a
ফাইল ছবি
জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর সংবাদ সম্মেলন করেন। প্রসঙ্গ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি। সহকারী নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাককে নিয়ে যথাসময়ে হাজির প্রধান নির্বাচক। কিন্তু ছুটির দিনে মিরপুর স্টেডিয়ামে বিসিবির মিডিয়া বিভাগের কেউ নেই! প্রখর রোদে বিসিবি একাডেমির সামনে, পরে একাডেমি ভবনের ভেতরে দুই দফা সংবাদ সম্মেলনের পরিকল্পনা হয়েছিল। সংবাদকর্মী ও নির্বাচকদের সমন্বিত সিদ্ধান্তে শেষ পর্যন্ত মিডিয়া সেন্টারের সামনে হয় সংবাদ সম্মেলন।
চলতি বছরের জন্য বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকায় আছেন ২১ ক্রিকেটার। কিন্তু গতকাল সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচকদের দিকে ছুটে যাওয়া সিংহভাগ প্রশ্নই হলো সাকিব আল হাসানকে নিয়ে। জাতীয় দলে অনিয়মিত হলেও সাকিবকে রাখা হয়েছে তিন ফরম্যাটের চুক্তিতে। তা নিয়ে প্রশ্নবাণে পড়তে হয়েছে নির্বাচকদের।
সবগুলো প্রশ্নই ছিল নান্নুকে উদ্দেশ করে। মাঝেমধ্যে কথা বলেছেন রাজ্জাকও। কথার মাঝে মেজাজও হারিয়েছেন সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনার। একবার তো প্রশ্ন করা এক সাংবাদিককে উল্টো প্রশ্নই করে বসলেন, ‘আপনি যদি নির্বাচক হতেন কী করতেন? সাকিবকে বাদ দিতেন না রাখতেন।’
যদিও বাঁহাতি এ অলরাউন্ডারকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখা, না রাখা সাংবাদিকদের কাজ নয়। এটা বেমালুমই ভুলে গেছেন রাজ্জাক। শুধু এটুকুই নয়, গতকাল সাকিব প্রশ্নে নির্বাচকদের অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছে রাজ্জাকের কথায়। সাবেক সতীর্থ সাকিবকে নিয়ে প্রশ্নের মিছিল দেখে হয়তো মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘সাকিব কিন্তু এখনো কোনো ফরম্যাট থেকে সরে যায়নি। সাকিব এই মাপের খেলোয়াড় যে নিজে থেকে কোনো ফরম্যাট থেকে সরে না গেলে ক্রিকেট বোর্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া কঠিন।’
আলোচনা ছাড়াই সাকিবকে কেন্দ্রীয় চুক্তির তিন ফরম্যাটে রাখা হয়েছে, তা স্বীকার করে রাজ্জাক বলেন, ‘এখনো সাকিবের সঙ্গে আমাদের ওরকমভাবে কথা হয়নি। যেহেতু হয়নি, ফট করে একটা কথা বলে দেওয়া ঠিক না। কথা হলে জানতে পারবেন।’
বার বারই অগ্রজ নান্নুকে থামিয়ে দিয়ে কথা বলেছেন রাজ্জাক। তবে নান্নু জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় চুক্তির এই তালিকা নির্বাচকরা জমা দিয়েছেন এক মাস আগে। তারপরই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সাকিবের খেলা, না খেলার নাটক মঞ্চস্থ হয়।
নির্বাচকদের কাছে তথ্য আছে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর বছরের বাকি সময়ে সব ম্যাচ খেলবেন সাকিব। নান্নু বলেন, ‘ও (সাকিব) ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্রাম নিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে। তারপর থেকে ও এভেইলেবল। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে সে অনুযায়ী তিন ফরম্যাটের জন্যই ও এভেইলেবল আছে।’ কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা দিলেও ক্রিকেটারদের গ্রেডিং ঘোষণা করা হয়নি। অচিরেই বিসিবির অপারেশন্স বিভাগ গ্রেডিং ঘোষণা করবে বলে জানান নির্বাচকরা। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
আসন্ন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে আজ ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। তবে প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও হেলাফেলার কিছু নেই; বরং জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে টাইগাররা। একটি জয় অনেক আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলে ক্রিকেটারদের মধ্যে, হোক সেটা প্রস্তুতি ম্যাচ।
