a
ফাইল ছবি
আজ সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে এবারের আইপিএলে তৃতীয় জয় পেয়েছে রাজাস্থান। এ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে উঠে এলো রাজাস্থান। বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের আগুনে বোলিং এ তারা হায়দারাবাদকে ৫৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে জয়ের বড় স্কোর দাড় করান ইংলিশ তারকা জস বাটলার। এরপর বল হাতে আগুন ঝরান কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। এই হারে টেবিলের একেবারে তলানিতে চলে গেল হায়দারাবাদ। ৭ ম্যাচে তাদের জয় মাত্র ১ টিতে।
টস জিতে রাজস্থানকে ফিল্ডিংয়ে পাঠায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বদলি অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় রাজস্থান। এরপর ব্যাট হাতে হায়দারাবাদের বোলারদের উপর ছড়ি ঘুড়িয়েছেন বাটলার।
অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের সাথে গড়েন ১৫০ রানের বিশাল জুটি। আইপিএল ক্যারিয়ারে এটা তার প্রথম সেঞ্চুরি। ১৯তম ওভারে সন্দ্বীপ শর্মার বলে বোল্ড হওয়ার আগে তিনি খেলেন ৬৪ বলে ১১ চার ৮ ছক্কায় ১২৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। অধিনায়ক সঞ্জুও ৩৩ বলে ৪৮ রান করেন।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে বিশাল টার্গেটের ভারে শুরুতেই হোচট খায় হায়দরাবাদ। সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন ওপেনার মণীষ পাণ্ডে। আরেক ওপেনার জনি বেয়ারস্টোর সংগ্রহ করেন ২১ বলে ৩০ রান।
এদিকে ডেভিড ওয়ার্নারের পরিবর্তে অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নেমে উলিয়ামসন ২০ রানের বেশি করতে পারেনি। অন্য সব ব্যাটসম্যানরা আসা যাওয়ার ভিতরই ছিলেন। সৌজন্যে মুস্তাফিজ-ক্রিস মরিসের দুর্দান্ত বোলিং। মরিস মুস্তাফিজ সমান ৩ উইকেট নিলেও মরিস ৪ ওভারে দিয়েছেন ২৯ রান। আর মুস্তাফিজ দিয়েছেন মাত্র ২০ রান। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের বেশি করতে পারেনি হায়দরাবাদ।
স্কোরঃ
রাজাস্থান ২২০/৩, জস বাটলার ১২৪ রান, রশিদ ২৪/১
হায়দারাবাদ ১৬৫/৮, পান্ডে ৩১ রান, মুস্তাফিজ ৩/২০, মরিস ৩/২৯
ফাইল ছবি
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলমান সপ্তম আসরে নাজেহাল অবস্থা ভারতের। প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে ধরাশায়ী হয় বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দলটি।
ভারতকে ১৫১ রানে আটকে দিয়ে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পায় পাকিস্তান। বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে এই প্রথম ভারতের বিপক্ষে জয় পেল পাকিস্তান।
পাকিস্তানের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও ছন্নছাড়া ব্যাটিং ভারতের। কিউইদের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যাওয়া ভারত ইনিংস থামায় ৭ উইকেটে ১১০ রানে।
১১১ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে ৩৩ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় পায় নিউজিল্যান্ড। দলের জয়ে ৩৫ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন ওপেনার ড্যারিল মিচেল। ৩১ বলে তিনটি বাউন্ডারিতে ৩৩ রান করে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
টানা দুই ম্যাচে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে কঠোর সমালোচনা মুখে পড়েছে বিরাট কোহলিরা।
ভারতের বিপক্ষে টার্গেট তাড়া করতে নেমে দলীয় ২৪ রানে ফেরেন মার্টিন গাপটিল। তিনি জসপ্রিত বুমরাহর শিকার হওয়ার আগে ১৭ বলে করেন ২০ রান।
এরপর তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে সঙ্গে নিয়ে ৫৪ বলে ৭২ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান ড্যারিল মিচেল। ৩৫ বলে ৪৯ রান করেন।
