a
ফাইল ছবি
নিউজ ডেস্ক: পবিত্র কোরআনের ১১২ নম্বর সুরা ইখলাস। এটি ইসলামের প্রাথমিক সময়ে অবতীর্ণ হয়েছে। এই সুরার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে, শিরক থেকে মুক্ত হয়ে তাওহিদ তথা একত্ববাদে বিশ্বাসী হওয়া। আর এই মর্মার্থের ভিত্তিতেই সুরাটির নাম করা হয় ‘ইখলাস’।
কোরআন মাজিদের গুরুত্বপূর্ণ এই সুরা পাঠ করলে তিলাওয়াতকারীর জন্য রয়েছে বেশ কিছু পুরস্কারও। নিম্নে এর কয়েকটি উল্লেখ করা হলো—
জান্নাতে বিশেষ প্রাসাদ নির্মাণঃ
মুআজ ইবনে আনাস জুহানি (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস ১০ বার পড়বে আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করবেন। এ কথা শুনে উমর ইবনে খাত্তাব (রা.) বলেন, তাহলে তো আমরা অনেক প্রাসাদের অধিকারী হয়ে যাব (অর্থাৎ অধিক হারে এই সুরা পাঠ করব। ফলে আল্লাহ আমাদের অনেক প্রাসাদ দান করবেন)।
রাসুল (সা.) বললেন, আল্লাহ তাআলার দান আরো প্রশস্ত, আরো উৎকৃষ্ট। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৫৬১০)
কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ সওয়াবের পুরস্কারঃ
একাধিক হাদিস শরিফে এসেছে, সুরা ইখলাস কোরআন মাজিদের তিন ভাগের এক ভাগের সমান মর্যাদা রাখে। যে ব্যক্তি একবার এই সুরা তিলাওয়াত করবে সে কোরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশের সওয়াব লাভ করবে। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে রাতে বারবার সুরা ইখলাস পড়তে শুনেছেন।
অতঃপর সকালে নবী (সা.)-কে এ বিষয়টি অবহিত করা হয়। তখন নবী (সা.) বলেন, ওই সত্তার শপথ! যার কুদরতি হাতে আমার জীবন, অবশ্যই এ সুরা কোরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশের সমান। (বুখারি, হাদিস : ৫০১৩)
আল্লাহর ভালোবাসা লাভঃ
মুমিনের জীবনের সবচেয়ে বড় আরাধনা আল্লাহ তাআলার নৈকট্য ও ভালোবাসা অর্জন করা। যারা সুরা ইখলাস বেশি বেশি পাঠ করবে তারা আল্লাহর নৈকট্য ও ভালোবাসা অর্জন করতে পারবে। আয়েশা (রা.) বলেন, একবার রাসুল (সা.) কিছু সাহাবিকে যুদ্ধে পাঠালেন। তাদের একজনকে সেনাপতি নিযুক্ত করলেন। তিনি যুদ্ধকালীন দীর্ঘ সময়ে শুধু সুরা ইখলাস দিয়ে নামাজ পড়িয়েছেন। যুদ্ধ থেকে ফেরার পর সাহাবিরা নবী (সা.)-কে বিষয়টি জানান। তখন নবী (সা.) তাদের বলেন, তোমরা তাকে জিজ্ঞেস করো—কেন সে এরূপ করেছে? সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলে সেনাপতি জবাব দিলেন, এ সুরায় আল্লাহর গুণাবলি বর্ণিত হয়েছে। তাই আমি এ সুরাকে ভালোবাসি। নবী (সা.) তখন সাহাবিদের বলেন, তোমরা তাকে বলো, আল্লাহও তাকে ভালোবাসেন। (বুখারি, হাদিস : ৭৩৭৫)
সুরা ইখলাস পাঠে ক্ষমার ঘোষণাঃ
আবুল হাসান মুহাজির (রহ.) বলেন, জনৈক সাহাবি বর্ণনা করেছেন, তিনি নবীজির সঙ্গে এক সফরে ছিলেন। (একদিন তাঁর কাছে এমনভাবে বসা ছিলেন যে) তার হাঁটু দুটি নবীজির হাঁটুদ্বয়ের সঙ্গে লেগে ছিল। এ অবস্থায় এক লোককে শুনলেন, সুরা কাফিরুন তিলাওয়াত করছে। তা শুনে নবী (সা.) বললেন, সে শিরক থেকে পবিত্র হয়ে গেছে। আরেক লোককে শুনলেন, সুরা ইখলাস তিলাওয়াত করছে। তখন তিনি বলেন, তাকে মাফ করে দেওয়া হয়েছে। (সুনানে দারেমি, হাদিস : ৪৩৬৯)
সুরা ইখলাস পাঠে জাহান্নাম থেকে মুক্তিঃ