এর আগে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশ ৪২ ওভারেই লংকানদের করা ২৬৪ রান তাড়া করে জিতেছে ৫ উইকেটের ব্যবধানে। রান পেয়েছেন দুই ওপেনার তানজিদ তামিম এবং লিটন দাস। সব মিলিয়ে দলের মধ্যে একটা স্বস্তির সুবাতাস।
যদিও প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচের আগে শঙ্কা হিসেবে দেখা দিয়েছিল সাকিবের ইনজুরি। তবে পরে জানা যায়, এই ইনজুরি খুব বড় নয়। তার প্রথম ম্যাচ খেলতে না পারার যে গুঞ্জন, সেটাও সঠিক নয়। সাকিব খেলতে পারবেন বিশ্ব আসরের নিজেদের প্রথম ম্যাচে।
এদিকে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচের আগে হালকা চোটে পড়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যদিও তা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলা হচ্ছে না। তবুও সব মিলিয়ে দলের মধ্যে হালকা ইনজুরির আভাস রয়েছে।
অপরদিকে আজ বৃষ্টির শঙ্কাও রয়েছে গুয়াহাটির বারসাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এরই মধ্যে এই মাঠে ভেস্তে গেছে ইংল্যান্ড ও ভারতের প্রস্তুতি ম্যাচ। আজও কী তেমনটা হবে? বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় সে শঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
গত দুই দিন অবিরাম বর্ষণ হয়েছে গুয়াহাটিতে। ঢাকায় যেমন কয়েকদিন আগে অচল হয়ে গিয়েছিল, তেমনি গুয়াহাটি শহরকেও বৃষ্টিতে ভেসে যেতে দেখেছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা।
বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম তেমনটাই জানিয়েছেন মিডিয়াকে। তিনি বলছিলেন, ‘মনে হওয়া স্বাভাবিক ছিল যে আমরা বোধ হয় ঢাকাতেই আছি। বৃষ্টিতে রাস্তা পানির নিচে চলে গিয়েছিল।’
যদিও গতকাল থেকে গুয়াহাটিতে রোদ উঠেছে। বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা ঐচ্ছিক অনুশীলনে গিয়েছিলেন। অনুশীলন করেছেন চার ক্রিকেটার- মাহমুদ উল্লাহ, মোস্তাফিজুর রহমান, শেখ মেহেদী হাসান ও নাসুম আহমেদ। ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে যথাসাধ্য বিশ্রাম এবং ফিট থাকার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
করোনা সংক্রমণ ভয়ংকরভাবে বাড়ছে আর তা নিয়ন্ত্রণে আওয়ামী লীগ সরকারের দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের ঘোষিত ১৮ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে সরকারের দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি।
করোনা এ দুর্যোগে সুবর্ণজয়ন্তীর বৃহৎ আয়োজনের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সুবর্ণজয়ন্তীর অনেক আগেই স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বলা হয়েছিলো যে, করোনা খুব মারাত্মকভাবে আসছে, অবিলম্বে জনসমাগম বন্ধ করা দরকার। কিন্তু সরকার তা করেনি। এখন যেহেতু উৎসব শেষ হয়েছে, তাদের মহান অতিথিরা চলে গেছেন। এখন তারা এই বিষয়টা আবার সামনে এনেছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নয়, সরকারের পক্ষ থেকে যে দৃশ্যমান ক্যাম্পিং থাকবে, প্রচার-প্রচারণা থাকবে, উদ্যোগ থাকবে সেসব লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার ফ্যাক্টসগুলোকে গোপন করছে, ডাটাগুলোকেও গোপন করছে। এর আগে টেস্টই করেনি। যে করতে পেরেছে তার ওপর তারা নির্দেশনা দিয়েছে। এখনো যে টেস্ট হচ্ছে তা খুবই কম।
করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষায় দলের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচি স্থগিত করার কথা পুনরুল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচি স্থগিত করেছি। আমরা রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে বাধ্য হয়েছি যখন তারা (সরকার) আমাদের জনগনের উপর এভাবে আক্রমণ করেছে, হামলা করেছে তার জন্য।
সম্মেলনে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু ও চেয়ারপার্সনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।