a
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের দ্বারোদঘাটন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার(১৬ মার্চ) বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগমর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে দুপুর ১:৩০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সদস্য বৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টার্স ইউনিটি, প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির সদস্য ও হলে সিট প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্যায়ে প্রধান অতিথি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়েছিলেন । তিনি বলেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়েও বিশ্ববিদ্যালয়টি দুরন্ত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনের জন্য জমি বরাদ্দ দিয়েছে। আশাবাদী, শীঘ্রই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি আধুনিক ক্যাম্পাস ও রোল মডেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।
এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোঃ ইমদাদুল হক। তিনি বলেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবারের মতো একটি ছাত্রী হলের উদ্বোধনের মাধ্যমে ছাত্রীদের আবাসিক সংকট দূর করতে পেরেছি। যদিও আমরা সব শিক্ষার্থীদের হলে থাকার সুযোগ দিতে পারেনি।
বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম বলেন- দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর শেষে আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শুভ দ্বারোদঘাটন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হল উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু করেছি। এই হলের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয় ও কোষাধ্যক্ষ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ আমাকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, হলের পরিবেশ রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব তোমাদের। আমি তোমাদে হলে উঠাতে পেরে খুবই আনন্দিত। আগামীকাল (১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে শিক্ষার্থীরা ধাপে ধাপে হলে উঠতে পারবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাএলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক জনাব এস. এম. আকতার হোসাইন বলেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হল পাওয়ার পেছনে রয়েছে এক ইতিহাস। এই হল আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ পুলিশের লাঠিচার্জ উপেক্ষা করে কাঙ্খিত হল আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল। তৎকালীন হল আন্দোলনে সাবেক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্বরূপ আজকের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল। একপর্যায়ে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ১৬ তলা বিশিষ্ট হলে নেই কোন প্রহরী, নেই কোনো রেজিস্ট্রার অফিস, নেই অফিস সহায়ক কর্মকর্তা এভাবে একটা বিশ্ববিদ্যালয় হল চলতে পারে না।
ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম ফরাজী বলেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক যে কালিমালিপ্ত ছিল তা আজ থেকে আর থাকবে না। হল পাওয়ার পেছনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কর্মীদের অংশগ্রহণ ছিল অনবদ্য। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একটি রোল মডেল বিশ্ববিদ্যালয় পরিচিতি লাভ করবে। বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস দীর্ঘ বছর অতিক্রম হওয়ার পরও কোনো অগ্রগতি নেই। খুব শীঘ্রই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন ও হল নির্মাণের জন্য আবেদন প্রশাসনের নিকট।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্রে নতুন ভবনের ঠিক সামনে অবস্থান করছে "৭১ এর গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি "নামে যে ভাস্কর্যটি অবস্থান তা বাংলাদেশের একমাত্র গুচ্ছ ভাস্কর্য এটি। ভাস্কর্যটির সামনে পেছনে আছে দুইটি অংশ। অত্যন্ত সুনিপুণ হাতে ভাস্কর্যটি তৈরি করেছেন শিল্পী ভাস্কর রাসা।
