a সাকিব নিয়ে নির্বাচকরা অসহায়!
ঢাকা শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২১ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

সাকিব নিয়ে নির্বাচকরা অসহায়!


ক্রীড়া ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ১২ মার্চ, ২০২২, ১২:৫৬
সাকিব নিয়ে নির্বাচকরা অসহায়!

ফাইল ছবি

জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর সংবাদ সম্মেলন করেন। প্রসঙ্গ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি। সহকারী নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাককে নিয়ে যথাসময়ে হাজির প্রধান নির্বাচক। কিন্তু ছুটির দিনে মিরপুর স্টেডিয়ামে বিসিবির মিডিয়া বিভাগের কেউ নেই! প্রখর রোদে বিসিবি একাডেমির সামনে, পরে একাডেমি ভবনের ভেতরে দুই দফা সংবাদ সম্মেলনের পরিকল্পনা হয়েছিল। সংবাদকর্মী ও নির্বাচকদের সমন্বিত সিদ্ধান্তে শেষ পর্যন্ত মিডিয়া সেন্টারের সামনে হয় সংবাদ সম্মেলন।

চলতি বছরের জন্য বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকায় আছেন ২১ ক্রিকেটার। কিন্তু গতকাল সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচকদের দিকে ছুটে যাওয়া সিংহভাগ প্রশ্নই হলো সাকিব আল হাসানকে নিয়ে। জাতীয় দলে অনিয়মিত হলেও সাকিবকে রাখা হয়েছে তিন ফরম্যাটের চুক্তিতে। তা নিয়ে প্রশ্নবাণে পড়তে হয়েছে নির্বাচকদের।

সবগুলো প্রশ্নই ছিল নান্নুকে উদ্দেশ করে। মাঝেমধ্যে কথা বলেছেন রাজ্জাকও। কথার মাঝে মেজাজও হারিয়েছেন সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনার। একবার তো প্রশ্ন করা এক সাংবাদিককে উল্টো প্রশ্নই করে বসলেন, ‘আপনি যদি নির্বাচক হতেন কী করতেন? সাকিবকে বাদ দিতেন না রাখতেন।’

যদিও বাঁহাতি এ অলরাউন্ডারকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখা, না রাখা সাংবাদিকদের কাজ নয়। এটা বেমালুমই ভুলে গেছেন রাজ্জাক। শুধু এটুকুই নয়, গতকাল সাকিব প্রশ্নে নির্বাচকদের অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছে রাজ্জাকের কথায়। সাবেক সতীর্থ সাকিবকে নিয়ে প্রশ্নের মিছিল দেখে হয়তো মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘সাকিব কিন্তু এখনো কোনো ফরম্যাট থেকে সরে যায়নি। সাকিব এই মাপের খেলোয়াড় যে নিজে থেকে কোনো ফরম্যাট থেকে সরে না গেলে ক্রিকেট বোর্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া কঠিন।’

আলোচনা ছাড়াই সাকিবকে কেন্দ্রীয় চুক্তির তিন ফরম্যাটে রাখা হয়েছে, তা স্বীকার করে রাজ্জাক বলেন, ‘এখনো সাকিবের সঙ্গে আমাদের ওরকমভাবে কথা হয়নি। যেহেতু হয়নি, ফট করে একটা কথা বলে দেওয়া ঠিক না। কথা হলে জানতে পারবেন।’

বার বারই অগ্রজ নান্নুকে থামিয়ে দিয়ে কথা বলেছেন রাজ্জাক। তবে নান্নু জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় চুক্তির এই তালিকা নির্বাচকরা জমা দিয়েছেন এক মাস আগে। তারপরই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সাকিবের খেলা, না খেলার নাটক মঞ্চস্থ হয়।

নির্বাচকদের কাছে তথ্য আছে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর বছরের বাকি সময়ে সব ম্যাচ খেলবেন সাকিব। নান্নু বলেন, ‘ও (সাকিব) ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্রাম নিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে। তারপর থেকে ও এভেইলেবল। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে সে অনুযায়ী তিন ফরম্যাটের জন্যই ও এভেইলেবল আছে।’ কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা দিলেও ক্রিকেটারদের গ্রেডিং ঘোষণা করা হয়নি। অচিরেই বিসিবির অপারেশন্স বিভাগ গ্রেডিং ঘোষণা করবে বলে জানান নির্বাচকরা। সূত্র: ইত্তেফাক

