a
ফাইল ছবি
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার ও তদন্ত প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হয়নি। বেশির ভাগ শহিদ পরিবার মনে করে, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার ও তদন্তে স্বচ্ছতা নেই। তাই শহিদ পরিবারের মনে ক্ষোভ আছে। সরকারের দৃষ্টি দেওয়া দরকার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারে যেন শহিদ পরিবারগুলো সন্তুষ্ট হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এত বড় হত্যাকাণ্ড হয়ে গেল- কেউই কিছু জানতে পারল না। কেউ আঁচ করতে পারলে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হলো না? আবার এমন ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়িত্বশীল যারা আঁচ করতে পারেনি, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর জাতি জানতে চায়।
শনিবার সকালে সামরিক কবরস্থানে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহিদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে দোয়া-মোনাজত করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। পরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত মর্মান্তিক দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধে যত সেনা কর্মকর্তা শহিদ হয়েছেন, এর চেয়ে বেশি সেনা কর্মকর্তা শহিদ হয়েছেন পিলখানা হত্যাকাণ্ডে। তাই এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও লজ্জাজনক। আমরা শোকাহত, আমার ভাগনে এই হত্যাকাণ্ডে শহিদ হয়েছেন। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত সব সেনা কর্মকর্তাসহ নিহত সবার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
এমনিতেই নাজুক অবস্থা ভারতের করোনা মহামারিতে। তার মধ্যে করোনা প্রতিষেধক রেমডিসিভির -এর খালি বোতলে তরল প্যারাসিটামল ভরে একটি চক্র তা ভ্যাকসিন হিসেবে বিক্রি শুরু করেছিল। যার প্রতিটি ভ্যাকসিনের দাম ৩৫ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছিল।
ভারতের সংবাদ মাধ্যম জিনিউজের বরাতে জানা যায়, রেমডিসিভির -এর খালি বোতলে তরল প্যারাসিটামল ভরে তা ভ্যাকসিন হিসেবে বিক্রি করা একটি চক্রকে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুলিশ গ্রেফতার করেছে ।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ওই চক্রের একটি আস্তানায় অভিযান চালায় । প্রশান্ত গড়ক, শঙ্কর পিসে, দিলীপ গায়কোয়াড ও সন্দীপ গায়কোয়াড নামে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
ওই চক্রের শিকড় কতদূর তা জানতে চারজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। রাজ্যে করোনা টিকা দেওয়া শুরু হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা নিতান্তই কম। ফলে বেসরকারি ক্ষেত্রে টিকার চাহিদা ও দাম হুহু করে বাড়ছিল। মহারাষ্ট্রের বারামতি জেলার একটি চক্র সেই সুযোগটাই নিয়েছিল। পরে ক্রেতা সেজে পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতার করল।
ফাইল ছবি
সাম্প্রতিক গাজা যুদ্ধে নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ তদন্ত করতে কমিটি গঠন করতে সম্মত হয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ।বৃহস্পতিবার রাতে ওই পরিষদ ভোটাভুটির মাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস করে।
ভোটাভুটিতে প্রস্তাবের পক্ষে ২৪ ভোট এবং বিপক্ষে ৯ ভোট পড়ে। আর ভোটদানে বিরত থাকে ১৯টি দেশ। ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাবটি পাস হওয়ায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ এখন একটি কমিটির মাধ্যমে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ তদন্ত করে দেখবে।
প্রস্তাবের খসড়ায় বলা হয়েছিল, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা, জর্দান নদীর পশ্চিম তীর ও বায়তুল মুকাদ্দাসে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ তদন্ত করে দেখার জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ যেন অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটি গঠন করে।
ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি ওআইসির পক্ষ থেকে পাকিস্তান জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের এই অধিবেশন ডাকার প্রস্তাব করেছিল।
গত ১০ মে থেকে ইসরায়েল টানা ১২ দিন ধরে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বেসামরিক অবস্থানগুলোতে ভয়াবহ বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল এতে ৬৯ শিশুসহ অন্তত ২৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয় এবং আহত হয় আরও প্রায় দুই হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।