a কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩ পৌষ ১৪৩২, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে


হানিফ,মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
মঙ্গলবার, ২৫ মে, ২০২১, ০৪:৪২
কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে

ছবি: এম.এস.প্রতিদিন

মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে দীর্ঘদিন সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ ছিল। বন্ধ ছিল দক্ষিণবাংলার ঐতিহ্যবাহী ভ্রমণ মাধ্যম লঞ্চ সার্ভিসও। গত রবিবার সরকারের ঘোষিত নীতিমালার অনুযায়ী ৬০% ভাড়া বৃদ্ধি করে আসন সংখ্যা সীমিত রেখে চলাচল শুরু করেছে নৌযানসহ গণপরিবহন।

গত রবিবার সকাল থেকেই সাধারণ মানুষ তাদের প্রয়োজন লঞ্চযোগে গন্তব্যে ছুটে যাচ্ছে তবে যাত্রীদের চাপ ছিল কিছুটা কম। বিভিন্ন  টার্মিনালে ঘুরে আজ দেখা গিয়েছে সকালে চাঁদপুর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চে ছিল না তেমন ভীড়। তবে যে লঞ্চগুলো ঢাকায় ফিরছে সেগুলোতে মোটামুটি যাত্রীদের চাপ দেখা গিয়েছে। আজ দুপুর ১২.৩০ টায় ছেড়ে যাওয়া বিলাশবহুল এমভি ঈগল-২ মোটামুটি যাত্রী নিয়েই ছেড়ে গেছে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। এর আগে ১১.৪৫ এ ছেড়ে যাওয়া এমভি ইমাম হাসান লঞ্চে বেশ ভীড় লক্ষ্য করা গিয়েছে।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কাউকেই মাস্ক ছাড়া লঞ্চে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না, উঠলেই লঞ্চস্টাফরা হাতে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার করে নিতে বলছেন। তবে লঞ্চের ভিতর তেমন স্বাস্থ্যবিধির নিয়ম মানার বালাই নেই যাত্রীদের মাঝে। অনেকেই আছে ইচ্ছেমতো ঘুরাঘুরি করতেছে, কেউ মাস্ক পড়ে আছে থুতনিতে কেউবা মাস্ক হাতে নিয়ে ঘুরছে। তাদেরকে মাস্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তারা অধিকাংশই অভিযোগ করে গরমের কারনে মাস্ক মুখে রাখতে তাদের ব্যাপক কস্ট হয়।

৬০% ভাড়া বৃদ্ধি হওয়ায় এখন চাঁদপুরের সাধারণ ডেকের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬০ টাকা, পূর্বে ছিল ১০০ টাকা। নরসিংহপুর ঈদগাফেরিঘাটের বর্তমান ভাড়া ১৮০ টাকা আগে ভাড়া ছিল ১২০ টাকা।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

জামালপুরে যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত


মনিরুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ৩০ আগষ্ট, ২০২৩, ০১:১২
জামালপুরে যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত

ফাইল ছবি

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে জামালপুর জেলা যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। এ নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। আজ বুধবার সকালে মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া এলাকায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। এ নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নদীর পানি ১৪ সেন্টিমিটার বেড়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যমুনার পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। নদীতীরবর্তী অঞ্চলের মানুষের মধ্যে পানিবন্দী হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জামালপুর কার্যালয়ের পানি পরিমাপক আবদুল মান্নান আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণমাধ্যমকে বলেন, কয়েক দিন ধরেই যমুনার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছিল। তবে গতকাল রাত থেকে পানি খুব দ্রুত বাড়ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ১৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীতীরের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। আগামী দুই দিন আরও কিছুটা পানি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে নদীতীরবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবে। তবে বড় ধরনের কোনো বন্যার আশঙ্কা নেই বলে তিনি জানান।

ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুস সালাম বলেন, যমুনার একদম তীরবর্তী ইউনিয়ন চিনাডুলী। যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপরে উঠলেই সবার আগে এই ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়। ইতিমধ্যে বলিয়াদহ, পশ্চিম বাবনা, হাড়গিলাসহ কয়েকটি গ্রামের ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। আর কয়েক সেন্টিমিটার পানি বাড়লেই এলাকার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়বেন। সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

চট্টগ্রাম ও তিন পার্বত্য জেলায় সপ্তাহ জুড়েই বন্যা থাকবে


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ০৯ আগষ্ট, ২০২৩, ১২:৪৭
চট্টগ্রাম ও তিন পার্বত্য জেলায় সপ্তাহ জুড়েই বন্যা থাকবে

ফাইল ছবি

টানা ভারি বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বের পার্বত্য অববাহিকার কিছু স্থানে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। শহরের পথঘাট-সড়ক পানিতে ডুবে গেছে।  

আবহাওয়া অধিদফতর পূর্বাভাস বলছে, চট্টগ্রাম বিভাগে আরও দু’দিন অতিভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এ অঞ্চলের প্রধান নদী মুহুরী, ফেনী, হালদা, কর্ণফুলী, সাঙ্গু ও মাতামুহুরীর পানি বাড়ছে। এতে ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে। বান্দরবান ও কক্সবাজারে বন্যা পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি ঘটেছে। তুমুল বৃষ্টি,পাহাড়ি ঢল ও জোয়ারের পানিতে কক্সবাজারে নতুন করে বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

কক্সবাজারসহ পার্বত্য জেলাগুলোতে পাহাড় ধ্বস এবং মাটি চাপায় প্রতিদিন বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। বন্যা ও জলাবদ্ধতায় লক্ষ লক্ষ মানুষ পানি বন্দী। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় কয়েকটি এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। 

সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। পার্বত্য ৪ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধের মেয়াদ আরও দুই দিন বৃদ্ধি করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
          
মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত জেলার সাতটি উপজেলার কমপক্ষে ৪৫টি ইউনিয়নের সাড়ে চার লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক বন্ধ রয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - সারাদেশ