a রুশ-ইউক্রেনীয়রা রূপপুর পারমাণবিকে মিলেমিশে কাজ করছে
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

রুশ-ইউক্রেনীয়রা রূপপুর পারমাণবিকে মিলেমিশে কাজ করছে


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শুক্রবার, ০৪ মার্চ, ২০২২, ১১:৪০
রুশ-ইউক্রেনীয়রা রূপপুর পারমাণবিকে মিলেমিশে কাজ করছে

ফাইল ছবি

রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে বর্তমানে ভয়ানক যুদ্ধ চললেও এর প্রভাব পড়েনি ঈশ্বরদীর রূপপুরে কর্মরত নাগরিকদের মধ্যে। রাশিয়ান ও ইউক্রেনীয়রা রূপপুর পারমাণবিকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মিলেমিশে কাজ করছে।

রাশিয়া কর্তৃক সম্প্রতি ইউক্রেনে হামলাকে কেন্দ্র করে ইউরোপসহ বিশ্বজুড়ে এখন উত্তেজনা চরমে। কিন্তু ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অবস্থা ভিন্ন। এখানে রুশ ও ইউক্রেনীয়ার অধিবাসীরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেই যাচ্ছেন।

রূপপুরে এখন ১৬টি দেশের নাগরিক কাজ করছেন। এর বেশির ভাগ রাশিয়ান হলেও প্রায় তিন শতাধিক ইউক্রেনের নাগরিক রয়েছে। রূপপুর প্রকল্পে কর্মরত এবং গ্রীণ সিটির পার্শ্ববর্তী রেঁস্তোরা-হোটেলে কথা বলে এ খবর জানা গেছে।

জানা যায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে প্রতিদিন প্রায় ২৭-২৮ হাজার কর্মী কাজ করছেন। এদের মধ্যে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার বিদেশি নাগরিক রয়েছেন।

রাশিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি নিয়েই ইউক্রেনের নাগরিকরা এখানে কাজ করতে এসেছেন বলে প্রকল্পের সাইট ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুস জানিয়েছেন। সকলে মিলেমিশে কাজ করছেন। কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এখন পর্যন্ত ঘটেনি।

গ্রীন সিটির ৩নং গেটের সামনের 'ফুড ওয়েভ' রেঁস্তোরার ম্যানেজার মাহফুজুর রহমান শিফন জানান, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা একসাথে খেতে আসছেন এবং আড্ডা দিচ্ছেন। রূপপুর প্রকল্পের বিভাগীয় প্রধান (প্রশাসন ও অর্থ) অলোক চক্রবর্তী জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব রূপপুর প্রকল্পের কাজে পড়েনি। এখানে দুই দেশের নাগরিকেরা পারস্পরিক সৌহার্দ্যের সঙ্গে কাজ করছেন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পরমাণু শক্তি কমিশন। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন (রসাটম)’র নেতৃত্বে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট।

এদিকে রসাটম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে দেওয়া প্রতিশ্রুতি এবং কাজের শিডিউলে কোনও বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে না।’

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে পাবনার ঈশ্বরদীতে। ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের দু’টি ইউনিট নির্মাণ করা হচ্ছে রূপপুরে। খরচ হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ২২ হাজার ৫২ কোটি ৯১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। আর রাশিয়া থেকে ঋণসহায়তা হিসেবে আসছে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের এপ্রিলে জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর। সূত্র: ই্ত্তেফাক

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সুন্দরী কম বয়সী তরুণীর সঙ্গ পেতে ২৭ লাখ টাকা



শুক্রবার, ০২ এপ্রিল, ২০২১, ০৯:২৪
সুন্দরী কম বয়সী তরুণীর সঙ্গ পেতে ২৭ লাখ টাকা

তরুণী মেয়েটিকে দেখেই আকৃষ্ট হন মোজাম্মেলন হোসেন। তার বয়স ৮০ ছুঁই ছুঁই। স্ত্রী আছেন। তারও বয়স হয়েছে। এই অবস্থায়ও তরুণীর কাছে ছুটে যান তিনি। ওই তরুণীর লেখাপড়াসহ সকল ব্যয় বহন করবেন বৃদ্ধ মোজাম্মেল। বিনিময়ে মোজাম্মেলকে দিতে হবে অন্তঃরঙ্গ মুহূর্ত। তরুণী রাজি।

