a কাবা শরিফের হাজরে আসওয়াদের প্রথম রহস্যময় ছবি প্রকাশ
ঢাকা বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

কাবা শরিফের হাজরে আসওয়াদের প্রথম রহস্যময় ছবি প্রকাশ


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বুধবার, ০৫ মে, ২০২১, ০৯:০৫
কাবা শরিফের হাজরে আসওয়াদের প্রথম রহস্যময় ছবি প্রকাশ

ছবি: আল অ্যারাবিয়া


প্রথমবারের মতো কাবা শরিফে অবস্থিত হাজরে আসওয়াদের (পবিত্র কালো পাথর) স্ফটিক স্বচ্ছ ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (৩ মে) সৌদি তথ্য মন্ত্রণালয় ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ‘জান্নাতি’ পাথর হাজরে আসওয়াদের সবচেয়ে স্বচ্ছ ছবি প্রকাশ করে। 

আল অ্যারাবিয়ার খবরে বলা হয়েছে— কোভিডের সময় হাজরে আসওয়াদের কাছে ভিড় নেই। এ সুযোগে সৌদি সরকারের দুই পবিত্র মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সির ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ হাজরে আসওয়াদ বা ব্ল্যাক স্টোনের ছবি নিয়েছে। একেকটি ছবি তৈরি করতে ৭ ঘণ্টা সময় লেগেছে। প্রতিটি ছবি ছিল ১৬০ গেগাবাইটের এবং অবিশ্বাস্য ৪৯ হাজার মেগাপিক্সেলের। 

তারপর ফোকাস স্ট্যাকিং নামে একটি কৌশল ব্যবহার করে ছবিগুলো শার্প করতে ৫০ ঘণ্টা লেগেছে। বিভিন্ন ফোকাস পয়েন্টের সঙ্গে একাধিক ফটো একত্রিত করে, ডিজিটাল ফটোগ্রাফিতে ফোকাস স্ট্যাকিং করা হয়। 

৪ মে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সৌদি তথ্য মন্ত্রণালয় এই ছবিগুলো প্রকাশ করে। এখন যে কেউ প্রথমবারের মতো একটি বর্ধিত ডিজিটাল ফটোতে পাথরটিকে খুব কাছ থেকে এবং ব্যক্তিগতভাবে দেখতে পাবেন। 

‘হাজরে আসওয়াদ’— কাবাঘরের দেয়ালে বিশেষভাবে স্থাপনকৃত একটি পাথরের নাম। আরবি ‘হাজর’ শব্দের অর্থ পাথর আর ‘আসওয়াদ’ শব্দের অর্থ কালো। অর্থাৎ কালো পাথর। ‘হাজরে আসওয়াদ’ বেহেশতের মর্যাদাপূর্ণ একটি পাথর। হজযাত্রীরা হজ করতে গিয়ে এতে সরাসরি বা ইশারার মাধ্যমে চুম্বন করে থাকেন।

রাসুলের নবুয়তপূর্ব সময়ে কাবা পুনর্নির্মাণের পর হাজরে আসওয়াদ আগের স্থানে কে বসাবেন—এটি নিয়ে কোরাইশদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেধেছিল। তখন মহানবী (সা.) নিজের গায়ের চাদর খুলে তাতে হাজরে আসওয়াদ রেখে সব গোত্রপ্রধানকে চাদর ধরতে বলেন। 

গোত্রপ্রধানরা চাদরটি ধরে কাবা চত্বর পর্যন্ত নিয়ে গেলে নবী করিম (সা.) নিজ হাতে তা কাবার দেয়ালে স্থাপন করেন এবং দ্বন্দ্বের পরিসমাপ্তি ঘটান।

আবদুল্লাহ ইবনে জুবাইর (রা.)-এর শাসনামলে হাজরে আসওয়াদ ভেঙে তিন টুকরো হয়ে গিয়েছিল। ফলে তিনি তা রূপা দিয়ে বাঁধাই করেছেন। আর তিনিই সর্বপ্রথম হাজরে আসওয়াদকে রূপা দিয়ে বাঁধানোর সৌভাগ্য অর্জনকারী। এই পবিত্র পাথরের দৈর্ঘ্য ৮ ইঞ্চি ও প্রস্থ ৭ ইঞ্চি। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সুরা ইখলাস পাঠের ৭ পুরস্কার: মুফতি ইবরাহিম সুলতান


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:৩৮
সুরা ইখলাস পাঠের ৭ পুরস্কার মুফতি ইবরাহিম সুলতান

ফাইল ছবি

 

নিউজ ডেস্ক: পবিত্র কোরআনের ১১২ নম্বর সুরা ইখলাস। এটি ইসলামের প্রাথমিক সময়ে অবতীর্ণ হয়েছে। এই সুরার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে, শিরক থেকে মুক্ত হয়ে তাওহিদ তথা একত্ববাদে বিশ্বাসী হওয়া। আর এই মর্মার্থের ভিত্তিতেই সুরাটির নাম করা হয় ‘ইখলাস’।

কোরআন মাজিদের গুরুত্বপূর্ণ এই সুরা পাঠ করলে তিলাওয়াতকারীর জন্য রয়েছে বেশ কিছু পুরস্কারও। নিম্নে এর কয়েকটি উল্লেখ করা হলো—
 
জান্নাতে বিশেষ প্রাসাদ নির্মাণঃ
মুআজ ইবনে আনাস জুহানি (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস ১০ বার পড়বে আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করবেন। এ কথা শুনে উমর ইবনে খাত্তাব (রা.) বলেন, তাহলে তো আমরা অনেক প্রাসাদের অধিকারী হয়ে যাব (অর্থাৎ অধিক হারে এই সুরা পাঠ করব। ফলে আল্লাহ আমাদের অনেক প্রাসাদ দান করবেন)।

রাসুল (সা.) বললেন, আল্লাহ তাআলার দান আরো প্রশস্ত, আরো উৎকৃষ্ট। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৫৬১০)

কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ সওয়াবের পুরস্কারঃ
একাধিক হাদিস শরিফে এসেছে, সুরা ইখলাস কোরআন মাজিদের তিন ভাগের এক ভাগের সমান মর্যাদা রাখে। যে ব্যক্তি একবার এই সুরা তিলাওয়াত করবে সে কোরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশের সওয়াব লাভ করবে। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে রাতে বারবার সুরা ইখলাস পড়তে শুনেছেন।
অতঃপর সকালে নবী (সা.)-কে এ বিষয়টি অবহিত করা হয়। তখন নবী (সা.) বলেন, ওই সত্তার শপথ! যার কুদরতি হাতে আমার জীবন, অবশ্যই এ সুরা কোরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশের সমান। (বুখারি, হাদিস : ৫০১৩)

আল্লাহর ভালোবাসা লাভঃ
মুমিনের জীবনের সবচেয়ে বড় আরাধনা আল্লাহ তাআলার নৈকট্য ও ভালোবাসা অর্জন করা। যারা সুরা ইখলাস বেশি বেশি পাঠ করবে তারা আল্লাহর নৈকট্য ও ভালোবাসা অর্জন করতে পারবে। আয়েশা (রা.) বলেন, একবার রাসুল (সা.) কিছু সাহাবিকে যুদ্ধে পাঠালেন। তাদের একজনকে সেনাপতি নিযুক্ত করলেন। তিনি যুদ্ধকালীন দীর্ঘ সময়ে শুধু সুরা ইখলাস দিয়ে নামাজ পড়িয়েছেন। যুদ্ধ থেকে ফেরার পর সাহাবিরা নবী (সা.)-কে বিষয়টি জানান। তখন নবী (সা.) তাদের বলেন, তোমরা তাকে জিজ্ঞেস করো—কেন সে এরূপ করেছে? সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলে সেনাপতি জবাব দিলেন, এ সুরায় আল্লাহর গুণাবলি বর্ণিত হয়েছে। তাই আমি এ সুরাকে ভালোবাসি। নবী (সা.) তখন সাহাবিদের বলেন, তোমরা তাকে বলো, আল্লাহও তাকে ভালোবাসেন। (বুখারি, হাদিস : ৭৩৭৫)
 
সুরা ইখলাস পাঠে ক্ষমার ঘোষণাঃ
আবুল হাসান মুহাজির (রহ.) বলেন, জনৈক সাহাবি বর্ণনা করেছেন, তিনি নবীজির সঙ্গে এক সফরে ছিলেন। (একদিন তাঁর কাছে এমনভাবে বসা ছিলেন যে) তার হাঁটু দুটি নবীজির হাঁটুদ্বয়ের সঙ্গে লেগে ছিল। এ অবস্থায় এক লোককে শুনলেন, সুরা কাফিরুন তিলাওয়াত করছে। তা শুনে নবী (সা.) বললেন, সে শিরক থেকে পবিত্র হয়ে গেছে। আরেক লোককে শুনলেন, সুরা ইখলাস তিলাওয়াত করছে। তখন তিনি বলেন, তাকে মাফ করে দেওয়া হয়েছে। (সুনানে দারেমি, হাদিস : ৪৩৬৯)

সুরা ইখলাস পাঠে জাহান্নাম থেকে মুক্তিঃ
নবীজি (সা.)-এর যুগে এক সাহাবি মসজিদে কোবায় ইমামতি করার সময় প্রতি রাকাতে আবশ্যিকভাবে সুরা ইখলাস পড়তেন। নবীজি তাকে ডেকে জানতে চাইলেন, প্রতি রাকাতে আবশ্যিকভাবে সুরা ইখলাস পড়ার কারণ কী? সাহাবি জবাব দিলেন, আমি সুরা ইখলাসকে মহব্বত করি। তার জবাব শুনে নবী (সা.) বললেন, সুরা ইখলাসের প্রতি তোমার এই মহব্বত তোমাকে জান্নাতে দাখিল করবে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৯০১)

জান্নাত লাভের সুসংবাদঃ
আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, আমি নবীজির কাছে বসা ছিলাম। এক লোক এসে বলল, আমার এক ভাই এই সুরা (সুরা ইখলাস) পড়তে ভালোবাসে। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘তোমার ভাইকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও।’ (আলকামেল, ইবনে আদি : ২/৩৯০)

জানাজায় ফেরেশতার আগমনঃ
মুআবিয়া ইবনে মুআবিয়া (রা.) ইন্তেকাল করলে ৭০ হাজার ফেরেশতাসহ জিবরিল (আ.) নবীজির কাছে আগমন করেন। নবী (সা.) জিবরিল (আ.) ও এই সব ফেরেশতাকে নিয়ে তার জানাজায় শরিক হন। নামাজ শেষ হলে নবীজি জিজ্ঞেস করলেন, হে জিবরিল! কোন আমলের মাধ্যমে মুআবিয়া ইবনে মুআবিয়া মুজানি এই উচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছে?

জিবরিল (আ.) জবাবে বলেছেন, এই মর্যাদা লাভের কারণ হলো, সে দাঁড়িয়ে, বসে, হেঁটে হেঁটে, সওয়ারিতে তথা সর্বাবস্থায় সুরা ইখলাস তিলাওয়াত করত। (মুজামে কাবির : ৮/১১৬)

আল্লাহ আমাদের বেশি বেশি সুরা ইখলাস পাঠের তৌফিক দান করুন। আমিন

 

সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আফ্রিকার আরেক দেশ গ্যাবনে সফল সেনা অভ্যুত্থান, ক্ষমতা দখল


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ৩০ আগষ্ট, ২০২৩, ১২:২৮
আফ্রিকার আরেক দেশ গ্যাবনে সফল সেনা অভ্যুত্থান, ক্ষমতা দখল

ফাইল ছবি

নাইজারের পর এবার আফ্রিকার আরেক দেশ গ্যাবনে সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার এ ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীর একটি দল। সম্প্রতি মধ্য আফ্রিকার দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য হয়নি জানিয়ে ক্ষমতা দখলের ঘোষণা দেয় সেনাবাহিনী।

স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন গ্যাবন-২৪ এ উপস্থিত হয়ে একদল উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা জানান, তারা নির্বাচন বাতিল করেছে পাশাপাশি সমস্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং দেশের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সরাসরি সম্প্রচারে সামরিক কর্মকর্তারা বলেন, “গ্যাবোনিজ জনগণের নামে, আমরা বর্তমান শাসনের অবসান ঘটিয়ে শান্তি রক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা আরও জানান, তারা গ্যাবনের সমস্ত নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওপর প্রতিনিধিত্ব করছে।

অন্যদিকে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং এএফপি গ্যাবোনের রাজধানী লিব্রেভিলে গোলাগুলির শব্দ পাওয়ার খবর জানিয়েছে। রয়টার্সের একজন প্রতিবেদক জানান, টেলিভিশনে সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত হওয়ার পর রাজধানী লিব্রেভিলে বন্দুকযুদ্ধের বিকট শব্দ শোনা যায়। যদিও ওপেক-সদস্য দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

গত শনিবার দেশটিতে নির্বাচনের পর থেকেই অস্থিরতা ও উত্তেজনা চলছিল। নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের অভাব, ভোট গ্রহণের পরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা এবং সারাদেশে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করার কারণে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে তখন।

গ্যাবনে বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে প্রেসিডেন্ট আলি বঙ্গ অন্দিম্বা। তার বাবার তৈরি বঙ্গো গ্যাবোনিজ ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিজি) মাধ্যমে ১৯৬৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত শাসন করেছেন ওমর বোঙ্গো। তার মৃত্যুর পর ২০০৯ সাল থেকেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আছেন আলি বঙ্গ অন্দিম্বা।

সম্প্রতি পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারেও সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের ঘটনা ঘটে। দেশটিতে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টকে মোহাম্মদ বাজোমকে ক্ষমতাচ্যূত করে সেনা শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়। সূত্র: রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান, ফ্রান্স২৪, বিবিসি

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - ধর্ম