a খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন স্মৃতি ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দোয়া ও স্মরণসভা
ঢাকা বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২, ২৫ জুন, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন স্মৃতি ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দোয়া ও স্মরণসভা


আরাফাত, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ১০:৫৭
খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন স্মৃতি ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দোয়া ও স্মরণসভা

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

আরাফাত, বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা: আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত দোয়া ও স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, গত ১৬ বছর মানুষ ভোটের অধিকার পায়নি, সেই অধিকার বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফিরিয়ে দেবে এটাই এদেশের মানুষের প্রত্যাশা। যারা স্বৈরাচারী ছিল তারা পালিয়ে গেছে। কিন্তু তারা এখনো বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে এবং নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করেও যাচ্ছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় এসেই জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল স্মরণ করিয়ে দিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা জনগণের অধিকার বলতে ভোটের অধিকারকে বুঝি। আপনারা অতি দ্রুত নির্বাচনের দিন তারিখ ঘোষণা করুন। তাহলে জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছরের শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ যে আন্দোলন করছিল, সেটির চূড়ান্ত ফসল হচ্ছে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট। ওই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে ও তার সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। এটা গত ১৬ বছরের আন্দোলনের ফসল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, সব সমস্যার সমাধান হবে নির্বাচনের মাধ্যমে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা যে সুফল পেয়েছি, সেটিকে ধরে রাখতে হলে প্রয়োজন নির্বাচন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের উদ্দেশে জয়নুল আবদিন বলেন, আপনাকে তো ১৮ তলা পর্যন্ত হাঁটিয়ে উঠিয়েছে শেখ হাসিনা। আপনিও তো বলেছেন হাসিনা ফ্যাসিস্ট। কিন্তু, ফ্যাসিস্টকে রুখতে এই মুহূর্তে প্রয়োজন ঐক্য। আপনি বলেছেন, আপনি যখন সব দলকে একসঙ্গে দেখেন তখন আপনার নাকি সাহস বেড়ে যায়। আর যখন একা হয়ে যান, তখন নাকি নিরাশ হয়ে যান। নিরাশ হওয়ার কিছু নেই।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, দল হবে, কিংস পার্টি হবে, আরও নতুন দল হবে, তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। আপনি (ড. ইউনূস) বিশ্ব দরবারে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। আপনি কারো কথায় কান না দিয়ে স্পষ্টভাবে একটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের বড় ছেলে ও ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আকবর হোসেন বাবলু। এ সময় খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের অন্যান্য সন্তান ও পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

হিজাব নিষিদ্ধ করায় কলেজ শিক্ষিকা চাকরিই ছেড়ে দিলেন


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০২৪, ০৪:৩২
হিজাব নিষিদ্ধ করায় কলেজ শিক্ষিকা চাকরিই ছেড়ে দিলেন

ফাইল ছবি


হিজাব পরে শ্রেণিতে ক্লাস নেয়া যাবে না- কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন বিধিনিষেধের মুখে চাকরিই ছেড়ে দিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত একটি আইন কলেজের শিক্ষিকা সানজিদা কাদের। তার অভিযোগ, কলেজ গভর্নিং বডি কর্তৃক জারি করা কথিত আদেশটি তার মূল্যবোধ এবং ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

কলেজটিতে হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল গত ৩১ মে। এরপর চাকরিতে ইস্তফা দেন সানজিদা কাদের এবং ৫ জুন থেকে তিনি আর ক্লাস নেননি।

গত মার্চ-এপ্রিল থেকেই হিজাব পরিধান করেই ক্লাস নিচ্ছিলেন সানজিদা। তবে তার কয়েক সপ্তাহ পর হঠাৎ কলেজ কর্তৃপক্ষ জারি করে পোশাক বিধি। ওই শিক্ষিকার অভিযোগ, ক্রমশ পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে, জুন মাসের পাঁচ তারিখ কলেজ থেকে তিনি চাকুরি ছাড়তে বাধ্য হন।

এরপর বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসায় শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। ফলে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করতে বাধ্য হয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরে তারা দাবি করেন, কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমনটি ঘটেছে। কর্তৃপক্ষ এও দাবি করে যে, তারা কখনোই সানজিদা কাদেরকে ক্লাস নেওয়ার সময় কাপড় দিয়ে মাথা ঢেকে রাখতে নিষেধ করেনি।

এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষ গত ১১ জুন সানজিদা কাদেরকে একটি ইমেইল পাঠিয়ে পুনরায় ক্লাস নেওয়ার অনুরোধ জানায়। সেখানে আরও বলা হয়েছে যে, শিক্ষকদের পোশাক বিধি পর্যালোচনা ও মূল্যায়নের পর সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ক্লাস নেওয়ার সময় সানজিদা কাদের দোপাট্টা বা স্কার্ফ ব্যবহার করে মাথা ঢাকতে পারবেন। সূত্র: ইত্তেফাক

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

চীন ৩টি উপায়ে রাশিয়ার অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ০২ মার্চ, ২০২৩, ০৯:৪১
চীন ৩টি উপায়ে রাশিয়ার অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে

ফাইল ছবি

ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পরপরই পশ্চিমা দেশগুলোর নজীরবিহীন অবরোধের মুখে পড়ে রাশিয়া। ফলে বন্ধ হয়ে যায় দেশটির বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড।

তবে রাশিয়ার এই দুঃসময়ে এগিয়ে আসে চীন। রাশিয়ার দক্ষিণের এই প্রতিবশী আগেই ঘোষণা করেছিল যে দুই দেশের বন্ধুত্বের মধ্যে ‘কোনো সীমা নেই’। ফলে পশ্চিমা আর্থিক ব্যবস্থা থেকে বের করে দেওয়ার যে মারাত্মক প্রভাব রাশিয়ার ওপর পড়ার আশঙ্কা ছিল, তা অনেকটাই ফিকে হয়ে আসে।

সিএনএন মতে, দুই দেশের মধ্যে যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, তা আরও একবার সবাইকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতেই গত সপ্তাহে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মস্কোয় সাক্ষাৎ করেন।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে বলেছে যে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগামী এপ্রিল কিংবা মে মাসের শুরুর দিকে মস্কোতে একটি শীর্ষ বৈঠকে বসতে পারেন।

চীন হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পণ্যক্রেতা। অর্থ এবং প্রযুক্তির একটি শক্তিকেন্দ্রও এই দেশ। ফলে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত রাশিয়ার দিকে চীনের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মানেই হলো দেশটির অর্থনীতি ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া। তিনটি উপায়ে চীন এই কাজ করছে।

রাশিয়ার জ্বালানি কিনে নেওয়া:
মস্কোর বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্বের অবরোধের একটি বড় অস্ত্র ছিল রাশিয়ার তেল বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং এরপর তেলের দাম বেঁধে দেওয়া। এর বাইরে ছিল বৈশ্বিক লেনদেনব্যবস্থা সুইফট থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কার এবং দেশের বাইরে থাকা রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদ জব্দ করা।

এসব পদক্ষেপের লক্ষ্য ছিল যুদ্ধের অর্থায়নে রাশিয়ার সক্ষমতা দুর্বল করে ফেলা।
এর প্রভাব কিন্তু ঠিকই পড়েছে। রাশিয়ার অর্থনীতি ২০২২ সালে মন্দার কবলে পড়ে। বিশ্বব্যাংকের সবশেষ হিসাব বলছে, দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ওই বছরে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ কমে যায়।

কিন্তু এই সময়ে উল্টো মস্কোর রাজস্ব বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার সরকার। আর এর কারণ হলো, জ্বালানির উচ্চ মূল্য এবং চীন ও ভারতের মতো ক্রেতা, যারা রাশিয়ার তেল কিনতে আগ্রহী, তাদের কাছে তেল বিক্রির ফলে পাওয়া পয়সা।

ইউরাশিয়া গ্রুপের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক নিল টমাস বলেন, ‘আমরা বলতে পারি, রাশিয়ার যুদ্ধকে আর্থিকভাবে সমর্থন করেছে চীন। তারা রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য জোরদার করার ফলে মস্কোর সামরিক শক্তি কমানোর পশ্চিমা চেষ্টা শেষ পর্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে।’
নিল টমাস আরও বলেন, ‘সি চিন পিং আরও বেশি একঘরে হয়ে পড়া রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে চান।’ তাঁর মতে, মস্কোর এই অবস্থার কারণে চীনের পক্ষে সস্তায় রাশিয়ান তেল কেনা, আধুনিক সামরিক প্রযুক্তি সংগ্রহ করা এবং নিজেদের আন্তর্জাতিক স্বার্থের পক্ষে কূটনৈতিক সমর্থন জোগাড় করা সহজ হয়েছে।

চীন ও রাশিয়ার মধ্যে ২০২২ সালে বাণিজ্য নতুন উচ্চতায় পৌঁছে। এই বছরে দুই দেশের মধ্যে ১৯ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি।

সবচেয়ে বেশি বেড়েছে জ্বালানি তেলের ব্যবসা। গত বছরের মার্চ থেকে ডিসেম্বর সময়ের মধ্যে চীন রাশিয়ার কাছ থেকে ৫ হাজার ৬০ কোটি ডলারের অপরিশোধিত তেল কেনে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেশি। এই সময়ে চীন এক হাজার কোটি ডলারের রুশ কয়লা আমদানি করে। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ছিল ৫৪ শতাংশ।

তবে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি ঘটেছে পাইপলাইনের মাধ্যমে পাওয়া গ্যাস এবং তরলীকৃত গ্যাসের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে। এই সময়ে চীন রাশিয়ার কাছ থেকে ৯৬০ কোটি ডলার দিয়ে এই দুটো পণ্য কেনে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫৫ শতাংশ বেশি।

দুই দেশই এসব কেনাকাটা থেকে লাভবান হয়েছে। রাশিয়ার প্রয়োজন ছিল জীবাশ্ম জ্বালানির জন্য নতুন গ্রাহক। আর চীনের দরকার ছিল সস্তায় জ্বালানি, বিশেষ করে যখন তার অর্থনীতি শ্লথ হয়ে পড়ছিল।