এই শিল্পকর্মে তাঁকে সহযোগিতা করেছিলেন সহকারী ভাস্কর রাজীব সিদ্দিকী, রুমি সিদ্দিকী, ইব্রাহীম খলিলুর রহমান ও মিয়া মালেক রেদোয়ান। ভাস্কর্যের এক অংশে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ১৯৭১ সালে ২৫ এ মার্চ রাতে ঢাকায় পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরচিত গণহত্যার দৃশ্য। গণহত্যায় নিহত সে সমস্ত ব্যক্তিবর্গের স্মৃতি রক্ষার্থে ভাস্কর্যের এক অংশে নির্মাণ করা হয় ৭১ এর গণহত্যা।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জ্বালাময়ী ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে’। তখন থেকে দেশের তৃণমূল পর্যায়ে দা, ছুরি, বটি, বল্লমসহ নানা ধরনের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সজ্জিত হয় নারী-শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশাজীবীরা।
২৫ মার্চ রাতে গণহত্যার প্রতিশোধ নিতে ও দেশকে শত্রুমুক্ত করতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি। বর্তমান ভাস্কর্যটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সোভা বর্ধনের এক অদ্বিতীয় শিল্পকর্ম। এর চারদিকে আছে পানির ফোয়ারা। পানির ফোয়ারা ছাড়লে নয়নাভিরাম এক দৃশ্যের অবতারণা হয়। রাতের বেলায় রঙ্গিন বাতির আলোয় এর রূপ যেন আরও চমৎকার হয়ে ওঠে। সাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম খান ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ এর শুভ উদ্বোধন করেন।
বর্তমানে ভার্স্কটিকে শান্ত চত্বর নামে অভিহিত করা হয়। শান্ত চত্বর নাম করার পিছনে রয়েছে বিশেষ এক অর্থ। কে এই শান্ত? যার নামানুসারে এই চত্বরের নামকরন করা হলো। মেহেদী আলম শান্ত যিনি ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০০-২০০১ শিক্ষাবর্ষের ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক মেধাবী তরুণ শিক্ষার্থী। মেহেদী আলম শান্তর জন্ম ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটাইল গ্রামে। যিনি ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী। যিনি ২০১০ সালে অকাল মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর নাম অনুসারেই এই ভাস্কর্য অঙ্গণ এর নামকরণ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালেয়র শিক্ষার্থীদের আনাগোনায় সারাক্ষণ মুখরিত থাকে এই চত্বর। নানা ধরনের উৎব অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবেও কাজ করে চত্বরটি। মাঝে মাঝে পর্যটকদের পদাচরাণায় আরও বিকশিত হয় এর সোভা।
ভাস্কর্যটি ঘিরে আছে ২টি শিক্ষাভবনে প্রায় ১২টি বিভাগ। ক্লাসের ফাঁকে অবসর সময় কাটাতে এ সমস্ত বিভাগর শিক্ষার্থীরা এসে এখানে ভিড় জমায়। চলে আড্ডা গল্পও। কেউ আবার ফেসবুক চালাতে কিংবা বই পড়াতে মশগুল থাকে। জবি শান্ত চত্বর সত্যিই যেমনি ঐতিহ্যের ধারক বাহক তেমনি শিক্ষার্থীদের চেতনা ও প্রাণের তারুন্যের জায়গা।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশে যে নিস্তব্ধ নীরবতা বিরাজ করে চলেছে তার মাঝেই প্রাণের তারণায় স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে ভাস্কর্যটি যে এক অনন্য ভালোবাসার জায়গা। করোনা মহামারী পেরিয়ে আবারো মুখরিত হোক জবি, আবার জনসমাগমে উল্লাসিত হোক শান্ত চত্বর। সকল শিক্ষার্থীদের এই প্রত্যাশায়ই কেটে যাচ্ছে মহামারীর দিনগুলো।
ফাইল ছবি। জিয়াউর রহমান
খুব ছোট বেলার কথা। ৭৮ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট কর্তৃক প্রবর্তিত বাংলাদেশ টেলিভিশন আয়োজিত শিশুদের সুকুমার বৃত্তির প্রতিযোগিতা নতুন কুঁড়ির প্রতিযোগী এবং পুরস্কার বিজয়ী ছিলাম। তখনও আমি আমাদের প্রেসিডেন্টকে সরাসরি দেখিনি। এরপর বাংলাদেশ বেতার আয়োজিত একটি মঞ্চানুষ্ঠান হয়। রেডিওতে তো শুধু গান হয়,দেখা যায়না। কিন্তু প্রেসিডেন্ট সাহেব আদেশ দিলেন ঢাকার শাহবাগের রেডিও বাংলাদেশের হোম সার্ভিস এর ভেতরে পেছন দিকের উন্মুক্ত বাগানে একটা মঞ্চানুষ্ঠান করার জন্য। যেখানে উনি উপস্থিত থেকে পুরো অনুষ্ঠান উপভোগ করবেন।
