a
সংগৃহীত ছবি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুরে ভিমরুলের কামড়ে জান্নাত (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে জান্নাত, মাইনুল এবং তাবাস্সুম ভিমরুলের কামড়ে মারাত্বকভাবে আহত হইলে তাৎক্ষণিক তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিলে জান্নাত চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
জান্নাত সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের কাঠবাড়িয়া এলাকার হানিফ মিয়ার মেয়ে। একই ঘটনায় জান্নাতের বড় ভাই মাইনুল (৭) ও চাচাতো বোন তাবাস্সুম (৫) এর অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
জান্নাতের চাচা ফিরোজ মিয়া জানান, বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জান্নাত তার ভাই মাইনুল ও চাচাতো বোন তাবাস্সুম বাড়ির আঙিনায় খেলা করছিল। একপর্যায়ে বাড়ির উত্তর পাশের ঝোপে খেলতে যায় তারা। সেখানে তাদের তিনজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভিমরুল কামড় দেয়।
তিনি আরও জানান, এতে অসহ্য যন্ত্রণায় তারা কান্নাকাটি ও চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাদের তিনজনকেই জরুরী শিশু বিভাগে ভর্তি করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক রাতে জান্নাতেরর মৃত্যু নিশ্চিত করেন। বাকি দুইজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক খান রিয়াজ মাহমুদ জিকু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভিমরুলের কামড়ে আহত হয়ে তিন শিশুকে বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এর মধ্যে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বাকি দুই শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ফাইল ফটো:মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব আলীর স্ত্রী ও সন্তানগণের ছবি
মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব আলীর স্ত্রী ও সন্তানরা হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা ও পৌর শহরের বাগুনিপাড়া গ্রামের বাসিন্ধা। জেলা প্রতিনিধি পাঠানো খবরে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব আলীর পরিবারের প্রতিবেশী শাহ আ: মতিন গংদের অত্যাচার ও জুলুমে সোহরাব আলীর পরিবারের লোকজন বাড়ীঘরে বসবাস করতে পারছেননা। জীবন বাঁচাতে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানা যায়। শাহ আব্দুল মতিন গং প্রতিবেশী মরহুম শাহ আরজু মিয়ার পুত্র ।
মুক্তিযোদ্ধা পরিবার নিজ গ্রামে স্বামীর ভিটায় বসবাস করার জন্য মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সোহরাব আলীর স্ত্রী বাদী হয়ে মাননীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার হবিগঞ্জ বরাবরে প্রতিকার চেয়ে লিখিত আবেদন করেছেন।
বাদীনী তাঁহার আরজিতে ন্যায় বিচার ও জবরদখলকৃত ভূমি উদ্ধারের জন্যে সকল মহলের সাহা্য্য ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করছেন। উল্লেখ্য, গত ০৭/০৩/২০২১ ইং তারিখে জেলা পুলিশ সুপার এবং ১০/০৩/২০২১ ইং তারিখে মন্ত্রী মহোদয় বরাবরে দরখাস্ত করেছেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি।
ফাইল ছবি
চলতি বিপিএলে কয়েকটি ঝড়ো ইনিংস খেলা পাকিস্তানি ব্যাটার ইফতিখার আহমেদ দেশে ফিরে গিয়ে আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠলেন। একটি প্রদর্শনী ম্যাচে খুনে ব্যাটিংয়ে ওয়াহাব রিয়াজের ওভারের ৬ বলই ছক্কা হাঁকালেন বিস্ফোরক এই ব্যাটসম্যান।
শেষ ওভারের আগে ইফতিখারের রান ছিল ৪৪ বলে ৫৮। ইনিংস শেষে যখন তিনি অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়ছেন, তার নামের পাশে তখন জ্বলজ্বল করছে ৫০ বলে ৯৪ রান। তার নৈপুণ্যে ৫ উইকেটে ১৮৪ রানের পুঁজি গড়ে কোয়েটা।
ম্যাচটি স্বীকৃতি কোনো টি-টোয়েন্টি না হলেও রেকর্ডের খাতায় থাকবে না ইফতিখারের নাম। স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টিতে ৬ বলে ৬টি ছক্কা মারার কীর্তি আছে পাঁচ জনের-যুবরাজ সিং, রস হোয়াইটলি, হজরতউল্লাহ জাজাই, লিও কার্টার ও কাইরন পোলার্ড।
চলমান বিপিএলে ইফতিখার ফরচুন বরিশাল হয়ে এবং ওয়াহাব খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলছিলেন। পেশাওয়ার-কোয়েটার এই প্রদর্শনী ম্যাচটি খেলতে দেশে ফেরেন পাকিস্তানের আরও কয়েকজন।
ইফতিখার অবশ্য কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে আগামী মঙ্গলবারের ম্যাচটি খেলতে আবারও যোগ দেবেন বরিশাল শিবিরে। এরপর ফের দেশে ফিরে যাবেন তিনি। আগামী বুধবার পর্যন্ত পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের অনাপত্তিপত্র দিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড পিসিবি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন