a
ফাইল ছবি
তামিম ইকবাল দেশসেরা ওপেনার। লাল-সবুজের জার্সি ছাড়াও খেলে বেড়ান বিভিন্ন ঘরোয়া লিগে। সেই তামিম এবার মাঠ মাতাবেন নেপালে হতে যাওয়া এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগে। ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র পেয়েছেন বিসিবি থেকে। নেপালের এভারেস্ট লিগে বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে খেলার সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশের তামিম ইকবাল খান। কিন্তু লিগে তামিম যাবে কি না সেটি নিয়ে ছিলো সংশয়! অবশেষে বিসিবি থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে লিগ খেলতে বাঁধা নেই তামিমের। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসের ২৪ সেপ্টেম্বর নেপালের উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন দেশসেরা এই ওপেনার।
ইপিএলের এই আসরে তামিমকে দেখা যাবে ভাইরাহাওয়া গ্ল্যাডিয়েটরসের হয়ে। তামিম ছাড়া এই আসরে মাঠ মাতাবেন আরো নামি দামি বিদেশি ক্রিকেটাররা। চলতি মাসের ২৬ তারিখ পোখরা রাইনোস, ২৭ তারিখ চিতওয়ান টাইর্গাস, ২৯ তারিখ বিরাটনগর ওয়ারিয়র্স,২ অক্টোবর কাঠমান্ডু কিংস এলেভেন এবং ৪ অক্টোবর ললিতপুর প্যাট্রিয়র্সের বিপক্ষে খেলবে তামিমের দল।
ফাইল ছবি
গত প্রায় আট বছরে ক্রিকেট বিশ্বে দক্ষিণ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়ার জন্য ভয়ংকর এক দল হয়ে উঠেছে। ১৭ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাই জয় পেয়েছে ১৪ বার। মাত্র তিনবার জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এই পরিসংখ্যানের কথা মাথায় রেখেই আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হচ্ছেন প্যাট কামিন্সরা। লক্ষ্ণৌর ইকানা স্পোর্টস সিটিতে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।
অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা থাকে। এই দুটো দলই ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম ৪০০ রানের মাইলফলক অতিক্রম করে। ২০০৬ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ার করা ৪৩৪ রান দক্ষিণ আফ্রিকা টপকে যায় এক উইকেট ও এক বল হাতে রেখে। ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা সেই ম্যাচটার কথা এখনো নিশ্চয়ই মনে আছে ক্রিকেটপ্রেমীদের।
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাজেভাবেই হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। ভারতের বিপক্ষে মাত্র ১৯৯ রান করেছিল তারা। ভারত সেই রান করে ৫২ বল হাতে রেখে। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই সামর্থ্যরে প্রমাণ দিয়েছে।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে তারা (৪২৮ রান)। সেই রান তাড়া করতে গিয়ে শ্রীলঙ্কা ৩২৬ রানে নিজেদের ইনিংস শেষ করে। ১০২ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দুটো দলকে নিয়ে আগে থেকে কিছু অনুমান করা বেশ কঠিন। একদিকে কুইন্টন ডি কক, ডুসেন, মারক্রাম, রাবাদা, এনগিডি লুঙ্গিরা গড়ে তুলেছেন এক দুর্দান্ত দল।
অন্যদিকে স্টিভ স্মিথ, ওয়ার্নার, মিচেল স্টার্ক, জাম্পাদের নিয়ে গড়া অস্ট্রেলিয়া। এমন দুই দল, যাদের যে কোনো ক্রিকেটার হয়ে উঠতে পারেন ম্যাচের নায়ক। সেমিফাইনাল খেলতে হলে এই ম্যাচে দুটি দলেরই জয় প্রয়োজন। যে ম্যাচটিতে জিতবে, তাদের সামনের পথ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। সূত্র: যুগান্তর
সংগৃহীত ছবি
ময়মনসিংহের রিকশাচালক শামীম। তিন সন্তান, স্ত্রী মিলে পাঁচ সদস্যের সংসারে একমাত্র উপার্জনকারী সে। রিকশার পেডেল ঘুরিয়ে সারাদিনে যা পকেটে আসে তা দিয়ে কোনরকম চলে তার সংসার। কিন্তু ভাগ্য খারাপ হলে যা হয় মঙ্গলবার রাতে সেই রিকশা নিয়ে রাত দেড়টায় মহাসড়কে ওঠার অপরাধে তাকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করে মহাসড়কে দায়িত্বরত পুলিশ। রিকশা বাঁচানোর ভয়ে সারাদিনের উপার্জন ৬০০ টাকা ও আগে পকেটে থাকা ১০০ টাকা দিয়ে রিকশা নিয়ে শেষ পর্যন্ত খালি হাতে বাড়িতে ফিরতে হয় শামীমকে।
শামীম ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার গাড়াজান পন্ডিতপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। জীবন জীবিকার তাগিদে পরিবারসহ ভালুকা এমসির বাজার এলাকায় ভাড়া করা খুপরি ঘরে থাকেন শামিম ।
উক্ত ঘটনার পরদিন বুধবার আবার শামীম রিকশা নিয়ে যাত্রীর আশায় যান সিডস্টোর বাসট্যান্ডে। সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। যাকে রিকশাওয়ালা শামীম চিনে না। দাঁড়িয়ের থাকার এক পর্যায়ে চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞেস করেন ‘কোথায় যাবেন’। চেয়ারম্যান তাকে জানান, তার নিজস্ব গাড়ি আসবে। তিনি ভালুকায় যাবেন। এ সময় চেয়ারম্যান সাহেব শামীমের লকডাউনের জন্য আয় কেমন হয় তা জিজ্ঞেস করেন। পরে কথা প্রসঙ্গে মঙ্গলবারের ঘটনাটি খুলে বলেন শামীম।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন। ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম ফেসবুকে মঙ্গলবারের ওই ঘটনাটি পোস্ট দিলে তা দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে। নজরে পড়ে ভালুকা হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. মশিউর রহমানের।
রিকশাচালক শামীম বলেন, মঙ্গলবার রাতে সিডস্টোর থেকে দুইজন পুলিশ সদস্যকে নিয়ে ভালুকা মডেল থানার সামনে নামিয়ে দিয়ে বাসট্যান্ড এলাকায় গেলে হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম আমাকে সিগন্যাল দেয়। তারা আমার রিকশা নিয়ে যেতে চান। কাকুতি মিনতি করার পর ১ হাজার টাকা জরিমানা চান তারা। কিন্তু ওই রাতে আয়ের ৬০০ টাকা ও পকেটে থাকা ১০০ টাকা দিলে তারা আমাকে ছেড়ে দেন।
আমি ওই দিন বাসায় খালি হাতে ফিরি। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিষয়টি ফেসবুকে প্রকাশের পর হাইওয়ে ওসি তাকে ফোন করেছিলেন বলে জানান শামীম।
এ ব্যাপারে ভালুকা হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. মশিউর রহমান বলেন, এই বিষয়ে আমার কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়ের ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর আমরা অনুসন্ধান করছি।
আমি ব্যক্তিগতভাবে শামীমকে ফোন দিয়েছিলাম। কে নিয়েছে (টাকা) তাদেরকে সে চিনে না। ওসি সাহেব আশ্বাস দেন আমরা দেখছি ওই রাতে কে ডিউটি করছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, রিকশাচালকের টাকা নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত দুঃখজন ঘটনা। এটা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার প্রয়াস। আগামী জেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে এবং অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।