a
ফাইল ছবি
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন তার দেশের ‘হস্তক্ষেপ না করার’ নীতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশিদের দ্বারা নির্ধারিত হওয়া উচিত। আসন্ন নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। গণমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ‘আমাদের নীতি অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ, আর তা হলো- চীন কখনোই কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জোহানেসবার্গে বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যা বলেছেন তা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবন নিশ্চিত করতে বাহ্যিক হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ এবং অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে চীন।
বৈঠকের বিষয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় চীন বাংলাদেশকে সমর্থন করে। চীন বাংলাদেশের উন্নত ভবিষ্যতের পাশাপাশি চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখে।’
তিনি বলেন, বর্তমানে ৬০০টিরও বেশি চীনা এন্টারপ্রাইজ বাংলাদেশে কাজ করছে এবং হাজার হাজার চীনা নাগরিক এখানে বসবাস ও কাজ করছেন।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও অনুসারে, চীনা কোম্পানিগুলো স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা, স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সামাজিক সেবা প্রদান, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তা, জনশক্তির সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে সামাজিক দায়িত্ব পালন করে থাকে।
তিনি বলেন, ‘তাদের অবদান ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের হৃদয়কে আরও কাছাকাছি আনা হয়েছে।’
উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিবেশের প্রেক্ষাপটে চীনা কোম্পানি ও নাগরিকদের স্বার্থ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইয়াও বলেন, চীনা নাগরিক বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও যৌথ উন্নয়নের জন্য এখানে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা অবশ্যই নিশ্চিত এবং বৈধ স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।’ গত বছরের শেষের দিকে ঢাকায় আসার পর তার প্রথম সাক্ষাৎকারে চীনা রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ, জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক এবং ভবিষ্যতের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা করেন। সূত্র: ইউএনবি/ইত্তেফাক।
ফাইল ছবি
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, জবাবদিহির আওতায় না আনা পর্যন্ত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ ও জার্মান থিংক ট্যাঙ্ক ফ্রেডরিখ এবার্ট স্টিফটাং আয়োজিত 'মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর' অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
পিটার হাস বলেন, নিষেধাজ্ঞাগুলো শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে নয় বরং আচরণ পরিবর্তন ও তাদের জবাবদিহির আওতায় আনার জন্য। গত বছরের ডিসেম্বরে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এটা খুব ভালো সংকেত। আমরা আশা করছি, র্যাবের আচরণ পরিবর্তন হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে পিটার হাস বলেন, ইন্দো প্যাসিফিক কৌশল- আইপিএসে বাংলাদেশের যোগ দেওয়া না দেওয়াটা কোনো বিষয় নয়। এটা একটি নীতি। এটা বাংলাদেশ কীভাবে নেয়, সেটাই দেখার বিষয়।
তিনি বলেন, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ- বিআরআইয়ে যোগ দেওয়াটা বাংলাদেশের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ কোন জোটে যোগ দেবে, সেটা তাদের বিষয়।
অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলের নেতা, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও সাবেক কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: সমকাল
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে একটি বাণিজ্যিক ভবনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।
রবিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে প্রিয়াঙ্গন শপিং মলের পাশের ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এতে তিনতলা ভবনটির আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক আজিজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন-শফিকুজ্জামান, আব্দুল মান্নান ও তুষার। আহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন-পথচারী খাইরুল, একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হান্নান ও শিক্ষার্থী পায়েল। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ, পপুলার হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা মো. শাজাহান সিকদার।