নবীজি (সা.)-এর যুগে এক সাহাবি মসজিদে কোবায় ইমামতি করার সময় প্রতি রাকাতে আবশ্যিকভাবে সুরা ইখলাস পড়তেন। নবীজি তাকে ডেকে জানতে চাইলেন, প্রতি রাকাতে আবশ্যিকভাবে সুরা ইখলাস পড়ার কারণ কী? সাহাবি জবাব দিলেন, আমি সুরা ইখলাসকে মহব্বত করি। তার জবাব শুনে নবী (সা.) বললেন, সুরা ইখলাসের প্রতি তোমার এই মহব্বত তোমাকে জান্নাতে দাখিল করবে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৯০১)
জান্নাত লাভের সুসংবাদঃ
আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, আমি নবীজির কাছে বসা ছিলাম। এক লোক এসে বলল, আমার এক ভাই এই সুরা (সুরা ইখলাস) পড়তে ভালোবাসে। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘তোমার ভাইকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও।’ (আলকামেল, ইবনে আদি : ২/৩৯০)
জানাজায় ফেরেশতার আগমনঃ
মুআবিয়া ইবনে মুআবিয়া (রা.) ইন্তেকাল করলে ৭০ হাজার ফেরেশতাসহ জিবরিল (আ.) নবীজির কাছে আগমন করেন। নবী (সা.) জিবরিল (আ.) ও এই সব ফেরেশতাকে নিয়ে তার জানাজায় শরিক হন। নামাজ শেষ হলে নবীজি জিজ্ঞেস করলেন, হে জিবরিল! কোন আমলের মাধ্যমে মুআবিয়া ইবনে মুআবিয়া মুজানি এই উচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছে?
জিবরিল (আ.) জবাবে বলেছেন, এই মর্যাদা লাভের কারণ হলো, সে দাঁড়িয়ে, বসে, হেঁটে হেঁটে, সওয়ারিতে তথা সর্বাবস্থায় সুরা ইখলাস তিলাওয়াত করত। (মুজামে কাবির : ৮/১১৬)
আল্লাহ আমাদের বেশি বেশি সুরা ইখলাস পাঠের তৌফিক দান করুন। আমিন
সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
সৌদি আরব ঘোষণা করেছে যে দেশটিতে প্রথম রমজান হবে ১৩ এপ্রিল, মঙ্গলবার। আজ চাঁদ দেখা না যাওয়ায় মঙ্গলবার থেকেই শুরু হবে রোজা।
সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটি জানিয়েছে, নতুন চাঁদ দেখা না যাওয়ায় সোমবার হবে শাবান মাসের ৩০তম দিবস। সূত্র: গালফ নিউজ
ফাইল ছবি
পাকিস্তানের কোয়েটায় সেরেনা নামের একটি বিলাসবহুল হোটেলে শক্তিশালী বোমা হামলা হয়েছে এবং এতে অন্তত ৪জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন।
বুধবার রাতে হোটেলে ওই হামলা চালানো হয়। বিবিসি ও ডন এমন খবর দিয়েছে।
কোয়েটা সফররত পাকিস্তানে চীনের রাষ্ট্রদূত ওই হোটেলে উঠলেও বিস্ফোরণের সময় তিনি সেখানে ছিলেন না।
রাষ্ট্রদূত নিরাপদে আছেন জানিয়ে প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়াউল্লাহ লাঙ্গো বলেন, কিছু আগেই তার (রাষ্ট্রদূত) সাথে আমি সাক্ষাৎ করেছি। তিনি ভাল আছেন।
রাষ্ট্রদূতের সফর বৃহস্পতিবার শেষ হবে বলে জানান তিনি।
প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র লিয়াকত শাহওয়ানি এক টুইটে জানিয়েছেন, হামলার আগে দিনের বেলায় চীনা রাষ্ট্রদূত নঙ রঙ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জাম কামালের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেরেনা হোটেলের কার পার্কিংয়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
স্থানীয় একটি হাসপাতালের কর্মকর্তা ওয়াসিম বেগ চারজনের মৃতদেহ পাওয়ার কথা জানান এবং বলেন, আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তান তালেবান। তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এটি ছিল একটি আত্মঘাতি হামলা।
হামলাটি চীনা রাষ্ট্রদূত কিংবা প্রতিনিধি দলকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে এ অঞ্চলে এর আগেও চীনের নাগরিক এবং বিভিন্ন প্রকল্পে তালেবানরা হামলা চালিয়েছে।
বিলাসবহুল সেরেনা হোটেলের নিকটেই রয়েছে ইরানের কনস্যুলেট এবং প্রাদেশিক পার্লামেন্ট ভবন।