চীন ও রাশিয়া এখন তাদের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণ করতে পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার গ্রাজপ্রম এবং চীনের ন্যাশনাল প্রেট্রোলিয়াম করপোরেশনের মধ্যে একটি চুক্তি, যার আওতায় রাশিয়া আগামী ২৫ বছর চীনের কাছে আরও বেশি গ্যাস সরবরাহ করবে।

পশ্চিমা আমদানির বিকল্প:
চীনের কাছে তেল বিক্রি যেমন চলছে, তেমনই রাশিয়াও চীনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিকস, বিভিন্ন ধরনের ধাতু, যানবাহন, জাহাজ এবং উড়োজাহাজ কিনছে। গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের করা এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

ইউরাশিয়া গ্রুপের নিল টমাস বলেন, চীন যদিও যুদ্ধে রাশিয়াকে সরাসরি সমর্থন জানায়নি, তারপরও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বেড়েই চলবে। কারণ, বেইজিং আসলে সুযোগসন্ধানী।

অন্যদিকে, রাশিয়ারও গাড়ি কিংবা ইলেকট্রনিকসের মতো পণ্যের জন্য বিকল্প উৎস দরকার হয়ে পড়েছিল। তারা আর পশ্চিমা বিশ্ব থেকে এগুলো কিনতে পারছিল না।
আর এ ক্ষেত্রে চীনকে টেক্কা দেওয়ার সামর্থ্য খুব কম দেশেরই রয়েছে, কারণ চীনের রয়েছে বিশাল উৎপাদনব্যবস্থা’, বলেন মস্কো স্টেট ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসের সহযোগী অধ্যাপক আনা কিরিভা।

রাশিয়ার গবেষণা প্রতিষ্ঠান অটোস্ট্যাটের সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, পশ্চিমা বিভিন্ন গাড়ির বিক্রি বন্ধ হওয়ার পর দেশটিতে চীনের ব্যান্ড হ্যাভেল, চেরি এবং গিলির বিক্রি এক বছরে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। এই হার আগামী সময়ে আরও বাড়বে বলেই পূর্বাভাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

২০২১ সালে রাশিয়ার স্মার্টফোনের বাজারের ৪০ শতাংশ ছিল চীনা ব্র্যান্ডের হাতে। এক বছর পর রাশিয়ার স্মার্টফোনের বাজার এখন বলা যায় পুরোটাই চীনের দখলে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট বলছে, রাশিয়ার বাজারের ৯৫ শতাংশ স্মার্টফোনই চীনের তৈরি।

মার্কিন ডলারের বিকল্প:
সুইফট থেকে রাশিয়ার ব্যাংকগুলোকে বের করে দেওয়ার পর ডলার বাদ দিয়ে চীনা মুদ্রা ইউয়ান ব্যবহার করা শুরু করে মস্কো।

চীনের সঙ্গে বাণিজ্য বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়ার কোম্পানিগুলো আরও বেশি করে ইউয়ান ব্যবহার করছে। আনা কিরিভা বলছেন, অবরোধ থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে রাশিয়ার ব্যাংকগুলো আরও বেশি লেনদেন এখন ইউয়ানে করছে।

মস্কো এক্সচেঞ্জকে উদ্ধৃত করে রাশিয়ার গণমাধ্যম জানাচ্ছে যে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে যেখানে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে ইউয়ানের লেনদেন ছিল এক শতাংশের কম, সেখানে নভেম্বরে এটি বেড়ে দাঁড়ায় ৪৮ শতাংশে।

সুইফটের তথ্য বলছে, গত জুলাই মাসে যে তিনটি দেশে ইউয়ানের কেনাবেচা সবচেয়ে বেশি হয়েছিল, রাশিয়া ছিল তাদের একটি। বাকি দুটো ছিল হংকং এবং যুক্তরাজ্য। সেই থেকে এখনো রাশিয়া প্রথম ছয়টি দেশের মধ্যে রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের আগে রাশিয়া শীর্ষ ১৫ দেশের মধ্যেও ছিল না।

রাশিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয় ইউয়ানের রিজার্ভ বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেছে। বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, ২০২৩ সালে রাশিয়া শুধু ইউয়ান কিনবে। আনা কিরিভা বলছেন, আগামীতে রাশিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্য আরও বেশি ডলারবিহীন হবে।

তবে চীন–রাশিয়ার এই অর্থনৈতিক সম্পর্কে যে একেবারে কোনো ঠোকাঠুকি নেই, তা বলা যাবে না।

খবর পাওয়া গেছে যে চীনের লেনদেনব্যবস্থা ইউনিয়নপে রাশিয়ার ব্যাংকগুলো থেকে ইস্যু করা কার্ড গ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছে। রাশিয়ার সংবাদপত্র কোমারসান্ত বলছে, এটা করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অবরোধে পড়ার ভয় থেকে। সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - ধর্ম