ঢাকা মঙ্গলবার, ৭ কার্তিক ১৪৩১, ২২ অক্টোবর, ২০২৪
https://www.msprotidin.com website logo

পাহাড়ে সন্ত্রাসী তৎপরতা চলছেই


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক:
শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩, ১০:৪৯
পাহাড়ে সন্ত্রাসী তৎপরতা চলছেই

ফাইল ছবি

 

পাহাড়ে যেভাবে সন্ত্রাসী তৎপরতা ও সহিংস ঘটনা ঘটছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।গত মঙ্গলবার রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়িতে সেনা টহল দলের ওপর বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় দুজন সেনা সদস্য নিহত এবং দুজন সেনা কর্মকর্তা আহত হন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর জানিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিলাইছড়ি উপজেলার জারুলছড়িপাড়া নামক স্থানে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আস্তানার খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল ওই স্থানের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। টহল দলটি জারুলছড়িপাড়ার কাছে পানির ছড়ার কাছাকাছি পৌঁছালে কেএনএ সন্ত্রাসীদের ইম্প্রোভাইজ্ড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বিস্ফোরণ ও অতর্কিত গুলিবর্ষণের মুখে পড়ে এবং এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ে এক নতুন আতঙ্ক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে এই কেএনএ। এটি কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) একটি সামরিক শাখা। বছরখানেক আগে বান্দরবানে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। 

জানা যায়, কেএনএফের সামরিক শাখা কেএনএ’র শতাধিক সদস্য তিন বছর আগে প্রশিক্ষণের জন্য মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশে যায়।

২০২১ সালে একটি দল ফিরে আসে প্রশিক্ষণ নিয়ে। এ দলের সদস্যরাই এখন সেনাবাহিনীর ওপর একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। অনুমান করা যায় যে, কেএনএ সদস্যরা মিয়ানমার থেকে শুধু প্রশিক্ষণই নয়, অস্ত্র-গোলাবারুদ ও রসদ সামগ্রী পাচ্ছে। ফলে পাহাড়ের সাধারণ মানুষ ভুগছে নিরাপত্তাহীনতায়। ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পাহাড়ে অনেক সন্ত্রাসী গ্রুপ সক্রিয় থাকার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এসব সংগঠন চাঁদাবাজি, খুন, অপহরণ, মাদক ব্যবসাসহ নানান ধরণের অপকর্মে জড়িত। আবার বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপ পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে। জমি নিয়ে বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টাও এসব দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের মূল কারণ।

তবে কেএনএ’র তৎপরতা শুধু এসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এরা বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। তাদের তৎপরতা পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির আগের পরিস্থিতির কথা মনে করিয়ে দেয়, যখন পার্বত্য এলাকা ছিল এক ভয়ের জনপদ। এটিই বড় চিন্তার বিষয়। কাজেই এ ধরনের সংগঠনগুলো কঠোরভাবে দমন করা সময়ের দাবি।

সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো নির্মূলে পাহাড়ে সন্ত্রাসবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আমরা পার্বত্য এলাকায় স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে সরকারসহ সমগ্র দেশবাসীকে এগিয়ে আসার ও সচেতন থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

রাজধানীর বেশির ভাগ ভবন ভূমিকম্প সহনীয় নয়: ঢাকা মাঝারি ঝুঁকিতে


খোরশেদ আলম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ১৩ ফেরুয়ারী, ২০২৩, ১১:৪৭
রাজধানীর বেশির ভাগ ভবন ভূমিকম্প সহনীয় নয়: ঢাকা মাঝারি ঝুঁকিতে

ফাইল ছবি: ঘণবসতিপূর্ণ ঢাকা শহর

ভূতাত্ত্বিকদের মতে, রাজধানী ঢাকা শহর মাঝারি ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং বিল্ডিং কোড না মানা এর অন্যতম বড় কারণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আকতার ও অধ্যাপক মো. জিল্লুর রহমানসহ অনেকের মতে, ভূমিকম্পের উৎসগতভাবে ঢাকা ‌'মধ্য' ঝুঁকিতে রয়েছে। আর ঝুঁকিটা বাড়ার অন্যতম কারন অবকাঠামোগত ত্রুটির কারণে। এই ঢাকা শহরে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

উল্লেখ্য, তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির অন্যতম কারন সেদেশগুলোতেও যথাযথ বিল্ডিং কোড না মানা। আর এবিষয়গুলো সামনে এলো বড় আকারের দুর্ঘটনা ঘটার পর। আর আমাদের দেশে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বিল্ডিং কোড না মানার ব্যাপকতর অভিযোগ রয়েছে। প্রতিটি সংস্থাকে ম্যানেজ করে বেশিরভাগ সুউচ্চ ভবনগুলো গড়ে উঠেছে।

আবার সেসব সংস্থার লোকজন পরিবর্তন হলে তাদের স্থলে আসীন ব্যক্তিদেরও সেসব দুর্বল ভবনগুলো থেকে বছরকে বছর ম্যানেজের উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে। আর বেশিরভাগ ডেভোলপার কোম্পানিগুলো থাকে সব সময় ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তারা কোন রকম বিল্ডিং তৈরি করে বিক্রি করে হয় যায় উধাও। আর এসব লক্ষ্য করা যায় যখন কোন বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটে, তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়না।

