a
ছবি: সংগৃহীত
নজরুল একাডেমির কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে শুক্রবার বিকেলে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী 'বিদ্রোহী' কবিতার ওপর হাসান আলীম রচিত 'কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতার নন্দনতত্ত্ব ' গ্রন্থ নিয়ে একটি মনোজ্ঞ আলোচনা অনুষ্ঠান হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন নজরুল একাডেমির সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রদূত জনাব মসউদ মান্নান। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও গবেষক ড. মাহবুব হাসান। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, নজরুল গবেষক, নজরুল সংগীতজ্ঞ, নজরুল একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মিন্টু রহমান।
নন্দনতত্ত্ব গ্রহ্নের ওপর মূল্যবান প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নর্দান ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট গবেষক অধ্যাপক জসিম উদ্দিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য পেশ করেন বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার জাকির আবু জাফর, বিশিষ্ট গবেষক অধ্যাপক ড.ফজলুল হক সৈকত, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট হারুন ইবনে শাহাদাত, বিশিষ্ট সাহিত্যিক, অনুবাদক, ইংরেজির শিক্ষক আনিস ফাতিমা। ধন্যবাদ জানান নজরুল একাডেমির সহ-সভাপতি মুহাম্মদ আবদুল হান্নান।
অনুষ্ঠানে নজরুলের বিদ্রোহী কবিতার আবৃত্তি করেন রোকসানা ইমাম। নজরুলকে নিবেদন করে কবিতা পাঠ করেন কবি এম আলীম, কবি সাইফ সাদী, কবি সুমন রায়হান, কবি শাহীনুল ইসলাম, কবি রাহমান মাজিদসহ আরো অনেকে।
প্রবন্ধকার অধ্যাপক জসিম উদ্দিন বলেন, নজরুল একাডেমিতে ধারাবাহিকভাবে তিন বছর গবেষণা করে হাসান আলীম এই অসাধারণ গ্রন্থ রচনা করেছেন। আমার মতো কোনো অধ্যাপকের ৩০ বছর গবেষণা করেও এ রকম একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থ রচনা করা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন এ গ্রন্হের চৌদ্দটি অধ্যায় মৌলিক গবেষণা। হাসান আলীম যেভাবে প্রতিটি শব্দের বিশ্লেষণ এবং গাণিতিক ফর্মুলার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেছেন তা একেবারে নতুন। আর কোনো গবেষক এভাবে কোনো কবিতার বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করতে পারেনি। এটি একটি অসাধারণ গবেষণা গ্রন্থ।
প্রধান অতিথি ড.মাহবুব হাসান বলেছেন, হাসান আলীম বিদ্রোহী কবিতার নন্দনতত্ত্ব যেভাবে বিশ্লেষণ করেছেন তা আমার কাছে একেবারে নতুন লেগেছে। আমার জানা মতে এমন আর একটি গ্রন্থ আমাদের ভাষায় রচিত হয়নি। তিনি বলেন, বিদ্রোহী কবিতার ধ্বনিতত্ত্ব, ধ্বনি তাত্ত্বিক ম্যাজিক নম্বর, ছন্দ বিশ্লেষণ, চিত্রকল্প, অলংকার ও রস প্রসঙ্গে হাসান আলীম যে বিশ্লেষণ করেছেন, তাতে আমি বিস্ময় প্রকাশ করছি।
তিনি বলেন বিদ্রোহী কবিতার এত বিস্তৃত বিশ্লেষণ হতে পারে তা আমার ধারণা ছিল না। আর কারো পক্ষে এমন বিশ্লেষণ করা সম্ভব কিনা আমার সংশয় জাগে। হাসান আলীম একটি অসাধারণ কাজ করেছেন।
কবি জাকির আবুজাফর বলেন, এটি হাসান আলীমের একটি অসাধারণ কাজ। কত রাত জেগে জেগে কঠিন সাধনা করে এ অসাধারণ গ্রন্থটি রচনা করেছেন তার হিসেব মেলানো দুষ্কর। এ গবেষণা গ্রন্থটি বিদ্রোহী কবিতার সাথে সাথে চিরকাল বেঁচে থাকবে।
তিনি বলেন, বিদ্রোহী কবিতার এত নন্দনতাত্বিক বিশ্লেষণ আর কেউ করতে পারেননি।
অধ্যাপক ড.ফজলুল হক সৈকত বলেন, হাসান আলীম একজন বিশিষ্ট কবি ও গবেষক। তিনি আমাদের মতো অধ্যাপক নন। তিনি কবিতার নন্দনতত্ত্ব এবং শিল্প বোঝেন। চমৎকার করে তিনি যেভাবে বিদ্রোহী কবিতার নন্দনতত্ত্ব বিশ্লেষণ করেছেন তা কোনো অধ্যাপকের পক্ষে সম্ভব নয়- কারণ অধ্যাপকেরা কবিতা হত্যা করে, ভালো মন্দ বলে, ডিসেকশন করে- কবিতার নন্দনতত্ত্ব বা শিল্প আলোচনা করেন না। কিন্তু হাসান আলীম নিগুঢ়ভাবে কবিতার সৌন্দর্য বিশ্লেষণ করেছেন। এ গ্রন্থটি পিএইচডি গবেষণা এবং উচ্চতর শিক্ষার জন্য রেফারেন্স বই হতে পারে। পাঠ্য হতে পারে।
কলামিস্ট এবং সাংবাদিক হারুন ইবনে শাহাদাত বলেন, বিদ্রোহী কবিতা নিয়ে যে অপবাদ অপব্যাখ্যা ছিল, ধর্মীয়গোড়ামীর অপঘাত ছিল, তা হাসান আলীম অত্যন্ত বিজ্ঞতার সাথে, যুক্তি নির্ভরভাবে, বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা পৃথিবীর মধ্যে অদ্বিতীয় এবং সর্বশ্রেষ্ঠ কবিতা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশনের (আইএইচআরসি) বাংলাদেশ ন্যাশনাল বোর্ডের বর্তমান প্রেসিডেন্ট, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা পরিবেশ পরিষদের সাবেক সদস্য এম এ হাশেম রাজু ২য় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নিয়োগ পেয়েছেন। ৩০ জুন আইএইচআরসি ডেনমার্ক হেড অফিস হইতে জারিকৃত রেফারেন্স নং-আইএনটি৮৩৯/আইএইচআরসি৮৯৪৫বি এর মাধ্যমে এই নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়।
নিয়োগ রেফারেন্সে বলা হয়, মানবাধিকারের প্রতি আপনার অসাধারণ নিষ্ঠা, অঙ্গীকার এবং মানবতার জন্য অসামান্য সেবার স্বীকৃতিস্বরূপ, আইএইচআরসি বাংলাদেশ ন্যাশনাল বোর্ডের সভাপতি হিসেবে আপনার পুনর্নিয়োগের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে পেরে আমরা আনন্দের সাথে জানাচ্ছি। আপনার জীবন এবং কর্মকাণ্ড সেই মূল্যবোধের প্রতিফলন যা আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাহস, আত্ম-সেবা এবং সকল প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সত্যকে ধারণ করি। বাংলাদেশে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত জনাব পিটার ডি হাস এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসকে হুমকি প্রদানকারী দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আপনার নির্ভীক আইনি পদক্ষেপ ন্যায়বিচার এবং সততার প্রতি আপনার অটল অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে। বিষয়টি এখন বাংলাদেশের মাননীয় আদালতের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, যা নীরবতার চেয়ে আইনানুগ প্রতিরোধে আপনার বিশ্বাসের প্রমাণ।
এমন এক সময়ে যখন বিশ্বকে শান্তির জন্য সত্যিকারের কণ্ঠস্বরের প্রয়োজন, আপনার নেতৃত্ব কেবল সময়োপযোগীই নয় বরং গভীরভাবে অর্থবহও। আপনি জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন, অন্যরা যখন নীরব ছিল তখন আপনি আপনার আওয়াজ তুলেছেন এবং যেখানে অন্ধকার আছে সেখানে আপনি আলো হয়ে আছেন। আমরা নিশ্চিত যে আপনার উপস্থিতি বাংলাদেশের প্রতিটি ব্যক্তির অধিকার এবং মর্যাদা রক্ষার জন্য আইএইচআরসি’র লক্ষ্যকে আরও জোরদার করবে। এই পুনর্নিয়োগ আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিক যে আপনার প্রচেষ্টা বিশ্বব্যাপী দেখা, মূল্যবান এবং সম্মানিত। আপনি কেবল পদবিতে নেতা নন, বরং ন্যায়বিচার, শান্তি এবং মানবতার মশালবাহক।
