a প্রথম ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ৪১৬ জন হাজি
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

প্রথম ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ৪১৬ জন হাজি


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০২২, ১১:৫৫
প্রথম ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ৪১৬ জন হাজি

ফাইল ছবি

পবিত্র হজ পালন শেষে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন হাজিরা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ৪১৬ জন হাজি দেশে ফিরেছেন।

শিডিউল অনুসারে রাত ১০টায় ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা থাকলেও আধা ঘণ্টা বিলম্বে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ বছর প্রথম ফিরতি হজ ফ্লাইট এটি। হজের ফিরতি ফ্লাইট চলবে ৪ আগস্ট পর্যন্ত।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েচে, এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৬০ হাজার ১৩৯ জন পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব গেছেন। এরমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৮৭টি ফ্লাইটে ৩০ হাজার ৩৬১ জন, সৌদি এয়ারলাইনসের ৬৩টি ফ্লাইটে ২৩ হাজার ৯১৪ জন ও নাস এয়ারের ১৪টি ফ্লাইটে পাঁচ হাজার ৮৬৪ জন সৌদি আরবে গেছেন। মোট তিনটি এয়ারলাইনসের ফ্লাইটের সংখ্যা ১৬৪টি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

লাইলাতুল কদর রাতের ইবাদত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
রবিবার, ০৯ মে, ২০২১, ০৮:১১
লাইলাতুল কদর রাতের ইবাদত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম

সংগৃহীত ছবি

 

পবিত্র মাহে রমজান আল্লাহকে একান্ত করে আপন করে নেয়ার মাস এবং নিজেকে পরিশুদ্ধ করে নেয়ার মাস। এ মাসের বিশেষ মাহাত্ম হচ্ছে লাইলাতুল কদর। তাইতো মুমিনের হৃদয় কাঁদে লাইলাতুল কদরের প্রত্যাশায়। 

বিগত বছরে আত্মায় সংগোপনে সঞ্চিত তাবৎ পাপ অপরাধ ও হৃদয়াভ্যন্তরে পুঞ্জীভূত সব পঙ্কিলতাকে ধুয়ে মুছে সাফ করে সজ্জিতরূপে সজ্জনে পরিণত হওয়ার মাস হল রমজান। 

যারা এ মাসের প্রতিটি সময়কে বিশেষ ইবাদত বন্দেগিতে রত থেকে অতিবাহিত করতে পারবেন তারাই কেবল আল্লাহপাকের প্রিয়ভাজন হবেন। বসন্ত মৌসুমে ফুটন্ত ফুলের সমারোহ হতে মধু আহরণ করে মৌ-মক্ষিকা যেমন সেই মৌসুমকে সার্থক করে তেমনিভাবে একনিষ্ঠ চিত্তের খোদা প্রেমিকগণ রমজানে নিবেদিত ইবাদত গোজারের মাধ্যমে জীবনোদ্দেশ্যকে সার্থক করে এবং আবিষ্কার করে নেয় রমজানের সেই রাতটিকে- যে রাতের ইবাদত হাজার মাস চেয়েও অধিক মর্যাদাবান। 

প্রত্যেক মুমিন বান্দার জন্য ‘লাইলাতুল কদর’-এর আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থ রয়েছে, আর তা হলো, এটা এমন এক রাত, যখন মুমিন এক মহান আশীর্বাদ লাভ করতে পারে। 

প্রসিদ্ধ একটি হাদিস দ্বারা একথা সাব্যস্ত যে, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘কদরের রাতে যে ব্যক্তি ঐকান্তিক বিশ্বাসের সাথে আল্লাহর পুরস্কার লাভের আশা করে, তার অতীতের সব গুণাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়’ (বোখারি, প্রথম খণ্ড)। 

আমাদের দেশে ২৭ রমজানের রাতকেই লাইলাতুল কদর হিসেবে পালন করা হয়। তবে হাদিসে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লাইলাতুল কদর অন্বেষণের সময় কখন হবে সে বিষয়ে উপদেশ দিয়ে বলেছেন, ‘রমজান মাসের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর অন্বেষণ কর’ (বোখারি)। হাদিসের ভাষ্যমতে, রমজান মাসের শেষাংশের যেকোনো বিজোড় রাতগুলোর মধ্যে যেকোনো রাতই লাইলাতুল কদর হতে পারে। 

