রোযার মাসে আমাদের করনীয়
সংগৃহীত ছবি
মহান আল্লাহ ত'য়ালা আমাদেরকে প্যাকেজ হিসেবে রমজানের রোজা দিয়েছেন। কারণ আল্লাহ তা'য়ালা বলেছেন আমি রমজানে মানুষের নিকটে চলে আসি এবং বলতে থাকি-
الا من مستغفر فاغفر له ، الا من مسترزق فارزق له وهى كذا كذا.....
অর্থঃ এমন কোন গোনাহগার ব্যক্তি আছো যে আমার কাছে গোনাহ মাফ চাইবে, আর আমি তাকে ক্ষমা করে দিবো। এমন কোন অভাবগ্রস্থ ব্যক্তি আছো যে আমার কাছে রিযিক চাইবে, আর আমি তাকে রিযিক দেব।
আল্লাহ তা'য়ালা আরো বলেন-
রমজানে তোমরা যা ইবাদত করবে আমি তা সত্তর গুন বৃদ্ধি করে দেব, তাই আমাদের উচিৎ বেশি বেশি আল্লাহর ইবাদত করা।
মুরব্বীগন বলেন, যে ব্যক্তি রমজান পেলো কিন্তু দুইটি কাজ করল না সে যেন অসম্পর্ণ রয়ে গেল।
১। নিজে কিভাবে আল্লাহ এবং তার রাসূলের নিকটতম হওয়া যায়।
২। আমার প্রতিবেশীকে কিভাবে আল্লাহ এবং তার রাসূলের নিকটবর্তী করা যায়।
যদি আমরা এই দুইটি কাজ ভাল ভাবে করতে পারি তাহলে আমরা এই দুনিয়া এবং আখেরাতে উভয় জাহানে কামিয়াবী অর্জন করতে পারবো ইনশা আল্লাহ।
আল্লাহ তা'য়ালা আমাদেরকে এসমস্ত কথার উপর আমল করে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন ছুম্মা-আমিন।
মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
১২০০ বছরের পুরোনো মসজিদের সন্ধান ইসরায়েলে
ফাইল ছবি
ইসরায়েলি প্রত্নতাত্ত্বিকরা দেশটির দক্ষিণে ১২০০ বছরের পুরোনো প্রাচীন মসজিদের সন্ধান পেয়েছেন। ইসরায়েলের পুরাকীর্তি কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মসজিদটির যে অংশের সন্ধান পাওয়া গেছে, ধারণা করা হচ্ছে, তা ১২০০ বছরের বেশি পুরোনো মসজিদ। নেগেভ জেলার বেদুঈন শহর রাহাতে নতুন নির্মাণ কাজ করার সময় এটি আবিষ্কৃত হয়।
মসজিদটি নেগেভ জেলায় মরুভূমিতে অবস্থিত এবং এতে একটি বর্গাকৃতি কক্ষ ও মক্কামুখি অর্ধ বৃত্তাকৃতির খোপসহ একটি দেয়াল রয়েছে।
পুরাকীর্তি কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘অনন্য এ স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে যে, এটি একটি মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হতো এবং এতে একসঙ্গে কয়েক ডজন মুসল্লি নামাজ পড়তে পারতেন।’
মসজিদের সন্নিকটে একটি বিলাসবহুল ভবন সন্ধান পাওয়া গেছে। সেইসঙ্গে পাওয়া গেছে কিছু থালাবাসন এবং গ্লাসের প্রত্নবস্তু, যা সেখানকার বাসিন্দারা যে সম্পদশালী ছিলেন, তা নির্দেশ করে।
উল্লেখ্য, তিন বছর আগে পুরাকীর্তি কর্তৃপক্ষ এ মসজিদটির কাছাকাছি একই সময়ের আরও একটি মসজিদ আবিষ্কার করেছিল। মসজিদ দুটি ৭০০ থেকে ৮০০ খ্রিস্টাব্দের সময়কার বলে ধারণা এবং বিশ্বব্যাপী ইসলামের প্রথম দিককার মসজিদ বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র: এএফপি, দ্য গার্ডিয়ান
মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
দ্যা নিউজ সম্পাদক ও প্রকাশকের উপর হামলার প্রতিবাদ ও মানববন্ধন
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম নীতি মেনে সুনামের সাথে ১৪ বছর ধরে চলমান দ্যা নিউজ ডটকম (thenewse.com) এর সম্পাদক ও প্রকাশক প্রমিথিয়াস চৌধুরীকে ইসকন এর ট্যাগ লাগিয়ে খোলা বাজারে টর্চার, জিম্মি করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর এবং ব্যাংকের চেকের পাতা নেওয়া, বার্তা সম্পাদক তৃণা রায় চৌধুরীকে মুসলিম পুরুষদের দিয়ে গ্যাং রেপের প্রকাশ্য হুমকির প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানব বন্ধন।
