a আজ পবিত্র আশুরা
ঢাকা সোমবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আজ পবিত্র আশুরা


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪, ১০:১৬
আজ পবিত্র আশুরা

 
আজ পবিত্র আশুরা। সৃষ্টির শুরু থেকে নানা ঘটনার কারণে হিজরি মহররম মাসের দশম দিনটি তাৎপর্যপূর্ণ। সবশেষ ফোরাত নদীর তীরে কারবালার প্রান্তরে শেষ নবি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত হোসাইন (রা.)-এর শাহাদত বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের কাছে শোক ও ত্যাগের মহিমাময় অনুষজ্ঞ। এ দিনটিতে বিশ্বের মুসলমানদের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও নামাজ-রোজাসহ বিভিন্ন নফল ইবাদত করে থাকেন। শিয়া সম্প্রদায় তাজিয়া মিছিল বের করে থাকে। দিনটি উপলক্ষ্যে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজন করেছে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল।

মহান আল্লাহতায়ালা এ দিনেই আরশ, কুরসি, লওহ, কলম, আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন। এদিনেই আদমকে (আ.) সৃষ্টি করেছেন। পরে শয়তানের প্ররোচনায় তিনি ভুল করলে এদিনেই তাকে দুনিয়ায় পাঠিয়ে দেন, পরে তাকে তার প্রতিনিধি নির্বাচিত করেন। হজরত নূহ (আ.) ৯৫০ বছর ধরে তাওহিদের বাণী প্রচারের পর যখন সেই যুগের মানুষ আল্লাহর বিধিনিষেধ পালনে অস্বীকৃতি জানায়, তখন নেমে আসে আল্লাহর গজব। আশুরার দিনেই হজরত ইব্রাহিম (আ.) শত বিধিনিষেধের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছেন। মূসা (আ.)-এর নেতৃত্বে বনি ইসরাইলকে ফেরাউনের কবল থেকে আল্লাহ রক্ষা করেন এদিনে।

হজরত হোসাইন (রা.) অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গিয়ে সেদিন কারবালা প্রান্তরে পরিবার-পরিজন নিয়ে শাহাদতবরণ করেছিলেন। রাসুল (সা.)-এর প্রতিষ্ঠিত ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং তার সাহাবিদের প্রবর্তিত খেলাফতি শাসনব্যবস্থা অক্ষুণ্ন রাখার সংগ্রামে তিনি শাহাদতবরণ করেন। কারবালার ঘটনা আমাদের অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে আপসহীনভাবে সংগ্রাম করার কথাই শিক্ষা দেয়।

ইবাদত : হাদিসে এসেছে, আশুরার রোজা পালনে বিগত এক বছরের গুনাহ মাফ হয়। ইসলামের প্রাথমিক যুগে মহররম মাসে রোজা ফরজ ছিল। দ্বিতীয় হিজরি সনে রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার বিধান নাজিল হলে রোজা ঐচ্ছিক হিসাবে বিবেচিত হয়। আশুরা দিবসে রোজা পালনের জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) নির্দেশ দিয়েছেন। সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত-তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রমজানের পর সর্বাধিক উত্তম রোজা হলো মহররম মাসের রোজা। এই রোজা রাখার ফজিলত এক বছরের গুনাহ মাফ এবং আরও উল্লেখ আছে এই রোজার আগে বা পরে আরেকটি রোজা রাখা।  সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

রমজান মাসে শায়েস্তাগন্জে মৃত বাবার অছিয়তে ১২ শতাংশ জমিতে মসজিদ নির্মাণ


মুজিবুর, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩, ১০:৪২
রমজান মাসে শায়েস্তাগন্জে মৃত বাবার অছিয়তে ১২ শতাংশ জমিতে মসজিদ নির্মাণ

ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

শায়েস্তাগন্জ,পচ্শিম বিরামচর জগন্নাথপুরে জমির মালিক ছিলেন আব্দুল গফুর মিয়া। তিনি মারা যাওয়ার পূর্বে ১২ শতাংশ জমি মসজিদের জন্য দান করে যান। নিকটে কোন মসজিদ না থাকায় তার বড় ছেলে মোহাম্মদ সৈয়দ মিয়া রমজান মাসে এলাকার মানুষের নামাজের ব্যবস্থা করতে দ্রুত সময়ে মসজিদটি নির্মাণ কাজে সহযোগিতা করেন।

শায়েস্তাগঞ্জ পশ্চিম বিরামচর জগন্নাথপুর উক্ত মসজিদটি মাত্র চারদিনে নির্মাণ করা হয়। এলাকাবাসী জানায়, অনেক দূরে আল ফালাহ নামে একটা মসজিদ আছে, সেখানে বয়স্ক মুসুল্লীসহ সব ধরণের নামাজী ব্যক্তিদের নামাজ পড়া অসুবিধা হচ্ছিল। এলাকার মানুষের এধরণের সমস্যা সমাধানে পবিত্র রমজান মাসে মরহুম আব্দুল গফুর মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ সৈয়দ মিয়া ও এলাকার যুবকদের কায়িক পরিশ্রমে মাত্র ৪ দিনে ২২ মার্চে মসজিদের কাজ সম্পন্ন করে উক্ত মসজিদে তারাবি নামাজেরও ব্যবস্থা করা হয়।

