a ৫০ জন বাবুর্চি দিয়ে রান্না করা খাবার ২৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ
ঢাকা বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

৫০ জন বাবুর্চি দিয়ে রান্না করা খাবার ২৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ২৮ আগষ্ট, ২০২৪, ০৫:৪৭
৫০ জন বাবুর্চি দিয়ে রান্না করা খাবার ২৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ

ছবি: সংগৃহীত

 

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে গোমতী নদীর বাঁধ ভাঙ্গনের ফলে এ উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পুরোপুরি তলিয়ে যায়। যার ফলে এসব এলাকার বানভাসি পরিবারগুলো ঠিকানা হয় এ উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়ণ কেন্দ্রগুলোতে।

এসব কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেওয়া অসহায় মানুষগুলোর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে কাজ করছেন সরকারি, বেসরকারিসহ বিভিন্ন সংগঠন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে অনেকে এগিয়ে এসেছেন এসব বন্যাদুর্গত মানুষের সহায়তায়। তাদেরই একজন বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এ টি এম মিজানুর রহমান।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, তিনি একাই নিজস্ব অর্থায়ন ও জনবল দিয়ে বন্যা কবলিত বুড়িচং উপজেলার ২৭টি আশ্রয়ণ কেন্দ্রের অন্তত ১০ হাজার মানুষকে খাদ্য, চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য তিনি রান্নার কাজে অর্ধশতাধিকের বেশি বাবুর্চি এবং শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীদের এসব আশ্রয়ণ কেন্দ্রে রেখেছেন।

এছাড়াও তিনি তার আপন নিজ ভাই ডা. নাজমুল হাসান সাঈদসহ একাধিক চিকিৎসকের সমন্বয়ে কয়েকটি মেডিকেল টিম গঠন করেছেন। এ টিমগুলো প্রতিদিনই দুর্গতদের মাঝে চিকিৎসা সেবা দিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন।

বন্যার প্রথম দিনে শুকনো খাবার বিতরণ করলেও দুর্গত মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে মিজানুর রহমান ২৪ আগস্ট থেকে খাবারের তালিকায় দুপুর ও রাতে খিচুড়িসহ ভারি খাবার সরবরাহ শুরু করেন। এজন্য ২৭টি আশ্রয় কেন্দ্রের প্রত্যেকটিতে পৃথক বাবুর্চি ও সহযোগীসহ খাবার সরবরাহের জন্য অন্তত ২ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে।

এদিকে নির্ধারিত আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি বাইরেও তাদের মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানান সাবেক এই চেয়ারম্যান।

বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সবাই শুকনো চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট দিলেও মিজানুর রহমান আশ্রিতদের জন্য বাবুর্চি এনে রান্না করাচ্ছেন। এতে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বয়স্ক, শিশুসহ সব শ্রেণির মানুষের সুবিধা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান বলেন, আমি এ উপজেলার দুর্গত মানুষের সেবায় কোনো স্বার্থের মোহে কাজ করছি না। আগে করোনাসহ বিভিন্ন সময়ে আমি মানুষের পাশে ছিলাম। এবারও আছি। যতদিন আল্লাহ সামর্থ্য রাখবেন ততদিন অসহায়, সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাব।

তিনি আরও বলেন, আমার মেডিকেল টিম ৫-৭ সদস্য বিশিষ্ট। প্রতিটি টিমে আলাদা চিকিৎসক রয়েছেন। যখন যেখানে প্রয়োজন সেখানেই যাচ্ছেন তারা। ঔষধ, স্যালাইনসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন তারা।

তিনি বলেন, বন্যা পরবর্তী দুর্গতদের পুনর্বাসন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রশাসন, এনজিও, রেডক্রিসেন্ট, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীমূলক প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল, রেমিট্যান্স যোদ্ধাসহ সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।

এছাড়া পর্যায়ক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের তালিকা তৈরি করে পুনর্বাসন কাজ এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান।  সূত্র: যুগান্তর

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

জিনের আছরে গাছের আগায় নারী, নামাতে ফায়ার সার্ভিস তলব


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শুক্রবার, ২৫ জুন, ২০২১, ০৫:৫৩
জিনের আছরে গাছের আগায় নারী, নামাতে ফায়ার সার্ভিস তলব

সংগৃহীত ছবি

‘জিনের আছরে’ রাতের অন্ধকারে নারিকেল গাছের মাথায় উঠে বসে আছে তাহমিনা (২২) নামের এক নারী। এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা গাছে উঠে কৌশলে নামিয়ে আনেন ঐ নারীকে। 

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বেগমপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাত ৯টার দিকে এধরণের ঘটনা ঘটে। তাহমিনা ওই গ্রামের মো. হাসানের স্ত্রী।
 
মো. হাসান এ বিষয়ে বলেন, আমার স্ত্রীর জিনের সমস্যা আছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমি বাজারে যাই। রাত ৮টার দিকে বাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয়, তাহমিনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়িতে এসে আশেপাশে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

হাসান বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে শুনি আমার স্ত্রী মেয়ের নাম ধরে ডাকছে। আর বলছে আমাকে নামাও, ওরা আমাকে নিয়ে গেল। তার এ কথা শুনে বাড়ির পাশে নারকেল গাছে টর্চলাইট মেরে দেখা যায়, সে গাছের মাথায় বসে আছে। তখন তাকে গাছ থেকে নামানোর চেষ্টা করেও পারা যায়নি। উপায় না পেয়ে মহেশপুর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে নামিয়ে দেয়।

মো. হাসান বলেন, স্ত্রীর এ সমস্যার জন্য অনেক কবিরাজ দেখিয়েছি কিন্তু তাতেও সুস্থ হচ্ছে না।
 
মহেশপুর ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার রমেশ কুমার সাহা এ ঘটনার বিষয়ে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে একটা ফোন আসে এক নারী নারিকেল গাছের মাথায় উঠে আর নামতে পারছেন না। পরে সেখানে গিয়ে ৪০ মিনিটের চেষ্টায় তাকে গাছ থেকে নামিয়ে আনা হয়।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

নভোচারী মাইকেল কলিন্স মারা গেছেন


হানিফ, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৩২
নভোচারী মাইকেল কলিন্স মারা গেছেন

মাইকেল কলিন্স।ফাইল ছবি

মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গতকাল ২৮ এপ্রিল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে নিজ বাড়িতে  মৃত্যু বরণ করেন নভোচারী মাইকেল কলিন্স। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। কলিন্সের পরিবার টুইটারে সূত্রে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। 

এ সময় পরিবারের সদস্যরা তার পাশে ছিলেন। তিনি জীবনের সব বাধা একাগ্রতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। কলিন্সের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে নাসা। নাসার প্রশাসক স্টিভ জুরিক এক বিবৃতিতে বলেন, নাসা গভীর শোকের সঙ্গে বলছি নাসা এবং বিশ্ব একজন মহান পাইলট ও নভোচারীকে হারালো তার শুন্যস্থান চিরকাল অপূরনীয় হয়ে থাকবে।

১৯৬৯ সালে চাঁদের বুকে প্রথম পা রেখেছিল নাসার অ্যাপোলো-১১। মাইকেল কলিন্স ছিলেন সেই চন্দ্রাভিযানের কমান্ড মডিউল পাইলট। অভিযানে নিল আর্মস্ট্রং এবং এডউইন অলড্রিনের চাঁদের বুকে পা রাখেন। তবে কলিন্স চাঁদে নামেননি। এ কারণে তাকে ‘বিস্মৃত নভোচারী’ বলা হয়।

এ তিনজনের মধ্যে আর্মস্ট্রং মারা যান ২০১২ সালে। এখন শুধু বেঁচে আছেন  অলড্রিন। 

মাইকেল কলিন্স ১৯৩০ সালে ইতালিতে জন্ম নেন। তার বাবা যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীতে মেজর জেনারেল ছিলেন। কলিন্স যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি একাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট করেন। তারপর বিমানবাহিনীতে যোগ দেন। এরপর ১৯৬৩ সালে পাইলট হিসেবে নাসাতে যোগ দেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - সারাদেশ