এই পুনর্নিয়োগ অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং জারির তারিখ থেকে দুই বছরের জন্য বৈধ থাকবে, আপনার অব্যাহত অবদান এবং কর্মক্ষমতার উপর ভিত্তি করে মেয়াদ বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকবে।আমরা আপনার নেতৃত্বে আস্থা রাখি এবং আশা ও দৃঢ়তার প্রতীক হিসেবে আইএইচআরসি’র সাথে আপনার অব্যাহত যাত্রার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
আইএইচআরসি বাংলাদেশ ন্যাশনাল বোর্ডের প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নিয়োগ পাওয়ায় এম এ হাশেম রাজু কে অভিনন্দন জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আইএইচআরসি’র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, আইএইচআরসি বাংলাদেশ ন্যাশনাল বোর্ডের অ্যাম্বাসেডর প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান, প্রফেসর ড. জিনুবধি ভিক্ষু, সাবেক বিচারপতি আব্দুস সালাম মামুন, প্রফেসর ড. এম এ গফুর, বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. মো. ইদ্রিস আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মাহফুজুর রহমান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী, আইএইচআরসি’ নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন সালাম মিঠু, পরিচালক বিপ্লব পার্থ, প্রফেসর মো. ইকবাল হোসেন, প্রফেসর ড. আক্তার হোসেন, আইনজ্ঞ মো. আব্দুল মমিন চৌধুরী, ব্যারিস্টার পারভেজ আহমেদ, গোলাম সরোয়ার খান, এ্যাড. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, সোনিয়া সরোয়ার খান, এ্যাড. মোহাম্মদ আলী, এ্যাড. মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান।
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এক পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন ভাতা না দিয়ে আত্নগোপন করেছে কটন পাওয়ার এক্সেল নিট নামে এক পোশাক কারখানার মালিক। এ অভিযোগে শ্রমিকরা অনেকদিন যাবৎ বিভিন্নভাবে আন্দোলন করেও সুফল পাচ্ছিল না।
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) কে শ্রমিকরা এ বিষয়টি অবগত করলে এগিয়ে আসেন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ।
আজ ১২মে বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ নিজ সম্মেলন কক্ষে নিজ থেকে ওই কারখানার ২৯ জন নারী ও পুরুষ শ্রমিককে ডেকে এনে নগদ অর্থসহ খাদ্য সামগ্রী দিয়ে মানবিক সহায়তা করেছেন।
সহায়তা পেয়ে শ্রমিকরা জেলা প্রশাসকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এসময় শ্রমিকরা বলেন,সামনে ঈদ আমাদের হাতে কোন আর উপায় ছিল না নিরুপায় হয়ে জেলা প্রশাসকের দ্বারস্থ হয়েছি। আমাদের পাওনা বুঝে পেয়ে আমরা সকলেই আনন্দিত।
একইসাথে আত্মগোপন করা গার্মেন্টস মালিককে খুঁজে বের করে বাকি শ্রমিকদের পাওনা আদায় করে দেয়ার জন্য জেলা পুলিশ সুপারকে অনুরোধ করেছেন।
জানা যায় লোকমান মিয়ার মালিকানাধীন কটন পাওয়ার এক্সেল নিট নামে পোশাক কারখানাটি নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইনের সামনে ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় অবস্থিত।