অত্র এলাকার প্রবাসীরা মসজিদটি নির্মাণে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন বলে এলাকাবাসী জানান। অত্র মসজিদ নির্মাণে অনেকে টাকা-পয়সা, আবার অনেকে দিন-রাত শ্রম দিয়ে দ্রুততম সময়ে আল্লাহর ঘর মসজিদটি নির্মাণে সহযোগিতা করেন।

এদিকে বিরামচর এলাকার সন্তান শায়েস্তাগন্জ পৌরযুবলীগের সভাপ্রতি  মসজিদ নির্মাণ কাজের জন্য স্থানীয় এমপির বরাবর দরখাস্ত করেছেন, যাতে সরকার তথা ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে কিছু সাহায্য সহযোগিতা পাওয়া যায়।

এলাকাবাসী আশা করছেন, রমজানের পর পর সকলের সম্মিলিত সহযোগিতায় মসজিদটির বিল্ডিং-এর কাজ শুরু করা হবে ইনশাল্লাহ্।

মসজিদটির জমি বরাদ্দের পর অস্থায়ীভাবে অর্থাৎ আপাতত বাঁশ, টিন দিয়েই মসজিদটি সম্পন্ন করা হয়, যাতে রমজান মাসের ওয়াক্তের নামাজ ও তারাবি  নামাজ চালিয়ে নেওয়া যায়। আর এব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন মোহাম্মদ সৈয়দ মিয়া, মুজিবুর রহমান, মো. হাবিবুর, মো. জিয়াউর, আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ সৈয়দ মিয়া, মির হোসেন, মোহাম্মদ ইউনুছ আলী, শহিদ মিয়া জুবায়েল, ফজুলুল হকসহ অনেকে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ইরানের সঙ্গে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক আবারও স্বাভাবিক: হতাশায় ইসরাইল-আমেরিকা!


খোরশদ আলম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৬:৫১
ইরানের সঙ্গে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক আবারও স্বাভাবিক: হতাশায় ইসরাইল-আমেরিকা!

ছবি সংগৃহীত

পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে হঠাৎ উত্তেজনা বাড়ার কারনে মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্বে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বেড়ে গেলেও আমেরিকা ও ইসরাইল ভেতরে ভেতরে পাকিস্তানকে উসকানি দিয়ে যাচ্ছিল এবং মজাই পাচ্ছিল। বিশ্বের কিছু প্রভাবশালী দেশগুলোর কূটনৈতিক কূটচালে দূ'দেশের সম্পর্ক প্রায় স্বাভাবিক পর্যায়ে।

কয়েক বছর সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েল হামলা চালিয়ে আসছে। বিশেষ করে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হঠাৎ হামলার পর ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরানের উপর ইসরায়েলসহ পশ্চিমারা বেজায় চটেছে। কারণ তাদের ধারণা, ইরানের বলেই হামাস ও ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা আজ এতো শক্তিশালী অবস্থায় পৌঁছেছে। তাই কোন শক্তিশালী দেশকে দিয়ে ইরানকে ব্যস্ত রাখতে পারলে ইসরায়েল বা পশ্চিমা শক্তিশালী দেশগুলো ইরানকে ধরাশায়ী করার সহজ হবে। তবে ইরান-পাকিস্তানের হঠাৎ স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরি হওয়ায় পশ্চিমাদের জন্য তাদের আশা গুড়েবালি হতে যাচ্ছে। এই মূহুর্তে ভঙ্গুর অর্থনীতি পাকিস্তান আর্থিক বা শামরিক সহযোগিতা ফিলিস্তিনীদের করতে না পারলেও তাদের লজিষ্টিক সাপোর্ট থাকলেই পশ্চিমাদের জন্য বড় মাথার ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

সর্বশেষ খবরে জানা যায়, টেলিফোনে কথা বলার পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবুদল্লাহিন সন্ত্রাস দমনে নিবিড় সমন্বয় ও পারস্পরিক উদ্বেগের বিভিন্ন বিষয়ে শক্তিশালী অবস্থান নেওয়ার বিষয়ে একমত হন। ইসলামাবাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত উভয়ের কথোপকথন থেকে জানা গেছে, এ দু’জন পরিস্থিতি শান্ত করার বিষয়েও একমত হয়েছেন।

এদিকে সিরিয়ায় আবারও ইসরায়েল হামলার ফলে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। খবর বিবিসি।

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের মতে, এই হামলার জন্য দায়ী ইসরায়েল এবং তিনি দাবি করেন, এতে চারজন সামরিক উপদেষ্টার পাশাপাশি সিরিয়ার অনেক বাহিনী নিহত হয়েছেন। হামলার বিষয়ে ইসরায়েল চিরাচরিত নিয়মে কোনো মন্তব্য করেনি। কয়েক বছর ধরে ইসরায়েল সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত লক্ষ্যবস্তুতে উপর্যপুরি হামলা চালিয়ে আসছে। বিশেষ করে, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ ধরনের হামলা আরও তীব্রতর হয়েছে। ফলে এই মূহুর্তে ইরান-পাকিস্তানের উত্তেজনা নিরসনটাই বেশি দরকার ছিল বলে বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন।


লেখক: খোরশেদ আলম, সম্পাদক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - ধর্ম