a রুশ-ইউক্রেনীয়রা রূপপুর পারমাণবিকে মিলেমিশে কাজ করছে
ঢাকা বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

রুশ-ইউক্রেনীয়রা রূপপুর পারমাণবিকে মিলেমিশে কাজ করছে


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শুক্রবার, ০৪ মার্চ, ২০২২, ১১:৪০
রুশ-ইউক্রেনীয়রা রূপপুর পারমাণবিকে মিলেমিশে কাজ করছে

ফাইল ছবি

রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে বর্তমানে ভয়ানক যুদ্ধ চললেও এর প্রভাব পড়েনি ঈশ্বরদীর রূপপুরে কর্মরত নাগরিকদের মধ্যে। রাশিয়ান ও ইউক্রেনীয়রা রূপপুর পারমাণবিকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মিলেমিশে কাজ করছে।

রাশিয়া কর্তৃক সম্প্রতি ইউক্রেনে হামলাকে কেন্দ্র করে ইউরোপসহ বিশ্বজুড়ে এখন উত্তেজনা চরমে। কিন্তু ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অবস্থা ভিন্ন। এখানে রুশ ও ইউক্রেনীয়ার অধিবাসীরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেই যাচ্ছেন।

রূপপুরে এখন ১৬টি দেশের নাগরিক কাজ করছেন। এর বেশির ভাগ রাশিয়ান হলেও প্রায় তিন শতাধিক ইউক্রেনের নাগরিক রয়েছে। রূপপুর প্রকল্পে কর্মরত এবং গ্রীণ সিটির পার্শ্ববর্তী রেঁস্তোরা-হোটেলে কথা বলে এ খবর জানা গেছে।

জানা যায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে প্রতিদিন প্রায় ২৭-২৮ হাজার কর্মী কাজ করছেন। এদের মধ্যে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার বিদেশি নাগরিক রয়েছেন।

রাশিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি নিয়েই ইউক্রেনের নাগরিকরা এখানে কাজ করতে এসেছেন বলে প্রকল্পের সাইট ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুস জানিয়েছেন। সকলে মিলেমিশে কাজ করছেন। কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এখন পর্যন্ত ঘটেনি।

গ্রীন সিটির ৩নং গেটের সামনের 'ফুড ওয়েভ' রেঁস্তোরার ম্যানেজার মাহফুজুর রহমান শিফন জানান, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা একসাথে খেতে আসছেন এবং আড্ডা দিচ্ছেন। রূপপুর প্রকল্পের বিভাগীয় প্রধান (প্রশাসন ও অর্থ) অলোক চক্রবর্তী জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব রূপপুর প্রকল্পের কাজে পড়েনি। এখানে দুই দেশের নাগরিকেরা পারস্পরিক সৌহার্দ্যের সঙ্গে কাজ করছেন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পরমাণু শক্তি কমিশন। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন (রসাটম)’র নেতৃত্বে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট।

এদিকে রসাটম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে দেওয়া প্রতিশ্রুতি এবং কাজের শিডিউলে কোনও বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে না।’

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে পাবনার ঈশ্বরদীতে। ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের দু’টি ইউনিট নির্মাণ করা হচ্ছে রূপপুরে। খরচ হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ২২ হাজার ৫২ কোটি ৯১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। আর রাশিয়া থেকে ঋণসহায়তা হিসেবে আসছে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের এপ্রিলে জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর। সূত্র: ই্ত্তেফাক

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সিংগার বিলে সূর্যমুখী ফুল চাষে সম্ভাবনার হাতছানি


জায়দুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ  
সোমবার, ২২ মার্চ, ২০২১, ০৬:৪৯
সিংগার বিলে সূর্যমুখী ফুল চাষে সম্ভাবনার হাতছানি

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিংগারবিল গ্রামের বাউয়ালাবন্দে নয়নাভিরাম সূর্যমুখী ফুল চাষ কৃষিতে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। নতুন মাত্রা কৃষকদের সূর্যমুখী ফুল চাষে আগ্রহী করছে ও ভবিষ্যতে অপার সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে। কৃষিতে সূর্যমুখী ফুল চাষ হবে লাভজনক। এই সূর্যমুখী ফুল দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভীড় জমাচ্ছে সিংগারবিল বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাবুল এলাহীর বাউয়ালাবন্দের প্রায় সাত বিঘা জমিতে। 

এ অঞ্চলের মাটির গুনাগুন আবহাওয়া ও জলবায়ু সূর্যমুখী ফুল চাষাবাদের জন্য উপযোগী বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষিবিদ। সূর্যমুখীর তেল অন্যান্য সাধারন তেলের চেয়ে আলাদা। কোলোষ্ঠোরেলমুক্ত প্রচুর পরিমাণ প্রাণ শক্তি থাকায় সূর্যমুখী তেল মানুষের শরীরের দূর্বলতা ও কার্যক্ষমতা বাড়ায়। রান্নার জন্য সয়াবিন তেলের চেয়ে সূর্যমুখী তেল দশ গুণ বেশি পুষ্টি সমৃদ্ব হওয়ায় শরীরের হাড় সুস্থ ও মজবুত করে। সূর্যমুখী তেলে থাকা ম্যাগনেসিয়াম আমাদের মানুষিক চাপ দূর করে। এই তেল মানব দেহের মহৌষধ হিসেবে কাজ করে বলে সূত্রে জানা যায়। 

সূর্যমুখী ফুলবীজ বপনের ৯০ থেকে ১০৫ দিনের মধ্যে এই ফসল তোলা যায়। হাইসান ৩৩ জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে বাবুল এলাহীর ৭ বিঘা জমিতে। তিনি জানান ফুল ফোটার পর অনেক দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসছে এই হলুদের সমারোহ নয়নাভিরাম সৌর্ন্দয্য দেখার জন্য। বিজয়নগর কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় ও তাদের সহযোগিতায় এই প্রথম আমি সূর্যমুখী  ফুল চাস করলাম। এতে আমার তেমন কোন খরচ নেই বললেই চলে। কৃষি অফিস বীজ সার ও অন্যান্য খরচ বহন করেছে। আমি আশা করছি অন্যান্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী ফুল চাষ লাভজনক হবে।কিন্তু বর্তমানে টিয়াপাখি ফুলের বীজ নষ্ট করছে। 

এ ব্যাপারে সিংগারবিল ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তা হাদিউল ইসলাম সৃজনের সাথে কথা বলে জানা যায় বাবুল এলাহীকে কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগীতা করা হয়। আগামীতে আমরা আরও বেশি কৃষক সমন্নয় করে সূর্যমুখী ফুলের চাষ বাড়াতে চাই। কিন্তু এই সূর্যমুখী ফুল বীজ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তেল ভাঙানোর তেমন মিলার নাই। সরিষার তেল ভাঙানোর মেশিন দিয়েই আপাতত তেল ভাঙানো হচ্ছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ভারতীয় অলরাউন্ডার


ক্রীড়া ডেস্ক:
সোমবার, ৩০ আগষ্ট, ২০২১, ০৯:১৫
ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ভারতীয় অলরাউন্ডার

ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে ব্যাট প্যাড তুলে রাখার সিদ্ধান্ত জানালেন ভারতীয় ক্রিকেটার স্টুয়ার্ট বিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে সঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেও সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন এই ভারতীয় অলরাউন্ডার।

দেশের জার্সিতে ৬টি টেস্ট, ১৪টি ওয়ান ডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন বিনি। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার রজার বিনির সুপুত্র তিনি। ওয়ান ডে তে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। সেটাই তাঁর অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। দীর্ঘ ৫ বছরের বেশি সময় ধরে জাতীয় দল থেকে বাইরে ছিলেন স্টুয়ার্ট বিনি। বাবার মত সাফল্য তিনি পাননি ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে।

তাই অবশেষে ক্রিকেট জীবনের কঠিন সিদ্ধান্তটা নিয়েই নিলেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। ৩৭ বছর বয়সে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দিলেন তিনি। গত সোমবার এক বিবৃতিতে স্টুয়ার্ট বিনি বিসিসিআই ও কর্নাটক ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানিয়ে অবসরের কথা জানান। তিনি বলেন, 'আমি প্রথম শ্রেণি ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি। সর্বোচ্চ স্তরে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা আমাকে অনেক আনন্দ ও সম্মান দিয়েছে।

আমার ক্রিকেটীয় যাত্রায় একটা বড় ভূমিকা পালনের জন্য আমি বিসিসিআইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমার প্রতি ওদের বিশ্বাস ও ভরসা অমূল্য। কর্নাটক রাজ্যের সমর্থন ছাড়া আমার ক্রিকেটের যাত্রা শুরু হত না। নিজের রাজ্যের হয়ে অধিনায়কত্ব করা ও ট্রফি জেতা সম্মানের ব্যাপার।' তিনি আরও বলেন, 'ক্রিকেট আমার রক্তে বইছে।

আমি সবসময় ক্রিকেটকে কিছু ফিরিয়ে দিতে চাই। ক্রিকেট আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমি সবাইকে আমার দ্বিতীয় ইনিংসের জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই।' নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারে ১৪ ওয়ান ডে ম্যাচ খেলে ২৩০ রান করেছেন।

উইকেট নিয়েছেন ২০টি। ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্য়াচে বিনির ঝুলিতে রয়েছে ৩৫ রান ও ১ উইকেট। আইপিএলে মোট ৯৫টি ম্যাচে ৮৮০ রান করেছেন এবং ২২টি উইকেট নিয়েছেন। ৯৫টি প্ৰথম শ্রেণির ম্যাচ। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হওয়া ক্রিকেট বিশ্বকাপেও ভারতীয় দলে ছিলেন স্টুয়ার্ট বিনি।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - সারাদেশ