বিএনপির নেতাদের উদ্দেশ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘বলেছিলেন—আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় যেতে পারবে না। আওয়ামী লীগকে ১০০ বছরেও নামাইতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি বলে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ১০ ভাগ ভোটও পাবে না। আপনারা মনে হয় আয়নায় চেহারা দেখেন না, নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখে মাঠে আইসেন।’
আজ শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের ঢাকা-১০ সাংগাঠনিক টিম আয়োজিত শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে মেয়র তাপস বলেন, ‘২১ আগস্ট, ২০০৪ সালে শান্তি সমাবেশে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আজকে তারা বড় বড় কথা বলে। তারা আইভী রহমানসহ ২২ জনকে হত্যা করেছিল। বিএনপি-জামায়াতের সেই দুঃশাসনে এখনও অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। ’
তিনি বলেন, ‘যারা বিদ্যুৎ দিতে পারেনি, খাম্বা দিয়েছে। ৫ বছরে ৬ বার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। সংবিধানকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। আপনাদের জন্মই সংবিধানের বাইরে, গণতন্ত্রের বাইরে। আপনারা কোনোদিন গণতন্ত্র মানবেন না, এটাই স্বাভাবিক।’
আওয়ামী লীগের ঢাকা-১০ সাংগঠনিক টিমের আহ্বায়ক নুরুল আমিন রুহুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। সূত্র:বিডি প্রতিদিন
সম্প্রতি বন্ধু ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বাইডেনের ওপর কি স্যাংশন দিতে পারেন? যা মনে হয় প্রধানমন্ত্রী তাই বলেন।
খেয়াল করবেন, প্রায় অপ্রকৃতস্থ (একজনের) পাল্লায় পড়েছেন সেই দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনিও আরেক পাগল হয়েছেন— কা কা করতেই থাকেন।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর পুরোনা পল্টনের কালভার্ট রোডে ‘গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে’ সংহতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে মান্না আরও বলেন, সে (ওবায়দুল) যাই করুক না কেন, ভদ্রলোক আমার একসময়ের বন্ধু ছিলেন, এখনো আছেন। একসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন করেছি। কেউ জিতেছি, কেউ হেরেছে সেটা অন্য কথা। উনি (কাদের) আজকাল এমন এমন কথা বলছেন, এসব শুনে মানুষ এখন হাসে।
কয়েক দিন আগে কাদের বললেন ‘তলে তলে আপস’ হয়ে গেছে। মানে কী? আপস করে কি স্যাংশন র্যারেব ওপর থেকে উঠে গেছে। ভিসা নিষেধাজ্ঞা কি ওঠে গেছে। বলছেন আপস হয়ে গেছে। আবার বলছেন, আমরাও স্যাংশন দেব। এগুলো বলতে লজ্জা করে না তার।
তিনি আরও বলেন, তারা বলল আমেরিকা ভারতকে ছাড়তে পারবে না। আর আমরা ভারতের সঙ্গে আছি। তা হলে আমার প্রশ্ন— ভারতের সঙ্গে থাকলেই যদি কাজ হয়, তা হলে বাইডেনের সঙ্গে কেন সেলফি তোলা লাগে? কেন বাইডেনের সঙ্গে সেলফি তুলতে হয়— এটি আমার প্রশ্ন।
মান্না বলেন, কেন গ্রিন কার্পেট রেখে বাম পাশ দিয়ে সেলফি তোলার জন্য বাইডেনের কাছে গেলেন। কোনো একজন সরকারপ্রধানকে কেন বাধা দিতে হলো। সূত্র: যুগান্তর
প্রাথমিকভাবে ভোট গননায় অনেক ব্যবধানে এগিয়ে আছে তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি)। নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানায়, ভোট প্রবণতায় ২০৮টি আসনে এগিয়ে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ১০০টি আসন পার করতে পারেনি বিজেপি। দলটি এগিয়ে ৮০ আসনে।
এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে প্রশান্ত কিশোরের দাবিই মিলতে চলেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। রাজ্যে ভোটগ্রহণ হয়েছে ২৯২ আসনে। এর মধ্যে ২০৮ আসনে এগিয়ে ঘাসফুল শিবির। রাজ্যের সরকার গঠন করতে দরকার ১৪৮ টি আসন, যা ইতোমধ্যে অর্জন হয়ে গেছে তৃণমূলের।