a
ছবি সংগৃহীত
আগামীকাল শুক্রবার শুরু হচ্ছে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে প্রথম পর্বের তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা। ইতিমধ্যে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ইজতেমাস্থলে আসতে শুরু করেছেন। শুক্রবার বাদ ফজর থেকে ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অনানুষ্ঠাকিভাবে আজ বৃহস্পতিবার বাদ আসর থেকে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার কাজ শুরু হবে।
প্রথম পর্বের ইজতেমায় মাওলানা জুবায়ের অনুসারী মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করছেন। তারা ইজতেমা ময়দানে জেলাওয়ারি নির্দিষ্ট খিত্তা অনুসারে অবস্থান নিচ্ছেন। বিদেশি মুসল্লিদের জন্য ময়দানের পশ্চিমাংশে টিনের ছাউনিযুক্ত বিশেষ কামরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইজতেমা ময়দান ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হচ্ছে নির্দিষ্ট পয়েন্টগুলোতে। ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সড়ক-মহাসড়কে যানজট নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রস্তুত করা হয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্প ও হাসপাতালের অতিরিক্ত বেড ও পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স। ইজতেমায় আসা-যাওয়ার জন্য পাঁচ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে। র্যাবের পক্ষ থেকে আকাশে হেলিকপ্টার টহল দেবে। সিসি ক্যামেরা ও সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ার থেকে মনিটরিং করা হবে সবার গতিবিধি।
এদিকে ৪ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের জোবায়েরপন্থি মুসল্লিদের অংশগ্রহণে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমা। চার দিন বিরতির পর ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে দিল্লির নিজামউদ্দিন মারকাযের অনুসারী (সা’দ পন্থি) মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেবেন। ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে। সূত্র: ইত্তেফাক
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সিয়াম, বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা: মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস সোসাইটি ও সার্ক কালচারাল ফোরামের আয়োজনে ঢাকায় একটি অভিজাত হোটেলে অত্র সংগঠনের সভাপতি এটিএম মমতাজুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন বিচারপতি সিকদার মকবুল হক। প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহীদুল হারুন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ মোঃনাজির উদ্দিন মোল্লা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রমজানের শিক্ষা আমরা কাজে লাগাই না, অথচ রমজান আমাদের মানুষের পাশে দাঁড়াতে শিক্ষা দেয় এবং অন্যের দুঃখে দুঃখ প্রকাশ করতে হয়।প্রধান অতিথি সাবেক মন্ত্রী নাজিম উদ্দীন আল আজাদ বলেন দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে সকল মহলকে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট লোকদের মহান স্বাধীনতা দিবস পদক প্রদান করা হয়। এতে সলভার এগ্রো ফার্মার ম্যানেজিং ডিরেক্টর আঃ সাত্তারসহ প্রায় ১০ জনকে মহান স্বাধীনতা দিবস স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করা হয়।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস-২০২৫ উপলক্ষ্যে রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) আজ ০৮ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে জাতীয় প্রেস ক্লাবের দ্বিতীয় তলায় তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে একটি র্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মাননীয় সচিব জনাব মোঃ সাইদুর রহমান । বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা সেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক জনাব মোঃ সাইদুর রহমান খান এবং নারী সংষ্কার কমিশনের সদস্য ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. হালিদা হানুম আখতার। এছাড়া বক্তাগণ জাতীয় পর্যায়ে প্রবীণ সুরক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে প্রবীণদের নেতৃত্ব, অংশগ্রহণ ও অবদানের গুরুত্ব তুলে ধরেন ।
আলোচনা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) এর নির্বাহী পরিচালক জনাব আবুল হাসিব খান । প্রকল্প সমন্বয়কারী খন্দকার রিয়াজ হোসেন এর সঞ্চালনায় অনেক অতিথিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
