a
ফাইল ছবি
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৪৪ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক বিক্রেতাকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে বুধবার (৮ মার্চ) সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাশেদুল হক এর নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর তদন্ত গোলাম মোস্তফা ও এসআই লিটন রায়, এএসআই আব্দুর রহিমসহ একদল পুলিশ উপজেলার আহমদাবাদ ইউনিয়নের গাদিশাল জনৈক ছাবু মিয়া ওরফে আঃ কুদ্দুছের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নারীসহ দুইজনকে আটক করা হয় ।
আটককৃতরা হলেন: গাদিশাল গ্রামের ছাবু মিয়া ওরফে আঃ কুদ্দুছের স্ত্রী পারভীন আক্তার(৪০), একই ইউনিয়নের নালুয়া চা-বাগান পশ্চিম টিলার মৃত জয়নাল মুন্ডার পুত্র সাধন মুন্ডা (৪০)। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টেরপেয়ে তাদের সহযোগী দুই মাদক কারবারি পালিয়ে যায়। পরে জনৈক ছাবু মিয়া ওরফে আঃ কুদ্দুছের পশ্চিম ভিটের চার চালা টিনের ঘরের খাটিয়ার নিচে এবং একই ঘরের গোয়াল ঘরের কক্ষে মজুদ করে রাখা ৪৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। সকাল ১০ টায় এ তথ্য নিশ্চিত করে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: রাশেদু হক জানান, গোপনে সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি বিক্রয়ের জন্য বিপুল পরিমাণ গাঁজা মজুদ করে রাখা হয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ার দিয়ে বলেন, মাদক কারবারি যেই হোক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এধরনের অভিযান অব্যাহত আছে।
ছবি সংগৃহীত:
রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরের কচুক্ষেত এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন দিয়েছে আন্দোলনরত পোশাক শ্রমিকরা।
আজ ৩১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই এলাকায় যান চলাচল ২ ঘন্টায় বন্ধ ছিল।
জানা গেছে, বিভিন্ন দাবিতে ডাইনা নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা রাস্তায় নামেন। এ সময় পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলন থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং এক পর্যায়ে তারা সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি ও পুলিশের একটি লেগুনাতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজি গোলাম মোস্তফা এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দু’টি পরিবহনে অগ্নিসংযোগ করেছে পোশাক শ্রমিকরা। এ ঘটনার পর পুলিশ ও সেনা সদস্যরা তাদের ছত্রভঙ্গ করার উদ্যোগ নেয়। ঘটনার পর দমকল বাহিনীর দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গাড়ির আগুন নেভানোর কাজ করছে।
স্থানীয়দের মতে, এই সঙ্ঘাত প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে। ফলে দুই ঘণ্টার জন্য যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সূত্র: নয়াদিগন্ত
ফাইল ছবি
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় প্রতিবাদে নেমেছে পরিবহন সেক্টরগুলো। ফলে বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি পর্যন্ত চলেনি রাজধানীসহ সারাদেশে। এতে জনজীবনে অসহনীয় ভোগান্তি ও দুর্দশা নেমে আসে।
বাস মিনিবাস না চলার কারণে সারাদেশ অচল হয়ে পড়ে। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ট্রাক ভ্যানের দেখাদেখি সারাদেশে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় এদিন কার্যত হরতালের রূপ নেয়। শুধু বাস বন্ধ থাকার খেসারত দিতে হয়েছে লাখ লাখ বেকার শিক্ষার্থীকে।
শুক্রবার বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারী নিয়োগ পরীক্ষা থাকায় তাদের দুর্বিষহ ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। অনেকেই ঢাকায় আসতে না পারায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। এ ধরনের ধর্মঘটে জনজীবনে ভোগান্তির পাশাপাশি কাঁচাবাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
গতকাল শুক্রবার যেই চিত্র দেখা গেছে- আজ শনিবার তা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে অনেকে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা আঁচ করে শুক্রবারেই সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে আগামীকাল রবিবার পরিবহন নেতাদের সঙ্গে জরুরী বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। তিনি পরীক্ষার্থী ও জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে সকল স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বাস্তবভিত্তিক মূল্য সমন্বয়ের মাধ্যমে জনগণের ওপর বাড়তি চাপ সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বাসও দেন।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতিও জানিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের ডাকা যে কোন বৈঠকে বসতে প্রস্তুত। সংগঠনের সভাপতি এনায়েত উল্লাহ খন্দকার বলেছেন, সরকারের ডাকের অপেক্ষায় রয়েছি। তেলের দাম না কমানো পর্যন্ত মালিকরা গাড়ি চালাবেন না। তবে এই ধর্মঘট কাল রবিবার পর্যন্ত চলবে।
যদিও আমরা কোন ধর্মঘটের ঘোষণা দেইনি-কিন্তু মালিকদের সেন্টিমেন্টের সঙ্গে আমরা একমত ও সংহতি প্রকাশ করছি।
এদিকে সাধারণ নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত নাগরিকদের ভোগান্তি তৈরি ছাড়া আর কিছুই না। তেলের মূল্য প্রত্যাহার বা স্থগিত করার কথা বললেও অন্তরালে আছে ভাড়া সমন্বয় করার কৌশল। পরিবহন মালিকদের উদ্দেশ্য ও স্বার্থ হয়তো রক্ষা হবে কিন্তু সাধারণ নাগরিকদের জীবনযাত্রা ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। আমরা তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল এবং পণ্য পরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিন সকাল থেকেই দেখা যায়, রাজধানীসহ সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখেন মালিক-শ্রমিকরা। দিনের শুরুতেই সড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। অথচ পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়নি। অর্থাৎ ঘোষণা ছাড়াই শুক্রবার সকাল থেকে চলছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট।
তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে শুধু ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়। গন্তব্যের উদ্দেশে সড়কের বিভিন্ন মোড়গুলোতে অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা। কিন্তু কোন বাস না পেয়ে রিক্সা-সিএনজি কিংবা প্রাইভেটকার ভাড়া করে বাড়তি টাকা খরচ করে ছুটছেন অনেকে।