a জিলহজ মাসের পথম ১০ দিন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ
ঢাকা মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

জিলহজ মাসের পথম ১০ দিন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ


আরাফাত, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শুক্রবার, ০৭ জুন, ২০২৪, ১২:০২
জিলহজ মাসের পথম ১০ দিন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ

ছবি সংগৃহীত

 

জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন বিশেষ ফজিলতপূর্ণ। যারা সামর্থ্যবান ব্যক্তি তারা হজ ও কোরবানি আদায় করবেন এবং বেশি বেশি নফল রোজা রাখার চেষ্টা করবেন।

এছাড়াও ছোট ছোট অনেক আমল আছে সেদিকে মনোযোগী দেয়ার তাগীদ আছে। জিলহজ মাসে চাঁদ উঠা থেকে শুরু করে ঈদের দিন কোরবানি পূর্ব পর্যন্ত চুল, নখ ইত্যাদি কাটা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। আর এসব ছোট ছোট কাজগুলো সম্মানিত হাজিদের হজের কাজগুলোর সাথে সাদৃশ্য পায় বলে এসব ছোট কাজগুলোর মধ্যেই অনেক ফজিলত। তাই এসব ব্যাপারে সকলকে যত্নবান হওয়া উচিত।

হাদীছে সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব করা হয়েছে। এই সময়গুলোর মধ্যে কোরবানির সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হয়। উল্লেখ্য, শরীরের অবাঞ্ছিত লোম কাটার তাগিদ ইসলামে থাকলেও এই সময় সেসব চুল ও নখ কাটারও নিষেধ করা হয়েছে।

এটি মুস্তাহাব একটি আমল। উম্মে সালামা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তির কাছে কোরবানির পশু আছে সে যেন জিলহজের চাঁদ দেখার পর থেকে কোরবানি করা পর্যন্ত তার চুল ও নখ না কাটে। (মুসলিম, হাদিস : ৪৯৫৯; আবু দাউদ, হাদিস : ২৭৮২)

মুস্তাহাব এই আমল করার জন্য জিলহজ আগমনের আগেই চুল-নখ কেটে-ছেঁটে পরিপাটি হয়ে থাকা উচিত, যেন পরবর্তী সময়ে বেশি লম্বা হয়ে না যায়।

অপরদিকে, যাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব নয় তারাও আমলটি করতে পারে। হাদিসে বর্ণিত আছে—এই আমলটি তাদের জন্য কোরবানির সমতুল্য।

আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার প্রতি আজহার (১০ জিলহজ) দিন ঈদ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাকে আল্লাহ তাআলা এই উম্মতের জন্য (ঈদ হিসেবে) নির্ধারণ করেছেন। তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করে, (হে আল্লাহর রাসুল) আপনি বলুন, (যদি আমার কোরবানির পশু ক্রয়ের সামর্থ্য না থাকে), কিন্তু আমার কাছে এমন উট বা বকরি থাকে, যার দুধ পান করার জন্য বা মাল বহন করার জন্য তা প্রতিপালন করি। আমি কি তাকে কোরবানি করতে পারি? তিনি বললেন, না; বরং তুমি তোমার মাথার চুল, নখ ও গোঁফ কেটে ফেল এবং নাভির নিচের চুল পরিষ্কার করো। এটাই আল্লাহর কাছে তোমার কোরবানি। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৭৮০)
 
নারী ও শিশুরাও এই ফজিলতপূর্ণ আমলে শামিল হতে পারে। তাদের আমলের প্রতি পিতা-মাতাগণ উৎসাহিত করতে পারেন। সাহাবায়ে কিরাম ও তাবেঈদের আমল থেকে এটাই প্রমাণিত হয়। ওলিদ বিন মুসলিম (রহ.) বলেন, আমি মুহাম্মাদ বিন আজলান (রহ.)-কে জিলহজের প্রথম দশকে চুল কাটা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন তিনি বলেন, আমাকে নাফে (রহ.) বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) এক নারীর কাছ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। ওই নারী জিলহজের প্রথম দশকের ভেতরে তার সন্তানের চুল কেটে দিচ্ছিলেন। তখন তিনি বলেন, যদি ঈদের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে, তাহলে অনেক ফজিলত হতো। (মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদিস : ৭৫২০)

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

মুসলমান মুসলমানের ভাই: পারস্পরিক সহযোগিতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত


শামীমা, সিনিয়র রিপোর্টার, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ২৩ মে, ২০২২, ১২:৪৬
মুসলমান মুসলমানের ভাই: পারস্পরিক সহযোগিতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

সংগৃহীত ছবি

একদিন মদিনার দুই ব্যক্তি টেনে-হিচড়ে এক যুবককে অর্ধ পৃথিবীর শাসক খলিফা হজরত উমর রা.-এর দরবারে হাজির করল এবং বিচার দাখিল করল যে এই যুবক আমার পিতাকে হত্যা করেছে। আমরা এর ন্যায়বিচার চাই। তখন খলিফা হজরত উমর রা. ওই যুবককে প্রশ্ন করেন, তার বিপক্ষে করা দাবি সম্পর্কে। যুবকটি উত্তর দেন, তাদের দাবি সম্পূর্ণ সত্য। আমি ক্লান্তির কারণে বিশ্রামের জন্য এক খেজুর গাছের ছায়ায় বসেছিলাম। ক্লান্ত শরীরে অল্পতেই ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার একমাত্র পছন্দের বাহন আমার উটটি পাশে নেই। খুঁজতে খুঁজতে কিছু দূর গেয়ে পেলাম, তবে তা ছিল মৃত। পাশেই ওদের বাবা ছিল। যে আমার ওই উটকে তাদের বাগানে প্রবেশে অপরাধে পাথর মেরে হত্যা করেছে। আমি রাগান্বিত হয়ে তাদের বাবার সাথে তর্কাতর্কি করতে করতে একপর্যায়ে তাদের বাবার মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে ফেলি, ফলে সে সেখানেই মারা যায়। যা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ঘটে গেছে। এর জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

বাদি'রা বলেন, আমরা এর মৃত্যুদণ্ড চাই। হজরত উমর রা. সব শুনে বললেন, উট হত্যার বদলে একটা উট নিলেই হতো, কিন্তু তুমি বৃদ্ধকে হত্যা করেছ। হত্যার বদলে হত্যা, এখন তোমাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে। তোমার কোনো শেষ ইচ্ছা থাকলে বলতে পারো। নওজোয়ান বলল, আমার কাছে কিছু ঋণ ও অন্যের কিছু আমানত আছে। আমাকে যদি কিছু দিন সময় দিতেন তবে আমি বাড়ি গিয়ে আমানত ও ঋণের বোঝা পরিশোধ করে আসতাম।

খলিফা হজরত উমর রা. বললেন, তোমাকে একা ছেড়ে দিতে পারি না। যদি তোমার পক্ষ থেকে কাউকে জিম্মাদার রেখে যেতে পারো তবে তোমায় সাময়িক মুক্তি দিতে পারি।

নিরাশ হয়ে নওজোয়ান বলল, এখানে আমার কেউ নেই, যে আমার জিম্মাদার হবে। একথা শুনে হঠাৎ মজলিসে উপস্থিত আল্লাহর নবীর এক সাহাবী হজরত আবু জর গিফারি রা. দাঁড়িয়ে বললেন, আমি হবো ওর জামিনদার। সাহাবী হজরত আবু জর গিফারি রা.-এর এই উত্তরে সবাই হতবাক। একে তো অপরিচিত ব্যক্তি, তার ওপর হত্যার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি- কিভাবে তিনি এ লোকের জামিনদার হলেন!

খলিফা বললেন, আগামি শুক্রবার জুমা পর্যন্ত নওজোয়ানকে মুক্তি দেয়া হলো। জুমার আগে নওজোয়ান মদিনায়া না এলে নওজোয়ানের বদলে আবু জরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে। মুক্তি পেয়ে নওজোয়ান ছুটল মাইলের পর মাইল দূরে তার বাড়ির দিকে। আবুজর রা. চলে গেলেন তার বাড়িতে। এদিকে দেখতে দেখতে জুমাবার এসে গেছে, নওজোয়ানের কোনো খবর নেই।

