a
ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে ব্যাট প্যাড তুলে রাখার সিদ্ধান্ত জানালেন ভারতীয় ক্রিকেটার স্টুয়ার্ট বিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে সঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেও সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন এই ভারতীয় অলরাউন্ডার।
দেশের জার্সিতে ৬টি টেস্ট, ১৪টি ওয়ান ডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন বিনি। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার রজার বিনির সুপুত্র তিনি। ওয়ান ডে তে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। সেটাই তাঁর অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। দীর্ঘ ৫ বছরের বেশি সময় ধরে জাতীয় দল থেকে বাইরে ছিলেন স্টুয়ার্ট বিনি। বাবার মত সাফল্য তিনি পাননি ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে।
তাই অবশেষে ক্রিকেট জীবনের কঠিন সিদ্ধান্তটা নিয়েই নিলেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। ৩৭ বছর বয়সে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দিলেন তিনি। গত সোমবার এক বিবৃতিতে স্টুয়ার্ট বিনি বিসিসিআই ও কর্নাটক ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানিয়ে অবসরের কথা জানান। তিনি বলেন, 'আমি প্রথম শ্রেণি ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি। সর্বোচ্চ স্তরে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা আমাকে অনেক আনন্দ ও সম্মান দিয়েছে।
আমার ক্রিকেটীয় যাত্রায় একটা বড় ভূমিকা পালনের জন্য আমি বিসিসিআইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমার প্রতি ওদের বিশ্বাস ও ভরসা অমূল্য। কর্নাটক রাজ্যের সমর্থন ছাড়া আমার ক্রিকেটের যাত্রা শুরু হত না। নিজের রাজ্যের হয়ে অধিনায়কত্ব করা ও ট্রফি জেতা সম্মানের ব্যাপার।' তিনি আরও বলেন, 'ক্রিকেট আমার রক্তে বইছে।
আমি সবসময় ক্রিকেটকে কিছু ফিরিয়ে দিতে চাই। ক্রিকেট আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমি সবাইকে আমার দ্বিতীয় ইনিংসের জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই।' নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারে ১৪ ওয়ান ডে ম্যাচ খেলে ২৩০ রান করেছেন।
উইকেট নিয়েছেন ২০টি। ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্য়াচে বিনির ঝুলিতে রয়েছে ৩৫ রান ও ১ উইকেট। আইপিএলে মোট ৯৫টি ম্যাচে ৮৮০ রান করেছেন এবং ২২টি উইকেট নিয়েছেন। ৯৫টি প্ৰথম শ্রেণির ম্যাচ। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হওয়া ক্রিকেট বিশ্বকাপেও ভারতীয় দলে ছিলেন স্টুয়ার্ট বিনি।
ফাইল ছবি
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। শনিবার সকালে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান।
খালেদ মাহমুদ সুজন শ্রীলঙ্কা থেকে ফেরার পর হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। দুইবার নেগেটিভ আসার পর যোগ দিয়েছিলেন দলের সঙ্গে। তবে ঈদের ছুটির পর ১৮ মে থেকে অনুশীলন শুরু হলেও তাকে দেখা যায়নি মাঠে।
টিম লিডার হিসেবে সুজনের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ সিরিজে দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল কিন্তু করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তিনি এ দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, ‘করোনা পজিটিভ হওয়াতে সুজন দলের সঙ্গে থাকতে পারছেন না। যেহেতু ঘরের মাঠে খেলা তাই টিম লিডারের দায়িত্ব আমরাই দেখব। এই দায়িত্ব নিয়ে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’
ফাইল ছবি
ইউরোপে বিদ্যুৎগতিতে ছড়াতে থাকা ওমিক্রন আগামী বছরের শুরু থেকেই ফ্রান্সে আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জ্যাঁ কাসতেক্স। শুক্রবার তার এ সতর্কবার্তার কয়েক ঘণ্টা পরই যুক্তরাজ্য থেকে ফ্রান্সে প্রবেশে কড়াকড়ি শুর হয়।
ইউরোপে এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যেই সবচেয়ে বেশি ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে; শুক্রবারও দেশটিতে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের দেহে ভ্যারিয়েন্টটির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে জার্মানি, রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডসের সরকারও শুক্রবার নতুন বিধিনিষেধ জারি করেছে। ইউরোপে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৯০ লাখের বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু ছাড়িয়েছে ১৫ লাখ। ফ্রান্স, নরওয়ে ও ডেনমার্কে দৈনিক শনাক্ত বাড়তে দেখে দেশগুলোকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ অ্যাখ্যা দিয়েছে জার্মানির জনস্বাস্থ্য সংস্থা।
শনিবার দেশটি আরো ৪২ হাজার মানুষের দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়ার কথা জানালেও এই সংখ্যা আগের দিনের ৫০ হাজারের তুলনায় কম।
কয়েকদিন আগে ইতালি, গ্রিস ও পর্তুগাল ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আগতদের ক্ষেত্রে শনাক্তকরণ পরীক্ষা নেগেটিভ ফল আসার প্রমাণপত্র দেখানো বাধ্যতামূলক করেছে। যারা টিকার দুই ডোজ নিয়েছে, তাদেরও এ প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি মোকাবিলায় ফ্রান্স টিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দেওয়ার ব্যবধান কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রেস্তোরাঁ ও দূরপাল্লার গণপরিবহনে প্রবেশের ক্ষেত্রে টিকার সবগুলো ডোজ নেওয়ার প্রমাণপত্রও লাগবে। নেদারল্যান্ডসের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশে ‘কঠোর লকডাউন’ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে বলেছেন, ফ্রান্সের মতো নেদারল্যান্ডসেও জানুয়ারির মধ্যেই ওমিক্রন অন্য ভ্যারিয়েন্টগুলোকে হটিয়ে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে। নভেম্বর থেকেই নেদারল্যান্ডসে বাস, রেস্তোরাঁ ও বেশির ভাগ দোকানপাট বিকাল ৫টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে। বড়দিনের আগেই এ বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার কথা থাকলেও ইউরোপের সংক্রমণ পরিস্থিতি দেখে ঐ বিধিনিষেধের মেয়াদ ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।