a
ফাইল ছবি
জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের (এফএও) আয়োজনে খাদ্য সম্মেলনে যোগ দিতে তিন দিনের সফরে ইতালির রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (২৩ জুলাই) ভোরে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। রোম সফরে দেশটির সঙ্গে দুটি সমঝোতা স্মারক সই করবে বাংলাদেশ।
আগামী ২৪ থেকে ২৬ জুলাই ইতালির রোমে এফএওর আয়োজনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। জাতিসংঘের মহাসচিবের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল এ ফোরামে যোগ দেবেন।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী মাহবুব আলী, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।
গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সফর শেষে আগামী ২৬ জুলাই শেখ হাসিনা ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
ঢাকা ও রাঙামাটি জেলাকে করোনা সংক্রমণে রেড জোন হিসেবে চিহিৃত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া হলুদ জোন বা মধ্যম ঝুঁকিতে রয়েছে ৬টি জেলা। গ্রিন জোনে রয়েছে ৫৪টি জেলা। গত ১ সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরো বলেছে, রাজধানীতে সংক্রমণ হার ১২.৯০ শতাংশ, আর রাঙ্গামাটিতে ১০ শতাংশ।
এছাড়া ইয়োলো জোন বা মধ্যম ঝুঁকিতে আছে সীমান্তবর্তী জেলা যশোর, রাজশাহী, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নাটোর, রংপুর জেলা। আর পঞ্চগড় এবং বান্দরবান জেলায় নমুনা পরীক্ষার হার খুবই কম হয়েছে।
এছাড়া পূর্ববর্তী ৭ দিনের চেয়ে গেলো ৭ দিনে বেড়েছে ১৬৯.১২ শতাংশ বেশি তবে মৃত্যু হার কমেছে ২০ শতাংশ।
এদিকে করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে উন্মুক্ত স্থানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ এবং গণপরিবহনে যাত্রী অর্ধেকসহ ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে গত সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে।
ফাইল ছবি
শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার পর ভারতের সঙ্গে কূটনীতিক টানাপোড়েন চলছে কানাডার। দেশটিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীও। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের সমর্থনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন খুনীদের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে কানাডা।
ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কানাডাকে খুনিদের আশ্রয়স্থলে পরিণত হওয়া উচিত না। খুনিরা কানাডায় গিয়ে আশ্রয় নিতে পারে এবং সেখানে তারা সুন্দর জীবনযাপন করতে পারে। অথচ তারা যাদের হত্যা করেছে, তাদের স্বজনরা কষ্ট পাচ্ছে।’
সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধুর খুনির মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি আরও বিশদভাবে বর্ণনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বিচার বিভাগ খুবই স্বাধীন এবং সরকার এতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তবে, (নূর চৌধুরী) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সুযোগ রয়েছে। তিনি যদি বাংলাদেশে ফিরে আসেন, তাহলে নূর চৌধুরী এবং রশিদ চৌধুরী উভয়েই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন। রাষ্ট্রপতি তাদের প্রাণভিক্ষার আবেদন মঞ্জুর করে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজাও মঞ্জুর করতে পারেন।’
মানবাধিকারের নাম ভাঙিয়ে খুনিদের বাঁচানোর চেষ্টা করার প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে মোমেন বলেন, ‘অনেক সময় অনেকের মাধ্যমেই মানবাধিকারের ধারণার অপব্যবহার করা হচ্ছে। এটি সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক কারণ অনেক সময় খুনি এবং সন্ত্রাসীদের রক্ষা করার জন্য কিছু লোক অজুহাত হিসেবে মানবাধিকারের অজুহাত দেয়।’
সাম্প্রতিক ভারত-কানাডা দ্বন্দ্বকে আপনি কীভাবে দেখেন এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের নিয়ে কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশও একই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে, প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক এবং কানাডার সঙ্গেও আমাদের ভালো সম্পর্ক। দুই দেশই বন্ধু। আমি ভারত এবং কানাডার মধ্যে এই সমস্যাটির বিশদ বিবরণ জানি না তবে কানাডার সঙ্গে আমাদের সমস্যার বিষয়ে আমি জানি। সূত্র: ইত্তেফাক