a
ছবি: ইমরান খান
পাকিস্তানের নির্বাচন হয়েছে বৃহস্পতিবার আর ফলাফল ঘোষণা এখনো সম্পন্ন হয়নি। চলছে সরকার গঠনের জন্য বিভিন্ন দলের দেন দরবার। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের প্রধান ইমরান খানকে এরই মধ্যে ১২ মামলায় জামিন দিয়েছেন ইসলামাবাদের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আদালত (এটিসি)।
শনিবার ইসলামাবাদ এটিসির বিচারক মালিক ইজাজ আসিফ এক শুনানি শেষে এ রায় দিয়েছেন। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের। ইমরান খানের পাশাপাশি তার রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) জ্যেষ্ঠ নেতা শাহ মেহমুদ কুরেশিকেও ১৩ মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছে।
যেসব মামলায় ইমরান ও কুরেশি জামিন পেয়েছেন— সবগুলোই গত ৯ মে দাঙ্গার সঙ্গে সম্পর্কিত। ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজিরা দিতে গিয়ে গত ৯ মে আদালত চত্বরে গ্রেফতার হয়েছিলেন ইমরান খান। তার পর অভূতপূর্ব বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের নেতাকর্মী-সমর্থকরা। পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সেবার সেনানিবাস ও সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনায় হামলার ঘটনা ঘটে।
ইমরান খান যেসব মামলায় জামিন পেয়েছেন, সেগুলোর মধ্যে ১২টি ৯ মে দাঙ্গায় উসকানি সংক্রান্ত; বাকি ২টির মধ্যে একটি পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর জেনারেল হেডকোয়ার্টার (জিএইচকিউ) এবং অপরটি সামরিক বাহিনীর জাদুঘরে হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
আর যে ১৩ মামলায় শাহ মুহম্মদ কুরেশি জামিন পেয়েছেন, সেগুলোর সবই দাঙ্গায় উসকানি সংক্রান্ত।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নির্বাচন হয়েছে গত ৮ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার। অ্যাসেম্বলির মোট আসনসংখ্যা ২৬৬টি। এসব আসনের মধ্যে একটি ব্যতীত বাকি সবগুলোতে নির্বাচনী ভোটগ্রহণ হয়েছে বৃহস্পতিবার।
শুক্রবার রাত পর্যন্ত ২৫২টি আসনের ফল জানা গেছে। সেখানে দেখা গেছে, ৯৯ আসনে জয়ী হয়েছেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, ৭১ আসন পেয়েছে নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫৩ আসন। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে ড্রোন হামলা হয়েছে। শহরের মেয়র জানিয়েছেন, ড্রোন হামলায় হালকা ক্ষতি হয়েছে। তবে কোনো হতাহত হয়নি।
মস্কোর মেয়র সের্গেই সবিনিন মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ভোরে ড্রোন হামলায় কয়েকটি ভবনের হালকা ক্ষতি হয়েছে। শহরের সকল জরুরি পরিষেবা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ গুরুতর আহত হয়নি।’ আল জাজিরার খবরে এই ড্রোন হামলাকে ‘বিরল ঘটনা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ চলছে। মস্কো শহর ইউক্রেন থেকে ১ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হলেও পশ্চিমাদের কাছ থেকে পাওয়া দূরপাল্লার ড্রোন দিয়ে এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে ইউক্রেন। মস্কো অঞ্চলের গভর্নর আন্দ্রেই ভরোবিয়ভ জানিয়েছেন, মস্কোর পথে আসার সময় বেশ কয়েকটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা আশংকা করছেন, রাশিয়ার অভ্যন্তরে এধরণের হামলা অব্যাহত থাকলে রাশিয়া হাত গুটিয়ে বসে থাকবেনা। রাশিয়ার ইউক্রেনের হামলার প্রতিশোধের পাশাপাশি হামলার বস্তুর উৎস কোন দেশ থেকে সাপ্লাই হয়, তা চিহ্ণিত করবে এবং বেছে বেছে তা নির্মুলের জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শক্তি প্রয়োগ করতে কার্পণ্য করবেনা।
চলতি মাসের প্রথম দিকে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সরকারি বাসভবন ক্রেমলিনে ড্রোন হামলা হয়। ক্রেমলিন কর্তৃপক্ষ হামলার একটি ভিডিও প্রকাশ করে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ড্রোনের মতো দেখতে একটি বস্তু ভূমি থেকে ৫০ ফুটের মতো উচ্চতায় বিস্ফোরিত হচ্ছে। এই ঘটনার পর ইউক্রেনকে দায়ী করে মস্কো আগের তুলনায় হামলার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে এবং ইউক্রেনের রাজধানীতেও একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি দেশ আমেরিকার ব্যাংক বীমা মাঝে মধ্যেই দেওলিয়া হতে যায় যায়। ফলে চীন, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া ও অধুনা আরব দেশগুলো ও তাদের মিত্র দেশগুলোর সহিত আমেরিকার ব্যবসা বাণিজ্যে ভাটা পড়লে মুখ থুবড়ে পড়বে আমেরিকার অর্থনীতি। এতে ন্যাটো ও ইইউ'র দেশগুলোতে এর একটা বিরূপ প্রভাব পড়লে সুযোগ বুঝে চীন-রাশিয়া দেশগুলোকে পর্যদুস্ত করবেনা তা হলফ করে বলা যায়না।
ফাইল ছবি
১১ ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত সফরে বাংলাদেশের আর্জেন্টিনা সমর্থকদের উন্মাদনা কাছ থেকে দেখা না হলেও অল্প যে কজনকে দেখেছেন, তাতেই মুগ্ধ এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।
ঢাকায় সংক্ষিপ্ত সফর শেষে সোমবার বিকালে কলকাতার বিমান ধরার আগে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানালেন, ভবিষ্যতে তিনি আবার বাংলাদেশে আসতে চান।
বাংলাদেশে হৃদয়ের একটি অংশ রেখে যাচ্ছেন জানিয়ে ইনস্টাগ্রাম বার্তায় মার্তিনেজ লিখেছেন, ‘নেক্সট ভেঞ্চার্স ও ফান্ডেডনেক্সটের সঙ্গে সম্পৃক্ততায় বাংলাদেশে অসাধারণ এক সফর কাটালাম। এখানকার মানুষ, তাদের ভালোবাসা, যত্ন এবং অতুলনীয় আতিথেয়তায় আমার হৃদয় সত্যিই বিগলিত। নিকট ভবিষ্যতে এই সুন্দর দেশটিতে আবারও আসতে চাই।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুলিশ, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং আরও অনেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, যাদের নামও হয়তো জানি না, কিন্তু তাদের প্রয়াসও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে আমার যে বিশেষ বন্ধনের জন্ম হলো, তা গড়ে তোলায় আপনাদের সবার ভূমিকা আছে। পরের সফরের আগপর্যন্ত আমি আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি। তবে হৃদয়ের একটি অংশ এদেশে রেখে যাচ্ছি। বাংলাদেশের বাজপাখি হয়ে আমি মুগ্ধ।’ সূত্র: যুগান্তর