আজ ১ নভেম্বর সকাল ১১ ঘটিকায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দ্যা নিউজ ডটকম এর সম্পাদক ও প্রকাশক প্রমিথিয়াস চৌধুরী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম নীতি মেনে সুনামের সহিত ১৪ বছর ধরে দেশে তথ্যসেবা দিয়ে আসছে।
বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া থানাধীন পশ্চিম গোয়াইল গ্রামে দ্যা নিউজের কর্ণধারের পৈত্রিক বাড়ীতে আশ্রম নির্মাণ করে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, আশ্রয়ের জন্য কাজ করছেন। সম্পাদক মহোদয়কে ২৯ অক্টোবর বুধবার বেলা ১টার দিকে স্কুল বন্ধু হালান মোল্লা কল করে বাশাইল বাজারে ডাকেন। সেখানে হালানের টিনের দোকানে সম্পাদক পৌঁছালে ইতিমধ্যে নিজাম মোল্লা হালান ও সাহানুর ওরফে শাহিন পেদা নিজেদের লেনদেন নিয়ে ঝগড়া শুরু করে এক পর্যায়ে সম্পাদককে উল্লেখ করে বলে ওঠে, ও তো ইসকনের দালাল, ও কোথাও কিছু খায়না, ওকে ছাড়া যাবে না। নাম না জানা আরো অনেকে তাকে ঘিরে ধরে। সম্পাদকের সাথে অকথ্যভাষায় গালাগালি করার প্রতিবাদ করলেই শারিরিক হামলা চালায়। তিনি স্তম্ভিত ও হতভম্ভ হয়ে বসে পড়েন। নিজাম মোল্লা হালান ও কয়েকজন তাদের কিনে আনা স্ট্যাম্পে সম্পাদকের সই নেয়, ব্যাঙ্কের চেক পাতা ও জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি করে নেয়। তারা সমানে হুমকি দিতে থাকে, চেক ও স্ট্যাম্পে সই না দিলে এখান থেকে ছাড়বো না।
সম্পাদক সাহেব আওয়ামী লীগ, বিএনপি কোন রাজনীতির সাথে যুক্ত না অথচ ওরা সবাই ছিল আওয়ামী লীগ পন্থি অথচ সেই হালান বলে, তোদের মা হাসিনা পালিয়েছে, তোরা হিন্দুরা বাংলাদেশে কিভাবে থাকবি?
এসময় মোল্লা নিজাম হালান আরও বলেন, তোর বউ বেশি খারাপ, ও আমাদের দেখতে পারে না। ওকে মুসলমানদের দিয়ে গ্যাং রেপ করাতে হবে তাহলে বুঝবে আমরা কারা। তখন আমাদের চিনবে ও পছন্দ করবে। তোরা আমাদের শত্রু। এ দেশে তোদের ও ইসকনের কোন স্থান নেই। তোদের মতো লোকের পিসিয়ে মারার মতো লোক আমিই যথেষ্ট। বাশাইল মসজিদ নিয়ে কিছুদিন ঝামেলা চলছে সেই ঘটনায় সম্পাদককে ফাঁসিয়ে মামলা করার পরিকল্পনা করেন তারা।
দ্যা নিউজের বার্তা সম্পাদক তৃণা রায় চৌধুরী বলেন, সম্পাদক মহোদয় সাত্ত্বিক খাবার খান, খুব সাধারণ ভাবে জীবন যাপন করে মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। নিজের বাড়ীটাকে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান বানিয়েছেন। বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা, গরীব দুঃখী মানুষের খাদ্য আশ্রয়, শিক্ষার জন্য বিদ্যালয় চালুসহ অনেক সেবামূলক কার্যক্রম চালু করার জন্যই গ্রামের বাড়ীতে বেশি থাকেন। আর তার ফল হল খোলা বাজারে মারধর ও অকথ্য গালি। আমাকে নির্যাতন গ্যাং রেপ করার হুমকি দিচ্ছে তার সামনে। এমন কথা কানে শোনার থেকে মৃত্যু অনেক শ্রেয়।
বার্তা সম্পাদক তৃণা রায় চৌধুরীকে এই লাঞ্ছনাকর কথার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অনেক নারী উপস্থিত হয়েছেন। তারা বলেন একজন নারীকে রেপ করার হুমকি আমরা অন্য নারীরা মেনে নেবো না। এই নিজাম মোল্লা হালান এবং তার দোসর শাহিন পেদা, মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, সাবেক ইউপি মেম্বার মোঃ ফখরুল ইসলাম মামুনসহ সকল সহযোগীর দৃষ্টান্তমূলক চরম শাস্তি দাবী করছি।
পরিশেষে যেকোন ব্যক্তি সম্পর্কে যাচাই না করে ইসকন/ আওয়ামী দোসর/ কথিত ফেসবুক পোস্ট কিংবা কোন ট্যাগ লাগিয়ে হুমকি নির্যাতন বন্ধে আশু পদক্ষেপ কামনা। দেশের সকল হিন্দু মুসলমান খ্রিস্টান ধর্মীয় মানুষদের শান্তিপূর্ণ সহবস্থানের পক্ষে আইনগত পদক্ষেপের জোরালো দাবী জানিয়েছেন উপস্থিত সাধারণ জনগন।
মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook