a বড় জয় পেয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বাংলাদেশ বাংলাওয়াশ করলো
ঢাকা রবিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

বড় জয় পেয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বাংলাদেশ বাংলাওয়াশ করলো


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৩:১০
বড় জয় পেয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বাংলাদেশ বাংলাওয়াশ করলো

ছবি সংগৃহীত

 

আজ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সেন্ট ভিনসেন্টে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস। জাকের আলির ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান সংগ্রহ করে সফরকারীরা।

ছক্কা ও ৩ চারে ৪১ বলে ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন জাকের। এছাড়া পারভেজ হোসেন ইমন ২১ বলে ৩৯ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ২৩ বলে ২৯ রান করেন।

১৯০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৭ রানে জোড়া উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রানের খাতা খোলার আগেই ব্রান্ডন কিংকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন আহমেদ। এরপর জাস্টিন গ্রিভসকে আউট করে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন মেহেদী হাসান।

এরপর নিকোলাস পুরান ও জনসন চার্লস মিলে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন। ৩৮ রানের জুটি গড়েন তারা। এর দ্রুতই আরও তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা। পুরান ১০ বলে ১৫, জনসন ১৮ বলে ২৩ ও রস্টন চেজ খালি হাতে ফিরে যান।

এরপর দলীয় ৬০ রানে ১২ বলে ২ রান করে আউট হন রভম্যান পাওয়েল। তার বিদায়ের পর রোমারিও শেফার্ড ও গুডাকেশ মোতেই মিলে লড়াই করার চেষ্টা করেন। ৩৫ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার।

এরপর দ্রুতই তিন উইকেট তুলে নিয়ে জয় অনেকটা নিশ্চিত করে ফেলে বাংলাদেশ। মোতেই ১২ বলে ১২, আলজারি জোসেফ ২ বলে ১ ও শেফার্ড ২৭ বলে ৩২ রান করেন। আর শেষ ব্যাটার হিসেবে ওবেড ম্যাকই আউট হলে ১৬ ওভার ৪ বলে ১০৯ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের পক্ষে রিশাদ হোসেন নেন ৩টি উইকেট।

উল্লেখ্য, সিরিজ আগেই নিজেদের করে নিয়েছিল বাংলাদেশ। তাই শেষ ম্যাচটা ছিল হোয়াইটওয়াশের মঞ্চ, যেটা বাংলাদেশীরা বাংলা ওয়াশ বলতে স্বাচ্ছন্নবোধ করেন। এমন ম্যাচে জ্বলে উঠলেন ব্যাটাররা। এরপর বাকী কাজটা করলেন বোলাররা। এতেই ৮০ রানের বড় জয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ বা বাংলা ওয়াশ করলো টাইগাররা।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের পরামর্শক হিসেবে যুক্ত হচ্ছেন মাহেলা


ক্রীড়া ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৭:৫৬
শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের পরামর্শক হিসেবে যুক্ত হচ্ছেন মাহেলা

ফাইল ছবি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মাহেলা জয়াবর্ধনে। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কিংবদন্তি এই ব্যাটার আপাতত বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে শ্রীলঙ্কা দলের পরামর্শক হিসেবে থাকবেন।

আইপিএল শেষে শ্রীলঙ্কা দলের সঙ্গে যোগ দেবেন জয়াবর্ধনে। শুধু তাই নয়, আগামী বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা যুব দলের পরামর্শক হিসেবে কাজ করবেন জয়াবর্ধনে। পাঁচ মাসের চুক্তিতে নিজেদের দেশের যুব দলের সঙ্গে অবৈতনিকভাবে কাজ করবেন তিনি। এখন আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের কোচ জয়াবর্ধনে। তাঁর অধীনে ২০১৭, ২০১৯ ও ২০২০ সালে আইপিএলের শিরোপা জিতেছিল মুম্বাই।

তিনি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খুলনা টাইটানসেরও কোচ। এদিকে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে খেলতে হবে শ্রীলঙ্কাকে। ১৭ অক্টোবর থেকে ৭ দিন প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ চলবে। দুই গ্রুপে আটটি দল খেলবে।

বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, স্কটল্যান্ড, নামিবিয়া, ওমান ও পাপুয়া নিউগিনি। এই পর্ব থেকে চারটি দল সুপার টুয়েলভে খেলবে। র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা আট দল ও বাছাই পর্বের চার দলসহ সুপার টুয়েলভে হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

আরও পড়ুন

রাজনীতির মধ্যে রাজনীতি, অপরাজনীতিরই নামান্তর!


কর্নেল (অব.) আকরাম, কলাম লেখক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৬:০৭
রাজনীতির মধ্যে রাজনীতি অপরাজনীতিরই নামান্তর

ছবি সংগৃহীত

 

নিউজ ডেস্ক: একটি জাতির জন্য রাজনীতি ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ভুল রাজনীতি একটি জাতিকে নিঃসন্দেহে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যায়। ইতিহাসে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে এবং পাকিস্তান আমাদের সামনে একটি স্পষ্ট দৃষ্টান্ত। শুধুমাত্র ভুল রাজনীতির কারণে পাকিস্তান তার জন্মের মাত্র চব্বিশ বছরের মাথায় দেশভাগের সবচেয়ে দুঃখজনক অধ্যায় প্রত্যক্ষ করে। এটি পাকিস্তানের জনগণের প্রত্যাশার বাইরের একটি ঘটনা ছিল। কিন্তু অপবিত্র রাজনীতিই এটি ঘটিয়েছিল।  

