মুসলমানদের সবচেয়ে বড় সম্মেলন পবিত্র হজের মূলপর্ব শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুরে আরাফাতের ময়দান সংলগ্ন মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা শুরু হয়।
এ বছর হজে খুতবা দিচ্ছেন সৌদি আরবের বিশিষ্ট আলেম, মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ড. বান্দার বিন আবদুল আজিজ বালিলা। তিনি সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদ এবং গবেষণা-মুফতি বোর্ডের সদস্য।
খুতবার শুরুতে তিনি আল্লাহতায়ালার প্রশংসা, রাসুলুল্লাহর (সা.) ওপর দরুদ পাঠ করেন। উপস্থিত হাজীদের সুস্থতা কামনা করেন। তাদের জন্য দোয়া করেন।
খুতবায় রাসূলের (সা.) একটি হাদিস পড়েন, যার মূলকথা হলো- কোনো মুসলমানের যদি সক্ষমতা অর্জন হয়, তাহলে জীবনে একবার হলেও তাকে অবশ্যই হজ করতে হবে।
শায়খ শায়খ ড. বান্দার বালিলা বলেন, তাওহিদ ও খতমে নবুওয়তের সাক্ষী ইসলামের মৌলিক রোকন। এছাড়াও নামাজ ও জাকাত ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। জাকাতের মাধ্যমে গরিব অসহায়দের ব্যাপক কল্যাণ সাধিত হয়।
চলতি বছরও পবিত্র হজের আরবি খুতবা অন্যান্য ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষায়ও অনুবাদ করা হচ্ছে।
বাংলাসহ অন্য যে ভাষায় সম্প্রচার হবে হজের খুতবা তা হলো- ইংরেজি, ফ্রেন্স, তুর্কি, মালাইউ, চায়নিজ, উর্দু, ফার্সি, রাশিয়ান ও হাউসা।
হিজরি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রতি বছর আরবি জিলহজ মাসের ৯ তারিখ আরাফাত ময়দানে হজের খুতবা অনুষ্ঠিত হয়। এই আরাফাতের ময়দানেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন।
মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে এবারও ‘সীমিত আকারে’ হজ্ব পালনের ব্যবস্থা করেছে সৌদি আরব।
ভিডিং লিংকঃ youtube.com/embed/r3MkrHUjrkE
শায়েস্তাগন্জ,পচ্শিম বিরামচর জগন্নাথপুরে জমির মালিক ছিলেন আব্দুল গফুর মিয়া। তিনি মারা যাওয়ার পূর্বে ১২ শতাংশ জমি মসজিদের জন্য দান করে যান। নিকটে কোন মসজিদ না থাকায় তার বড় ছেলে মোহাম্মদ সৈয়দ মিয়া রমজান মাসে এলাকার মানুষের নামাজের ব্যবস্থা করতে দ্রুত সময়ে মসজিদটি নির্মাণ কাজে সহযোগিতা করেন।
শায়েস্তাগঞ্জ পশ্চিম বিরামচর জগন্নাথপুর উক্ত মসজিদটি মাত্র চারদিনে নির্মাণ করা হয়। এলাকাবাসী জানায়, অনেক দূরে আল ফালাহ নামে একটা মসজিদ আছে, সেখানে বয়স্ক মুসুল্লীসহ সব ধরণের নামাজী ব্যক্তিদের নামাজ পড়া অসুবিধা হচ্ছিল। এলাকার মানুষের এধরণের সমস্যা সমাধানে পবিত্র রমজান মাসে মরহুম আব্দুল গফুর মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ সৈয়দ মিয়া ও এলাকার যুবকদের কায়িক পরিশ্রমে মাত্র ৪ দিনে ২২ মার্চে মসজিদের কাজ সম্পন্ন করে উক্ত মসজিদে তারাবি নামাজেরও ব্যবস্থা করা হয়।
অত্র এলাকার প্রবাসীরা মসজিদটি নির্মাণে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন বলে এলাকাবাসী জানান। অত্র মসজিদ নির্মাণে অনেকে টাকা-পয়সা, আবার অনেকে দিন-রাত শ্রম দিয়ে দ্রুততম সময়ে আল্লাহর ঘর মসজিদটি নির্মাণে সহযোগিতা করেন।
