a
ছবি: মুক্তা দাশ
মরণঘাতী সময়
মু্ক্তা দাশ
একটা সময় ছিল
কোনটা সুখ আর কোনটা অসুখ ঠিকঠাক মতই হয়তো বুঝতাম ।
দিনে দিনে বয়স বেড়েছে , অনেকগুলো বছরের সীমানা পেরিয়ে এসেছি
এখন বেলা প্রায় শেষ !
সূর্য অস্ত যাবার প্রস্তুতি চলছে দেহের প্রতিটি কোষে কোষে ।
নীড়ের পাখি নীড়হারা হওয়ার ভয়ে মুখ থুবড়ে জবুথবু ,
তবুও কি আকাশে ডানা মেলে না !? মেলে তো ।
উড়ে যায়, উড়ে উড়ে যায় নীলিমায়!
দিনশেষে ঘরে ফিরতেই হয়,, ফিরে আসে ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় ! ফিরতে তাকে হয় ই ।
পরিনত সময়ের নিয়মে এখন বুঝে উঠতে খুব কষ্ট হয়
কোনটা সুখ আর কোনটা অসুখ !?
ঝাপসা চোখে সুখে অসুখ খুঁজে পাই , আর
অসুখে কেবলি সুখ হাতড়ে বেড়াই ।
যোগ বিয়োগের নিয়মগুলো বেমালুম পাল্টে গেছে !
শরৎবাবু বেঁচে থাকলে , দেবদাস আর পার্বতীকে
সময়ের ছাঁচে নতুন ভার্চুয়াল রূপে সাজাতো।
নতুন আয়নায় আমি কেবলি সেকেলে আমাকে দেখি ,
লালন করি সময় অনুপযোগী অনুভব!
অনুভূতিগুলো কেমন ভোঁতা হয়ে গেছে ,
পোড় খেতে খেতে পুড়তেই ভালোবাসে, স্বেচ্ছায় ।
পোড়া মনে পুড়তেও যে সুখ আছে ..!
মরণঘাতী অসুখে ই চরম সুখ ।
ক'জন ই বা পায় এমন সুখ ।।
ফাইল ফটো: মুক্তা দাশ
- মুক্তা দাশ
আমার মতো করে কিছু চাওয়ার অধিকার হারিয়েছি!
বহু বছর হলো ...
সেই যে,, যেদিন শাঁখার শেকলে হাত বেঁধেছি,
যেদিন সিঁদুরে লাল রাজটীকা কপালে এঁকেছি,
যেদিন মাতৃত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ সিঁথিতে
সিঁদুর রাঙিয়েছি !
গোত্রান্তরিত হয়ে নাম লিখিয়েছি নতুন গোত্রে।
নিজের মতো করে তোমাকে পাবার আশা
কেবলি দুরাশা...! অভ্যস্ত হয়ে গেছি
তোমার মতো করে তোমাকে পেতে।
আমার সব আমিগুলো গঙ্গার ঘাটে বিসর্জনের আরতীতে প্রতিনিয়ত ব্যতিব্যস্ত।
তবুও অবশিষ্ট আছে আজও,
"এক টুকরো আমি।"
ভাঙা আয়নায়
কাচের টুকরোর মতোন...!! "আমি"।
তাতানো রোদের আলো ঠিকরে পরে
টুকরো টুকরো আয়নার পরে,
সকাল সন্ধ্যা আমি নিজেকে দেখি
কাঁচ ভাঙা আয়নার প্রতিবিম্বের গভীরে।
দ্যুতি ছড়ায় টুকরো টুকরো ভাঙা " আমি "!
সম্পুর্ণ নতুন আমি হয়ে উঠার স্বপ্ন
মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে...
পরক্ষণেই মিলিয়ে যায়, খোলা জানালায়
লোহার শিকে মোড়া খড়কুটো জীবনে।
স্নান সেড়ে সিঁদুরে সিঁথি রাঙাই ,
কপালে এঁকে দিই রক্তাক্ত রাজটীকা
স্বচ্ছ জলের পরে মুখোমুখি হই নিজের
রাতের সব অন্ধকার ...!
মুছে দেই ভোরের আলোয়।
আনমনে স্বপ্নের জাল বুনি
আমার "আমি" হয়ে পথচলার ।।
........... ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
ফাইল ছবি
বিচারক ইব্রাহিম রাইসি ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় নিন্দা জানিয়েছে ইসরায়েল। রবিবার (২০ জুন) দখলদার দেশটি বলছে, রাইসির অধীন ইরানে একটি নৃশংস জল্লাদের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। কাজেই বিশ্বশক্তিগুলোর উচিত হবে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে কোনো আলোচনায় যোগ বিশ্বকে না দেওয়া। খবর আল জাজিরা'র।
তিনি জানান, মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে রাইসির বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।শুক্রবারের নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় নিয়ে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। রাইসিকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের সচেতন হওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন ইরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট।
এদিকে ইরান সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাইসি। রাইসি বলেন, তিনি পুরো জাতির নেতা হবেন। আগামী অগাস্টে তিনি শপথ গ্রহণ করবেন।