্যান নাজমুল শান্ত  বিরূপ কন্ডিশনে হঠাৎ খেলতে নেমে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি কিন্তু  শান্ত প্রতি আস্থা হারায়নি নির্বাচকরা। 

আজ ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে দিনটাই নিজের করে নিলেন এই বাহাতি ব্যাটসম্যান। টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দিনের শুরুতে দলীয় ৮ রানে ব্যক্তিগত ০ রানে সাইফ হাসানের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায়, তবে সে ধাক্কা সামলে নিয়েছেন তামিম-শান্তর ১৪৪রানের জুটি। 

দিনের দ্বিতীয় ওভারেই শ্রীলঙ্কার একমাত্র সফল বোলার বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরেন সাইফ।এর পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শান্ত যোগ করেন ১৪৪ রান দলীয় ১৫২ রানে সেঞ্চুরি থেকে ১০ রান দূরে থাকতে আউট হন মি.খান সাহেব।তামিম আউট  হবার আগেই ফিফটি তুলে নেন শান্ত।পরে  অধিনায়ক মুমিনুল হককে নিয়ে চা বিরতির আগে দলীয় খাতায় যোগ করেন ৪৮ রান। তবে চা বিরতির পরের সেশনে কোন উইকেটই হারায়নি বাংলাদেশ। শান্তের সাথে পাল্লা দিয়ে রান বাড়াতে থাকেন মুমিনুলও। 

৭৪তম ওভারের পঞ্চম বলে চার হাঁকিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। এক হাতে ব্যাট অন্য হাতে হেলমেট উঁচিয়ে মাথা নিচু করে ড্রেসিংরুমে দিকে উদ্দেশ্য উদযাপন করলেন নিজের সেঞ্চুরি। ২৩৫ বলে ১২ চার ১ ছক্কায় সেঞ্চুরিতে পৌঁছানো এই বাঁহাতি দিনশেষে অপরাজিত ২৮৮ বলে ১৪ চার ১ ছক্কায় ১২৬ রানে। মুমিনুল করেন ১১৭ বলে ৫ চারে ক্যারিয়ারের ১৪ তম ফিফটি করেন ১৫০ বলে ৬৪ রান। 

দিন শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় শান্ত বলেন, গত কয়েক মাসে সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং আমি রান করছিলাম না, তবে আমি জানতাম যে আমি যদি ঘুরে দাড়াই এবং আমার প্রাকৃতিক খেলা খেলি তবে আমি স্কোর করতে পারি এবং আমি সত্যিই খুশি। 

মানসিকভাবে আমি খুব ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করছি এবং এটি আমাকে অনেক সহায়তা করেছে। আজ আমি ব্যাটিংয়ের সময় অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছিলাম এবং কখন এবং কোথায় স্কোর করব সে সম্পর্কে খুব বেশি ভাবছিলাম না, আমার চিন্তার প্রক্রিয়াটি কেবল বলটি দেখার এবং সেই অনুসারে খেলতে হবে। আমাদের ভাল ব্যাট করতে হবে।
প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের স্কোর: ৩০২/২ (৯০), তামিম ৯০, সাইফ ০, শান্ত ১২৬*, মুমিনুল ৬৪*; বিশ্ব ১৭-২-৬১-২।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - অন্যান্য

সর্বোচ্চ পঠিত - অন্যান্য

অন্যান্য এর সব খবর