এরপর ডেভন কনওয়েকে সঙ্গে নিয়ে ১৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জয় নিশ্চিত করেন কেন উইলিয়ামসন।
রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপর্যয়ে পড়ে যায় ভারত। ট্রেন্ট বোল্টের গতির বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওপোনার ইশান কিশান।
সুরাইয়া কুমার যাদবের পরিবর্তে সুযোগ পেয়ে ওপেনিংয়ে নেমে মাত্র ৮ বলে ৪ রান করে ফেরেন ইশান। তার বিদায়ে ২.৫ ওভারে ১১ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত।
ইশান কিশান দলে ফেরায় ওপেনিং পজিশন ছাড়েন রোহিত শর্মা। তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমেই ইশান কিশানের মতো ট্রেন্ট বোল্টের বলে ক্যাচ তুলে দেন রোহিত শর্মাও। লংঅনে ফিল্ডিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এডাম মিলনির হাতে বলটি পড়ে। কিন্তু সহজ ক্যাচটি তার হাত ফসকে পড়ে যায়। শূন্য রানে লাইফ পান ভারতীয় এ তারকা ওপেনার।
৫.৫ ওভারে দলীয় ৩৫ রানে টিম সাউদির বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন অন্য ওপেনার লোকেশ রাহুল। দলীয় ৪০ রানে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন শূন্য রানে ক্যাচ তুলে দেওয়া রোহিত শর্মা। সাজঘরে ফেরার আগে ১৪ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ১৪ রান করেন তিনি।
রোহিত আউট হওয়ার পর উইকেটে বেশি সময় স্থায়ী হতে পারেননি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ইস সৌদির বলে ট্রেন্ট বোল্টের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি। তার আগে ১৭ বলে মাত্র ৯ রান করার সুযোগ পান কোহলি।
দলীয় ৭০ রানে ফেরেন ঋষভ পন্থ। অ্যাডাম মিলনির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। ১৯ বলে মাত্র ১২ রান করার সুযোগ পান তিনি।
এরপর ১৯তম ওভারে দলীয় ৯৪ রানে আউট হন হার্দিক পান্ডিয়া ও শার্দুল ঠাকুর। দলকে সম্মানজনক স্কোর উপহার দিতে শেষ দিকে চেষ্টা করে যান রবিন্দ্র জাদেজা। তিনি ১৯ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।
ছবি সংগৃহীত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন, “সরকারের সঙ্গে প্রথমে নিজেদের পছন্দের লোকদের সমঝোতা করেছেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে বাকিদের ‘নগ্ন’ করে রাস্তায় ছেড়ে দিয়েছেন তারা। যার প্রতিফলন সারাদেশে দলের ব্যাপক ভরাডুবি।”
রবিবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে জাপার পরাজিত প্রার্থীরা এসব কথা বলেন। এসময় তাদের সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। পরাজিত প্রার্থীরা বলেন, ‘লোভ-লালসার রাজনীতি কর্মীরা করেন না, করেন নেতারা। তাদের বলির পাঁঠা আমরা। অনেকে পাশে থাকার আশা দিলেও পরে আর থাকেননি। দেখা পর্যন্ত করেননি চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তবুও নির্বাচনে ভালো কিছু করতে উৎসাহ নিয়ে কাজ করেছিলাম। কিন্তু আর্থিক ও মানসিক সাহায্য পাইনি। তবে ভুলভ্রান্তি পেছনে ফেলে সামনে এগুতে হবে। জনগণের আস্থার দাম দিতে হবে।’
জাপার কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, ‘চেয়ারম্যান-মহাসচিবের প্রতি আহ্বান দলকে বাঁচান। বহিষ্কার অব্যাহতি বাদ দিয়ে সবাই দলের হয়ে কাজ করবো। দলকে সুসংগঠিত করুন। দল কেউ ভাঙতে পারবে না। আপনাদের নেতৃত্বেই এগিয়ে যাবো।’
শফিকুল ইসলাম সেন্টু বলেন, ‘ভয়াবহ অবস্থা দলের। এজন্য দায়ী চেয়ারম্যান-মহাসচিব। ভিক্ষা নিয়েও সেটার মধ্যে জালিয়াতি করেছেন তারা। আপনাদের পোস্টার দেখে আওয়ামী লীগও লজ্জা পায়। আপনাদের ভেলকিবাজি সবাই বুঝে গেছে। তবে ক্ষতি হয়েছে দলের। সব দায় চেয়ারম্যান-মহাসচিবের। আঘাতপ্রাপ্ত আর বহিষ্কার লোক একা হয়ে গেছে।’
সাইফুদ্দিন মিলন বলেন, ‘নির্বাচনে না গেলে জাতীয় পার্টি হিরো হতো। জিএম কাদের অনেক কিছু করেছেন দলের জন্য। তার সব শ্রম বৃথা হয়ে যাবে। আপনার বিকল্প নেই। সঠিক নেতৃত্বে আসার আহ্বান জানাই।’