মহান এ রাত সম্পর্কে আল্লাহপাক তার পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনে বলেন, ‘এবং তোমাকে কিসে অবহিত করবে যে, লাইলাতুল কদর কি? লাইলাতুল কদর হাজার মাস অপেক্ষাও উত্তম। ঐ রাতে ফেরেশতাগণ এবং কামেল রূহ সকল তাদের প্রতিপালকের হুকুম অনুযায়ী যাবতীয় বিষয়সহ নাযেল হয়’ (সুরা কাদর)। 

এ রাত কখন আসে, কিভাবে আসে এবং কেমন আরাধ্য আত্মার কাছে মহিমান্বিত এ রজনী ধরা দেয়, সে বিষয়ে আমাদেরকে অবগত হতে হবে।

হজরত রাসুল পাক (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের জীবনে আগত প্রতিটি রমজানের শেষ দশকের কোন এক বেজোড় রাত্রিতে এ সম্মানিত রজনীকে সন্ধান করো’ (বোখারি)। 

অর্থাৎ রমজানের ত্রিশটি দিবস অসম্ভব কঠোর সাধনায় অবিরাম আরাধনার পর এ মাসের প্রায় শেষ প্রান্তে এসেই কেবল একজন আরাধক সেই রাতের সন্ধান লাভ করতে পারে। আর এটাই হলো রমজানের নিবিড় ইবাদতের মর্মকথা। 

অতএব, ঐশী পুণ্যে পরিপূর্ণ এ রাতের সন্ধান লাভ করা কোন সাধারণ বিষয় নয় এবং এটি কোন সাধারণ কাজও নয়। যে মহাজন বছরের প্রতিটি দিবস ও রাত সাতিশয় সাধনায় দ্বীনের ইবাদতে ব্রত থেকে পুণ্যতায় পূর্ণ হতে পারবেন কেবল তিনিই সন্ধান পাবেন সে রাতের সওগাত সম্ভার। 

মহান আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘স্মরণ রেখো, আল্লাহর স্মরণেই হৃদয় প্রশান্তি লাভ করে’ (১৩:২৮)। 

মুমিন মাত্রই মাহে রমজানের পবিত্রতায় আল্লাহ স্মরণের মাত্রাকে বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেয়, ইবাদতের একাগ্রতাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। এমন কোন পুণ্যের কাজ নেই যা কিনা সে হাতছাড়া করে। 

আল্লাহ প্রেমিকের অন্বেষণ মাত্র একটাই থাকে আর তা হলো, লাইলাতুল কদরকে লাভ করা। এ প্রাপ্যতার মাঝেই সে আত্মার শান্তি আর এ উপার্জনের মাঝেই সে জীবনের সার্থকতা খুঁজে পায়। প্রতিটি বছর রমজান তার সেই স্বর্গ-সুধা প্রদানের জন্যই আমাদের প্রত্যেককে আহ্বান করে। 

তাই আসুন! রমজানের এ শেষ ক’টিদিন সিয়াম সাধনায় নিবিড়চিত্তে নিবেদিত হয়ে সেই মাহাত্ম্য আহরণে মত্ত হই, যার মাঝে প্রকৃত সুখ নিহিত। কেননা এই শেষ দশকেই আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে আত্মার নাজাতের প্রতিশ্রুতিসহ লাইলাতুল কদরের উপহার রেখেছেন। 

এমনিভাবে বিভিন্ন ইবাদতে খোদা মানুষের আত্মার মঙ্গলার্থে নানান উপায়ে মজুত রেখেছেন তার অনন্যসব অবদান। এসব ব্যবস্থাদি মানুষের প্রতি খোদার অনুকম্পা প্রদর্শনেরই প্রমাণ। 

তাই আমাদের উচিত হবে খোদা সকাশে ধর্ণা দিয়ে সেসব অনুকম্পাদি আহরণ করা। নচেৎ জীবন হবে মূল্যহীন। আমরা তো কোনভাবেই প্রত্যাশা করতে পারি না যে, আমাদের জীবনে আবারও এ রমজান ফিরে আসবে। 

আমরা যদি আমাদের প্রণান্ত প্রচেষ্টা ও আল্লাহর দয়ায় সেই নেয়ামত পেয়েই যাই তখন আমাদের কি করা উচিত? 

