a
ফাইল ছবি
বাংলাদেশের কাছে হার মানল ওমান। ২৬ রানে জিতল বাংলাদেশ। ওমানের আল আমেরাতে মঙ্গলবারের ম্যাচে সৌম্য সরকারকে বসিয়ে ওপেনিংয়ে নাঈম শেখকে নামাল বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট।
আর নির্বাচকদের পরিকল্পনার সুবিচার করলেন নাঈম। তার ৫০ বলে ৬৪ রানের অনবদ্য ইনিংসে ভর করে ১৫৩ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
আর ১৫৪ রানের তাড়ায় দুর্দান্ত ব্যাটং করে বাংলাদেশকে চাপে রেখেছিল ওমানের ব্যাটাররা।
১৬ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১০৪ রান করে জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের আকাশে জমা কালো মেঘে দূর করে দেয় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
এক ওভারেই নেয় দুটি উইকেট। ১৭তম ওভারে সাকিবের ৪র্থ ও ৫ম ডেলিভারিতে আউট হয়ে যায় ওমানের আয়ান খান ও নাসিম খুশি। খেলায় ফেরে বাংলাদেশ। এরপর সাকিবকে অনুসরণ করে মোস্তাফিজুর রহমান। মোস্তাফিজও দুটি উইকেট নিলে ওমানের জয়ের আশা ক্ষীণ হয়ে যায়।
ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। তাসকিন আর মোস্তাফিজ মিলে ২ ওভারেই দেয় ৯টি অতিরিক্ত রান। মোস্তাফিজ এক ওভারেই করে ৫টি ওয়াইড। মাহমুদউল্লাহ ছাড়ে ক্যাচ।
সব মিলিয়ে দুর্বল ওমানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলটিকে খুব অচেনাই লাগছিল সবার। শেষ দিকে বোলিংয়ে সাকিব-মোস্তাফিজ জ্বলে না উঠলে বিদায় ঘণ্টা বেজে যেত মাহমুদউল্লাহ বাহিনীর। ১৬তম ওভার শেষে জয়ের জন্য ওমানের সমীকরণ ছিল ২৪ বলে ৫০ রান। হাতে পাঁচটি উইকেট।
এ সময়ে দলের ত্রাতা হয়ে আসেন অলরাউন্ডার সাকিব। মাত্র ৩ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। পরের ওভারে মোস্তাফিজুর ৫ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
এতে খেলার চিত্রটাই পাল্টে মাহমুদউল্লাহর হাতে চলে আসে। শেষ ৬ বলে ওমানের প্রয়োজন পড়ে ৩৯ রানের। অথচ ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইতোমধ্যে।
ওভারের পঞ্চম বলে মোস্তাফিজকে নাদিম ছক্কা হাঁকালেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ২৬ রানে জয় নিয়ে বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে ওঠায় টিকে থাকলো বাংলাদেশ।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ওমানের মতো দলের বিপক্ষে ২১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল। সেই অবস্থা থেকে দলকে খেলায় ফেরান ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম।
তৃতীয় উইকেটে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে গড়েন ৮০ রানের জুটি। দলীয় ১০১ রানে রানআউট হয়ে ফেরেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। তার আগে ২৯ বলে ৬টি চারের সাহায্যে করেন ৪২ রান।
ব্যাটিংয়ে প্রমোশন নিয়ে চারে খেলতে নেমে কাজের কাজ কিছুই করতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান। চার বলে মাত্র ৩ রান করে ফেরেন তিনি।এরপর একাই লড়াই চালিয়ে যান নাঈম শেখ। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে সৌম্যর কারণে একাদশে জায়গা হয়নি নাঈমের।
বাঁচা-মরার লড়াইয়ের ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই বেশ সাবধানি ব্যাটিং করেন নাঈম শেখ। তার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের কারণেই ১৫৩ রান তুলতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ দল।
তবে শেষ চার ওভারে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। একের পর এক উইকেট পতনের কারণে শেষ ২৪ বলে ৩৩ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ দল।
ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের ১৬.৪ ওভারে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরে মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ৫০ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় করে হয় ৬৪ রান।
সংগৃহীত ছবি
ক্রিকেট বিশ্বে অন্যতম শক্তিশালী দল ভারত ইংল্যান্ডের মাটিতে ৭৮ রানে অলআউট হয়ে আর একটি রেকর্ড সৃষ্টি করলেন।
ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে চরম ব্যাটিং বিপর্যয় ভারতের। আরও একটি লজ্জা পেল ভারতীয় ক্রিকেট দল। ইংরেজদের মাঠে এ নিয়ে ১০ বার শতরানের নিচে আউট হলো ভারত।
ইংল্যান্ডের মাঠে ১৯৭৪ সালে সবচেয়ে কম ৪২ রানে অলআউট হয় ওজিত ওয়াদেকারের নেতৃত্বাধীন ভারত। তবে টেস্টে এনিয়ে ২৬ বার একশ রানের নিচে আউট হলো ভারত।
ইনিংসের শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা। একমাত্র রোহিত শর্মা এবং আজিঙ্কা রাহানে ছাড়া কোনো ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেনি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৯ রান করেন রোহিত শর্মা। এছাড়া রাহানের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান।
দলীয় ১ রানেই প্রথম উইকেটের পতন হয় ভারতের। রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন লোকেশ রাহুল। অ্যান্ডারসনের বলে বাটলারকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর চেতেশ্বর পূজারাও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ।
অ্যান্ডারসনের বলে ফিরে যান ১ রান করে। এই ম্যাচেও ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। আগের দুই টেস্টের মতো এই ম্যাচেও ব্যাটে রান পাননি তিনি। মাত্র ৭ রানেই বিদায় নেন তিনি।
ভারত শিবিরে আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা, রিশভ পন্ত, মোহাম্মদ শামিসহ অন্যরাও।
ইংল্যান্ডের হয়ে বোলিংয়ে আগুন ছড়ান জেমস অ্যান্ডারসন, স্যাম কুরানরা। জিমি ৮ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ক্রেগ ওভারটন নিয়েছেন ১৪ রানে ৩ উইকেট। স্যাম কুরান ও ওলি রবিনসন নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
ফাইল ছবি
টাকা হাতিয়ে নিতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাইদাকে হত্যা করা হয়। এই টাকার জন্যই তাকে লাশ হতে হলো। পুলিশ সূত্রে এমনটাই জানা গেছে। টাকার লোভ সামলাতে না পেরে ওই সাবেক অধ্যাপককে হত্যা করেন রাজমিস্ত্রি। এ অভিযোগে রাজমিস্ত্রিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত অধ্যাপক সাহিদা গাফফার কাশিমপুরের পাইনশাইল এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থেকে পাইনশাইল এলাকায় অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন প্রকল্পের একটি ফ্লাটে কাজ করাচ্ছিলেন। শুক্রবার গাজীপুরের পানিশাইল এলাকায় তার ভাড়া বাসার অদূরে আবাসিক প্রকল্পের ভেতরের জঙ্গল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, সাইদা খালেকের ফ্লাটে আনারুল নামের রাজমিস্ত্রি কাজ করছিলেন। সাহিদা গফফারের হাতে টাকা দেখে ওই টাকা রাজমিস্ত্রি ছিনিয়ে নিতে।ধরলে তিনি ডাকচিৎকার দিলে রাজমিস্ত্রি তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে রাজমিস্ত্রি টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কাশিমপুর থানার উপ-পরিদর্শক দীপঙ্কর রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি আনারুলকে গাইবান্ধা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার আনারুল গাইবান্ধা জেলা সাদুল্লাপুর থানার বুজর্গ জামালপুর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে।
নিহত সাহিদা গাফফার ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মৃত কিবরিয়াউল খালেকের স্ত্রী।
আজ সকালে গাজীপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাইদা খালেকের (মোছা. সাইদা গাফফার) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গত দু’দিন আগে গাজীপুরের কাশিমপুর থানায় একটি নিখোঁজ হওয়ার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন নিহতের মেয়ে সাহিদা আফরিন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন