a
ছবি: আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা বয়েড র্যানকিন
আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ড দুই দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলা পেসার বয়েড র্যানকিন ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার ক্যারিয়ার শুরু হয় আয়ারল্যান্ডের জার্সিগায়ে দিয়ে পরে কয়েক বছর ইংল্যান্ডের হয়ে খেললেও শেষ পর্যন্ত নিজ দেশ আয়ারল্যান্ডের হয়ে খেলেই ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন তিনি।
৩৬ বছর বয়সী এই পেসার সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। অবসরের আগে ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ড মিলিয়ে ৩টি টেস্ট, ৭৫টি ওয়ানডে ও ৫০টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন র্যানকিন। শিকার করেছেন ১৬৯টি উইকেট।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে পেসার র্যানকিন ২০০৭ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেকে হয়। সেই বছর আয়ারল্যান্ডের পক্ষে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেন এই পেসার। টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় ২০০৯ সালে । ২০১১ সালে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের পক্ষে খেলেন তিনি। তারপরেই টেস্ট খেলার নেশায় ইংল্যান্ডে উড়াল দেন এই পেসবোলার।
২০১৩-১৪ মৌসুমে ইংল্যান্ড দলের হয়ে মার্যাদাপূর্ন অ্যাশেজ সিরিজে সুযোগ পান এই ডানহাতি পেসার। স্বপ্নের সাদা পোশাকে তার অভিষেক হয় ইংল্যান্ডের পক্ষে। টেস্ট খেলা ব্যতীতও ইংল্যান্ডের জার্সিতে ৭টি ওয়ানডে ও ২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একাদশে ছিলেন তিনি। তিন বছর ইংল্যান্ডের হয়ে খেলে আবার ২০১৬ সালে নিজ দেশ আয়ারল্যান্ডে ফিরে যান র্যানকিন।
আয়ারল্যান্ড টেস্ট স্টাটাস পাওয়ায় ২০১৮ সালে আয়ারল্যান্ডের পক্ষেও সাদা পোশাকে সুযোগ পান র্যানকিন। আয়ারল্যান্ডের পক্ষে অভিষেকেই রেকর্ড গড়েন তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের ইতিহাসে প্রথম টেস্টে আজহার আলির উইকেট নিয়ে আয়ারল্যান্ডের পক্ষে টেস্টে প্রথম উইকেট শিকারের রেকর্ডটি চিরদিনের জন্য নিজের করে নেন, যা জ্বলজ্বল করবে আজীবন।
প্রায় দেড় যুগের বেশি ক্রিকেট ক্যারিয়ারের বিদায়ের খবর নিশ্চিত করেছে ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড।
ফাইল ছবি
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের সুখস্মৃতি না ফুড়াতেই পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আগামী ২৪ আগস্ট বাংলাদেশে আসবে নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দল। কিউইদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে এই সিরিজের জন্য ১৯ সদস্যের লম্বা স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। যেখানে দলে ফিরেছেন তিন ক্রিকেটার, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দলে থাকলে বাদ পড়েছেন এক জন। তবে টিকে গেছে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে সুপার ফ্লপ সৌম্য সরকার।
জিম্বাবুয়ে ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড ছিল ১৭ সদস্যের। আজ (বৃহস্পতিবার) ঘোষিত দলে সেখান থেকে বাদ পড়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন। পারিবারিক কারণে এই দুই সিরিজ খেলতে না পারা ৩ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহম, লিটন দাস ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব দলে ফিরেছেন। চোটের কারণে এ সিরিজেও নেই ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ১ সেপ্টেম্বর। পরের চারটি ম্যাচ ৩, ৫, ৮ ও ১০ সেপ্টেম্বর। প্রতিটি ম্যাচই হবে বিকেল ৪টায়, মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে।
নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য ১৯ সদস্যের বাংলাদেশ দল-
মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আফিফ হোসেন, নাইম শেখ, নুরুল হাসান সোহান, শামীম হোসেন, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, নাসুম আহমেদ।
ফাইল ছবি
দিমোনা পরমাণু স্থাপনার কাছে সিরিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর দখলদার ইসরায়েল জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দিমোনা পরমাণু কেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হানলে পরিণতি কী হতো তা নিয়ে আজ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি দৈনিক জেরুজালেম পোস্ট।
সেখানে বলা হয়েছে, গত রাতের ক্ষেপণাস্ত্রটির আঘাতের স্থানটি যদি দিমোনা পরমাণু স্থাপনা হতো, তাহলো আজকের ইসরায়েলের জনজীবন এই অবস্থায় থাকত না। একটা ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতই ইসরাইলের জন্য এক মহাবিপদের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
পত্রিকাটিতে আরো লেখা হয়েছে যে, দিমোনা পারমাণবিক কেন্দ্রের কাছের এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের ঘটনা সব বিপদকে একসঙ্গে স্মরণ করে দিয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরের দিকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলে আঘাত হানে। ওই মুখপাত্র জানান, সিরিয়ার দীর্ঘপাল্লার এসএ-৫ ক্ষেপণাস্ত্র ছিল এটি এবং রাশিয়ার এস-২০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে তা ছোঁড়া হয়।
দিমোনা পরমাণু স্থাপনার কাছে সিরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়েও নতুন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারণ এবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে সিরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রটি সঠিক নিশানা আঘাত করতে সক্ষম হয়। সূত্র: পার্সটুডে