a
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
আরাফাত, বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা: আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত দোয়া ও স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, গত ১৬ বছর মানুষ ভোটের অধিকার পায়নি, সেই অধিকার বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফিরিয়ে দেবে এটাই এদেশের মানুষের প্রত্যাশা। যারা স্বৈরাচারী ছিল তারা পালিয়ে গেছে। কিন্তু তারা এখনো বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে এবং নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করেও যাচ্ছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় এসেই জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল স্মরণ করিয়ে দিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা জনগণের অধিকার বলতে ভোটের অধিকারকে বুঝি। আপনারা অতি দ্রুত নির্বাচনের দিন তারিখ ঘোষণা করুন। তাহলে জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছরের শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ যে আন্দোলন করছিল, সেটির চূড়ান্ত ফসল হচ্ছে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট। ওই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে ও তার সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। এটা গত ১৬ বছরের আন্দোলনের ফসল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, সব সমস্যার সমাধান হবে নির্বাচনের মাধ্যমে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা যে সুফল পেয়েছি, সেটিকে ধরে রাখতে হলে প্রয়োজন নির্বাচন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের উদ্দেশে জয়নুল আবদিন বলেন, আপনাকে তো ১৮ তলা পর্যন্ত হাঁটিয়ে উঠিয়েছে শেখ হাসিনা। আপনিও তো বলেছেন হাসিনা ফ্যাসিস্ট। কিন্তু, ফ্যাসিস্টকে রুখতে এই মুহূর্তে প্রয়োজন ঐক্য। আপনি বলেছেন, আপনি যখন সব দলকে একসঙ্গে দেখেন তখন আপনার নাকি সাহস বেড়ে যায়। আর যখন একা হয়ে যান, তখন নাকি নিরাশ হয়ে যান। নিরাশ হওয়ার কিছু নেই।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, দল হবে, কিংস পার্টি হবে, আরও নতুন দল হবে, তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। আপনি (ড. ইউনূস) বিশ্ব দরবারে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। আপনি কারো কথায় কান না দিয়ে স্পষ্টভাবে একটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের বড় ছেলে ও ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আকবর হোসেন বাবলু। এ সময় খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের অন্যান্য সন্তান ও পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।
ফাইল ছবি
অবশেষে জেরুজালেমে তারাবির নামাজ আদায়ে বাঁধা দূর হল। রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর রবিবার সন্ধ্যায় দামেস্ক গেট থেকে ব্যারিকেড তুলে নিতে বাধ্য হয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। খবর হারেৎজ ও ডয়েচে ভেলে’র।
দু’সপ্তাহের পর প্রথমবারের মতো এই এলাকায় তারাবির জামাত আয়োজনের সুযোগ পায় ফিলিস্তিনিরা। ইসলামী প্রভাবশালী নেতাদের আহ্বানের সাড়া দিয়ে অঞ্চলটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার।
এ ঘোষণার পর পরই উল্লাসে ফেটে পড়েন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। রমজান মাসে তারাবি নামাজ আদায়ে পূর্ব জেরুজালেমের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই এলাকা। তবে নামাজ আদায়ে প্রথম থেকেই বাধা সৃষ্টি আসছিল ইহুদি জনগোষ্ঠী।
নামাজ আদায় করতে না পারায় গত তিনদিন বিক্ষোভে উত্তাল ছিল এসব এলাকা। বিক্ষোভ ছড়ায় পশ্চিম তীরসহ অন্যান্য শহরগুলোতেও। বিক্ষোভ থেকে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় জেরুজালেমের দামেস্ক গেট এলাকা।
ফাইল ছবি
পার্বত্য নাগরনো-কারাবাখ প্রজাতন্ত্র বিলুপ্তির ঘোষণা দিয়েছেন স্বঘোষিত নাগরনো-কারাবাখ প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট (অস্বীকৃত) সামভেল শাহরামনিয়ান। এ ঘোষণা আগামী জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
১৯১৭ সালে রুশ সাম্রাজ্যের পতনের পর থেকে নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। ১৯৯০ এর দশকে এক যুদ্ধের মাধ্যমে নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজান থেকে আলাদা হয়ে যায়। এরপর ২০২০ সালে আর্মেনিয়ার সঙ্গে দ্বিতীয় যুদ্ধের মাধ্যমে নাগরনো-কারাবাখের একটা অংশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় আজারবাইজান।
সম্প্রতি সামরিক অভিযান চালিয়ে কারাবাখের বাকি অংশের উপরও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয় আজারবাইজান। এরপর সেখানকার আর্মেনীয় বাসিন্দারা নিরস্ত্র হওয়ার শর্ত মেনে নিয়ে চুক্তি করেছে। এরই ভিত্তিতে স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র বিলুপ্তির ঘোষণা দেওয়া হলো।
প্রজাতন্ত্র বিলুপ্তির ঘোষণা দেওয়ায় নাগরনো-কারাবাখের মানুষেরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে, সব ধরনের নাগরিক সুবিধা পাবে এবং অস্ত্র সমর্পণকারী সেনারাও বিনা বাধায় জীবনযাপন করতে পারবে।
স্যামুয়েল শাহরামানিয়ান জানিয়েছেন, আগামী জানুয়ারি থেকে নাগরনো-কারাবাখ প্রজাতন্ত্রের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না এবং এই প্রজাতন্ত্রের সকল দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানও বিলুপ্ত হয়ে যাবে। সূত্র : সিএনএন/বিডি প্রতিদিন।