a
ফাইল ছবি
আবহাওয়ার এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে জানুয়ারি মাসে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। এর মধ্যে একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ থাকবে। উল্লেখ্য, জানুয়ারি মাসে স্বাভাবিক যে তাপমাত্রা থাকে, এবার তার চেয়েও তাপমাত্রা কমে যেতে পারে। ফলে শীত পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে। এর আগে, বিএমডির ২ জানুয়ারি প্রকাশিত ১ মাস মেয়াদি বুলেটিনেও একই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।
গতকাল বুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) জানায়, এ মুহূর্তে দেশের ৬টি জেলায় মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এগুলো হচ্ছে- রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা।
এসব জেলায় তাপমাত্রা ১০ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বিরাজ করছে। সাধারণত এ অবস্থায় তাপমাত্রা থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। আর যদি ৮ থেকে ৬ ডিগ্রির মধ্যে থাকে তা হলে তা মাঝারি এবং ৬ ডিগ্রির নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
এদিকে, তীব্র শীত ও কনকনে ঠাণ্ডায় জনজীবন সম্পূর্ণরূপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা কম থাকার কারনে সেখানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।
ফাইল ছবি
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের একটি বড় এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ সোমবার রাতে এই ভূমিকম্প হয়। তাৎক্ষণিকভাবে এতে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য মতে, রাত ৮টা ৪৯ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডে এই ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫।
ইউএসজিএস বলছে, ভারতের আসামের করিমগঞ্জ জেলা থেকে ১৮ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি। এর কেন্দ্র ছিল ভূ–পৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
আর গুগলের অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়েক অ্যাল্যার্টস সিস্টেম বলছে, বাংলাদেশের সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ৪ কিলোমিটার দূরে ভারত সীমান্তে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি।
এই ভূমিকম্প বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত ও মিয়ানমারেও অনুভূত হয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি
ভারতের গুজরাটের স্থলভাগে প্রবল শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় টাউটি। গতকাল ১৭ই মে সোমবার সন্ধ্যায় টাউটির দাপটে তছনছ হয়ে যায় গুজরাটের উপকূল। ভারতের পশ্চিম উপকূলের অন্যান্য রাজ্যেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
সোমবার রাতে দিউয়ের পূর্ব উপকূল দিয়ে এই ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে প্রবেশ করে। খুব তীব্র ঝড়ের বেগ ছিল। পাশাপাশি উপকূল অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাতও হয়। ভারতীয় আবওহাওয়া অফিসের একটি বিবৃতিতে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় টাউটি স্থলভাগে ঘণ্টায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার বেগে প্রবেশ করলেও পরে ঝড়ের গতিবেগ দাঁড়ায় ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার।
গুজরাটের উপরে এখনও রয়েছে ঘূর্ণিঝড় টাউটি। যা ইতিমধ্যে অনেকটাই শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। গুজরাট হতে এই ঘূর্ণিঝড় রাজস্থানে প্রবেশ করবে। এখন ঝড়ের দাপট অনেকটাই কম। কিন্তু অব্যহত রয়েছে বৃষ্টি। প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে একাধিক এলাকায় উপড়ে গিয়েছে গাছ, বৈদ্যুতিন খুঁটি।
সোমবার বিকেলের মধ্যে প্রায় ২ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় টাউটির আঘাতে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১২৭ জন। ভয়াবহ এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মুম্বাইয়ের কাছে আরব সাগরে একটি বার্জ নৌকা ডুবে যায়। সেই নৌকার ৬০ জনকে ভারতীয় নৌবাহিনী উদ্ধার করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মহারাষ্ট্রেও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সোমবার মুম্বাইয়ে আগত ও মুম্বাই থেকে ছাড়া হবে এমন ৫৫টি বিমান বাতিল ঘোষণা করা হয়। ।