a
ছবি: আল অ্যারাবিয়া
প্রথমবারের মতো কাবা শরিফে অবস্থিত হাজরে আসওয়াদের (পবিত্র কালো পাথর) স্ফটিক স্বচ্ছ ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (৩ মে) সৌদি তথ্য মন্ত্রণালয় ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ‘জান্নাতি’ পাথর হাজরে আসওয়াদের সবচেয়ে স্বচ্ছ ছবি প্রকাশ করে।
আল অ্যারাবিয়ার খবরে বলা হয়েছে— কোভিডের সময় হাজরে আসওয়াদের কাছে ভিড় নেই। এ সুযোগে সৌদি সরকারের দুই পবিত্র মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সির ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ হাজরে আসওয়াদ বা ব্ল্যাক স্টোনের ছবি নিয়েছে। একেকটি ছবি তৈরি করতে ৭ ঘণ্টা সময় লেগেছে। প্রতিটি ছবি ছিল ১৬০ গেগাবাইটের এবং অবিশ্বাস্য ৪৯ হাজার মেগাপিক্সেলের।
তারপর ফোকাস স্ট্যাকিং নামে একটি কৌশল ব্যবহার করে ছবিগুলো শার্প করতে ৫০ ঘণ্টা লেগেছে। বিভিন্ন ফোকাস পয়েন্টের সঙ্গে একাধিক ফটো একত্রিত করে, ডিজিটাল ফটোগ্রাফিতে ফোকাস স্ট্যাকিং করা হয়।
৪ মে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সৌদি তথ্য মন্ত্রণালয় এই ছবিগুলো প্রকাশ করে। এখন যে কেউ প্রথমবারের মতো একটি বর্ধিত ডিজিটাল ফটোতে পাথরটিকে খুব কাছ থেকে এবং ব্যক্তিগতভাবে দেখতে পাবেন।
‘হাজরে আসওয়াদ’— কাবাঘরের দেয়ালে বিশেষভাবে স্থাপনকৃত একটি পাথরের নাম। আরবি ‘হাজর’ শব্দের অর্থ পাথর আর ‘আসওয়াদ’ শব্দের অর্থ কালো। অর্থাৎ কালো পাথর। ‘হাজরে আসওয়াদ’ বেহেশতের মর্যাদাপূর্ণ একটি পাথর। হজযাত্রীরা হজ করতে গিয়ে এতে সরাসরি বা ইশারার মাধ্যমে চুম্বন করে থাকেন।
রাসুলের নবুয়তপূর্ব সময়ে কাবা পুনর্নির্মাণের পর হাজরে আসওয়াদ আগের স্থানে কে বসাবেন—এটি নিয়ে কোরাইশদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেধেছিল। তখন মহানবী (সা.) নিজের গায়ের চাদর খুলে তাতে হাজরে আসওয়াদ রেখে সব গোত্রপ্রধানকে চাদর ধরতে বলেন।
গোত্রপ্রধানরা চাদরটি ধরে কাবা চত্বর পর্যন্ত নিয়ে গেলে নবী করিম (সা.) নিজ হাতে তা কাবার দেয়ালে স্থাপন করেন এবং দ্বন্দ্বের পরিসমাপ্তি ঘটান।
আবদুল্লাহ ইবনে জুবাইর (রা.)-এর শাসনামলে হাজরে আসওয়াদ ভেঙে তিন টুকরো হয়ে গিয়েছিল। ফলে তিনি তা রূপা দিয়ে বাঁধাই করেছেন। আর তিনিই সর্বপ্রথম হাজরে আসওয়াদকে রূপা দিয়ে বাঁধানোর সৌভাগ্য অর্জনকারী। এই পবিত্র পাথরের দৈর্ঘ্য ৮ ইঞ্চি ও প্রস্থ ৭ ইঞ্চি। সূত্র: যুগান্তর
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বর্বর হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৯ মার্চ) মাগরিবের নামাযের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে মিছিলটি শুরু হয়। পরবর্তীতে মিছিলটি বাহাদুর শাহ পার্ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বর এলাকায় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, বিশ্ব মুসলিম ঐক্য কর ফিলিস্তিন স্বাধীন কর, ট্রাম্পের ২ গালে, জুতা মারো তালে তালে, একশন টু একশন, ডাইরেক্ট একশন ইত্যাদি স্লোগান দেন।
মিছিল শেষে সমাবেশে জবি ছাত্রশিবির এর সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বলেন- ❝যখন ফিলিস্তিনে মুসলমানরা মারা যায়, যখন ফিলিস্তিনের শিশুদের বুকে আঘাত করা হয়, তখন আমাদের কলিজায় আঘাত করার মত কষ্ট আমরা অনুভব করি। আমি আমাদের দেশের যুব সমাজসহ পুরো পৃথিবীর যুবসমাজের কাছে আহবান জানাই, তোমরা যদি এখনও ঘুমিয়ে থাকো তোমরা যদি বদরের হাতিয়ার কে বিক্রি করে তসবির দানার ভিতর ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাও তাহলে সারা জীবন আমাদেরকে মার খেয়ে যেতে হবে। এখন সময় এসেছে আবার তোমাকে বদরের হাতিয়ার নিয়ে জেগে উঠতে হবে।❞
