a
ছবি সংগৃহীত
আজ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সেন্ট ভিনসেন্টে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস। জাকের আলির ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান সংগ্রহ করে সফরকারীরা।
ছক্কা ও ৩ চারে ৪১ বলে ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন জাকের। এছাড়া পারভেজ হোসেন ইমন ২১ বলে ৩৯ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ২৩ বলে ২৯ রান করেন।
১৯০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৭ রানে জোড়া উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রানের খাতা খোলার আগেই ব্রান্ডন কিংকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন আহমেদ। এরপর জাস্টিন গ্রিভসকে আউট করে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন মেহেদী হাসান।
এরপর নিকোলাস পুরান ও জনসন চার্লস মিলে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন। ৩৮ রানের জুটি গড়েন তারা। এর দ্রুতই আরও তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা। পুরান ১০ বলে ১৫, জনসন ১৮ বলে ২৩ ও রস্টন চেজ খালি হাতে ফিরে যান।
এরপর দলীয় ৬০ রানে ১২ বলে ২ রান করে আউট হন রভম্যান পাওয়েল। তার বিদায়ের পর রোমারিও শেফার্ড ও গুডাকেশ মোতেই মিলে লড়াই করার চেষ্টা করেন। ৩৫ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার।
এরপর দ্রুতই তিন উইকেট তুলে নিয়ে জয় অনেকটা নিশ্চিত করে ফেলে বাংলাদেশ। মোতেই ১২ বলে ১২, আলজারি জোসেফ ২ বলে ১ ও শেফার্ড ২৭ বলে ৩২ রান করেন। আর শেষ ব্যাটার হিসেবে ওবেড ম্যাকই আউট হলে ১৬ ওভার ৪ বলে ১০৯ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের পক্ষে রিশাদ হোসেন নেন ৩টি উইকেট।
উল্লেখ্য, সিরিজ আগেই নিজেদের করে নিয়েছিল বাংলাদেশ। তাই শেষ ম্যাচটা ছিল হোয়াইটওয়াশের মঞ্চ, যেটা বাংলাদেশীরা বাংলা ওয়াশ বলতে স্বাচ্ছন্নবোধ করেন। এমন ম্যাচে জ্বলে উঠলেন ব্যাটাররা। এরপর বাকী কাজটা করলেন বোলাররা। এতেই ৮০ রানের বড় জয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ বা বাংলা ওয়াশ করলো টাইগাররা।
ফাইল ছবি
আজ শেরেবাংলায় ৫ ম্যাচ টি-টুয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ শুরুতেই চমক দিয়ে ইনিংস শুরু করেন নাইম-মাহাদি জুটি। প্রথম দিকে ভালো খেলতেছিল বাংলাদেশ। শুরুর দিকে সেই ভালো খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি টাইগাররা। নিয়মিত ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুড়তে থাকা সৌম্য সরকারের ব্যাটিং পজিশন পরিবর্তন করেও আজকে ১৬ রানের বেশি করতে পারেনি।
বাংলাদেশ ১৫ ওভারে ১০০ পার করলেও শেষের দিকে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১২২ রানের বেশি করতে পারেনি টাইগাররা। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন নাইম শেখ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সতর্কভবেই খেলতেছিলো অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার। দলীয় ৩ রানের মাথায় আঘাত করেন নাসুম, সাঝঘরে ফিরান গত ম্যাচে ৫ ছক্কা হাকানো ক্রিসচিয়ানকে। এরপর আর কেউই উইকেটে দাঁড়াতে পারেনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকলে মাত্র ৬২ রানে অল আউট হয় অজিরা। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন আর সাকিব আল হাসানে কাছেই মূলত দিশেহারা হয়ে হারলো অস্ট্রেলিয়া।
অজিরা শেষ ম্যাচে ২৪ রানের মধ্যে শেষ ৮ উইকেট হারায়, যার মধ্যে এই দুই বোলার ৭ উইকেট ভাগাভাগি করেছেন। ১৩তম ওভারে অ্যাগারকে বোল্ড করেন সাইফ। এর আগের ওভারে জোড়া আঘাত করেন। পরের ওভারে এসেই আবারো দুটি উইকেট তুলে নেন সাকিব, প্রথম তিন ওভারে ২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
এই দুই বোলারের কাছেই কুপোকাত অস্ট্রেলিয়া ১৩.৪ ওভারে অলআউট হয় ৬২ রানে। বাংলাদেশ জয়লাভ করে ৬০ রানে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। এর আগে অজিদের সর্বনিম্ন রান ছিল ৭৯, ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৪-১ এ জিতে শেষ করল বাংলাদেশ।
গত ম্যাচে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ৫০ রান দেওয়া সাকিব এবার চার উইকেট নিয়েছেন। ৩.৪ ওভারে ১ মেডেনসহ মাত্র ৯ রান দেন তিনি। তিনটি উইকেট সাইফের। ম্যাচসেরা ও সিরিজ সেরার পুরস্কার উঠেছে সাকিবের হাতে।
বাংলাদেশ: ১২২/৮ (২০ ওভার)
অস্ট্রেলিয়া: ৬২/১০ (১৩.৪ ওভার)
ছবি সংগৃহীত