এদিকে বিরামচর এলাকার সন্তান শায়েস্তাগন্জ পৌরযুবলীগের সভাপ্রতি মসজিদ নির্মাণ কাজের জন্য স্থানীয় এমপির বরাবর দরখাস্ত করেছেন, যাতে সরকার তথা ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে কিছু সাহায্য সহযোগিতা পাওয়া যায়।
এলাকাবাসী আশা করছেন, রমজানের পর পর সকলের সম্মিলিত সহযোগিতায় মসজিদটির বিল্ডিং-এর কাজ শুরু করা হবে ইনশাল্লাহ্।
মসজিদটির জমি বরাদ্দের পর অস্থায়ীভাবে অর্থাৎ আপাতত বাঁশ, টিন দিয়েই মসজিদটি সম্পন্ন করা হয়, যাতে রমজান মাসের ওয়াক্তের নামাজ ও তারাবি নামাজ চালিয়ে নেওয়া যায়। আর এব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন মোহাম্মদ সৈয়দ মিয়া, মুজিবুর রহমান, মো. হাবিবুর, মো. জিয়াউর, আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ সৈয়দ মিয়া, মির হোসেন, মোহাম্মদ ইউনুছ আলী, শহিদ মিয়া জুবায়েল, ফজুলুল হকসহ অনেকে।
বাংলাদেশে বর্তমানে করোনায় সংক্রমিত রোগীদের মধ্যে ৯৮ শতাংশের শরীরে ডেলটা ধরন পাওয়া গেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএসএমএমইউতে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ও জিনোম সিকোয়েন্সিং রিসার্চ প্রজেক্টের সুপারভাইজার শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, দেশের ৮ বিভাগ থেকে করোনার ৩০০ নমুনা সংগ্রহ করে জিনোম সিকোয়েন্সিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
উপাচার্য বলেন, ডেলটা অতি সংক্রামক ধরন। এ থেকে সুরক্ষা পেতে টিকা নিতে হবে। টিকার লাভ হলো, জটিলতা কম হয়। এতে মৃত্যুহার কমে যাবে। তবে সুরক্ষার জন্য মাস্ক পরতে হবে।
গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ পুরুষ। ৯ মাস বয়স থেকে ৯০ বছর বয়সী রোগী গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তবে ৩০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী রোগীর সংখ্যা বেশি ছিল। গত ২৯ জুন থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে এই গবেষণা করা হয়। এতে দেখা যায়, মোট সংক্রমণের প্রায় ৯৮ শতাংশ ডেলটা ভেরিয়েন্ট। আর ১ শতাংশ বিটা ভেরিয়েন্ট।
গবেষণার প্রথম ১৫ দিনে এই বিটা ভেরিয়েন্ট ছিল ৩ শতাংশ। এ ছাড়া এক করোনা রোগী পাওয়া গেছে, যিনি মরিসাস ভেরিয়েন্ট অথবা নাইজেরিয়ার ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে।
ভারতে শনাক্ত ভেরিয়েন্টটি ডেলটা ভেরিয়েন্ট এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত ভেরিয়েন্টটি বিটা ভেরিয়েন্ট হিসেবে পরিচিত।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত আলফা ভেরিয়েন্টে সংক্রমণের হার বেশি ছিল। মার্চ মাসের প্রতিবেদন অনুসারে, ওই সময় বিটা ভেরিয়েন্টের সংক্রমণের হার বেশি ছিল।
করোনার এই জিনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার প্রধান গবেষক বিশ্ববিদ্যালয়টির অ্যানাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান ও জেনেটিকস অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজির অধ্যাপক লায়লা আনজুমান বানু। সহযোগী গবেষক ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান ও সহ–উপাচার্য (শিক্ষা) এ কে এম মোসারফ হোসেন। এ ছাড়া ১৪ জন গবেষক এই গবেষণায় অংশ নিয়েছেন। সূত্রঃ প্রথম আলো