ইসলামি ছাত্র আন্দোলনে জবি শাখার সভাপতি বলেন-❝বিশ্ব মুসলিমকে ঐক্য করতে হলে প্রত্যেকটা মুসলিম দেশকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যদি ইসলামি নেতৃত্ব প্রতিটা দেশে দেশে শক্তি সঞ্চয় করতে পারে তাহলে ইসরাইলের বুকে চূড়ান্ত আঘাত হানতে সক্ষম হব।❞
গনতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সংগঠক ফয়সাল মুরাদ বলেন- ❝আমার ভাইয়েরা আমার বোনেরা ছোট ছোট শিশুরা অনাহারে বিনা চিকিৎসায় থাকার পর তাদের উপর আবার বোমা নিক্ষেপ করা হয়৷ আমাদের মুসলিম বিশ্বের প্রত্যেকটা ভাই বোনের বুকে রক্ত ক্ষরন হয়। ইহুদিদের, ইসরাইলের আমেরিকার এই বর্বর আচরনের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। আমার ফিলিস্তিনি ভাই বোনদেরকে রক্ষা করার জন্য পুরো বিশ্বকে উদাত্ত আহবান জানাই।❞
সংগৃহীত ছবি
এক পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে চুরি করতে ঢুকে এসি চালিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন এক চোর। এরপর সকালে ঘুম থেকে উঠে ওই কর্মকর্তা চোরটিকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে গ্রেফতার করেন। ঘটনাটি ঘটেছে থাইল্যান্ডে।
রোববার (২৮ মার্চ) ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকা এ খবর নিশ্চিত করে জানায়, থাইল্যান্ডে ওই ২২ বছর বয়সী সন্দেহভাজন এক যুবক বেশ খানিকক্ষণ ধরেই স্থানীয় ফেচাবুন এলাকায় চুরির মতলবে ঘুরছিলেন। অবশেষে রাত ২টার দিকে তিনি এক পুলিশ অফিসারের বাসায় চুরির উদ্দেশ্যে প্রবেশ করেন। তবে, বাড়িতে ঢুকে চুরির আগে এসি চালিয়ে বিশ্রাম করতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আরও জানায়, চোরটি যেই ঘরে ঘুমিয়েছিল সেই ঘরটি ওই অফিসারের মেয়ের। ওই সময় ঘরে তার মেয়ে ছিলেন না বিধায় সকালে উঠে তাঁর মেয়ের ঘরের এসি চালু দেখে অবাক হন ওই অফিসার। এরপর ঘরে প্রবেশ করে লেপ তুলতেই ধরা পড়ে চোর। ঘুম থেকে জোরে ডেকে তুলতেই কিছুক্ষণের জন্য স্তম্ভিত হন ওই যুবক। কালবিলম্ব না করে যুবকের হাতে হাতকড়া পরিয়ে দেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
এক পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে চুরি করতে ঢুকে এসি চালিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন এক চোর। এরপর সকালে ঘুম থেকে উঠে ওই কর্মকর্তা চোরটিকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে গ্রেফতার করেন। ঘটনাটি ঘটেছে থাইল্যান্ডে।
রোববার (২৮ মার্চ) ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকা এ খবর নিশ্চিত করে জানায়, থাইল্যান্ডে ওই ২২ বছর বয়সী সন্দেহভাজন এক যুবক বেশ খানিকক্ষণ ধরেই স্থানীয় ফেচাবুন এলাকায় চুরির মতলবে ঘুরছিলেন। অবশেষে রাত ২টার দিকে তিনি এক পুলিশ অফিসারের বাসায় চুরির উদ্দেশ্যে প্রবেশ করেন। তবে, বাড়িতে ঢুকে চুরির আগে এসি চালিয়ে বিশ্রাম করতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আরও জানায়, চোরটি যেই ঘরে ঘুমিয়েছিল সেই ঘরটি ওই অফিসারের মেয়ের। ওই সময় ঘরে তার মেয়ে ছিলেন না বিধায় সকালে উঠে তাঁর মেয়ের ঘরের এসি চালু দেখে অবাক হন ওই অফিসার। এরপর ঘরে প্রবেশ করে লেপ তুলতেই ধরা পড়ে চোর। ঘুম থেকে জোরে ডেকে তুলতেই কিছুক্ষণের জন্য স্তম্ভিত হন ওই যুবক। কালবিলম্ব না করে যুবকের হাতে হাতকড়া পরিয়ে দেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা।