a
ফাইল ছবি
মরুর বুকে ক্রিকেট। উপ-মহাদেশের ক্রিকেটের চার শক্তিশালী দেশের লড়াই আজ একই দিনে। বিকালে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা আর সন্ধ্যায় ভারত-পাকিস্তান লড়াই।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের লড়াইয়ে যেন আজ অলিখিত ফাইনালে মুখোমুখি হবে উপমহাদেশের শক্তিধর ক্রিকেট দেশ ভারত-পাকিস্তান।
পরিসংখ্যান বলছে ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, কোনো আসরেই ভারতকে আজও হারাতে পারেনি পাকিস্তান। পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম হুঙ্কার দিয়ে বলেছেন, ‘সেই দিন ভুলে যান। এবার আমরা জিতব।’
আর ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেছেন, ‘অতীতে কি হয়েছে সেখানে নজর নেই। আমার কাছে এই ম্যাচ অন্যান্য ম্যাচের মতই। এখানে কোনো ভিন্নতা দেখছি না। স্টেডিয়ামের পরিবেশ কিছুটা ভিন্ন। কিন্তু আমাদের মানসিকতা, প্রস্তুতি, খেলার ধরনে কোনো ভিন্নতা নেই।’ তার দলকে শানিত মুরুর বুকের ক্রিকেট স্রোতে উত্তেজনায় কাঁপছে দেশ। টিভির পর্দায় হুমড়ি খেয়ে পড়ার অপেক্ষায় ক্রিকেট অনুরাগীরা। যেন ক্রিকেট যুদ্ধের দামামা বাজছে।
ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট লড়াই যেন দুই দেশের সীমান্তের লড়াই। এরই মধ্যে কথার যুদ্ধ সীমানা ছাড়িয়ে গেছে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ক্রিকেট তারকা ইমরান খান চোখ রাখছেন দুবাইয়ে ২২ গজের পিচে। তিনি বাবর আজমকে জানিয়ে দিয়েছেন ৯২ বিশ্বকাপে মাঠে নামার আগে কীভাবে নিজেরা মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকতেন।
কথা বলেছেন ৮৩ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় অধিনায়ক কপিল দেব, দিলীপ ভেঙ্গ সরকার, পাকিস্তানের রমিজ রাজা, ওয়াসিম আকরামদের মতো মহারথীরা কথা ম্যাচ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন। আর তাতেই রবিবাসরীয় মহারণের জন্য তেঁতে উঠছে মঞ্চ।
যত সময় গড়াচ্ছে ততই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের উত্তাপ ততই ছড়াচ্ছে। রোমাঞ্চিত হচ্ছেন উপমহাদেশের ক্রিকেট অনুরাগীরা। বাংলাদেশের দর্শক বিকালে লঙ্কানদের বিপক্ষে সাকিবদের লড়াই দেখবেন। এর পরই উপভোগ করবেন ভারত ও পাকিস্তান ক্রিকেট যুদ্ধে।
ফাইল ছবি
রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ে পর্দা উঠেছে আইপিএলের চতুর্দশ আসরের। দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে শেষ বলে রোহিত শর্মার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ২ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টে শুভসূচনা করেছে বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান তোলে মুম্বাই। ইন্ডিয়ান্সদের শুরুটা ভালো হলেও শেষ দিকে সেভাবে রান তুলতে পারেননি তারা। ওপেনার রোহিত শর্মা ও ক্রিস লিন শুরুতে তোলেন ২৪ রান। এরমধ্যে রোহিত ১৫ বলে ১৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন। বেঙ্গালুরু অধিনায়ক কোহলিকে সাজঘরে পাঠান বুমরাহ।
এরপর অজি ওপেনার লিন করেন ৩৫ বলে ৪৯ রান। তিনে নামা সূর্যকুমার যাদব ২৩ বলে ৩১ রান করেন। চারে নামা ইশান কিষাণ ২৮ রানের ইনিংস খেলেন। কিন্তু শেষ দিকে হার্ডিক পান্ডিয়া ১০ বলে ১৩, কিয়েরন পোলার্ড ৯ বলে ৭ এবং ক্রুনাল পান্ডিয়া ৭ বলে ৭ রান করার সংগ্রহটা কম হয়ে যায় রোহিতদের।
ওই রান নিয়েই দারুণ লড়াই করে মুম্বাই। শুরুতে উইকেট নিয়ে ফেলে দেয় চাপে। তবে বিরাট কোহলি ৩৩ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৩৯ রান করে দলকে ভরসা দেন। এবি ডি ভিলিয়ার্স এরপর দলকে জয়ের পথে তুলে নেন। তিনি খেলেন ২৭ বলে ৪৮ রানের দারুণ এক ইনিংস। শেষ দুই বলে থাকা দুই রান হার্শাল প্যাটেলরা তুলে নেন। বেঙ্গালুরু পেসার হার্শাল প্যাটেল বল হাতে ২৭ রানে তুলে নেন পাঁচ পাঁচটি উইকেট।
সংগৃহীত ছবি
জাতীয় সংসদে রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাব, মদ ও জুয়া নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা কীভাবে এসব ক্লাবের সদস্য হন, এত টাকা তারা কোথায় পান, এসব ক্লাবে যে পরিমাণ মদ বিক্রি হয় তার কতটা বৈধ- এসব প্রশ্নও উঠে এসেছে সাংসদদের কথায়।
অধিবেশনে দিনের কর্মসূচির শুরুতেই জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেন। এরপর আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও তরিকত ফেডারেশনের সংসদ সদস্যদের অনির্ধারিত আলোচনায় কিছুক্ষণের জন্য সংসদ সরব হয় ওঠে।
তারপর আওয়ামী লীগের শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বিএনপির হারুন অর রশীদ, তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী এবং বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ আলোচনায় অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এসময় সংসদে উপস্থিত ছিলেন।
মুজিবুল হক চুন্নু আলোচনার শুরুতে বলেন, কয়েকদিন ধরে একজন চিত্রনায়িকার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, উত্তরা বোট ক্লাব, কে করল এই ক্লাব? এই ক্লাবের সদস্য কারা হয়? শুনেছি ৫০-৬০ লাখ টাকা দিয়ে এর সদস্য হতে হয়। এত টাকা দিয়ে কারা এর সদস্য হয়? আমরা তো ভাবতেই পারি না। সারাজীবন এত ইনকামও করি না।
তিনি আরো বলেন, এসব ক্লাবে মদ খাওয়া হয়। জুয়া খেলা হয়। বাংলাদেশে মদ খেতে হলে লাইসেন্স লাগে। সেখানে গ্যালন গ্যালন মদ বিক্রি হয়। লাইসেন্স নিয়ে যদি খায়, তবে তো এত মদ বিক্রি হওয়ার কথা নয়। সরকারি কর্মকর্তারা এখানে কীভাবে সদস্য হয়? এত টাকা কোথা থেকে আসে?
এসময় রাজধানীর অভিজাত এলাকায় ‘ডিজে পার্টি’ বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তেক্ষেপ চান চুন্নু। তিনি বলেন, গুলশান-বারিধারা এলাকায় ডিজে পার্টি হয়। সেখানে ড্যান্স হয়। নেশা করা হয়। মদ খাওয়া হয়। এসব আমাদের আইনে নেই, সংস্কৃতিতে নেই, ধর্মে নেই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন- কেন এসব হচ্ছে? কেন বন্ধ করা হবে না? ওইসব ক্লাবের সদস্য কারা হয়? পরীমনির যে ঘটনা, সেটা বোট ক্লাবে। ওই জায়গার একজন মালিক আছে। তিনি যেতেও পারে না। এসব দেখতে হবে।
এদিকে চুন্নুর বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিম ফ্লোর নিয়ে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশে মদ ও জুয়ার লাইসেন্স দেওয়ার জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে দায়ী করে বলেন, এতো বোট ক্লাব, জিয়াউর রহমান স্টিমার ক্লাব করেছিল। বঙ্গবন্ধু মদ-জুয়ার লাইসেন্স বন্ধ করে দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান আবার দিয়েছিল। যারা অপরাধের শুরু করেছে, তাদের আগে বিচার করা উচিত। ওখান থেকে ধরতে হবে।
এসময় বিএনপির হারুন অর রশীদ স্পিকারের কাছ থেকে ফ্লোর নিয়ে বলেন, আমাদের বিরোধী দলের একজন সংসদ সদস্য একটা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু সিনিয়র একজন সদস্য (শেখ সেলিম) কোথায় চলে গেলেন? এই সব ক্লাবে মদের ব্যবসার সঙ্গে সরকারি লোক জড়িত। আমি চ্যালেঞ্জ করছি। পুলিশ এসব জায়গা থেকে টাকা নেয়। প্রধানমন্ত্রী কোনো দলের নন, উনি রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী। এসব খুঁজে দেখা হোক।
প্রসঙ্গত, এর আগে রোববার এক ফেসবুক পোস্টে ‘হত্যাচেষ্টা ও ধর্ষণচেষ্টার’ অভিযোগ সামনে আনেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। পরে সেই রাতে বনানীতে নিজের বাসায় তিনি সাংবাদিকদের সামনে ঘটনার বিবরণ দেন। এরপর সোমবার সাভার থানায় ধর্ষণচেষ্টা, হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে একটি মামলা করেন তিনি। মামলার প্রধান আসামি উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ঢাকা বোট ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য (বিনোদন ও সংস্কৃতি)। এজাহারের আরেক আসামি তুহিন সিদ্দিকী অমিও বোট ক্লাবের সদস্য।