a
ফাইল ছবি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় জমজমাট হয়ে উঠেছে চোরাচালান বাণিজ্য। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালানীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবাধে কয়লা, পাথর, মদ, গাঁজা, ইয়াবা, কাঠ, চাল ও অস্ত্র পাচাঁর করছে। তারপরও সোর্সদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- প্রতিদিনির মতো আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকালে জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ডলুরা সীমান্তের ধোপাজান-চলতি নদী দিয়ে ভারত থেকে নৌকা বোঝাই করে পাথর ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে চোরাচালানীরা। এই খবর পেয়ে দুপুরে বিজিবি অভিযান চালিয়ে ৫ ঘনফুট পাথরসহ ১টি বারকি নৌকা জব্দ করে।
এর আগে মাছিমপুর সীমান্ত থেকে ১০ বোতল ও চিনাকান্দি সীমান্ত থেকে ১১ বোতল ভারতীয় মদ পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। কিন্তু চোরাকারবারীদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
অন্যদিকে ভোরে ৫টায় তাহিরপুর উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা তেতুলগাঁও, লালঘাট ও বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা এলাকা দিয়ে সোর্স শফিকুল ইসলাম ভৈবর, রমজান মিয়া, খোকন মিয়া, শহিদুল্লাহ, বাবুল মিয়া ও ইয়াবা কালাম পৃথক ভাবে ভারত থেকে প্রায় ৫০ মে.টন কয়লা ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে। পরে ৩টি স্টিলের ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে প্রায় ১৮ মে.টন কয়লাসহ মদ, গাঁজা ও ইয়াবাসহ বরশির চিপ পাচার করে ওপেন নিয়ে যায়। আর বাকি মালামাল সীমান্তের বিভিন্ন বাড়িঘরের ভিতর ও তার আশেপাশে পানিতে লুকিয়ে রাখে।
পাচারকৃত প্রতি নৌকা (৬ মে.টন) কয়লা জন্য ৫ হাজার টাকা চাঁদা নেয় বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী শফিকুল ইসলাম ভৈরব, রমজান মিয়া ও ইয়াবা কালাম। সোর্সরা দপটের সাথে প্রতিদিন এভাবেই ওপেন কয়লা ও মাদকদ্রব্য পাচার করে। কিন্তু বিজিবি এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয় না বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক তসলিম এহসান সাংবাদিকদের বলেন- জব্দকৃত মদ ও পাথরসহ নৌকা শুল্ক কার্যালয়ে জমা করার প্রক্রিয়া চলছে। সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত
অন্যসব দেশের রাষ্ট্রনেতাদের তুলনায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকার পুলিশপ্রধান খন্দকার গোলাম ফারুক।
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের আগের দিন শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তা প্রস্তুতি দেখতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঝুঁকি বিবেচনায় সম্মেলন ঘিরে সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জীবন সবসময়ই ঝুঁকির মধ্যে থাকে, ইতিপূর্বে অনেকবার জীবননাশের চেষ্টা করা হয়েছে, আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। এ জন্য আমরা তার নিরাপত্তাটাকে সবসময়ই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে থাকি।
তিনি জানান, সম্মেলনস্থলে প্রবেশের প্রতিটি গেটে থাকছে আর্চওয়ে, বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে মঞ্চের আশপাশের এলাকায় তল্লাশি করা হচ্ছে। পুলিশ সদস্যরা সাদা পোশাকেও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন বলে জানান।
তিনি বলেন, এক কথায় আমরা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা রেখেছি, যাতে আওয়ামী লীগ উৎসবমুখর পরিবেশে কাউন্সিল শেষ করতে পারে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনারা জানেন বিশ্বে যত বড় রাজনৈতিক নেতা আছেন, তার মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন সবচেয়ে বেশি রিস্কে। একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা বারবার তার জীবননাশের চেষ্টা করেছে। সূত্র: যুগান্তর
ম্যাক্স ও'ডাউড
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে নেপালের কাছে হেরে বসা নেদারল্যান্ডস আজ কির্তীপুরের ত্রিভূবন ইউনিভার্সিটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে। টবিয়াস ভিসের (১) সাথে ম্যাক্স ও’ডাউডের জুটি অবশ্য টিকেনি ১৭ রানের বেশি। টবিয়াস বিদায় নিলে উইকেট রক্ষক স্কট এডওয়ার্ডের সাথে যোগ করেন ৪৯ রান। এডওয়ার্ডের ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ৩১ রান।
এরপর বেন কুপারকে নিয়ে রীতিমত তান্ডব চালিয়েছেন ও’ডাউড। মালয়েশিয়ার বোলারদের উপর ঝড় বয়ে দেওয়ার পথে ও’ডাউডকে সঙ্গ দেওয়া কুপারের অবদান ২০ বলে ২০। অবিচ্ছেদ্য তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬৯ বলে রান এসেছে ১২৫।
৩৮ বলে ৬ চার ১ ছক্কায় ফিফটি ছোঁয়া ও’ডাউড সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে খরচ করেছেন মাত্র ২১ বল। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৭৩ বলে ১৫ চার ৬ ছক্কায় ১৩৩ রানে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটিই নেদারল্যান্ডসের কোন ব্যাটসম্যানের প্রথম সেঞ্চুরি। যা চিরদিন এক রেকর্ড হয়ে থাকবে ডাচভক্তদের মনে।