এক্ষেত্রে রাসুল করিম (সা.)-এর উপদেশ বাণী হল, তিনি (সা.) বলেছেন, যখন তোমরা লাইলাতুল কদরের সন্ধান পাবে, তখন এ দোয়াটি পাঠ করবে, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি, হে আল্লাহ তুমি অবশ্যই ক্ষমাশীল। তুমি ক্ষমা করাকে পছন্দ কর, কাজেই তুমি আমাকে ক্ষমা কর’ (তিরমিজি)। 

হে আমাদের পরম প্রিয় করুণাময় খোদা! তুমি আমাদের প্রত্যেককে ক্ষমা কর এবং রমজানের সবকটি নেয়ামত আমাদের প্রত্যেককে দান কর আর লাইলাতুল কদর লাভে আমাদেরকে ধন্য কর, আমিন।

লেখক: ইসলামি গবেষক ও কলামিস্ট/masumon83@yahoo.com/সূত্র:যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বাংলাদেশের কোচ হলেন অস্কার ব্রুজন


ক্রীড়া ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৮:১৫
বাংলাদেশের কোচ হলেন অস্কার ব্রুজন

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে বসুন্ধরা কিংসের সফল কোচ অস্কার ব্রুজনকে নিয়োগ দিয়েছে বাফুফে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ পর্যন্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাকে। তার সঙ্গে সাপোর্টিং স্টাফ হিসেবে যোগ দেবেন জাভিয়ের ফ্লোরেজ। নিজেদর ভবিষ্যৎ ঠিক করতে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনের বাসায় যান অস্কার ব্রুজন।

গেল কয়েক দিন ধরে গুঞ্জন, বসুন্ধরা ছেড়ে তিনি দায়িত্ব নিচ্ছেন জাতীয় দলের। সেই আনুষ্ঠানিকতা সারতেই ফেডারশনের বড় কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। অস্কারের চাওয়া বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ক হবে অন্তত এক বছরের। কিন্তু সেখানে জটিলতা তৈরি হয় বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে। আর তাই নভেম্বরে শ্রীলঙ্কায় চার জাতি টুর্নামেন্টেও নিশ্চিত নয় এই স্পেনিয়ার্ডের উপস্থিতি।

বিষয়টি নিয়ে ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল বলেন, 'অস্কারের সঙ্গে আমাদের সব কিছু চুড়ান্ত হয়েছে। আসন্ন সাফে তিনি জাতীয় দলের দায়িত্বে থাকছেন।' ব্রুজনের সঙ্গে চুক্তি বাড়বে কিনা এ বিষয়টি স্পষ্ট করেননি কাজী নাবিল। তিনি বলেন, 'আমরা আপাতত সাফ নিয়ে ভাবছি, পরেরটা পরে দেখবো।' এদিকে ব্রুজনের সঙ্গে চুক্তিতে দেশ ছাড়ছেন জেমি ডে। তার সঙ্গে চলে যাচ্ছেন গোলরক্ষক কোচ লেস ক্লেভলিও।

তবে ফিটনেস ট্রেইনার ইভান রাজলগকে রেখে দিচ্ছে বাফুফে। দেশের ক্লাব ফুটবলে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকায় দল গোছাতে বেগ পেতে হচ্ছে না স্কারের। তার পরামর্শে বেশ বড় সড় পরিবর্তন আনা হয়েছে ২৩ সদস্যের দলে। মঙ্গলবার দল ঘোষনার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত বুধবার দেয়া হবে সাফের দল। সেখানে চমক থাকবে বলে ইঙ্গিত আছে অস্কারের। 'আমি খুবই সন্তুষ্ট। যেভাবে চেয়েছিলাম তার সবই বাফুফে রেখেছে। এখন আমার দায়িত্বটা পালন করতে হবে। দলে করা থাকবে সব গুছিয়ে এনেছি।

আশা করছি, দেশের সেরা ফুটবলারদের নিয়ে ভালো কিছু উপহার দিতে পারবো।' ব্রুজনের সঙ্গে বাফুফের চুক্ত খন্ডকালীন। তবে বাতাসে জোর গুঞ্জন সাফে সফল হলে বাড়তে পারে এই মেয়াদ। আগামী ১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে সাফের ১৩তম আসর।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - ধর্ম