প্রথম দেখাতেই ওই তরুণীর হাতে কয়েক হাজার টাকা দিয়ে কিছু একটা কিনে নিতে বলেন ধনাঢ্য মোজাম্মেল। ধানমন্ডিসহ রাজধানীর বিভিন্নস্থানে রয়েছে মোজাম্মেলের একাধিক বহুতল বাড়ি। প্রতি মাসে আয় হয় বিপুল টাকা। সন্তানরা থাকেন যুক্তরাজ্যে। স্ত্রীও থাকেন সেখানে। মাঝে-মধ্যে দেশে আসেন। সম্পদের জন্য ঢাকায় থাকতে হয় বৃদ্ধ মোজাম্মেলকে।

মোজাম্মেল (ছদ্মনাম) ভাবতেই পারেননি সঙ্গী হিসেবে এমন সুন্দরী কম বয়সী একটি মেয়ে পাবেন তিনি। প্রথম দেখাতেই জানিয়ে দেন মেয়েটিকে তার বেশ ভালো লেগেছে। কাল থেকেই এই তরুণীকে তার ফ্ল্যাটে চান তিনি। এই মেয়েকে পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে এই বৃদ্ধকে। ঘটনার শুরু ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। তার ধানমন্ডির বাসায় ভাড়াটে হিসেবে উঠেন রিপা ও রিপার স্বামী। রিপার সংসারে অর্থকষ্ট। সময়মতো ভাড়া দিতে পারেন না। এরমধ্যেই বাড়িওয়ালা মোজাম্মেলের নজর পড়ে ওই নারীর ওপর। দেখা সাক্ষাত হলেই গা ঘেষে দাঁড়িয়ে কথা বলেন। কথা বলতে বলতে শরীরে হাত দেন। নিরবে সহ্য করেন এই নারী। রিপা জানান, তিন মাসের ভাড়ার টাকা বাকি ছিল। বাধ্য হয়েই অনেক কিছু সহ্য করতেন।

বৃদ্ধ মোজাম্মেল প্রস্তাব দেন, ‘তোমার ভাড়া দিতে হবে না। তুমি আমাকে অন্তঃরঙ্গ সময় দাও। তোমাকে পেলেই আমি খুশি।’ ওই নারী রাজি হন না কিছুতেই। এরমধ্যে রিপাকে উপহার দেন একটি স্মার্টফোন। উদ্দেশ্য ভিডিও কলে কথা বলা। রিপা পুলিশকে জানিয়েছেন, ভিডিও কলে কথায় কথায় উত্তেজনা ছড়াতেন মোজাম্মেল। এভাবেই চলছিলো দিনের পর দিন। রিপাতে আর সন্তুষ্ট থাকতে পারছিলেন না তিনি। এবার রিপাকে প্রস্তাব দেন, ‘কম বয়সী একজন বান্ধবী জুটিয়ে দাও। আমিতো বান্ধবী ছাড়া চলতেই পারি না।’ বিনিময়ে টাকা দিবেন তিনি। প্রস্তাবটি লুফে নেন রিপা।

শুরু হয় বান্ধবী জোটানোর মিশন। রিপা যোগাযোগ করলেন আজগর নামে এক যুবকের সঙ্গে। আজগরের মাধ্যমে সন্ধান পেলেন রিয়াজের। তার বাড়ি ফরিদপুরে। রিয়াজের অন্য নাম সুমন। কাজ করেন এক আইনজীবীর সহকারী হিসেবে। রিয়াজের পরামর্শে শুরু হয় মিশন। বৃদ্ধ মোজাম্মেলের শয্যাসঙ্গী হতে প্রস্তুত সুন্দরী তরুণী। ডেকে এনে ঢাকার একটি বাসায় দেখানো হয় ওই তরুণীকে। তরুণীর পাশে বসে কথা বলেন মোজাম্মেল।

বেশ ভালোলাগে তার। এই তরুণীকেই চাই। পরদিন সকালে বৃদ্ধ মোজাম্মেলের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাবেন এই তরুণী। কথানুসারে সব প্রস্তুত। বৃদ্ধ মোজাম্মেলের বাসাতেই ঘটে ঘটনা। ওই বাসাতে ওই তরুণীকে নিয়ে নির্ধারীত রুমে যান রিপা। বেশ কিছুক্ষণ পর বের হন তিনি। তারপরই রুমে যান বৃদ্ধ মোজাম্মেল। এরমধ্যেই ওই বাসায় ঢুকে রিয়াজসহ কয়েক জন। সাত-আট মিনিট পরে মোজাম্মেল ওই রুম থেকে বের হতেই সামনে দাঁড়ান রিয়াজ ও তার সঙ্গীরা। হুমকি দিয়ে জানান, যা বলবো তাই করেন। এতক্ষণ রুমের ভেতরে যা হয়েছে তার সবই ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছে। কথা না শুনলে ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাবে।

মোজাম্মেল ক্ষুব্ধ হন। তার উচ্চপদস্থ অনেক বন্ধু রয়েছে। প্রয়োজনে তাদের ডাকবেন। দ্রুত রিয়াজসহ সবাইকে বাসা থেকে বের হতে বলেন। রিয়াজ চটে যান। সবাইকে ডাকতে বলেন। সবার সামনে মোজাম্মেলের আসল চেহারা প্রকাশ করতে চান রিয়াজ। এবার ভয় পান মোজাম্মেল। মান-সম্মান সব যাবে, ভেবে কাঁপতে থাকেন তিনি। রিয়াজ দাবি করেন ১০ লাখ টাকা। টাকা দিলেই এটি গোপন রাখা হবে। দর কষাকাষির পর বাধ্য হয়েই পাঁচ লাখ টাকা দেন মোজাম্মেল। ভিডিও তখনও রিয়াজের কাছে।

বৃদ্ধ ভয়েই থাকেন। কিছুদিন পর পর নিজ থেকেই ফোনে অনুনয় করেন রিয়াজকে। তার মান-সম্মান যেনো নষ্ট না করা হয়। রিয়াজ এবার দাবি করেন, পাঁচ লাখ টাকা। বৃদ্ধ দেন চার লাখ। এভাবে ব্ল্যাকমেইল করে চাঁদাবাজি করেই যাচ্ছিলো চক্রটি। বিভিন্ন সময়ে ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ২৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা লুটে নেয় এই চক্র। অবশেষে গত বছরের ১৮ই জানুয়ারি পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনে হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা করেন ওই বৃদ্ধ। একপর্যায়ে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় সাইবার ক্রাইম তদন্ত বিভাগ।

গত ২রা ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর ও রাজবাড়ি জেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রিপা ও রিয়াজকে। সিনিয়র সহকারী কমিশনার ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ জানান, গ্রেপ্তারের পর আসামিরা পুলিশের কাছে অপরাধ স্বীকার করেছে।

সূত্র: মানবজমিন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

ঢাকায় গাইবান্ধা জেলা উন্নয়ন ফোরাম-এর সহ সভাপতি এডভোকেট মোঃ মোশারফ হোসেন মনিরকে ফুলেল শুভেচ্ছা


আরাফাত, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫, ০৪:৫৫
ঢাকায় গাইবান্ধা জেলা উন্নয়ন ফোরাম-এর সহ সভাপতি এডভোকেট মোঃ মোশারফ হোসেন মনিরকে ফুলেল শুভেচ্ছা

ছবিঃ মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আজ ঢাকায় গাইবান্ধা জেলা উন্নয়ন ফোরামের সহ সভাপতি এডভোকেট মোঃ মোশারফ হোসেন মনিরকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এডভোকেট মোঃ মোশারফ হোসেন মনিরকে এসিস্ট্যান্ট এটর্নী জেনারেল নিয়োগ দেওয়ায় ঢাকাস্থ গাইবান্ধা জেলা উন্নয়ন ফোরামের উদ্যোগে আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর পুরানা পল্টনে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সংগঠনের সভাপতি সাবেক অতিরিক্ত সচিব আইয়ুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব কফিল উদ্দিন, এস এম, জাকির হোসেন, ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা এটিএম, মমতাজুল করিম, মশিয়ুর রহমান, বকুল মহন্ত, তাজুল ইসলাম সরকার, নেয়ামুল আহসান পামেল, খাইরুল ইসলাম আকন্দ, আব্দুল হাদী, তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - সারাদেশ