a
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার রানীগাঁও ইউপি’র উত্তর বড়জুষ কালিয়া গ্রামের কৃষক কাইয়ুম ড্রাইভারের গোয়াল ঘরে দেওয়া ধোয়ার আগুনে পুড়ে ৪টি গরু, ২৪টি হাঁস ও ৩টি ভেড়া সহ ১টি ঘর পুড়ে ছাই হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার উত্তর বড়জুষ গ্রামের কাইয়ুম ড্রাইভার তার বাড়িতে আলাদা একটি গোয়ালঘরে মশা তাড়ানোর জন্য খড় দিয়ে ধোয়া দিয়ে গোয়ালঘর তালাবদ্ধ করে রেখে চলে যান। কিছুক্ষণের মধ্যেই উক্ত ধোয়া থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহুর্তে আগুনের লেলিহান শিখায় তালাবদ্ধ গোয়ালঘরে থাকা ৩১টি প্রাণীসহ পাশে থাকা ১টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আগুনের লেলিহান শিখা দেখে পার্শ্ববর্তী বাড়িঘরের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে আপ্রাণ চেষ্টা করে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ৪টি গরু, ২৪টি হাঁস ও ৩টি ভেড়া এবং ১টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়।
শিক্ষার্থীদের জন্য হেলথ কার্ড ও ভ্যাক্সিন প্রদানের দাবিসহ মোট ৪ দফা দাবি নিয়ে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) সংসদ। বাংলাবাজার মোড়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই মৌন মানবন্ধন করে ছাত্র ইউনিয়ন জবি সংসদের নেতৃবৃন্দ।
মানবন্ধনে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীরা প্লেকার্ডে তাদের চারটি দাবি তুলে ধরেন। সকল শিক্ষার্থীর জন্য হেলথ কার্ড প্রদান করতে হবে, শিক্ষার্থীদের করোনার ভ্যাক্সিন প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে, লকডাউনে শ্রমজীবি মানুষের আর্থিক দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে এবং শ্রমিক হেনস্থা বন্ধ করতে হবে, কথায় কথায় রিক্সা উল্টানো যাবেনা ইত্যাদি দাবি তুলে ধরেন।
এ ব্যাপারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি কে এম মুত্তাকী বলেন, শিক্ষার্থীদের দ্রুত করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অপরিকল্পিত লকডাউনের ফলে শ্রমজীবী মানুষের আয় নেমে গেছে প্রায় শ্যূন্যের কোটায়। এই অবস্থায় দ্রুত নিম্নআয়ের মানুষদের আর্থিক দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই শ্রমিকদের হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে। নিতান্তই পেটের দায়ে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষরা খাদ্যের নিশ্চয়তা তো পাচ্ছেই না, রিক্সাওয়ালাদের রিক্সা উল্টিয়ে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন অংকের জরিমানাও করা হচ্ছে। সকল প্রকার শ্রমিক হেনস্থা বন্ধ করতে হবে।
ফাইল ছবি
দোনবাস অঞ্চলের যুদ্ধবিধ্বস্ত বাখমুত শহর এখন ৭৫ ভাগ রুশ সেনাদের হাতে বলে জানান ওই অঞ্চলের প্রধান নেতা দেনিস পুশিলিন। সোমবার রাশিয়ার পক্ষ থেকে নিয়োগ করা দোনবাস অঞ্চলের প্রধান নেতা এই দাবি করেছেন।
গত কয়েক মাস ধরে বাখমুত শহর ছিল রাশিয়ার সেনাদের হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু। এই শহরের ওপর রাশিয়া ব্যাপকভাবে হামলা চালিয়ে শহরটি দখলের চেষ্টা করলেও তাতে পুরোপুরি সফল হতে পারেনি তারা। দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেনের সেনারা এ শহরের মধ্যে অবরুদ্ধ অবস্থায় প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছিল। শহরটির বেশিরভাগ অধিবাসী এরইমধ্যে অন্যত্রে চলে গেছে।
বর্তমানে বাখমুত শহরের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অংশবিশেষ সফরের পর পুশিলিন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল রসিয়া-২৪কে এসব কথা বলেন। তবে তিনি সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে বলেন, এই শহরের পূর্ণাঙ্গ পতনের বিষয়ে এখনই কোনো কথা বলা যাবে না।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়া দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলকে নিজের ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব অঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকা ইউক্রেনের দখলে রয়েছে। সেক্ষেত্রে বাখমুত শহর দখল করা রাশিয়ার জন্য এখন বেশ জরুরি হয়ে পড়েছে। শহরটি দখল করতে পারলে রুশ সেনাদের মনোবল অনেক বেড়ে যাবে এবং তাদের সামনে এগিয়ে যাওয়া সহজ হবে।
অন্যদিকে কৌশলগত দিক দিয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ না হলেও বাখমুত শহরের সম্ভাব্য পতনকে ইউক্রেন তাদের জন্য বড় রকমের আঘাত বলে বিবেচনা করছে সব পক্ষ। সূত্র: সিএনএন