আমরা যারা নিয়মিত রেডিও কলকাকলীতে অংশগ্রহণ করতাম তারাই সে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলাম।প্রায় এক মাস ধরে রিহার্সাল হলো। গ্রামবাংলার মানুষের জীবন যাত্রা নিয়ে একটি নৃত্যনাট্য। অনেক কোরাস ভয়েজ ছিল, বলাই বাহুল্য সেখানে বড় বড় একক গান আমার ভাগে পড়লো এবং অনুষ্ঠানের শুরুতেই নৃত্যনাট্যের অংশ হিসেবে, যেন কেবল ভোর হলো এটা বোঝানোর জন্য ছিল ফজরের আজান।সেই আজান আমাকে দেয়া হলো। আজানের পরেই নাটকের ভেতরে বিবেক এসে গাইতে থাকে "মনরে পথে পথে পথ বাঁধিতে একতারা বাজাই"।সবই আমাকে গাইতে হয়েছে। এরপর পুরো একটা গ্রামীণ গল্প নাচেগানে উপস্থাপিত হলো।
আমাকে অনুষ্ঠানের বড় কেউ একজন ডেকে নিয়ে গিয়ে একদম প্রেসিডেন্ট সাহেব এর সামনে দাঁড় করালেন। আমি বুঝতে পারছিলাম না কি করা উচিত। উনি আমাকে এক হাতে টেনে নিয়ে একদম কাছে দাঁড় করিয়ে সেই বিখ্যাত সুমিষ্ট হাসি দিয়ে বললেন তোমার নাম? এতো সুন্দর নাম কে রাখলেন? তারপর বললেন এতো সুন্দর করে আজান কিভাবে দিলে তুমি! তারপর অনেক দোয়া করলেন। আমার বাবা-মা পাশেই দাঁড়ানো ছিলেন, উনি তাঁদের দিকে তাকিয়ে হেসে হেসে বললেন বাচ্চার যত্ন নেবেন। ও একটা রত্ন। যাইহোক।
এরপর একসময় আমাদের "মাদারটেক আব্দুল আজিজ উচ্চ বিদ্যালয়" এ তিনি এলেন স্কুল পরিদর্শনে। তখনকার দিনেই তিনি আমাদের স্কুলে অনুদান সহ পুরো স্কুলে যাতে এক জায়গা থেকে ক্লাসে ক্লাসে ঘোষণা বা লেকচার শোনা যায় এমন সাউন্ড সিস্টেম মাইক্রোফোন সেট কিনে দিলেন। উনি আসার সাথে সাথে আমার রিহার্সাল করা গান "প্রথম বাংলা আমার শেষ বাংলাদেশ" গাচ্ছিলাম।উনি আমাদের সামনে দিয়ে সহাস্যে ধীরে ধীরে যাচ্ছিলেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা এবং শিক্ষকদের সাথে শেইকহ্যান্ড করতে করতে। আমার দিকে চোখ পড়তেই উনি চেনা একটা হাসি দিলেন, মানে উনি আমাকে দেখেই চিনেছেন এই মেয়েটিই সেই কনকচাঁপা এবং আমাদের প্রধান শিক্ষক কে জিজ্ঞেস করলেন যে কনকচাঁপা আপনার স্কুলে পড়ে? ভাবা যায়! একজন দেশের প্রেসিডেন্ট! তাঁর এতো তুচ্ছ বিষয় মনে রাখার ব্যাপারটা আজও বিস্মিত করে আমাকে। ওনার নির্দেশে "পেন পলস" ক্লাব নামক একটি এনজিও শুধু বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করতো। সেখানেও আমি জিয়া শিশু পুরস্কার কয়েকবার পেয়েছি।
পেনপলস ক্লাবের পুরস্কার গুলো অপূর্ব ছিলো। নানান গুনীজনের জীবনীগ্রন্থ শিশুতোষ ভাষায় লেখা বই,একশোটা কাঠপেন্সিল, বিশ দিস্তা কাগজ! এগুলো পুরস্কার এর আইডিয়া ওনারই ছিলো। ওনার নামে "জিয়া পরিষদ" এর নানা কর্মকাণ্ডেও আমি অংশগ্রহণ করেছি।
সোজা কথায় তিনি ছিলেন অসম্ভব শিশুপ্রিয় মানুষ। শিশু-কিশোররা ঠিক ঠাক গড়ে ওঠে কিনা এনিয়ে তাঁর কঠিন নজরদারি ছিল। বিটিভিতে আমাদের অনেক শিল্পীর সাথে জনাব তারেক রহমান ও কোকো রহমান বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট সাহেবের কড়া নির্দেশ ছিলো তাঁর সন্তানদের যেন বিশেষ দৃষ্টিতে না দেখা হয়! তাদের বেশভুষা, তাদের যাতায়াতের যানবাহন খুবই সাধারণ ছিল। তারা দুই ভাই কোন প্রোটোকল ছাড়া বিটিভির গাড়িতে রিহার্সাল এ যাতায়াত করতো।
এই ছিলেন আমাদের শহীদ প্রেসিডেন্ট সমুখভাগের মুক্তিযোদ্ধা শ্রদ্ধার ও ভালোবাসার জিয়াউর রহমান।
মনে পড়ে তাঁর মৃত্যুতে অনেক কেঁদেছিলাম। টিভিতে লাখো মানুষের ঢল আর হৃদয়বিদারক করুণ ধারাবিবরণীতে কেঁদে কেঁদে অস্থির হয়ে গেছিলাম এই কিশোরী আমি!
আমার সেই অনুভূতি আজও তেমনি আছে,থাকবে।
স্রষ্টা, তুমি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান সাহেবকে জান্নাতুল ফেরদৌসের স্থায়ী বাসিন্দা করে নেয়ার অনুগ্রহ করো।
ফেসবুক থেকে সংগৃহীত.../কন্ঠশিল্পী: কনক চাঁপা