a
ছবি: আবদুল কাদের
ছোটবেলা থেকেই আমাদের মনের মধ্যে একটা জিনিস গেঁথে আছে, সেটা হলো গণিত মানেই বিচ্ছিরি সব সুত্র মুখস্থ করা আর হিবিজিবি সব অংক করা। গণিত মানেই মোটা চশমা পরা কাঠের বড় স্কেল হাতে রাগী স্যারের থমথমে ক্লাস। সুত্র মুখস্থ না পারলেই পিঠের উপর বেতের বারি বা ঠাস ঠাস শব্দে দুইগাল লাল হয়ে যাওয়া। কিন্তু এর বাইরেও যে গণিতের একটা সৌন্দর্য আছে, গণিতে একটা মুগ্ধতা আছে, গণিতের মাঝে জীবনের ভাষা আছে, গণিতে আছে সুন্দর চিন্তা করার উৎস এই জিনিসটা আমরা কখনো ভেবে দেখিনি।
জনপ্রিয় গণিত লেখক "চমক হাসান" ভাই যথার্থই বলেছেন "সুন্দর চিন্তা করা অনেক আনন্দের ব্যাপার। খাবারের সংস্থান থাকলে শুধু চিন্তার আনন্দেই একটা অর্থবহ জীবন পার করে দেয়া যায়। আর গণিত হলো গুছিয়ে চিন্তা করার ভাষা, বিজ্ঞানের ভাষা"
আবদুল কাদের, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের একজন ছাত্র, সম্প্রতি "সংখ্যা-সাহিত্য: গণিতের অভ্যন্তরীণ রহস্য" শিরোনামে একটি বই লিখেছেন। অনুজ প্রকাশনা দ্বারা ১৫ই জানুয়ারী প্রকাশিত, এই বইটির লক্ষ্য গণিতের আশে-পাশের রহস্য উন্মোচন করা, যা একটি অনন্য প্রস্তাব দেয়।
বিষয়ের উপর দৃষ্টিভঙ্গি আখ্যানে, আবদুল কাদের বইটি লেখার পিছনে তার প্রেরণা শেয়ার করেছেন, গণিত একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয় যা সাধারণ ধারণাকে সম্বোধন করেছেন। তিনি গাণিতিক ধারণাগুলিকে রহস্যময় করার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন, মূল্যবোধের গঠন এবং পিছনের নির্ভুলতার উপর আলোকপাত করেছেন।
বইটি একটি গাইড হিসাবে কাজ করে, গণিতের জগতে অসংখ্য রহস্য সমাধান করে, এবং ছাত্রদের দ্বারা প্রায়ই সম্মুখীন হওয়া ভুল ধারণাগুলি দূর করা লক্ষ্য করে। লেখক গণিতের সৌন্দর্যের দিকেও খোঁড়াখুঁড়ি করেছেন, পাঠকদের মোহিত করার উদ্দেশ্যে।
আবদুল কাদের, তার বইয়ের উদ্দেশ্য বর্ণনা করে, এটি প্রকাশ করে যে এটি কেবল ভুল ধারণাকেই স্পষ্ট করে না বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণিতের প্রতি আগ্রহের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে। তিনি বিশ্বাস করেন যে দৈনন্দিন জীবনে গণিতের ব্যবহারিক প্রয়োগগুলি বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বইটি এই ব্যবধান পূরণ করার চেষ্টা করে।
তিনি বলেন, "এই বইটি একজন শিক্ষার্থীকে গণিতের প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে সাহায্য করবে এবং সেই সাথে গণিত কীভাবে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করতে পারে তার যাত্রার প্রতিফলন করে।
আব্দুল কাদের শেয়ার করেছেন যে গণিতের প্রতি তার আকর্ষণ শৈশব থেকেই শুরু হয়েছিল, যা তাকে আজীবন অন্বেষণে প্ররোচিত করেছিল। তার লক্ষ্য হল ছাত্রদের সেই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজে পেতে সহায়তা করা, যা তাকে যৌবন থেকে কৌতূহলী করেছে। সামনের দিকে তাকিয়ে তরুণ লেখক তার গাণিতিক ধারণাগুলির অন্বেষণ চালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখার কল্পনা করেছেন। আব্দুল কাদেরের বর্ণনা গণিতের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধির তাৎপর্য এবং ছাত্র ও পাঠকদের উপর একইভাবে তার কাজের সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
ইকবাল দরগাই, কলকাতা প্রতিনিধি: আজ কলকাতা প্রেসক্লাবে জেলা জজ বিপ্লব রায়ের লেখা গ্রন্হ "গলি থেকে রাজপথ "- এর প্রকাশনা বা মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শ্রীঅসিম কুমার রায়।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক শ্রীপ্রচেত গুপ্ত,নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর পৌত্রি জয়ন্ত রক্ষিত,ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের উত্তর পুরুষ অভিজাত বন্দোপাধ্যায়, বিশিষ্ট লেখক ঋতি ভট্টাচার্য, ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস সোসাইটির পৃষ্ঠপোষক পিস এম্বাসেডর এটিএম,মমতাজুল করিম ও বইয়ের লেখক বিপ্লব রায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সেক্রেটারী ডঃ আদম শফি খান, কোষাধ্যক্ষ মন্জু লস্কর, সাংগঠনিক সম্পাদক সুচন্দন মৃধা, পারুল বই প্রকাশনিরপার্থ সাহা ও পম্পা সাহা সহ অনেক কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিকরাও ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিপ্লব রায় একজন বিচারক হিসেবে আইন - আদালতে সততার সঙ্গে কাজ করেও মানবিক মানুষ হিসেবে তার কর্মজীবনে দেখা নানা ঘটনাকে লেখনির মাধ্যমে যেভাবে উপস্থাপন করেছেন তা সত্যি প্রশংসনীয়।
ফাইল ছবি
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় হোটেল হিলটন স্যান্ডটনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। খবর বাসস।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চলমান শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার জোহানেসবার্গে পৌঁছেছেন। আর চীনের প্রেসিডেন্ট দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছেন সোমবার মধ্যরাতে।
শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার ৭০ দেশের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ফ্রেন্ডস অফ ব্রিকস লিডারস ডায়ালগে (ব্রিকস-আফ্রিকা আউটরিচ এবং ব্রিকস প্লাস ডায়ালগ) ‘ব্রিকসের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য দেবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কন্যা এবং অটিজম অ্যান্ড নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: যুগান্তর