সম্প্রতি আমরা মিয়ানমারে অপবিত্র রাজনীতির উদাহরণ দেখেছি, যেখানে দেশটি এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে গৃহযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। এর সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হচ্ছে সাধারণ মানুষ।  

অন্যদিকে, সঠিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য ভারত জন্মের পর থেকেই একটি স্থিতিশীল দেশ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। ভারতীয় নেতারা তাদের দেশকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিয়েছে।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিজেপি এবং কংগ্রেস একত্রিতভাবে একক সুরে কাজ করেছে, যা একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সংস্কৃতি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে এবং ভারতকে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে ধরে রেখেছে।  

এবার আমরা বাংলাদেশের গত পঁঞ্চাশ বছরের রাজনৈতিক সংস্কৃতির দিকে ফিরে তাকাই। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমান গণতন্ত্র চর্চার পরিবর্তে সেই গণতন্ত্রকে হত্যা করেন এবং রাজনীতি শূন্য করার চেষ্টা করেন। তিনি তার শাসন স্থায়ী করতে "রাজনীতির মধ্যে রাজনীতি" এর সূচনা করেন। তার জনপ্রিয়তার সুযোগ নিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ঘোষণা করে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের বীজ বপন করেন। তিনি তার সমস্ত রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে নির্মূল করেন। এটি একটি সফল প্রকল্প হিসেবে গণ্য হলেও, এই "মুজিববাদ" সমাজে একটি অপসংস্কৃতির জন্ম দেয়। এর ফলস্বরূপ, তার নিকট বন্ধু মোশতাক আহমেদের নেতৃত্বে, যিনি দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন, একটি ষড়যন্ত্রমূলক "রাজনীতির মধ্যে রাজনীতি" এর বিকাশ ঘটে। এর পরিণতিতে শেখ মুজিবের মর্মান্তিক পতন ঘটে।  

শেখ মুজিবের পতনের পর রাজনৈতিক পরিবর্তন এলেও দেশ আবারও "রাজনীতির মধ্যে রাজনীতি" এর শিকার হয় এবং মোশতাকও পতিত হন। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ যখন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে এবং ভারতীয় হস্তক্ষেপ প্রকাশ্যে আসে, তখন ৭ই নভেম্বর ১৯৭৫ সালে সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেন।  

একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয় এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন আলোর আবির্ভাব ঘটে। ভারতীয় আধিপত্যবাদ থেকে মুক্ত হয়ে জাতি এবং দেশ স্বাধীন রাজনীতির স্বাদ পেতে শুরু করে। জিয়াউর রহমান সৎ প্রচেষ্টায় সঠিক রাজনীতির সূচনা করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে "রাজনীতির মধ্যে রাজনীতি" তাকে ছাড়েনি, এবং শেষ পর্যন্ত দেশপ্রেমের জন্য তাকে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে হয়।  

এরপর বাংলাদেশে সৎ রাজনীতির সমাপ্তি ঘটে, এবং আমরা বহুবার "রাজনীতির মধ্যে রাজনীতি" প্রত্যক্ষ করেছি। এটি চলতে থাকে ফ্যাসিবাদী হাসিনা শাসনের ঐতিহাসিক পতন পর্যন্ত।  

তবে, জুলাই-আগস্ট ২০২৪ এর বিপ্লবের পর মানুষ নতুন করে সৎ রাজনীতির আশা দেখতে শুরু করেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রবণতা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে এই আশা পুরোপুরি দৃঢ় মনে হয় না। দেশের সবচেয়ে বড় এবং জনপ্রিয় দল বিএনপিকে উপেক্ষা করার চেষ্টা স্পষ্ট, যা জাতির জন্য একটি ভালো বার্তা দেয় না। আমরা ভুলে যেতে পারি না, গত পনেরো বছরে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী যে ত্যাগ ও ভোগান্তির শিকার হয়েছে। তাদের ত্যাগের ফলেই সাম্প্রতিক বিপ্লবের মাটি প্রস্তুত হয়েছে।  

বিপ্লবের পরবর্তী পরিস্থিতি সৎ রাজনীতির সুযোগ সৃষ্টি করেছে। যদি আমরা এই সুযোগকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হই, জাতি ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রাজনীতিতে কোনো ষড়যন্ত্র মানুষ মেনে নেবে না এবং "রাজনীতির মধ্যে রাজনীতি" কে কোনোভাবেই উৎসাহ দেওয়া উচিত নয়। এধরণের ষড়যন্ত্র সাধারণ জনগন কঠোরভাবে দমন করবে, তাতে সন্দেহ নেই। তবে অনেক রক্ষপাত ঘটার সম্ভাবনা তো থেকেই যায়।  

জাতীয়তাবাদী এবং ইসলামী শক্তির ঐক্য একটি নতুন বাংলাদেশের সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য। তাই যেকোনো বিচ্যুতি আবারও "রাজনীতির মধ্যে রাজনীতি" জন্ম দেবে এবং অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত শক্তিগুলি তাদের স্বার্থে এটি ব্যবহার করার সুযোগ পাবে। আমাদের নিজেদের ভুলের মাধ্যমে শত্রুদের এমন সুযোগ দেওয়া যাবে না।  

লেখক: সম্পাদক, মিলিটারি হিস্ট্রি জার্নাল এবং আইন ও ইতিহাসের অধ্যাপক।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বোচ্চ পঠিত - ক্রিকেট

ক্রিকেট এর সব খবর