বিশেষ অতিথি হিসাবে সমাজসেবা সেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক জনাব মোঃ সাইদুর রহমান খান বলেন, প্রবীণদের আয় নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবায় অভিগম্যতা বাড়ানো ও উন্নয়নে প্রবীণ নারীর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার উদ্যোগ আমরা ইতিমধ্যেই নিয়েছি। প্রবীণদের সামাজিক সুরক্ষা ও উন্নয়নে আমরা সর্বোচ্চ কাজ করছি। যে সকল প্রবীণ সরকারি বয়স্ক ভাতার বাইরে আছেন তাদের জন্য আয়-উৎপাদন, ঋণ, স্বাস্থ্য সেবা ও সামাজিক সুরক্ষার জন্য বাস্তবমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে সরকারি বরাদ্দ ধীরে ধীরে বাড়ছে। বাংলাদেশের প্রবীণরা সামাজিক সুরক্ষা খাতের অংশ হিসেবে বয়স্ক ভাতার আওতায় এসেছে। এই খাতে ক্রমবর্ধমান হারে বরাদ্দ বাড়ানোসহ উন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রবীণদের অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে সকল অংশীজনদের সাথে রিক একযোগে কাজ করে চলেছে। এই বিষয়ে সচেতনতাসহ অন্যান্য উদ্যোগ বাড়ানোর জন্য রিক বেশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এজন্য আমাদের অধিদপ্তর দিকে রিককে বিশেষ অভিনন্দন এবং শুভকামনা জানাচ্ছি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মাননীয় সচিব জনাব মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে প্রবীণদের কল্যাণে যে সকল নীতিমালা হয়েছে, যেমন- জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা- ২০১৩, পিতামাতার ভরণপোষণ আইন-২০১৩, জাতীয় প্রবীণ কমিটি-২০১৭। এ সকল নীতিমালার সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে যাতে প্রবীণদের জীবনে বিস্তৃত সুফল বয়ে আনে সেই লক্ষ্যে রিক বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে। একইসাথে, প্রবীণদের জন্য সমন্বিত সামাজিক-অর্থনৈতিক সুযোগ প্রসারিত করা ও সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যেন প্রবীণরা বাধাহীনভাবে যুক্ত হতে পারে তার জন্যও রিক কাজ করছে। এজন্য তারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। আমাদের মন্ত্রণালয়ের থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা থাকবে এই বিষয়ে।
আজকের অনুষ্ঠানের সভাপতি, রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) এর নির্বাহী পরিচালক জনাব আবুল হাসিব খান বলেন- প্রবীণরা সমাজের এক অভিজ্ঞ জনগোষ্ঠী, যারা ইতিমধ্যেই সমাজে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে, এখন সমাজ ও রাষ্ট্রের বড় দায়িত্ব হলো- দেশের সার্বিক উন্নয়নে তাদের অভিজ্ঞতাকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো। রিক মনে করে- প্রবীণ নারী-পুরুষসহ সকল বয়সীদের অংশগ্রহণে কেবলমাত্র একটি সম্মিলিত টেকসই সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব, যার ফলশ্রুতিতে সমাজের অসহায় ও পিছিয়ে পড়া প্রবীণ জনগোষ্ঠী আর্থিক ও সামাজিকভাবে স্বচ্ছল থাকবে, সময়মত সুচিকিৎসা পাবে এবং সর্বোপরি তাদের সামাজিক সুরক্ষা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সফল বাস্তবায়ন ঘটবে।
০১ অক্টোবর, ২০২৫ জাতিসংঘের ৩৫তম আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস। প্রতি বছর প্রবীণদের বৈশ্বিক প্রেক্ষিতকে সামনে রেখে সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালিত হয়ে আসছে। এ বছরের প্রবীণ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হল: ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কর্মকান্ডে প্রবীণরা মূল চালিকাশক্তি: আমাদের আকাঙ্খা, আমাদের সমৃদ্ধি, আমাদের অধিকার'। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল প্রবীণ জনগোষ্ঠী আজ এমন এক বৈশ্বিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে যেখানে উন্নয়নে তাদের ভূমিকাকে, এমনকি তাদের অধিকারকেও যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। এই পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের এবারের প্রবীণ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়টি সময়োপযোগী। এতে করে বৈশ্বিকভাবে প্রবীণদের ভূমিকাকে স্বীকৃতিদান ও সহযোগিতা করা সম্ভব হবে। প্রবীণদের নিয়ে জাতিসংঘ ২০০২ সালের মাদ্রিদ ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যান অব অ্যাকশন (এমআইপিএএ) সম্মেলন থেকে গৃহীত আন্তর্জাতিক কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে প্রবীণদের সার্বিক উন্নয়ন এবং অগ্রগতি পর্যালোচনা করে আসছে। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে ৮১টি রাষ্ট্র সম্মিলিতভাবে প্রবীণদের মানবাধিকারকে আন্তর্জাতিক আইনের অংশ হিসেবে প্রস্তাব গ্রহণ করে । বিশ্বের প্রায় ১.২ বিলিয়ন প্রবীণের জীবনে এই প্রস্তাবের প্রভাব পড়বে। বর্ধিষ্ণু প্রবীণ জনসংখ্যার অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বাড়বে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে প্রবীণদের ভূমিকা স্বীকৃত হবে। শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থায় প্রবীণদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হবে।
রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) বাংলাদেশে বিগত ৩৫ বছর ধরে প্রবীণদের জীবনমান উন্নয়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয়ভাবে প্রবীণ ইস্যুকে সরকারের নীতিমালায়, সুশীল সমাজের কর্মকান্ডে এবং পারিবারিক ও সামাজিক পরিসরে গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরার কাজে রিক সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করে আসছে। একই সাথে জাতীয় কর্মকান্ডের সাথে আন্তর্জাতিক কর্মসূচির মেলবন্ধন ঘটিয়ে চলেছে। রিক নিজেদের প্রবীণ বিষয়ক কাজের পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে জাতিসংঘ ঘোষিত সকল দিবস যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের শহর এবং গ্রামীণ প্রবীণদের নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে পালন করে থাকে। রিকের সম্পৃক্ততার কারণে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান এই প্রবীণ জনগোষ্ঠীর প্রতি আজ সরকারি-বেসরকারি সংস্থার নজরে এসেছে।