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

অবসর ভেঙে আমিরের আবারো পাকিস্তান দলে ফিরার আভাস


ক্রীড়া ডেস্ক:
বুধবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:১৩
অবসর ভেঙে আমিরের আবারো পাকিস্তান দলে ফিরার আভাস

ফাইল ছবি

পাকিস্তানের জার্সি গায়ে ১৬৭ টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে অংশ নিয়েছেন মোহাম্মদ আমির। তিন ফরম্যাটে ২৫৯ উইকেট নিয়েছেন এই কয়েক মাস আগে পাকিস্তানি পেসার দলের প্রধান কোচ মিসবাহ ও ওয়াকারের সাথে অভিমান করে হুট করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটক থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। আগে থেকেই লাল বলে খেলার আগ্রহ নেই বলে জানিয়েচজেন আমির। ৩৬ টেস্টে ১১৯ উইকেট শিকার করা করেছেন আমির।

এজন্য বেশ কটু মন্তব্য শুনতে হয়েছিল তৎকালীন প্রধান কোচ মিসবাহ উল হক ও বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনুসের কাছ থেকে। ফলে সাদা বলেও না খেলার সিদ্ধান্ত নেন।

২৯ বছর বয়সে জনপ্রিয় এই বোলারের সিদ্ধান্ত বেশ নাড়া দিয়েছিল ভক্তদের। তবে পাকিস্তানের কোচের পদ থেকে ওয়াকার মিসবাহর পদত্যাগের পর পাল্টে যাচ্ছে দৃশ্যপট আবারো পাকিস্তানের জার্সিতে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন আমির।

ডেইলি পাকিস্তান জানিয়েছে আমির বলেছেন, ‘আমি জাতীয় দলে খেলার জন্য প্রস্তুত আছি।’ যদিও বিষয়টি নিয়ে এখন আনুষ্ঠানিক বার্তা আসেনি। এদিকে কোচিং স্টাফের দুই প্রধান ব্যক্তির পদত্যাগের দিনই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করে পাকিস্তান। যদিও জিও টিভি বলছে ঘোষণা করা দল পছন্দ হয়নি অধিনায়ক বাবর আজমের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে আজম খান ও শোয়েব মাকসুদ রয়েছেন। এতেই নাখোশ বাবর।

অন্যদিকে স্ট্যান্ড-বাই তালিকায় রাখা হয়েছে ফখর জামান, উসমান কাদির ও শাহনাওয়াজ ধাহানির নাম। বাবর আজমের অধিনায়কত্বে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও এ স্কোয়াড খেলবে। ২৫ সেপ্টেম্বর লাহোরে শুরু হবে, নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান সিরিজ।

নিউজিল্যান্ড সিরিজে ভারপ্রাপ্ত কোচের দায়িত্ব পালন করবেন সাকলাইন মুস্তাক ও আব্দুর রাজ্জাক।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান দল: বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান (সহ অধিনায়ক), আসিফ আলি, আজম খান, হারিস রউফ, হাসান আলি, ইমাদ ওয়াসিম, খুশদিল শাহ, মোহম্মদ হাফিজ, মোহম্মদ হাসনাইন, মোহম্মদ নাওয়াজ, মোহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, শাহিনশাহ আফ্রিদি, শোয়েব মাকসুদ। রিজার্ভ - ফকর জামান, শাহনাওয়াজ দাহানি, উসমান কাদির।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

সংসদে ক্লাব, মদ ও জুয়া নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনা


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন, ২০২১, ০৪:০৬
সংসদে ক্লাব, মদ ও জুয়া নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনা

সংগৃহীত ছবি

জাতীয় সংসদে রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাব, মদ ও জুয়া নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা কীভাবে এসব ক্লাবের সদস্য হন, এত টাকা তারা কোথায় পান, এসব ক্লাবে যে পরিমাণ মদ বিক্রি হয় তার কতটা বৈধ- এসব প্রশ্নও উঠে এসেছে সাংসদদের কথায়।

অধিবেশনে দিনের কর্মসূচির শুরুতেই জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেন। এরপর আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও তরিকত ফেডারেশনের সংসদ সদস্যদের অনির্ধারিত আলোচনায় কিছুক্ষণের জন্য সংসদ সরব হয় ওঠে।
 
তারপর আওয়ামী লীগের শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বিএনপির হারুন অর রশীদ, তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী এবং বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ আলোচনায় অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এসময় সংসদে উপস্থিত ছিলেন।

মুজিবুল হক চুন্নু আলোচনার শুরুতে বলেন, কয়েকদিন ধরে একজন চিত্রনায়িকার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।  যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, উত্তরা বোট ক্লাব, কে করল এই ক্লাব? এই ক্লাবের সদস্য কারা হয়? শুনেছি ৫০-৬০ লাখ টাকা দিয়ে এর সদস্য হতে হয়।  এত টাকা দিয়ে কারা এর সদস্য হয়? আমরা তো ভাবতেই পারি না।  সারাজীবন এত ইনকামও করি না।

তিনি আরো বলেন, এসব ক্লাবে মদ খাওয়া হয়। জুয়া খেলা হয়। বাংলাদেশে মদ খেতে হলে লাইসেন্স লাগে। সেখানে গ্যালন গ্যালন মদ বিক্রি হয়।  লাইসেন্স নিয়ে যদি খায়, তবে তো এত মদ বিক্রি হওয়ার কথা নয়।  সরকারি কর্মকর্তারা এখানে কীভাবে সদস্য হয়? এত টাকা কোথা থেকে আসে?
 
এসময় রাজধানীর অভিজাত এলাকায় ‘ডিজে পার্টি’ বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তেক্ষেপ চান চুন্নু। তিনি বলেন, গুলশান-বারিধারা এলাকায় ডিজে পার্টি হয়।  সেখানে ড্যান্স হয়।  নেশা করা হয়। মদ খাওয়া হয়। এসব আমাদের আইনে নেই, সংস্কৃতিতে নেই, ধর্মে নেই।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন- কেন এসব হচ্ছে? কেন বন্ধ করা হবে না? ওইসব ক্লাবের সদস্য কারা হয়? পরীমনির যে ঘটনা, সেটা বোট ক্লাবে। ওই জায়গার একজন মালিক আছে। তিনি যেতেও পারে না। এসব দেখতে হবে।

এদিকে চুন্নুর বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিম ফ্লোর নিয়ে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশে মদ ও জুয়ার লাইসেন্স দেওয়ার জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে দায়ী করে বলেন, এতো বোট ক্লাব, জিয়াউর রহমান স্টিমার ক্লাব করেছিল।  বঙ্গবন্ধু মদ-জুয়ার লাইসেন্স বন্ধ করে দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান আবার দিয়েছিল। যারা অপরাধের শুরু করেছে, তাদের আগে বিচার করা উচিত। ওখান থেকে ধরতে হবে।

এসময় বিএনপির হারুন অর রশীদ স্পিকারের কাছ থেকে ফ্লোর নিয়ে বলেন, আমাদের বিরোধী দলের একজন সংসদ সদস্য একটা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু সিনিয়র একজন সদস্য (শেখ সেলিম) কোথায় চলে গেলেন? এই সব ক্লাবে মদের ব্যবসার সঙ্গে সরকারি লোক জড়িত। আমি চ্যালেঞ্জ করছি। পুলিশ এসব জায়গা থেকে টাকা নেয়। প্রধানমন্ত্রী কোনো দলের নন, উনি রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী। এসব খুঁজে দেখা হোক।

প্রসঙ্গত, এর আগে রোববার এক ফেসবুক পোস্টে ‘হত্যাচেষ্টা ও ধর্ষণচেষ্টার’ অভিযোগ সামনে আনেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। পরে সেই রাতে বনানীতে নিজের বাসায় তিনি সাংবাদিকদের সামনে ঘটনার বিবরণ দেন। এরপর সোমবার সাভার থানায় ধর্ষণচেষ্টা, হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে একটি মামলা করেন তিনি। মামলার প্রধান আসামি উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ঢাকা বোট ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য (বিনোদন ও সংস্কৃতি)। এজাহারের আরেক আসামি তুহিন সিদ্দিকী অমিও বোট ক্লাবের সদস্য।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বোচ্চ পঠিত - ক্রিকেট

ক্রিকেট এর সব খবর