a
ফাইল ছবি
আসন্ন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে আজ ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। তবে প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও হেলাফেলার কিছু নেই; বরং জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে টাইগাররা। একটি জয় অনেক আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলে ক্রিকেটারদের মধ্যে, হোক সেটা প্রস্তুতি ম্যাচ।
এর আগে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশ ৪২ ওভারেই লংকানদের করা ২৬৪ রান তাড়া করে জিতেছে ৫ উইকেটের ব্যবধানে। রান পেয়েছেন দুই ওপেনার তানজিদ তামিম এবং লিটন দাস। সব মিলিয়ে দলের মধ্যে একটা স্বস্তির সুবাতাস।
যদিও প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচের আগে শঙ্কা হিসেবে দেখা দিয়েছিল সাকিবের ইনজুরি। তবে পরে জানা যায়, এই ইনজুরি খুব বড় নয়। তার প্রথম ম্যাচ খেলতে না পারার যে গুঞ্জন, সেটাও সঠিক নয়। সাকিব খেলতে পারবেন বিশ্ব আসরের নিজেদের প্রথম ম্যাচে।
এদিকে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচের আগে হালকা চোটে পড়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যদিও তা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলা হচ্ছে না। তবুও সব মিলিয়ে দলের মধ্যে হালকা ইনজুরির আভাস রয়েছে।
অপরদিকে আজ বৃষ্টির শঙ্কাও রয়েছে গুয়াহাটির বারসাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এরই মধ্যে এই মাঠে ভেস্তে গেছে ইংল্যান্ড ও ভারতের প্রস্তুতি ম্যাচ। আজও কী তেমনটা হবে? বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় সে শঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
গত দুই দিন অবিরাম বর্ষণ হয়েছে গুয়াহাটিতে। ঢাকায় যেমন কয়েকদিন আগে অচল হয়ে গিয়েছিল, তেমনি গুয়াহাটি শহরকেও বৃষ্টিতে ভেসে যেতে দেখেছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা।
বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম তেমনটাই জানিয়েছেন মিডিয়াকে। তিনি বলছিলেন, ‘মনে হওয়া স্বাভাবিক ছিল যে আমরা বোধ হয় ঢাকাতেই আছি। বৃষ্টিতে রাস্তা পানির নিচে চলে গিয়েছিল।’
যদিও গতকাল থেকে গুয়াহাটিতে রোদ উঠেছে। বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা ঐচ্ছিক অনুশীলনে গিয়েছিলেন। অনুশীলন করেছেন চার ক্রিকেটার- মাহমুদ উল্লাহ, মোস্তাফিজুর রহমান, শেখ মেহেদী হাসান ও নাসুম আহমেদ। ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে যথাসাধ্য বিশ্রাম এবং ফিট থাকার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
বনেদী ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট হচ্ছে টি-টুয়েন্টি যেখানে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার রাজত্ব বহু পুরনো। কিন্তু পরাজয় যেন পিছু ছাড়ছে না অজিদের, ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে সীমিত পরিসরের সিরিজের হার চলমান রয়েছে বাংলাদেশেও এ নিয়ে হতাশায় দিন কাটছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট প্রেমিদের মনে। তাদের এ হতাশা বহুগুনে বাড়িয়ে দিচ্ছে সরাসরি খেলা দেখতে না পারার আক্ষেপ। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় দীর্ঘ ২৭ বছর পর জাতীয় দলের ম্যাচ দেখতে না পেরে ক্ষিপ্ত দেশটির ক্রিকেট ভক্তরা।
গত ২৭ বছরে এই প্রথম জাতীয় দলের কোন ম্যাচ দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্বদেশী দর্শকরা। বিষয়টি নিয়ে একরকম রসিকতা করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে পোস্ট করে সঠিক লিংক চেয়েছেন অজি মারকুটে ব্যাটসম্যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
তিনি তার পোস্টে বলেন আমি কি বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের লিংক পেতে পারি? তার সেই টুইটের কমেন্ট সেকশনে তখন জমা হতে শুরু করে অসংখ্য অবৈধ স্ট্রিমিং লিংক।
অস্ট্রেলীয় দলের ১৯৯৪ সালের পাকিস্তান সফর ছিল সর্বশেষ সিরিজ যেটা কোন টিভি চ্যানেলে দেখতে পারেনি স্বদেশী দর্শকরা। গত ২৭ বছরে অস্ট্রেলিয়ার সিংহভাগ ক্রিকেট ম্যাচই সম্প্রচার করেছে টেলিভিশন কোম্পানি ফক্সটেল। সম্প্রচারের বেলায় বলতে গেলে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের মেরুদণ্ডই ফক্স।
২০১৮ সালে ১১৮ কোটি ডলারের বিশাল এক চুক্তিতে ৬ বছরের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সকল হোম সিরিজ এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের সত্ত্ব কিনে নেয় ফক্সটেল। এই চুক্তির পর থেকেই বাইরের সিরিজগুলোর জন্য একটু হিসেব করে খরচ করা শুরু করে তারা। প্রতিটি সফরের আগেই আয়োজক দেশের বোর্ডের সাথে একরকম দামাদামিতে লিপ্ত হয় ফক্সটেল। কম হাইপ থাকা সিরিজগুলোয় সেই দামাদামি একেবারে চূড়ান্ত রূপ ধারণ করে।
মে মাসে এই সিরিজের সূচি ঘোষিত হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ফক্সটেলের কাছে সিরিজ সম্প্রচার বিষয়ক চুক্তির জন্য নিজে থেকে প্রস্তাব পেশ করে। তাদের সেই প্রস্তাবকে একদম পাত্তাই দেয়নি ফক্স।
বাংলাদেশে আসার আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করে এসেছে অজিরা। সেই সিরিজের চুক্তির সময়ও একইরকম গড়িমসি করেছে ফক্স। সিরিজের প্রথম ম্যাচ শুরু হওয়ার মাত্র দুইদিন আগে উইন্ডিজ বোর্ডের সাথে সম্মতিতে আসে তারা।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া পরবর্তী সময়ে এই সিরিজ ইউটিউবে সম্প্রচারিত হবে এরকম ইঙ্গিত দিলেও গতকাল অস্ট্রেলিয়ার কোথাও ইউটিউবেও স্ট্রিম হয়নি এই ম্যাচটি। অস্ট্রেলিয়ায় ২৭ বা তারচেয়ে কম বয়সী কোন ক্রিকেট ভক্তই এর আগে এরকম ব্ল্যাকআউটের শিকার হয়নি।
এমন আক্ষেপের দিনে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষিপ্ত অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ ক্রিকেট ভক্তরা। গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ভালোই ক্ষোভ ঝেড়েছেন তারা। সম্প্রচারকদের এমন বিলাসিতার সমালোচনা করেছে কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রও।
ফাইল ছবি
আলোচিত-সমালোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশ কয়েকটি ধারা সংশোধন করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে ৭ আগস্ট মন্ত্রিসভার বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বদলে সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, কারিগরি ধারা ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনের কোনো ধারা অজামিনযোগ্য নেই।
তখন আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল নয়, সংশোধন হবে। গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা কিংবা মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়নি। এ আইনের অপব্যবহার রোধে সমাধানের অংশ হিসেবে এর কিছু সংশোধনী আনা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে প্রণীত বিতর্কিত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ বাতিলে বিভিন্ন সময় দাবি ওঠে। বিশেষ করে এর ৫৭ ধারা দেশে-বিদেশে সমালোচিত হয়। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের অধিকার সমুন্নত রাখা, সর্বোপরি মানুষের মৌলিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিতে আইনটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। সূত্র:ইত্তেফাক