হজরত উমর রা. রাষ্ট্রীয় পত্রবাহক পাঠিয়ে দিলেন আবুজর গিফারি রা.-এর কাছে। পত্রে লিখা আজ শুক্রবার বাদ জুমা ওই যুবক যদি না আসে আইন মোতাবেক আবুজর গিফারির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। আবুজর যেন সময়মতো জুমার প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে নববীতে হাজির হন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সারা মদিনায় থমথমে অবস্থার সৃষ্টি হয়। একজন নিষ্পাপ সাহাবী আবুজর গিফারী আজ বিনা দোষে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হবেন! জুমার পর মদিনার সবাই মসজিদে নববীর সামনে হাজির। সবার চোখে পানি। জল্লাদ প্রস্তুত।

জীবনে কতজনের মৃত্যুদণ্ড দেখেছে- তার হিসাব নেই। কিন্তু আজ কিছুতেই চোখের পানি
আটকাতে পারছে না কেউ। আবুজরের মতো একজন সাহাবী সম্পূর্ণ বিনাদোষে আজ মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হবেন- এটা মদিনার কেউ মেনে নিতে পারছে না। এমনকি মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রদানকারী খলিফা উমর রা.-ও অনবরত কাঁদছেন। তবু আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। কারো পরিবর্তনের হাত নেই। আবু জর রা. তখনো নিশ্চিন্ত মনে হাসি মুখে দাড়িয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। জল্লাদ ধীর পায়ে আবু জর রা.-এর দিকে এগুচ্ছেন আর কাঁদছেন। আজ যেন জল্লাদের পা চলে না। পায়ে যেন কেউ পাথর বেঁধে রেখেছে।

এমন সময় এক সাহাবী জল্লাদকে বললো, হে জল্লাদ একটু থামো। মরুভুমির ধুলার ঝড় উঠিয়ে ওই দেখ কে যেন আসছে। হতে পারে ঐটা নওজোয়ানের ঘোড়ার ধূলি। একটু দেখে নাও, তারপর না হয় আবু জরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর কোরো। ঘোড়াটি কাছে এলে দেখা যায়-সত্যিই এটা ওই নওজোয়ানই। নওজোয়ান দ্রুত খলিফার সামনে এসে বলল, হুজুর বেয়াদবি মাফ করবেন। রাস্তায় যদি ঘোড়ার পা'য়ে ব্যথা না পেত, তবে সঠিক সময়েই আসতে পারতাম। বাড়িতে আমি একটুও দেরি করিনি। বাড়ি পৌঁছে গচ্ছিত আমানত ও ঋণ পরিশোধ করি এবং তারপর বাড়ি এসে বাবা-মা এবং নববধূর কাছে সব খুলে বলে চিরবিদায় নিয়ে মৃত্যুর প্রস্তুতি নিয়ে মদিনার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। এখন আবু জর রা. ভাইকে ছেড়ে দিন, আমাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে পবিত্র করুন। কেয়ামতে খুনি হিসেবে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে চাই না।

আশেপাশে সব নিরব থমথমে অবস্থা। সবাই হতবাক, কী হতে চলেছে। যুবকের পুনরায় ফিরে আসাটা অবাক করে দিলো সবাইকে। খলিফা হজরত উমর রা. বললেন, তুমি জানো তোমাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে, তারপরে ও কেন ফিরে এলে? উত্তরে ওই যুবক বলেন, আমি ফিরে এসেছি, কেউ যাতে বলতে না পারে, এক মুসলমানের বিপদে আরেক মুসলামান সাহায্য করতে এগিয়ে এসে নিজেই বিপদে পড়ে গিয়েছিল।

এবার হজরত উমর রা. হযরত আবু জর গেফারী রা.-কে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কেন না চেনা সত্ত্বেও এমন লোকের জামিনদার হলেন। উত্তরে হজরত আবু জর গেফারী রা. বললেন, পরে কেউ যেন বলতে না পারে, এক মুসলমান বিপদে পড়েছিল, অথচ কেউ তাকে সাহায্য করতে আসেনি।

এসব কথা শুনে, হঠাৎ বৃদ্ধার দুই সন্তানের মাঝে একজন বলে উঠল, হে খলিফা, আপনি তাকে মুক্ত করে দিন। আমরা তার উপর করা দাবি তুলে নিলাম।
হজরত উমর রা. বললেন, কেন? তাদের মাঝে একজন বলে উঠল, কেউ যেন বলতে না পারে, এক মুসলমান অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল করে এবং নিজেই সেই ভুল শিকার করে ক্ষমা চাওয়ার পরও অন্য মুসলমান তাকে ক্ষমা করেনি।

সূত্র: নয়াদিগন্ত/ তথ্যসূত্র: হায়াতুস সাহাবা, পৃষ্ঠা: ৮৪৪
লেখক, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, মুফতী মামুন আব্দুল্লাহ কাসেমী-মারকাযুদ দিরাসাহ আল ইসলামিয়্যাহ ঢাকা

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

কৌশলে প্রচারণার অংশ হিসেবে মসজিদে তৈমুর, মাজারে আইভী


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:০৯
কৌশলে প্রচারণার অংশ হিসেবে মসজিদে তৈমুর, মাজারে আইভী

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ না হলেও নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের আগে আনুষ্ঠানিক প্রচারণার নিয়ম নেই। তবু ভিন্ন কৌশলে মাঠে নেমেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা। উঠান বৈঠক, ঘরোয়া বৈঠক বা সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রচারণা চলছে।

আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভী নারায়ণগঞ্জ বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকার কদমরসূল দরগাহ জিয়ারত করেন। সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও তার সমর্থকরা ভিড় করেন। নৌকার পক্ষে স্লোগান দিয়ে মিছিল করেছেন নেতাকর্মীরা।

অন্যদিকে বিভিন্ন মসজিদে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।

গতকাল শুক্রবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকার কদমরসূল দরগাহ জিয়ারতে যান আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। যাবার সময় এবং জিয়ারত শেষে ফেরার পথে নৌকার পক্ষে স্লোগান দিয়ে মিছিল করেছেন নেতাকর্মীরা। অনেকে আগে থেকেই সেখানে ফুল নিয়ে আইভীর জন্য অপেক্ষায় করছিলেন। তারা ফুল ছিটিয়ে আইভীকে বরণ করে নেন।

উল্লেখ্য, নাসিক নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধির ৫ ধারায় অনুযায়ী কোনো প্রার্থী বা তাহার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবে না।

সেখানে এই বিধির ব্যত্যয় ঘটেছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দীপু বলেন, ডা. আইভী এ অঞ্চলের সবচেয়ে জনপ্রিয় একজন মানুষ। তিনি কোনো এলাকায় গেলে এমনিতেই শত শত মানুষ তার পেছনে হাঁটতে থাকেন। সাধারণ মানুষকে তো আর আটকে রাখা যায় না।

শুক্রবার দিনভর নগরীর বিভিন্ন মসজিদে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। এ সময় তৈমুর আলম খন্দকারকে পেয়ে মুসল্লিরা ছাড়াও ওই সব এলাকার শত শত মানুষ ছুটে আসেন তাকে এক নজর দেখেতে।

জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে অ্যাডভোকেট তৈমুর জুমার নামাজ আদায় করেন নগরীর ১৩নং ওয়ার্ডের আমলাপাড়া বড় মসজিদে। নামাজ শেষে তিনি সেখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এরপর আসরের নামাজ আদায় করেন নগরীর ১১নং ওয়ার্ডের তল্লা বড় মসজিদে এবং মাগরিবের নামাজ আদায় করেন ১৮নং ওয়ার্ডের নোল্লাপাড়া বড় মসজিদে।

এ সময় তৈমুর আলম গণমাধ্যমের কাছে বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর জেলা ও মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে স্মরণকালের বিশাল বিজয় র‌্যালি হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সেই র‌্যালিতে যাইনি। অথচ ওই দিনই আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকার পক্ষে করা সমাবেশে অংশ নিয়েছেন, শহরে মিছিল করেছেন।

তিনি বলেন, আজ (শুক্রবার) নৌকার প্রার্থী বন্দরের কদমরসুল দরগায় গিয়েছেন এবং সেখানে শত শত লোক নিয়ে মিছিল করছেন। প্রতীক বরাদ্দের আগেই নির্বাচন কমিশন দ্বিমুখী আচরণ শুরু করেছেন।

নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভীর গত ২ দিনের আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়টি নিয়ে কথা বললে নাসিক নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মতিয়ুর রহমান জানান, আইন সবার জন্য সমান। যদি এমনটা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টা আমার জানা নেই, আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, এবারের নাসিক নির্বাচনে মোট ২৫৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারীদের মধ্যে থেকে ২১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে মেয়র পদে ৮, নারী কাউন্সিলর পদে ৩৬ ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৬৬ জন ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - ধর্ম