এদিকে নগর পরিকল্পনাবিদরা মনে করেন, ঢাকাসহ অন্যান্য ঘনবসতি শহরগুলোতে ভূমিকম্প বা বড় আকারের কোন দুর্যোগ দেখা দিলে দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধারকার্য চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে উঠবে। ফলে এতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাবনা থেকেই যায়।

এমনিতেই ঢাকার বেশির ভাগ ভবনগুলোতে ভূমিকম্প প্রতিরোধ ব্যবস্থা একেবারেই দূর্বল। অন্যদিকে পুরান ঢাকার ভবনগুলো গা ঘেঁষাঘেষি করে তৈরি করা এবং রাস্তাগুলোও সরু। ছোটখাটো যানবাহন চলাচল করা দূরুহ ব্যাপার। তাই সামান্য দুর্ঘটনাতেও সেখানে উদ্ধারমূলক কর্মকান্ড চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। বসিলা, বনশ্রী, আফতাবনগরসহ ঢাকা শহরের বেশীরভাগ সুউচ্চ ভবনগুলো জলাভূমি ভরাট করে বালি বা কাদামাটির উপর তৈরি করার কারণে ঝুঁকির মাত্রা এক্ষেত্রে অনেক বেশি।

২০০৯ সালে জাইকা ও সমন্বিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচী(সিডিএমপি) এক জরিপে উল্লেখ করেছে যে, ঢাকায় ৭ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হলে শহরের প্রায় ৭২ হাজার ভবন ভেঙ্গে পড়বে এবং ১ লাখ ৩৫ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্থ হবে। প্রায় ১৪ বছরে নিয়ম না মেনে তৈরি করা আরও অনেক বিল্ডিং হয়েছে, সেসব যোগ করলে ক্ষতিগ্রস্থ ভবন সংখ্যা কত দাঁড়ায় তা সহজেই অনুমেয়। সুধীজন ও বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন, ভূমিকম্পসহ অন্যান্য দুর্যোগ সময়গুলোতে যাতে ক্ষতির পরিমাণ সহনীয় থাকে সে ব্যাপারে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে আলোচনা ও টক-শোতে পরামর্শ দিলেও দৃশ্যমান কোন পরিবর্তন চোখে পরেনি।

বিশেষত: এসব বিষয়ে অনেকে অনেক কথা বললেও একজন মানুষের নাম না বললেই নয়, তিনি হচ্ছেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও ঠোঁটকাটা প্রিয় মানুষটি মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।

 

লেখক: মোহা. খোরশেদ আলম, সম্পাদক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ও নির্বাহী পরিচালক: হিউম্যানরাইটস এন্ড এনভায়রমেন্ট ডেভে. সোসাইটি(হিডস)।

 

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বিদেশি আক্রমণ ঠেকাতে ৫১টি শহরে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে ইরান


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৫:৩১
বিদেশি আক্রমণ ঠেকাতে ৫১টি শহরে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে ইরান

ফাইল ছবি

বিদেশি আক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে বিদেশি আক্রমণ ঠেকাতে ৫১টি শহরে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে ইরান। বার্তা সংস্থা রয়টার্স শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।  

ইরানের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী মেহেদি ফারাহির বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যমগুলো জানায়, বেসামরিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের মাধ্যমে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ‘সার্বক্ষণিক সফটওয়্যার ব্যবহার করে হুমকি ও ঝুঁকির ধরন অনুযায়ী এসব হুমকি ও ঝুঁকি শনাক্ত ও পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হবে’।

ফারাহি বলেন, সম্প্রতি দেশগুলোর শক্তির উপর নির্ভর করে, যুদ্ধের ধরণ আরও জটিল হয়ে উঠেছে। যুদ্ধের চিরাচরিত ধরনগুলোর জায়গা দখল করছে সাইবার, জৈবিক এবং তেজস্ক্রিয় আক্রমণসহ যুদ্ধের হাইব্রিড ধরন।

সম্প্রতি সিরিয়া যুদ্ধ ও পরমাণু চুক্তি নবায়নের ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছে ইরানের।

যুক্তরাষ্ট্র চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো ইরানকে মার্কিন সামরিক ড্রোন ছেড়ে দিতে বাধ্য করেছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে, লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ড্রোন আটক করেছিল ইরানের নৌ বাহিনী। কিন্তু সেগুলো আবার ছেড়েও দিয়েছে তারা।

এদিকে, ইরানকে চাপে ফেলতেই সম্প্রতি সিরিয়ায় বিমানবন্দরগুলোতে হামলার তীব্রতা জোরদার করেছে ইসরাইল। আঞ্চলিক কূটনৈতিক ও গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স শুক্রবার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

আঞ্চলিক কূটনৈতিক ও গোয়েন্দা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ইসরাইল সম্প্রতি সিরিয়ায় বিমানবন্দরগুলোতে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে। হিজবুল্লাহসহ সিরিয়া ও লেবাননের মিত্রদের কাছে অস্ত্র সরবরাহে ব্যবহৃত ইরানের বিমানগুলোকে বাধা দিতেই এসব হামলা চালানো হয়।  যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - সম্পাদকীয়

সর্বোচ্চ পঠিত - সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয় এর সব খবর